![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছন্নছাড়া, গৃহহারা, বাউন্ডুলে, ভবঘুরে, যাযাবর-------- কত হরেকরকম রংবেরঙ্গের শব্দই না আছে বাংলাতে ভ্যাগাবন্ড বোঝাবার জন্য। কিন্তু সত্যিকার বাউন্ডুলিপনা করতে হলে সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা------ গেরুয়াধারন। ইরান- তুরান- আরবিস্থানে আর বাংলাদেশে দরবেশ সাজা। ইউরোপে এই ঐতিহ্যমূলক পরিপাটি ব্যবস্থা না থাকলেও অন্যান্য মুষ্টিযোগ আছে যার কৃপায় মোটামুটি কাজ চলে যায়।
আম্মু বলেন পড়রে শোনা আব্বু বলেন মনদে
পড়ায় আমার মন বসেনা কাঠালচাঁপার গন্ধে---
আমার ছোট্ট মেয়েটাকে অংক করাচ্ছি। কিছুতেই মন নেই অংকে। বার বার বলছে “আর করব না।“ একবার কেঁদেই ফেলল “আমি আর করবো না।“
বললাম “কয়টা বাকি আছে বল।“ ও ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলল “তিনটা আর দুইটা তো উড়ে গেল।“
উড়ে গেল!!! চমকে তাকালাম ওর দিকে ,জিজ্ঞাসা করলাম “কি উড়ে গেল?” সে উত্তর দিল “বাসায় তো পাঁচটা ঘুঘু ছিল। চাল খাচ্ছিল আর দুটা উড়ে গেল।“
শোবার ঘরের জানালার পাশের আকাশমনি গাছের ডালে বাসার মালীর সাহায্যে ওরা কিছু ছোট ছোট প্লাস্টিকের বাটি বেধে দিয়েছে। প্রতি দিন মালী ও আমার ছেলে মেয়ে দুটি স্কুল থেকে এসে মই দিয়ে উঠে ঐ বাটি গুলিতে কিছু গম চাল দিয়ে আসে। পাখিরা খায় আর ওরা মজা করে দেখে ও গুনে কটা পাখি আসলো? কে কিভাবে খাচ্ছে? পাখিরাও সময় বুঝে গেছে কখন খাবার দেবে ওরা? সেই পাখিই এসে বসেছে আবার দুটো উড়েও গেল এর মাঝে অংক কি পোষায়?
হেসে ফেললাম --- “যাও ছুটি। সন্ধ্যায় কিন্তু বাকিগুলি করবে।” ও মাথা নেড়ে সায় দিল। জানি এই অংক আর সন্ধ্যায় করা হবে না। করতে হবে শোবার সময়। যখন বিছানায় শোবে তখন। কারন হোম ওয়ার্ক না করে তো স্কুলে যেতে পারবে না, আর স্কুলে না গেলে তো মাটির নিচে পিঁপড়ার বাসা খুঁজবে কাকে নিয়ে?। ওর ক্লাশের ছেলে মেয়েরা ওর চেয়ে অনেক বেশি জানে। ওদেরা ছাড়া তো পাখির বাসা খুঁজে পাওয়া যায় না। ওর বন্ধুরা ওকে একদিন বোকা বলেছে গাছে চড়তে পারছিল না বলে-- তবে শেষ পর্যন্ত পেয়ারা গাছে চড়া শিখেছে।
আমার বাচ্চাদের শৈশবটা আমি চুরি করতে চাইনি। আমার ভেতরে সব সময় এই জিনিসটাই কাজ করেছে এই বাচ্চাগুলি আর কোনদিন তাদের হারিয়ে যাওয়া বয়সটা ফিরে পাবে না। আমার ছয় বছরের মেয়েটা বা ছেলেটা গাছে চড়তে চেষ্টা করছে ও বার বছর বয়সে আর চড়বে না। বার বছর বয়সে সাইকেল চালাবে সাঁতার কাটবে মাঠে দৌড়াবে যা সে বিশ বছর বয়সে করবে না।
ঢাকা -- হায়রে রাজধানী পাষাণ কায়া
বিরাট মুঠিতলে চাপিছে দৃঢ়বলে
ব্যাকুল বালিকারে নাহিকো মায়া।----------
রবীন্দ্রনাথের বধূ কবিতাটির এই কয়টি চরন এখন ঢাকাবাসীর জন্য নির্মম সত্য। আমি যখন ঢাকা ছেড়ে আসি সবাই অবাক হয়েছে। কোথায় যাচ্ছ? পাগল নাকি? এত্ত ভাল স্কুলে তোমার বাচ্চারা পড়ে ওদের তুমি কোন মফস্বলে নিয়ে যাচ্ছ? আমি মনে মনে হাসলাম। তোমাদের সাথে আমার মিলবে না। আমি আমার বাচ্চাদের মুক্তি দিতে চাই। মুক্তির স্বাদ দিতে চাই। এই চার দেয়ালের বাইরের বিশাল জায়গাটা দেখাতে চাই চিনাতে চাই। ওরা সারা দিন ভিডিও গেম , কার্টুন নেটওয়ার্ক বা সিনেমা নিয়ে সময় কাটাক আর জুল জুল নেত্রে জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকুক আমি চাই না। আমি চাইনা একটা চওড়া ড্রেন দেখে ওরা বলুক এটা নদী।
ওরা দৌড়াতে দৌড়াতে পরে যেয়ে হাটু ছিলে ফেলুক। তার পর আবার উঠে দাড়িয়ে দৌড়াক। ওরাই দেখবে কখন ব্যাথা ভাল হয়ে গেছে। ওরা পাখির ডাক শুনে শুনে আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে পাখির পেছনে পেছনে ছুটে চলে। ওরা মেঘের রং দেখে, পরিবর্তন দেখে । মেঘের মাঝে খুঁজে পায় এই যে বাঘ, আমগাছ, হাতিরশুঁড়, দাদাবাড়ির টিনের ঘর। সন্ধ্যার আকাশটা লাল না সোনালী এই নিয়ে বিতর্ক। পুকুরের মাছগুলি বিকেলে এত্ত খেলা করে আর সন্ধ্যার সাথে সাথে কোথায় যেন ঘুমাতে যায়। একদিন মাছেদের বাসা দেখতে যেতে হবে যেখানে মাছেদের বিছানা আছে।
মাটির নিচে উঁই পোকারা কিভাবে থাকে? সন্ধ্যার সময় কেন এই ভাবে বের হয়? ঝাঁকে ঝাঁকে উঁই পোকা বের হচ্ছে আর হচ্ছে। যেন একটা ফোয়ারার মত। আর ফিঙ্গে পাখিগুলি কি দুষ্টু? একটুও ভালো না। সন্ধ্যার সময় ওরা ঘুমানো বাদ দিয়ে খালি লাইটের পোকা গুলি ধরে ধরে খায়।
ঘাস ফড়িঙ্গের সাথে গড়ে তোলার চেষ্টা করে সখ্যতা আর এতে ওদের প্রানটাই যায়।
মাঝে মাঝে বিকালগুলি যায় কাঁকড়ার মুড়ি খাওয়া দেখতে দেখতে। একমুঠো মুড়ি নিয়ে পুকুর পাড়ে বসে থাকে। একটু একটু করে মুড়ি পুকুরে দেয়। একটা দুইটা কাঁকড়া বের হয়ে এসে দ্বাড়া দিয়ে ধরে মুড়ি খায়। ঠিক আমরা যেভাবে হাত দিয়ে ধরে বিস্কিট খাই।
বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে মাঠে দৌড়ানোর যে কি মজা সে শুধু যে দৌড়ায় সেই জানে? বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর আসে??? কক্ষনই না । রঙ্গধনুর শুরুটা কোথায় আর শেষটাই বা কোথায় খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরে। বৃষ্টির শেষে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে গাছটা ঝাকি দিলেতো আবারও গাছটা গা ভিজিয়ে দেয়। পূর্ন চন্দ্রের যে সর্বগ্রাসী আলো সেই আলোয় লুকচুরি খেলার আনন্দ আমি আমার জীবনে পাইনি তাইতো ওদের সাথে মিশে আমিও ওই খেলায় মেতে উঠি।
আমাকে আমার বাচ্চা গুলিই চিনিয়েছে অনেক গাছ অনেক পাখি। কোন পাখি কিভাবে ডাকে? কোন পাখির ডাকে দূরে বসা তার সাথী উত্তর দিচ্ছে, এই পিচ্চিরাই আমাকে বলে দেয়। আমাকে বলে --মা চুপ করে থাক, দেখ ঐ মাছরাঙ্গাটা না এখনই মাছ ধরে নিয়ে যাবে। ঠিক তাই খুব তীব্রগতিতে মাছরাঙ্গা এসে একটা মাছ নিয়ে চলে যায়। কালো মেঘের মাঝে চকচকে সাদা বকগুলি যখন উড়ে যায় সেই অপরূপ দৃশ্য দেখে ওরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। পানকৌড়ি ডুব দিলেই বলে দেখো মা ও একটা মাছ নিয়ে উঠবে। যদি না নিতে পারে বাচ্চারা খুশিতে হাত তালি দেয়। পানকৌড়ি মাছ ধরতে পারে নাই।।
আমার বাচ্চারা ভাল স্কুলে নেই। ওরা ম্যানার শিখছে না । ওরা গোছানো নয়। ওরা এটিকেট শিখছে না। লেখাপড়া ভাল স্কুলে না শিখলে তো--ওদের ভবিষ্যত কি হবে? কি ভাবে বড় করছো বাচ্চাদের? বাচ্চাদের জন্যই তোমার ঢাকায় থাকার দরকার ছিল? হাসবেন্ড বদলি হয়েছে বলে কি তোমাকেও মফস্বলে যেতে হবে? এইসব ন্যাকামির বয়স কি আছে? বাচ্চাদের দিকে দেখবে না ? ওরাই তো সব??!! আশ্চর্য???!!!
আসলেই আশ্চর্য??!!!
আমি শুনি আর মনে মনে হাসি--
তবুতো ওরা কখনও বলবে না আমি মানুষ হব কিভাবে আমি যে জলে মাছের নৃত্য দেখিনি,? আমি কাকের কর্কশ স্বর ছাড়া পাখির ডাক শুনিনি। আমি শৈশবে কখনও একটি পাখির মৃত্যুতে কাঁদিনি। আমি তো মায়া মমতায় জাড়াজড়ি করে মানুষের সাথে গাছ, পাখি, মাছ, আকাশকে ভাবতে পারিনি? আমি ক্যনভাসে প্রকৃতিকে এঁকেছি কিন্তু এ যে বাস্তব তা জানিনি। ফিরিয়ে দাও আমার শৈশব??? মানুষ হবার যাতাকলে চাপা পরে গেছে আমার সকল সুকুমার বৃত্তি।
তোমরা যখন করছো পড়া মানুষ হবার জন্য
আমি না হয় পাখিই হব পাখির মত বন্য।
ওরা না হয় পাখিই হবে পাখির মত বন্য।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তুমিতো শিক্ষিকা তুমি ভালো করেই জানো পরিক্ষায় প্রথম করার জন্য বাচ্চাগুলির উপর মা বাবার কি স্টিম রোলার চলে। আমি বুঝিনা যে বয়সটা শেখার সেই বয়সটাকে কেন করে তোলে প্রতিযোগীতার। বাচ্চা শিখছে কিনা এটাই তো আসল। তাকে কেন পারফেক্ট হতে হবে??
আমার এবার ডাঃ মোহিত কামালের চেম্বারটা দেখার সুজোগ হয়েছিল। আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। বাচ্চাগুলির শৈশব চুরি করে করে ওদের কিভাবে মানসিক ভাবে অসুস্থ্য করে তোলা হচ্ছে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: আহা, পুরাই অপুর মত...
অনেক সাহসী ইচ্ছা এইযুগে..
অনেকের ইচ্ছা থাকলেও কত কিছু ভাইবা করতে চাইবেনা বা করেনা...আহা।
ভালো থাকবেন....
আমি মাঝখান থেইকা ভাবতেছিলাম, পেয়ারা গাছ কৈ পাইলো...???
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমি যাখানে থাকি সেখানে সব আছে রে ভাই।
আমাকে বলতে হয় না--
কোথা সে খোলামাঠউদার পথ ঘাট
পাখির গান কই বনের ছায়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া । ভালো থাকুন।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১০
কাব্য বলেছেন: বাবা-মার জ্বালাতনে,পোলাপানের শান্তি নাই
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ঠিল বলেছ কাব্য। বাবা-মা দিতে পারেনা খোলা মাঠ আর দেয় চাপিয়ে বইয়ের বোঝা। শুধু চাপিয়ে খান্ত নয়। পড়তে হবে পারতে হবে, ১ম হতে হবে।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১১
সবুজ সাথী বলেছেন: হায়রে আপু ছোটবেলার কত কিছু মনে করায়া দিলেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মনে যখন পরেছে আপনার বাচ্চাদের এই জীবনটা দিতে চেষতা করুন।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১২
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: আপনি একজন শ্রেষ্ঠ মা হয়ে থাকবেন ওদের দৃষ্টিতে। এই রকম করে ভাবেই না কেউ । আমাদের এপার্টমেন্টের জৌলুসের নিচে চাপা পড়েছে ওদের ওদের শৈশব - ওদের খেলার মাঠ।
আমার খেলার মাঠটি ফিরিয়ে দাও
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তার সাথে যোগ হয়েছে লেখাপড়া কোচিং সেন্টার প্রাইভেট টিউটর। গান নাচ ছবি আঁকা ইত্যাদি ইত্যদি।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৩
শাওন বলেছেন: ভালো লাগল লেখাটি । খুউব ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। হয়ত ওদের খোলামাঠ দিতে অনেকেই পারবনা কিন্তু মানুষ বানাবার চেষ্টায় ওদের যেন রোবট বানিয়ে না ফেলি। পড়ার চাপে ক্লান্ত করে না দেই।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৬
লীনা দিলরূবা বলেছেন: আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়
ঐ ধান শালিখের গাঁয়
নাটাবনের চোরা কাঁটা ডাকিছে আমায়
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়
আজিকে সে সব খুঁজিয়া খুঁজিয়া কুড়ায়ে লইব তায়
যাবি তুই ভাই যাবি মোর সাথে আমাবের ছোট গায়।
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮
দাইয়ান সাকিব বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগলো+++++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন: +++++++++++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩১
এস রহমান বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগলো+++++++
+++++++++++++++++++++++
+++++++++++++++++++++++++++
++++++++++++++++++++++++++++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২
শ।মসীর বলেছেন: ওরা না হয় পাখিই হবে পাখির মত বন্য।
ওদের স্বপ্ন পূরন হউক ।শুভ কামনা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: দোয়া কর ভাই ওরা যেন মানুষ হয়।
বাবার সহকর্মীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে যেন না বলে ---অসুবিধা কি আংকেল তো রিটারমেন্টের পরই মারা গেলেন।
আমার সন্তানকে নিয়ে যেন মহিত কামালের কাছে না যেতে হয়।
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩২
মুকুট বলেছেন: চমৎকার...
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫
ওসমানজি২ বলেছেন: বাহঃ মন ভাল করা একটা লেখা পড়লাম অনেক দিন পর। আদর্শ একজন মায়ের জন্যে শুভেচ্ছা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: অদর্শ মা হতে পারব কিনা জানি না তবে চেষ্টা করি সবার যেন ভাল হয়।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৭
রনি রাজশাহী বলেছেন: লীনা দিলরূবা বলেছেন: আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায়
ঐ ধান শালিখের গাঁয়
নাটাবনের চোরা কাঁটা ডাকিছে আমায়
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। শুধু মন পাখিটা উড়ে গেলে হবে না আমাদের ভবিষ্যতের মনটাও তৈরী করে দিতে হবে।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৯
লীনা দিলরূবা বলেছেন: লেখক বলেছেন: গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
মোর শিশুকাল লুকায়েছে হায়
আজিকে সে সব খুঁজিয়া খুঁজিয়া কুড়ায়ে লইব তায়
যাবি তুই ভাই যাবি মোর সাথে আমাবের ছোট গায়।
যাবো যাবো নিশ্চয়ই যাবো, একবার নিমন্ত্রণ করেই দেখো
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৮
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: নিমন্ত্রন তো সেই কবেই করেছি আপু। তোমাকে আবারও ডাকছি। শুধু কবে আসবে বলো আমি আছি।
Click This Link
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
চাচামিঞা বলেছেন: আগে ছোটো একটা ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যেতাম.....এখনটা বাচ্চারা ইয়া এত্টোবড় বোচকা নিয়ে স্কুলে যায়। ব্যাগের ভারে বেচারারা নুয়ে পরে...দেখতে খুব মায়া লাগে....আসলেই তাদের সোনালী শৈশবের কিছুই সোনালী নেই।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কি অসুস্থ্য প্রতিযোগীতা। একবার ভাবুন তো যে বাচ্চাটা আজ প্লেগ্রুপে বা ক্লাশ ওয়ানে ফার্স্ট করানোর জন্য বাবা মা হন্যে হচ্ছে তাতে কি লাভ হচ্ছে বাচ্চাটার।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
হতাশ_আমি_যাণ্ত্রিক বলেছেন: স্কুলের পুকুরে ঝিনুক ধরতাম, মাঠে ঘাসফড়িং ধরতাম আরও কতকিছু!! আমার ছোটো ছোটো চাচাতো ভাইদের দেখলে খারাপ লাগে, ওরা ওই সব আনন্দ থেকে বঞ্চিত।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাইয়া।
১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব ভাল লাগল পড়ে তবে একটা কথা ছিল আমার। তা হল ওরা ত এখন মফস্বলে বড় হচ্ছে কিন্তু একদিন অবশ্যই শহরে আসবে/আসতে হবে তখন কি একটা গ্যাপ থেকে যাবে না? বুঝলাম বাসায় শেই শিক্ষাটা দিচ্ছেন কিন্তু আশে-পাশের মানুষ থেকেই ত আমরা বেশী শিখি। তখন কি ওদের প্রবলেম হবে না।
*অট আমি ফাইভ/সিক্সে উঠে জিজ্ঞেস করেছিলাম ধান কোথায় হয়? মাটির নিচে না উপরে?
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: কি গ্যাপ থাকবে ভাই। একটু খোজ নিয়ে দেখুন না পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে কতজন ঢাকা শহরের বাচ্চা পড়ে।
গ্যপতো শৈশবের। আমার বাবা যে গ্রামের ছেলে সেই গ্রামে আজও ইলেক্ট্রিসিটি যায় নি।
আমার বাবা ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র ছিলেন।
আমার হাসবেন্ড রা আট ভাই বোন। পাঁচ বোন তিন ভাই।
আমার শ্বশুর ছিলেন স্কুল শিক্ষক। যে গ্রাম থেকে ওরা উঠে এসেছে সেই গ্রামে আজও ইলেক্টিসিটি যায় নি যা আমি আগের অনেক পোস্টে উল্লেখ করেছি। ওরা তিন ভাইই ক্যাডেট কলেজের ছাত্রছিল। পাঁচ বোনই প্রথম শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা। মেধা তাহকলে যেখান থেকেই আসুন টিকে থাকতে পারবেন। ধন্যবাদ।
১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
এম এস জুলহাস বলেছেন:
" এই বাচ্চাগুলি আর কোনদিন তাদের হারিয়ে যাওয়া বয়সটা ফিরে পাবে না। আমার ছয় বছরের মেয়েটা বা ছেলেটা গাছে চড়তে চেষ্টা করছে ও বার বছর বয়সে আর চড়বে না। বার বছর বয়সে সাইকেল চালাবে সাঁতার কাটবে মাঠে দৌড়াবে যা সে বিশ বছর বয়সে করবে না। "
- - - - আমরা অনেক ক্ষেত্রে কম্পোজিশন শব্দটা ব্যবহার করি। বিশেষ করে চারুকলা আর গান-বাজনার ভূবণটায় শব্দটা একটু বেশীই শোনা যায়। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই যে এই শব্দটা অতি মাত্রায় ক্রিয়াশীল তা আমরা খেয়ালই করার ফুরসত পাইনা।
আমি বলি আপনার উপরোক্ত কথাগুলির বাস্তবতাই একটা কঠ্ঠিন কম্পোজিশন- জীবনের কম্পোজিশন।
স্কলাস্টিকায় থাকতে ক্লাশ ফোর ফাইভের অনেক বাচ্চার মুখেই শুনেছি তাদের অনেকেই জীবনে কোনদিন খড়ের গাদা দেখেনি, নৌকা দেখেনি, নৌকার পালতো অনেক পরের কথা। তাদেরকে নৌকা আঁকতে হতো !
অথচ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন শিল্পী এস. এম. সুলতান নৌকা, নৌকা সংশ্লিষ্ট ছবি আঁকতে আঁকিয়েদের, বাচ্চাদেরকে নদীতে, নৌকাতেই নিয়ে যেতেন। আহা ! সুলতানের সেই শিশু স্বর্গ আমরা ধরে রাখতে পারলাম না, আমাদের পছন্দ হলোনা
কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্যকে বলতে শুনেছি- " যেই লোকটি জীবনের অর্ধেকটা সময় গ্রামেই কাটালোনা তার জীবনটাইতো অপূর্ণ রয়ে গেল। সে কী করে বলবে রঙধনূর রঙ কীভাবে বদলায় ! কীভাবে অনুভব করবে ভোরের শিশিরের স্নিগ্ধতা ! সে কীভাবে টের পাবে বাংলাপ প্রকৃতির ৬ টি রূপ ? "
আপি,
ব্যপারগুলো এখন আর কোন বাবা-মা'কেই ভাবায়না। শীত সকালে শিশির সিক্ত ধানের কচি চারায় পা'দুটো ধুয়ে নেয়ার যে আনন্দ তা এখন আর আমরা কাউকে নিতে বলিনা। কুয়াশায় ভেজা হলুদ শরষে ফুলের লেপ্টে থাকা খালী পা দুটো. . . আহা সে কী ভুলা যায় ?
আপনাদের মতো সাহিত্যের রস ঢেলে লিখতে পারিনা, তবে আমার মতো করে বলতে চেষ্টা করেছি-
http://www.somewhereinblog.net/blog/msjulhas_designer/28979743
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সরিষার ফুলের কথা শুনে মনে পরলো একটি কথা আর তা হল এখানে আসার পর বাচ্চারা আমাকে একদিন এনেদিল সরিষার ফুল। অরা বলল ভেজে দাও। দিমদিয়ে ভেজে খেতে খুব মজা। আসলেই খুব মজা।
২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
বড় বিলাই বলেছেন: অনেকে চাইলেও সুযোগ পায়না বাচ্চাদের ইচ্ছামত খেলার পরিবেশ দিতে। আপনি অনেক ভাগ্যবতী, সেই সাথে আপনার বাচ্চারাও।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: হয়ত ভাগ্যবান আমার বাচ্চারা। আমি আমার বাচ্চাদের ব্যাভার করেছি প্রতিক অর্থে। ভালো থেকো আপু। আমি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের সুস্থ্যতা চাই।
২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এম এস জুলহাস বলেছেন:
" এই বাচ্চাগুলি আর কোনদিন তাদের হারিয়ে যাওয়া বয়সটা ফিরে পাবে না। আমার ছয় বছরের মেয়েটা বা ছেলেটা গাছে চড়তে চেষ্টা করছে ও বার বছর বয়সে আর চড়বে না। বার বছর বয়সে সাইকেল চালাবে সাঁতার কাটবে মাঠে দৌড়াবে যা সে বিশ বছর বয়সে করবে না। "
- - - - আমরা অনেক ক্ষেত্রে কম্পোজিশন শব্দটা ব্যবহার করি। বিশেষ করে চারুকলা আর গান-বাজনার ভূবণটায় শব্দটা একটু বেশীই শোনা যায়। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই যে এই শব্দটা অতি মাত্রায় ক্রিয়াশীল তা আমরা খেয়ালই করার ফুরসত পাইনা।
আমি বলি আপনার উপরোক্ত কথাগুলির বাস্তবতাই একটা কঠ্ঠিন কম্পোজিশন- জীবনের কম্পোজিশন।
স্কলাস্টিকায় থাকতে ক্লাশ ফোর ফাইভের অনেক বাচ্চার মুখেই শুনেছি তাদের অনেকেই জীবনে কোনদিন খড়ের গাদা দেখেনি, নৌকা দেখেনি, নৌকার পালতো অনেক পরের কথা। তাদেরকে নৌকা আঁকতে হতো !
অথচ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন শিল্পী এস. এম. সুলতান নৌকা, নৌকা সংশ্লিষ্ট ছবি আঁকতে আঁকিয়েদের, বাচ্চাদেরকে নদীতে, নৌকাতেই নিয়ে যেতেন। আহা ! সুলতানের সেই শিশু স্বর্গ আমরা ধরে রাখতে পারলাম না, আমাদের পছন্দ হলোনা
কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্যকে বলতে শুনেছি- " যেই লোকটি জীবনের অর্ধেকটা সময় গ্রামেই কাটালোনা তার জীবনটাইতো অপূর্ণ রয়ে গেল। সে কী করে বলবে রঙধনূর রঙ কীভাবে বদলায় ! কীভাবে অনুভব করবে ভোরের শিশিরের স্নিগ্ধতা ! সে কীভাবে টের পাবে বাংলার প্রকৃতির ৬ টি রূপ ? "
আপি,
ব্যপারগুলো এখন আর কোন বাবা-মা'কেই ভাবায়না। শীত সকালে শিশির সিক্ত ধানের কচি চারায় পা'দুটো ধুয়ে নেয়ার যে আনন্দ তা এখন আর আমরা কাউকে নিতে বলিনা। কুয়াশায় ভেজা হলুদ শরষে ফুলের লেপ্টে থাকা খালী পা দুটো. . . আহা সে কী ভুলা যায় ?
আপনাদের মতো সাহিত্যের রস ঢেলে লিখতে পারিনা, তবে আমার মতো করে বলতে চেষ্টা করেছি-
Click This Link
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আবার আসছে সামনে সরিষার ফুলের সময়। হ্যা ভাইয়া দেখলাম।
২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
নীল-দর্পণ বলেছেন: পাবলিকের দুয়ার পর্যন্ত যাওয়ার সৌভাগ্য একনও আমার আসেনি তবে আল্লায় শায় হলে হয়ত যেতে পারব। তবে এটা জানি যে পাবলিকের বেশীর ভাগ স্টুডেন্ট ই গ্রাম থেকে আসা। অবশ্যই মেধার বলেই সেখানে চান্স পায় তবে আমাদের বড় ভাইয়া-আপুদের কাছে শুনেছি ওরা শহরে এসে প্রথম দিকে সবার সাথে তাল মেলাতে পারেনা। কারন নতুন একটা পরিবেশ। আপনার সন্তানদের ক্ষেত্রে হয়ত সেরকম হবে না।
যই হোক আমি আগেই বলেছি আপনার পোষ্ট আমার অননেএএএক ভাল লেগেছে। বিতর্ক করা আমার উদ্দ্যেশ্য ছিল না। মনে কষ্ট পেলে আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত।
সরি এগেইন..........
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাইয়া তুমি যে এত্ত ছোট আমি বুঝতে পারিনি। তুমি কিচ্ছু মনে করোনা।
আসলে আমিওও তোমার সাথে তর্ক করিনি। আমি শুধু বলেছি এটা ভূল ্যে গ্যাপ থাকে। হ্যা থাকে গ্যাপ। সেটা হচ্ছে ফ্যাসনে চলনে বলনে। একটু চেষ্টা করলেই তা ওভার কাম করা যায়।
উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা মফস্বল থেকে এসে এই ঢাকা শররের স্পীড এর সাথে তাল মেলাতে পারে না। তাই একটু হিমশিম খায় এই আর কি?
কিচ্ছু মনে করো না ভাই আমি খুব দুঃক্ষিত।
২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনার আনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা।
এমন শহুরে হবার চাইতে বন্য হওয়াই ভাল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাইয়া আমি শুধু আমার নিজস্ব চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছি। হয়ত আমার পন্থা ভুল কিন্তু তবুও মনে হয় সন্তানের ভবিষ্যত যদি বইয়ে বন্দি করি তবে কি ও মানুষ হবে নাকি রোবট হবে।
২৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২০
ভাঙ্গন বলেছেন: আপনার অনুভূতিগুলো'র প্রতি শ্রদ্ধা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
তাজা কলম বলেছেন:
তথাকথিত সভ্যতায় নাম লেখাতে যেয়ে আমরা হারিয়েছি অনেক কিছু, প্রজন্মকে বঞ্চিত করেছি প্রকৃতির কাছে যেতে। প্রকৃতি থেকে সুদূর অবস্থানে এভাবে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশ কি আদৌ সম্ভব?
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ প্রিয় লেখক।
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৫৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: শুধু প্রকৃতি থেকে বঞ্চিত করেই ক্ষান্ত হইনি দিয়েছি পড়াশুনা নামের এক আজব জগতে ঢুকিয়ে।
যেখানে একজন শিশু যতটূকূ পারবে তার চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে দিয়ে বাচ্চাকে প্রথম সারির করে তোলার এক অসুস্থ্য প্রতিযোগীতায়।
আমার পরিচিত এক ভদ্রলোকের ইন্টারমেডিয়েট পড়ুয়া ছাত্রকে নিয়ে যখন যাওয়া হল মহিত কামালের কাছে তখন ডাক্তার সব হিস্ট্রি শুনে ছেলেকে বাদ দিয়ে আগে ঐ ভদ্রলোকের কাউন্সিলিং এর ব্যাবস্থা করেন।
তার মানে আমরা নিজ হাতেই আমার বাচ্চাকে অসুস্থ্য করে তুলি।
ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন।
২৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫২
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: সবার কপালে সুখ নাই
ঢাকা হঠাৎ করেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে তাঁর বুড়িয়ে যাওয়া দেখাচ্ছে। বিবর্ণ শহরটা মানুষের চাপে আরো বিবর্ণ হচ্ছে দিনকে দিন!
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৫৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন । তবুতো সেখানে থাকতে হবে।
ধন্যবাদ।
২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
নাজনীন১ বলেছেন: নিজে ছোটবেলায় মফস্বলে কাটালেও সবকিছু উপভোগ করতে পারিনি, কারণ বাসা থেকে এক বিকেল ছাড়া বেশী বেরোনো যেত না, মা চিন্তা করতেন নিরাপত্তা নিয়ে।
আজ আমার বাচ্চারাও মফস্বলে তাদের নানা-নানীর কাছে, তারাও ঢাকা শহরের বন্দীত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে খুবই আনন্দিত, বেশ ছুটোছুটি করে।কিন্তু আমি মা সবসময় চিন্তায় থাকি পুকুরে না পড়ে যায়, সাঁতার তো পারে না, বাসার কাছেই রেললাইন, আম্মাকে না বলেই আমার ছেলেটি রেললাইনের কাছে চলে যায়, ইদানীং মাঝে মাঝে ছেলেধরার কথা শোনা যায়, মেয়ের ব্যাপারে স্বাভাবিক নিরাপত্তার ব্যাপারতো আছেই, সব মিলিয়ে আমি থাকি টেনশনে। ওদের মুক্ত অবস্থা আমি নিজে পুরোপুরি উপভোগ করতে পারছি না, যদিও তারা উপভোগ করে।
এই সেদিনও ছেলেটা টিনের চালার নীচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়েছে, কিছুদিন আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে আইসক্রিম খেয়ে টাইফয়েড বাঁধিয়েছিল। ছেলেটি বেশ দুরন্ত, অনেক চিন্তা আমার!
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমি শুধু ওদের ভালো লাগাগুলিই লিখে গেছি। ওরা কিভাবে ভালো আছে তাই লিখেছি। আমার চিন্তার কিছুই তো লিখিনি। আমার এখানে সাপের খুব উপদ্রপ। কি পরিমান টেনসন আর কি বুঝিয়ে দিতে হবে?
মেয়ের স্বাভাবিক নিরাপত্তার দিকটা তো আছেই--এখানে তো কোন কম্প্রমাইজ চলে না। গত ২৫তারিখ থেকে দুইটারই জ্বর কাশি। ওদের কোন চিন্তা নেই। বৃষ্টিতে যেতে না দিলে একবার দৌড় দিয়ে দেখে আসে কেমন বৃষ্টি। চিন্তা কষ্ট দুটাই আমার। রাত জেগে জেগে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে দেয়া গরম পানি খাওয়ানো।
তার পর্ও ওদের শৈশবের পুরো অধিকার ওদের তা থেকে কেন বঞ্চিত করবো? যতটূকু পারি দেব দিয়ে যাব।
২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:২২
ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনার বাচ্চারা ভাগ্যবান, এভাবে ডাল ধরে দোল খাওয়ার মট গাছ আর ঘুঘু পাখির ডাক শোনার সৌভাগ্য কয়টা বাচ্চার হয় আজকাল?
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: হয়ত ভাগ্যবান। যা দিতে পারি তা ওদের দেয়া উচিত। যা পারব না তা কিভাবে দেব? তবে মানুষ করার নামে বাচ্চাগুলির উপর যে নিষ্পেসন চলে তা বন্ধ হওয়া দরকার।
২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
সায়েম মুন বলেছেন:
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৪
শয়তান বলেছেন: আপনি এবং আপনার বাচ্চারা ভাগ্যবান, এই ইট পাথরের ক্রংক্রিটের জঙ্গলের অভিশাপ থেকে দুরে আছেন ।
ভাল থাকুন । শুভকামনা।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২০
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে নাই ঠিকই কিন্তু জঙ্গলেই যে আছে রে ভাই। সভ্যতা ভদ্রতা কিছুই শিখে নাই।
একে বারে বন্যই হয়ে যাচ্ছে।
আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য বাচ্চাদের মুক্তির স্বাদ দেয়া ।
একে তো বাস করে ইট কাঠ পাথরের জঙ্গলে তার উপরে পড়া পড়া পড়া।
৩১| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:৪৭
শয়তান বলেছেন: অটঃ আমার খোলাহাটি ক্যান্টের বন্ধু ট্রান্সফার হয়ে গেসে যশোর এ । এই শীতে আমার আর আপনাদের ওখানে পিকনিকে আসা হলো না
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তাতে কি হয়েছে ?? আমি তো এখনও ট্রান্সফার হই নি।
৩২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৭:২৫
আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: একদিন আমি পাখি হয়ে যাব
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৪
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: একদিন আমি পাখি হয়ে যাব
মেলে দেব নীল আকাশে ডানা।
সেখানে নেই কোন সীমানা
কেউ করবে নাতো মানা,।
ধন্যবাদ।
৩৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৯
সবুজ সাথী বলেছেন: লেখক বলেছেন: মনে যখন পরেছে আপনার বাচ্চাদের এই জীবনটা দিতে চেষতা করুন।
আপায় কইলেন কি, বিয়াই তো করতে পারলামনা
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আজ হয়ত নেই কাল তো হবেই। তখন যেন সন্তান পড়া ও এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটির চাপে পরে রোবট হয়ে না যায়।
৩৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৩
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
আপনার পোষ্টের বক্তব্য আমার মনের কথা। আপনি সাহসী তাই পেরেছেন, আপনাকে অভিনন্দন। পেশাগত কারণে আমার ঢাকা ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না। সম্ভব হলে অনেক আগেই এই বিষাক্ত শহরের মায়া ছেড়ে কোন অজ পাড়া গাঁয়ে চলে যেতাম। প্লাস।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কিন্তু ঢাকাকে একেবারেই কি ছাড়া যায় না ছাড়া উচিত। আমাদের দেশের সব কিছুই ঢাকা কেন্দ্রিক।
ওরা বড় হলেই ওদের প্রয়োজনেই আমাকে ঢাকায় আসবাস গড়তে হবে। এই ভালো ওদের শৈশব ওদের দিতে পারছি।
৩৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪৬
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: তুমি আসলে সাহসী। তোমার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। আমরা শহরের যাতাকেল সব হারাচ্ছি.......।
ভালো থেকো। খুব ভালো।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আমি সব বাচ্চাদের ভালো চাই সুস্থ্যতা চাই।
কারন আমার বাচ্চারা বড় হয়ে তো বিয়ে শাদি করবে, সেই ছেলেটা বা মেয়েটার মাঝে যেন মানবিক গুনাবলি গুলি থাকে।
তুমি জান কিনা জানি না আপু ডাঃ মহিত কামালের চেম্বারে কত ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারীর বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী দেখলাম তারা লেখাপড়া করছে ঠিকই তবুও মানসিক রুগী।
৩৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
দূর্ভাষী বলেছেন: আপুরে আমাদের শৈশবে আমরা ঘুড়ি উড়াতাম, গোল্লাছুট, বউচি বা দাড়িয়াবান্ধা খেলেছি আর আজকের বাচ্চারা কম্পিউটার গেম, না হলে কোন আর্টিফিসিয়াল খেলনা নিয়ে ব্যস্ত।
আর ৪ বছর বয়স হতেই তাদের ক্লাসে প্রথম হতেই হবে
----------
এদিক থেকে আমার ভাইপো ভাইঝিকে বলব ভাগ্যবান, ওরা আমার শৈশবটাই পাচ্ছে, গ্রামের পরিবেষে বেড়ে উঠছে, ধানক্ষেতে লুটোপুটি খাচ্ছে, পড়ার সময় পড়ছে, ক্লাসে প্রথম না হলে ও রেজাল্ট ভালো করছে। পুকুরে সাতার কাটছে আর ক্ষেতের টাটকা শাকসব্জী, আর গরুর দুধ খেতে পারছে।
আপনার উদ্যোগকে জানাই স্বশ্রদ্ধ্য সালাম।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ভাল থাকো ভাই। আমি ওদের মানুষ করতে চাই।
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা স্কলার নয়, শুধু মানুষ।
ধন্যবাদ।
৩৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৭
তৃষ্ণার্ত বলেছেন: শিশুরা হারিয়ে ফেলেছে তাদের শৈশব ...
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের মানবিক গুনাবলি। ধন্যবাদ।
৩৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮
বৃত্তবন্দী বলেছেন: সবাই তো আর শুভার্থীদের মতো সৌভাগ্যবান না আপু...
সকালে অফিসে যাবার সময় পিচ্চিগুলোকে দেখলে কি যে কষ্ট লাগে, বেচারারা নিজেদের ওজনের থেকে ডাবল ওজনের একেকটা ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে বাবা-মায়ের সামাজিক ইঁদুর দৌড়ের হাতিয়ার হিসেবে কিভাবে যে ব্যবহৃত হয়
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তুমি তো দেখেছো ভাই ও দুটি কি অসভ্য হয়েছে? ঢাকা শহরের চাকচিক্য যাই দেখে তাই চায়।
ওরা তো বন্যই।
গড মাস্ট বি ক্রজি সিনেমাটা কি দেখেছেন?
না দেখে থাকলে দেখে নিয়েন? আমার ওদের মত সরল হতে ইচ্ছে করে।
বাচ্চারা কবে এই জেলখানা থেকে মুক্তি পাবে??
৩৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৯
মদন বলেছেন: প্রতিযোগিতা নামের দানব এখন সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদের উপরে গিয়েও হামলে পড়েছে...
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৪৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন ধন্যবাদ ভাই।
৪০| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৬
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা আপি, শহুরে শৈশবে তো কিছু আর্টিফিসিয়াল আনন্দ পাওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই থাকে না , ধীরে ধীরে বেশীরভাগ বাচ্চারা ফার্মের মুরগীর মতই বড় হয়ে উঠতে থাকে ... শহুরে শৈশব পেয়েও সেখান থেকে অনেক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার পরেও আজকে আমি বলতে পারি, সেটা প্রকৃতির মাঝে বেড়ে ওঠা শৈশবের তুলনায় একেবারেই কিছুই ছিল না ... আমি হারিয়েছি আমার শৈশবের নির্মল আনন্দ যা আর কখনো পাব না ... কখনোই না...
তোমার বাবু গুলো যেন বেড়ে ওঠে সত্যিকারের মানুষ হয়ে, প্রকৃতির চেয়ে বড় মন্যুষত্বের শিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষক আর কেউ নাই ... ওদের কে আগে সত্যিকারের মানুষ হতে দাও এর পরে ওদের যা খুশী করতে দাও ...এর পরে ওরাই নিজের মত করে গড়ে তুলুক ওদের আপন জগৎ ... অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমাদের সবার জন্য ।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০৯
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমার মনের কথা তুমি বুঝতে পেরেছ ভাই। তাই তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি বড় হয়েছি ঢাকা শহরে। আমাদের সময় ঢাকা তাও ফাঁকা ছিল তবুও আমার শৈশবের স্মৃতি বলতে আমি আমার নানী / দাদি বাড়িকেই খুঁজে পাই। যে বাড়িতে আমি বড় হয়েছি সেই বাড়িতে আমার আনন্দ ময় শৈশব কই?
৪১| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:০২
আইরিন সুলতানা বলেছেন: শৈশব যতই ঝরঝরে, উৎফুল্ল হবে ভবিষ্যতের গাঁথুনিটা ততই মজবুত হবে। শৈশবের মজার স্মৃতিগুলোই একটা সময় পূর্ণবয়স্ক জীবনের ভীষণ বিরক্তিতে স্বস্তি এনে দেবে।
আপনার সন্তানের জন্য শুভ কামনা। তবে হোম ওয়ার্ক কিন্তু তারপরও ঠিকমত করা চাই।
২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১০
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। হোম ও্যার্ক থেকে কি ছুটি দিতে পারি??
ভাল থাক আপু।
৪২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: লেখা আর কমেন্ট পড়ে আমার ছাত্রের কথা ভাবছি । সারাদিন স্কুল আর ব্যাচ । সন্ধার পর আমি । বাকি সময় কম্পিউটার গেমস!
আমি খুব বেশি মাঠ পাই নি, কিন্তু তবুও কিছুটা হলেও খেলেছি। বিশ্রি বিশ্রি কোচিং সেণ্টার এর ভারে আম্মু কখনো নুয়ে যেতে দেন নি ।
বাসার পেছনের এক টি পেয়ারা গাছ ছিল। সেই গাছে উঠতাম । আম্মুই ঝুলতে বলত । যাতে হাইট কম না হয়!!!!
নিজের শৈশব এর কথা মনে পড়ল, আমার ৭ বছরের বড় বোন বলে তাঁর শৈশব নাকি আমার চেয়ে বেটার ছিল ।
আপুর দুটো পিচ্চি হয়েছে। এরা মাঠ পাচ্ছে না, গাছ পাচ্ছে না
ডানা কাটা পাখিদের দেখে কষ্ট লাগে
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৫
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমরা খেলার মাঠ দিতে পারি না তাদের আনন্দময় শৈশব দিতে পারি না কিন্তু দেই চাপিয়ে মানুষ হবার নিয়মাবলি সম্বিলিত বোঝা।
আমরা বাচ্চাদের মানুষ করতে চাই। মানসিক রুগী বানাতে চাই না।
৪৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:০৮
মমমম১২ বলেছেন: লেখাটা খুব ভাল লাগলো
দেশে ফিরে যাবো আপনার বাড়ী।গ্রামের বাড়ীও যেতে চেয়েছিলাম,মনে আছে তো?
দুইটা দাওয়াত নিলাম সেধে সেধে।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তুমি তো আসনেই মম। তুমি আবার আমাকে আপনি বলছ কেন?
সেধে সেধে দাও্যাত নেবে না কেন? আমিতো সেই অধিকার তোমাকে দিয়েছিই।
৪৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৪
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমার সন্তান ও খানিকটা পেয়েছে ছুটে বেড়ানো শৈশব...........
তবে এখন আবার শহুরে
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তুমি সচেতন মা তোমার বাচ্চাকে তো তুমি অবশ্যই সুন্দর জীবন দেবে। আমিতো তোমার মেয়ের জন্য একটা কথাই বলেছি সৃষ্টি কর্তার কাছে ও যেন মানুষ। আমি পৃথিবীতে মানুষ চাই।
৪৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:২০
ফারা তন্বী বলেছেন: আমরাও মানুষ চাই!
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: আমরা মানুষ চাই।
৪৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: এই চমতকার লেখাটি আমি সত্যি মিস করেছিলাম!
তথাকথিত সভ্যতার নামে আমরা হারিয়েছি আমাদের নিজস্বতাকে, হারিয়েছি অনেক কিছু, নতুন প্রজন্মকে বঞ্চিত করেছি প্রকৃতির কাছে থেকে। প্রকৃতি থেকে সুদূর অবস্থানে এভাবে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশ কি আদৌ সম্ভব নয়। সুন্দর মানষিকতা অর্জনে আমাদের ফিরে যেতে হবে প্রকৃতির কোলেই।
জীবন এবং জীবিকার কারনে আমি এই কোলাহল মুখর মানবতাহীন নিষ্প্রান ঢাকা সহরে বন্দী-যা আমার মোটেই ভালো লাগেনা। যদি কোন দিন সুযোগ পাই আবার ফিরে যাবো মাটির কোলে, প্রকৃতির বন্ধনে নিজেকে বন্দী করতে।
তোমার সন্তান্দের জন্য অনেক শুভ কামনা।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। ওদের মানুষ করার কঠিন ব্রত গ্রহন করেছি। আমি তাথাকথিত আভিজাত্যের মোড়কে ওদের ঢেকে রাখতে চাইনা তাইতো ওদের বন্ধু সবাই। ওরাই খুঁজে বের করুক ভালমন্দ। সঙ্গে তো রয়েছে আমার কঠোর নজর দারি। সবই দেব আবার সব কিছুতেই লাগাম ছেড়ে দিলে এইযুগে ওদের সামলানো দায় হয়ে যাবে।
৪৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২৫
মেহবুবা বলেছেন: আমার বাচ্চারা ভাল স্কুলে নেই। ওরা ম্যানার শিখছে না । ওরা গোছানো নয়। ওরা এটিকেট শিখছে না। লেখাপড়া ভাল স্কুলে না শিখলে তো--ওদের ভবিষ্যত কি হবে ?
ভাল বলেছো । আজকাল বাচ্চারা ছোটবেলাতেই এত কিছু শিখে ফেলছে যে বড় হয়ে শেখার মত আর কিছুই পাবে না মনে হচ্ছে । তখন কি হবে এদের ?
তোমার বাচ্চাদের মত করে যদি পারতাম , আমার দুটিকে নিয়ে যেও তুমি । কিছুদিনের জন্য হলেও ।
২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ মেহবুবা। আমি সব বাচ্চার জন্যই এই পোস্ট দিয়েছি। আমরা আমাদের বাচ্চাদের মুক্তি দিতে পারছি না এটা চরম সত্য। কিন্তু ওদের যেন রোবট করে না ফেলি এই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
ওরা আর ভালবাসতে পারে না । এখন ওদের ভালবাসা হয়ে দাড়িয়েছে হাই হাই বাই বাই এর মত। আমি মানুষ চাই ।
৪৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৯
আবু সালেহ বলেছেন: আমাদের এপার্টমেন্টের জৌলুসের নিচে চাপা পড়েছে - ওদের খেলার মাঠ।
++++++++++++++++++++++++++++++++
২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ আবু সালেহ।
৪৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০১
কালপুরুষ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা। এই ধরণের সমস্যাকে মেগাসিটির মেগাসমস্যা বলে আখ্যায়িত করলেও অবাক হবার কিছু নেই। শিশুদের ইচ্ছেগুলো আজ চার দেয়ালে বন্দী।
২২ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।
৫০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:২১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: +++
২৩ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:২১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
পাপতাড়ুয়া বলেছেন: ওরা না হয় পাখিই হবে পাখির মত বন্য।
একটা আকাশ গড়ে নেবে শুধু নিজের জন্য।
ভালো লাগলো আপু।এভাবেই সব মা যদি আকাশের তালা টা খুলে দিত!!!!
নিজের শৈশব টাকে মনে করিয়ে দিলেন।সেই আকাশ,ঘুড়ি,বৃষ্টি ঘুরে জ্বর......।
২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০১
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আকাশ মনের মাঝে তো তৈরী করেই চলছে বলে আশা করি তা না হলে আমার চাওয়া তো পুরন হবে না।
৫২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
মুনশিয়ানা বলেছেন: নিজের শৈশবের কথা মনে করলে, ঢাকা শহরে আটক অসংখ্য শিশুর তুলনায় নিজকে আমার সৌভাগ্যবান মনে হয়...!
এত চমৎকার একটা পোষ্ট...
২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
৫৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৫৯
রথে চেপে এলাম বলেছেন: জীবনটা একটা চার কোনা বাক্সে আটকে গেছে
২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৩
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: মেলে দিন পাখা --আকাশের নেই কোন সীমানা। ধন্যবাদ ।
৫৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১১
এস বাসার বলেছেন: সকালে ঘুম ভাংগার পর থেকে বাচ্চা গুলিকে খাঁচায় ভরে শুধুই বুলি শেখানো যেন ওদের কোন জগৎ নেই!!!!
২৫ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ওদের আমরা কৃত্তিম জগৎ দেই। আমার মেয়েটা চিরিয়াখানায় যেয়ে গন্ডার দেখে মিলাতে পারছে না বার বার বলছে মা গন্ডার তো এই রঙের হয় না। কারন ওর প্লাস্টিকের গন্ডার টা মেজেন্টা রঙের।
কী হবে এই সব বাচ্চাদের। ওরা কি আমাদের ভালোবাসবে নাকি আমাদের ভবিষ্যতে ওল্ড হোমে কাটাতে হবে??
৫৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪৭
শাকিউল রানা বলেছেন: দারুন লিখেছেন আপু। ঠিক এরকম একটি শৈশবের চিত্র আঁকা আছে মনে। যার কিছু হ্য়তো পেয়েছি, পাইনি তার তুলনায় কিছুই। মাঝে মাঝেই ভাবি আহা! যদি এমন হতো!
আজ আবার ভাবলাম। ধণ্যবাদ
১৪ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া । খুব খুব সুন্দর মন্তব্য, মনটা ভরে গেল।
৫৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ দুপুর ১:৪০
যুধিষ্ঠির বলেছেন: খুবি ভালো লাগলো দেখবেন ওরাই মানুষ হবে আর ওরাই নিজেদের জীবন অন্যদের চে ভালোভাবেই গড়ে নিতে শিখবে অনেক দুয়া রইলো।
১৩ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩৭
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৪৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
নচিকেতার একটা গানে দারুণ একটা লাইন ছিল -
ছোট ছোট শিশুদের শৈশব চুরি করে গ্রন্থকীটের দল বানায় নির্বোধ
অসাধারন!++
১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২৬
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:৩৪
চতুষ্কোণ বলেছেন: ওরা না হয় পাখিই হোক। তবু ওদের সুন্দর শৈশবটা যেন নষ্ট না হয়। ভালো লাগলো লেখাটা।
১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১০:৫২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: ধন্যবাদ, কেমন আছেন? ভাল থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯
অপ্সরা বলেছেন: আপুনি!! ঠিক বলেছো!
পাখী হওয়া হয়না আর বেবিগুলোর !!!!