নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোলাগা, ভালোবাসা বাংলাদেশ ।

রাত জেগে অনন্তকাল চাঁদ দেখা, কিম্বা কলান্তিহীন তারা গুনে চলি

:: নজরুল

\"আমি পড়ালেখায় প্রকৌশলী হলেও মনের দিক দিয়ে শিল্প - সাহিত্যের সেবক। কবিতা আমার অসম্ভভ ভালো লাগে ।\\n\\nআমি খুব সাদামাটা তরুণ। ভালবাসি- নিজেকে, আমার মা কে, দেশকে। আর ভালোবাসি আকাশ দেখতে, অসাধারন কিছু রঙ্গিন স্বপ্ন দেখতে । আমি ভালোবাসি কবিতা, ভালোবাসি ভালোবাসা।\\n\\nশখ ফটোগ্রফি, স্বাধ আছে বিশ্বদেখার। গীটার, মাউথঅর্গানের প্রতি দুর্বলতা দীর্ঘদিনের। অবসরে সঙ্গী আমার প্রিয় ল্যাপটপ আর বই।\\[email protected]

:: নজরুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদায়ী উপহার

৩০ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫



একটি অফিসে দীর্ঘদিনের কর্ম পালন করে একজন ভদ্রলোক অবসরে যাচ্ছেন। যেহেতু তিনি অফিসের বড় কর্মকর্তা, কাজেই অফিসে নোটিশ প্রদান করা হলো। নোটিশের এজেন্ডা ভদ্র লোকের বিদায় বেলায় সবাই যেন উপস্থিত থাকেন। চাকুরী জীবনের শেষ বেলায় তিনি সকলের সাথে দেখা করার একটা সুযোগ দিতে চান।

কতিপয় দুস্টু বালক-বালিকা সকল অফিসেই কম বেশি থাকেন। তারা বিদায় অনুষ্ঠানে যেতে চাইল না। কিন্তু বিধি বাম হলে কি আর করা। অফিস থেকে চাদা ধরা হলো, বিদায়ী কে কিছু উপহার দেবার জন্য। সেই সাথে ভাল খাওয়া দাওয়া না হলে চলে, বলুন? বড় স্যারের বিদায় বলে কথা। অগত্যা বাধ্য হয়ে দুস্টু ছেলের দল কর্মকর্তার বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হল। বিধাতার খেলা না যায় বোঝা। অফিস থেকে ওই দুস্টু বালক-বালিকার উপরেই দায়িত্ত পড়ল বিদায়ী কর্মকর্তার জন্য উপহার কেনার।

যাই হোক, বিদায় অনুষ্ঠানে সকলে উপস্থিত। বিভিন্নজন নানা স্মৃতি কথা বলছেন। বেশিরভাগই মিথ্যা ও বানোয়াট। হাজার হলেও বড় কর্মকর্তা। সবাই প্রমোশনের জন্য বড় কর্মকর্তার গুন-গান গায়। অতঃপর সবাই মিলে বড় স্যারকে উপহার দেওয়া হচ্ছে। অবসরে গান শোনার জন্য একটা ক্যাসেট প্লেয়ার, পড়ার জন্য কিছু বই, একটা ছাতা (এই জিনিসটা দেওয়া একটা পুরনো প্রথা), বয়স্ক কালে সময় জ্ঞান কম থাকে বলে একটা হাত ঘড়ি, একটা ফ্রিজ, একটা টেলিভিশন, কোর্টের কাপড়, টাই, ইত্যাদি। বিভিন্ন পদ-মর্যাদার লোকের হাত দিয়ে একএকটি উপহার। সবশেষে একজন দিয়ে গেল একজোড়া জুতা।

বিদায় উপলক্ষে বিদায়ী কর্মকর্তা লিখিত ভাষন দিচ্ছিল। কিন্তু লিখিত ভাষনে কোন আবেগ আসছিল না। বারবার মনে পরছিল, আমাকে সব-কিছু উপহার দিয়েছে মানলাম। কিন্তু জুতা দিল কেন? বিদায়ী দিন না হলে, কে এই উপহার কিনেছে তাকে, ডেকে এনে অব্বহতি পত্র ধরিয়ে দিতাম। যাই হোক, রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে ভালভাবেই সে জিজ্ঞাসা করল, আমাকে জুতা দেওয়া হয়েছে কেন? সবাই তখন চুপ। তখন কোন এক কর্মকর্তা বুদ্ধি করে উত্তর দিল, স্যার আপনাকে আমরা সবাই মাথা হতে পা পর্যন্ত সব কিছু উপহার দিয়েছি। মানে ছাতা হতে জুতা।

বড় কর্মকর্তা অবসরের পরে খুব দু:স্বপ্ন দেখা শুরু করল। প্রায় মাঝেমাঝে তার বিদায় অনুষ্ঠানের স্বপ্ন। সে প্রশ্ন করছে আমাকে আপনারা জুতা উপহার দিলেন কেন? ভীড় থেকে উত্তর এলো, স্যার আপনি কোম্পানিতে দীর্ঘদিন চাকুরী করেছেন। এর বিনিময়ে কোম্পানি আপনাকে সব দিয়েছ। ভাল বেতন, বাড়ি, গাড়ি, সন্তানের পড়ালেখার খরচ। সব পেয়েছেন। কিন্তু স্যার কোম্পানীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন। এর জন্য জুতা পেয়েছেন।

মানুষ বেচে থাকে তার কর্মের মাধ্যমে।

সত্যিই ওইসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য দুখ: হয়, যারা অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। সব সালাম ওই সব মানুষদের, যারা মানুষের সাথে ভাল ব্যাবহারের মাধ্যমে সারা জীবন বেচে থাকতে চায়।

পুনশ্চ: এই লেখাটা ব্যাক্তিগত ভাবে কাউকে উদ্যেশে লিখি নি। কাজেই কেউ মনে আঘাত পাবেন না। একটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে কিছুটা কল্পনা মিশ্রিত।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

সুমন কর বলেছেন: আমার মতে, তবুও কাজটি ভালো হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.