নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ, মানুষের জন্যে।

[email protected],[email protected] স্কাইপঃAkramsBD

আকরাম

সাইকোথেরাপী অন লাইন *****www.psychobd.com

আকরাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্যালুট ধীরেন্দ্রঃ ‘মায়রে মাথায় নিয়া হাঁটতে মোর কোনো কষ্ট অয় না’

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৮



বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনীতে আমরা শুনেছি পুণ্যের আশায় মাকে মাথায় নিয়ে বা গলায় ঝুলিয়ে অনেক সন্তান দীর্ঘ দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইসলাম ধর্মে হজরত বায়েজীদ (আ.) মায়ের মাথায় পানি ঢালতে সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হজরত ওয়ায়েজ কুরনী মাকে গলায় ঝুলিয়ে বহন করেছেন দীর্ঘদিন। হিন্দু ধর্মে শ্রবণ কুমার অন্ধ মা-বাবাকে কাঁধে বহন করে গয়া-কাশির উদ্দেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু এ যুগে এমন সন্তানের দেখা মেলা ভার। তারপরেও জিয়ানগরে অসুস্থ মাকে মাথায় বহন করে প্রায়ই ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার নামের এক সন্তান। গতকাল উপজেলার পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধ মা উষা রানী মজুমদারকে (১১০) ঝুড়িতে নিয়ে মাথায় বহন করে ডাক্তারের কাছে আসেন ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চন্ডিপুর থেকে প্রায় ১০ মাইল দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে প্রায়ই ডাক্তারের কাছে অসুস্থ মাকে নিয়ে আসেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। অর্থনৈতিক সঙ্কটে খেয়ে-নাখেয়ে সংসার চলে তার। এ অবস্থায় মাকে চিকিত্সা করাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি। ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার পরই তো মা। তাই মায়রে মাথায় নিয়া হাঁটতে মোর কোনো কষ্ট অয় না। টাহার অভাবে মায়রে ডাক্তার দেহাইতে ম্যালা কষ্ট অয়। হ্যারপরেও মায়রে মাথায় লইয়া হাঁটু সমান কাদা ভাইঙ্গা আইতে কোনো কষ্ট ঠেহে না।’ এ বিষয়ে জিয়ানগরের পল্লী চিকিত্সক মিজানুর রহমান জানান, প্রায়ই ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার তার অসুস্থ মাকে মাথায় বহন করে নিয়ে আসেন আমার কাছে। উষা রানী মজুমদারের সুচিকিত্সার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন, যা তার ছেলের বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: একজন মায়ের সুসন্তান। দেখে চোখ দিয়ে পানি চলে এলো।

ইসলাম ধর্মে হজরত বায়েজীদ (আ.) মায়ের মাথায় পানি ঢালতে সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বায়েজীদ বোস্তামী আঃ মায়ের মাথায় পানি ঢালতে না মা'কে পানি পান করাতেই সারা রাত জেগেছিলেন। মা পানি পানের কথা বলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

আর শিশু বায়েজীদ মা'য়ের ঘুম না ভাঙগিয়ে পানির পেয়ালা হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে জেগেই মা পানি পান করতে পারেন।

"দুপর রাত্রে, জননী ডাকিয়া বলিলেন, বাছাধন,
বড়ই পিয়াস । পানি দাও বলি, মুদিলেন দু নয়ন।
দেখিলো বালক, ঘরের কোণের কলসীতে নাই পানি
বহুদূর পথ ঝরণা হইতে কলসী ভরিয়া আনি।

মায়ের তৃষ্না মিটাইবে বলে গভীর অন্ধকারে,
ছুটিয়া বাহির হইলো একাকী কলসি লইয়া গাড়ে"

এরপর লাইনগুলো আর ঠিকঠাক মনে করতে পারছিনা।ছোটকালে কবিতাটি পড়েছিলাম।

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
মায়ের একধার দুধৈর দাম
কাটিয়া গায়ের চাম
পাপোষ বানাইলে ঋনের শোধ হবেনা..

এমন দরদী ভবে কেউ হবেনা আমার মাগো...

পিতা আনন্দে মাতিয়া
সাগরে ভাসাইয়া
সেই যে চলে গেল ফিরা আইল না
মায়ে ঠেকিয়া সন্তানের দায়
অকালৈ প্রাণ হারায়

এমন মায়েরে কেন ভক্তি কর না.....

মাগো মা......

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: একজন মায়ের সুসন্তান। দেখে চোখ দিয়ে পানি চলে এলো।

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জাগরূ৪৯ বলেছেন: শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: খেয়া ঘাট বলেছেন: একজন মায়ের সুসন্তান। দেখে চোখ দিয়ে পানি চলে এলো।

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১২

বেকার যুবক বলেছেন: দৃষ্টান্ত।


ইসলাম ধর্মে হজরত বায়েজীদ (আ.) মায়ের মাথায় পানি ঢালতে সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

বায়জীদ কোন নবী ছিলেন না অতএব (আ.) সম্ভবত ব্যবহৃত হবেনা। আর মাথায় পানি ঢালা না সম্ভবত পানি খাওয়ানোর জন্য। ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

শ্যামল জাহির বলেছেন: স্যালুট ধীরেন্দ্র!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.