![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনতো ফড়িং; উড়ছে উড়ুক ******************** সমস্ত প্রকাশিত এবং সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ আহসান জামান
হাঁটবে বলে, তোমরা কী দল বেঁধে
নেমেছো এই ক্ষয়িস্নু পৃথিবীর পথে;
অলিগলি ফেলে, শহর ছেড়ে, গ্রামন্ত
মেঠোপথে তোমরা অক্লান্ত এগিয়ে
যাচ্ছো; এ কোন ধ্বংসের সাথে
গেঁথেছো অবাধ চলাচল।স
সবিনয়ে মনে পড়ে...
হাঁটবে বলে, তোমরা কী দল বেঁধে
নেমেছো এই ক্ষয়িস্নু পৃথিবীর পথে;
অলিগলি ফেলে, শহর ছেড়ে, গ্রামন্ত
মেঠোপথে তোমরা অক্লান্ত এগিয়ে
যাচ্ছো; এ কোন ধ্বংসের সাথে
গেঁথেছো অবাধ চলাচল।স
সবিনয়ে মনে পড়ে...
মনতাপে পুঁড়ে যায় শূন্যতার ছবি। হড়বড়ে জানালায় রোদ্দুর হাসির ফাঁকে উড়ে বসে ভোরের পাখি; নদীর নির্জনতায় কে যেনো এঁকেছিলো নৈসর্গিক শৈশব; জোনাকিবনে সেই শিকারীর নরোম তূলোর তীরে বিঁধে মৃত জোনাকিরা...
শীতের রাত্রিকাল
জড়ো করে শিশিরের
জন্মক্ষণ ভোরের ভিতর।
রোদ্দুর মেললে ডানা
মনজুড়ে তুমুল আয়োজনে
গেঁথে রাখে রুপালী চাদর।
তোমার চোখপাতে জেগে
ওঠে স্বপ্নচর; আঙ্খাকার চাবি।
আমি আজ কবিতা পড়বো বলে
প্রত্যুষের আলোয় মুছে নিয়েছি
রাত্রির কালো অন্ধকার। ভোরের
পাখির কলরবে ছুঁয়েছি কূজন
গ্রীবায় জমে থাকা ছায়া মুছে
পরেছি রোদের তাজ।
আমি আজ কবিতা পড়বো বলে
মসৃণ আয়নায় আমার আমাকে
পড়েছি...
আমাদের ফেরার পথগুলোয় কে যেনো অনিশ্চিতের আলো জ্বেলে
বেঁধেছে কালের চাকায়, সেই থেকে যাযাবর; ঘূর্ণিঝড়ের মতো
ভয়ঙ্কর হয়ে বয়ে যাই এইসব ভীড়ের ভিতর। কখনও শ্রাবণজলের
ঢলে ছড়িয়ে পড়ি পার্থিবপুরে, গিরিপথে অন্ধকার...
কে যেনো কোলাহল ভেঙ্গে এসে
মনপাতে এঁকে গেছে স্তব্ধতার
ছায়াপথ। বিরহ হাওয়ায় ওড়ে
বিনম্র ভাঙ্গচুর; চারিদিক এতোসব
ছড়াছড়ি, হতাহতি; রক্তশ্রাবণ।
কোথাও কেউ হাহাকার জালে
গেঁথে; তুলে আনে বিগত বেদনার
নিকাশ। কে যেন আজও তাই
জানালার খিলধরে দাঁড়িয়ে; বেঁধে
রাখে...
একরাশ বিনম্র মেঘমালার ক্যানভাসে তোমাকে আঁকছে মন নরোম তুলি হাতে; অবিরত আনমনে। ছুঁয়ে ছুঁয়ে হারিয়ে ফেলা সাতরঙা মিশ্রণে। জলচিহ্নে যে পথ গিয়েছে মুছে তার কতিপয় দাগ মিশে বৃদ্ধবটের দোলে পুরাণ...
এইযে আমি তোমাকে নিয়ে
ভেবে যাচ্ছি সকালদুপুর;
বৃষ্টি হলে জানালা ধরে যা দেখছি
হয়ত আঁধার, অন্ধকারে আলো
জ্বেলে, আলোকছটায় যা ভাবছি
তুমি জেনো তোমাকে নিয়েই।
বাগানজুড়ে গোলাপকুঁড়ির ছবি
তুলে খুব সকালে চিঠির বাক্সে
পোষ্ট করছি হরহামেশাই...
চারিদিকে এতো অন্ধকার কেন
আলো জ্বেলে দে, দেখ না কে এলো;
সেই ঝুলানো চুলের ছেলেটা;
প্রতিমার মতো তবুও তুই দাঁড়িয়ে যে।
আদিত্য, সত্যিই ফিরে এলাম
যদিও দেরী হলো; দেরীতো আমার
অসুখ রে; স্কুল...
জলের নীচে অলিখিত শব্দরা
সাঁতার কাটে; একা, তাদের
দেহভাঁজে জেগে ওঠা স্বপ্নচরে
বুদ হয়ে বসে থাকে কবি।
কবিতা জাগায় তার রাতের
হিমপ্রহর। শব্দের কীর্তনে
ঝিঁঝিকাল; এলোমেলো
হাওয়ায় রাত্রি ফুরায় একা।
নিশ্চুপ শব্দমিছিলে অনুচ্চারিত
শিকলে...
কিছুতেই আর আলাদা করা যায় না; যেনো এক অসম সমীকরণ বিভ্রম অনুপাতে ডুবেছে মর্ত্তের দায়ভাগ। সাদাকালো ক্যানভাসে কামুক চুমুকে গ্রাস করে পৃথিবীর সমস্ত রঙ। স্ফিত মেদের ভিতর ডুবেছে মানবিক জ্ঞান;...
এইখানে খুব নিরিবিলি; একা
রেখে যাওয়া শীতের কুয়াশায়
ধোঁয়াটে চাদরে বুনোমন; ম্রিয়মাণ
এক সন্ধ্যা হঠাৎ থমকে দিয়ে
ডাকলো আবার; পুরানো কোথাও।
ভীষণ নিরবে পাললিক চিহ্নে আঁকা
বিবর্ণ বিদ্যাপীঠ; অসংখ্য মুখছবির
হৈহুল্লোড়র। দিনশেষের ঘন্টা বাজিয়ে...
চারিদিকে এতো অন্ধকার কেন
আলো জ্বেলে দে, দেখ না কে এলো;
সেই ঝুলানো চুলের ছেলেটা;
প্রতিমার মতো তবুও তুই দাঁড়িয়ে যে।
আদিত্য, সত্যিই ফিরে এলাম
যদিও দেরী হলো; দেরীতো আমার
অসুখ রে; স্কুল...
কবি
বেলা শেষ; কবি গেছে ফিরে
নির্জনতার নৌকো চড়ে। যাকিছু
থেকে গেছে পৃথুলের কাছে
জন্মায় ক্ষয়িষ্ণু পাপ; লোভ আর
ক্ষোভ। কবিমন স্বভাবেই পোঁড়ে।
বিষণ্ণ
নদীরা নারী; সহজেই ভোলে
নিজকে ভিজয়ে জলে, শুকায়
রোদের হাটে। অযুত দেহভাঁজে
পূণর্তার নামে লিখে রাখে...
©somewhere in net ltd.