নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচার হবে কার?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩


বর্তমানে পৃথিবীতে টিকে থাকা বড়-ছোট প্রায় সবগুলো ধর্মই মৃত্যু পরবর্তী জগতে বিশ্বাস করে। সেথায় স্বর্গ-নরক কিংবা বেহেশত-দোজখ রয়েছে, বিচার-আচার আছে বলে বিশ্বাস করে। আমি যেহেতু বাই-বার্থ ইসলাম ধর্মের মানুষ তাই এই দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের বিজ্ঞ ব্লগারদের নিকট কিছু প্রশ্ন শেয়ার করতে চাই।

প্রথমতঃ মানুষের রুহ এবং নফস কি একই জিনিস না আলাদা আলাদা?

দ্বিতীয়তঃ পাপ-পূন্য কে করে এবং বিচার বা শাস্তি কার হবে ? রুহের নাকি নফসের?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: রুহ এবং নফস একই জিনিস না।
শাস্তি হবে রুহের।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০

মোগল সম্রাট বলেছেন: পবিত্র কোরানে কয়েক প্রকার নফসের কথা বলা হয়েছে। নফসই সকল প্রকার খারাপ-ভালোর দিকে প্রভাবিত করে। সেই মতে তো নফসের বিচার হওয়ার কথা।

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সঠিকভাবে পড়ালেখা না করার জন্য স্কুলে তো আপনার বিচার হয়েছে, মনে হয়!

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

মোগল সম্রাট বলেছেন: তাতো হইছে গাজী সাব। মাষ্টার মশাই কতো ঠ্যাংগাইছে।
এখন তাইলে আর কিছু কি বাকী নাই?

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন আপনার জীবন বিশ্বাস নিয়ে চলবেন, সেটা হচ্ছে আপনার একান্ত নিজের; আইন না ভাংগলে আর বিচার হবে না।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্ম মতে রুহ হচ্ছে আল্লাহর অংশ।বিচার হলে আল্লাহর হবে।
বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত রুহকে খুঁজে পায় নি।আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।যদি পেয়ে যান নোবেল পাবার সম্ভাবনা আছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

মোগল সম্রাট বলেছেন: আমার নোবেল পুরস্কারটা এবার মনে হয় দুবাইয়ের শেখ নিয়া নিছে

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার জন্য খুঁজে পেলাম -
নফস (জীবাত্মা, মন, ইগো, জীবনীশক্তি) আর রুহ (পরমাত্মা) একই বস্তু নয়। মানুষ মরে। কী মরে? মানুষের নফস (জীবন, মন) মরে যায়। নফসের জীবনীশক্তি দেহের সব খানেই থাকে। এজন্য কোরআন বলছে- কুল্লুু নাফসিন জায়িকাতুল মাউত। অর্থ: প্রত্যেক নফসই (জীবন) মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত-৩৫) সুতরাং নফস মরে যায় কিন্তু মানুষের রুহ (আত্মা) মরে না। মৃত্যুর স্বাদ বলতে শাস্তিই বুঝায়। সুতরাং সকল শাস্তি নফস কে ভোগ করতে হয়। সেটা দেহ ধারনের আগেই হোক, আর দেহ ধারনের পরেই হোক আর দেহ ত্যাগের পরেই হোক। এই তিন অবস্থাতেই নফস (জীবাত্মা) শাস্তি ভোগ করে। রুহ কখনই শাস্তি ভোগ করে না, রুহ নফসের শাস্তির ভাব প্রকাশ করে মাত্র। রুহ শাস্তি ভোগ করার অর্থ স্রষ্টা নিজেই শাস্তি ভোগ করেন। এটা হতে পারে না। আল্লাহ পাক বলেন- ওয়া নাফাখতু ফীহি মির রুহী। অর্থ:আমি তাতে (মানবের মাঝে) আমার রুহ ফুতকার করে দিয়েছি। (সুরা সোয়াদ. আয়াত-৭২) আররুহু আমরুল্লাহ বা রুহ আল্ল­াহর নির্দেশ। রুহ আল্লাহর তাজাল্ল­ী। এক কথায় মানবদেহে রুহটাই হলো আল্ল­াহর প্রতিনিধি যা মানবদেহের মহারাজ। যে রুহ বা আত্মা আল্লাহর তাজাল্লী বা আদেশ, তার ভুল-ত্রুটি কী করে হয়? রুহের কোন ‘মৃত্যু’ নেই। সুতরাং তার কোনো শাস্তিও নেই।

"অবশ্যই সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে নিজেকে (নফস বা আত্মা) পরিশুদ্ধ করেছে; আর বিফল কাম হয়েছে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে পাপাচারে কুলষিত করেছে"।
আর তাই নফসের বিভিন্ন অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
(১) নফসে আম্মারা
(২) নফসে লাওয়ামা
(৩) নফসে মুৎমায়েন্না
(৪) নফসে মুলহেমা
(৫) নফসে রহমানী।
১। নফসে আম্মারা
****************
মানস মহাসাগরে স্মৃতিজলে কামরুপে কুমির নিহিত, প্রেমাগ্নির জলন্ত শিখায় দুর্বল চিত্ত আত্মরূপ মানুষের ধর্ম কর্ম সাধনা বিনাশ করে দেয়। এগুলিকেই এক কথায় নফসে আম্মারা বলা হয়েছে।
ইন্না নাফছা লা আম্মারাতুম বিচ্ছুয়ে ইল্লামা রাহেমা রাব্বি (১২ঃ৫৩)।
অর্থ - নিশ্চই নফসে আম্মারা বদ কাজ করায়, যাদের আমার প্রভূ রহমত করেন তাদের ছাড়া।
২। নফসে লাওয়ামা
*****************
লাউকছেমু বে ইয়াওমুল কিয়ামা অলা উফছেমু বেন্নাফছে লাওয়ামা (৭৫ঃ১/২)
অর্থ - আমি কসম করছি কেয়ামত দিবসের আরও কসম করছি (সেই আত্মার যে নিজেকে তিরস্কার করে থাকে) নফসে লাওয়ামার।
তিরস্কারকারী আত্মাই হল নফসে লাওয়ামা এবং কেয়ামতের সংশ্রবে নফসে লাওয়ামা বলার তাৎপর্য হলো মৃত্যুর পর যে আত্মার হিসাব নিকাশের জন্য পুনরুত্থ্যান। তাই কিয়ামত। নফসের প্রথম উত্থ্যান হল নফসে লাওয়ামতে পৌছানো যা কিনা নফসে আম্মারার পতন। এই অবস্থায় নফসে আম্মারার তাবে হঠাৎ পাপ কার্য করে ফেললেও অনুতাপের অন্ত থাকে না।
৩। নফস মুৎমায়েন্না
*******************
ইয়া আইয়াতুহান্নাফছুল মুৎমায়েন্না তুরজিই ইলা রাব্বেক রাজিয়াতাম মারজিয়া ফাদখুলি এবাদি অ আদখুলি জান্নাত (৮৯ঃ২৭-৩০) ।
অর্থ - হে প্রশান্ত আত্মা (নফসে মুৎমায়েন্না, পুরো শুদ্ধির কারণে শান্তি প্রাপ্ত আত্মা)! তুমি তোমার রবের কাছে ফিরে এস এমনভাবে যে, তুমি তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তিনি তোমার প্রতি সন্তুষ্ট; অত:পর তুমি শামিল হয়ে যাও আমার বিশিষ্ট বান্দাদের (পয়গাম্ভর অলী, আবদাল, গাউছ, কুতুব, মুজাদ্দেদ, মুজাহীদ) মধ্যে, এবং প্রবেশ কর আমার জান্নাতে।
৪। নফস মুলহেমা
****************
আন্নাফছে অমা দাওয়াহা ফা আল হামাহা ফাজুরাহা অ আক্বওয়াহা (৯১ঃ৭.৮)।
অর্থ - কসম মানুষের আত্মার এবং যিনি তাকে আকৃতিতে সুঠাম করেছেন, অত:পর তাকে তার মন্দকর্ম ও তার তাক্‌ওয়ার জ্ঞানদান করেছেন।
অর্থাৎ বলা যায় যে, কোনটা পাপ সুতরাং তা পরিত্যাগ করতে হবে কোনটা পূর্ণ যা গ্রহণ করতে হবে। তা তিনি তার প্রিয়তম রহমানুর রাহিমের তরফ থেকে এলহাম অনুপ্রেরণা যোগে জেনে শুনেই করেন। যা সাধারনের গন্ডির পাপ পূর্ণের বিচারের উর্ধ্বে। খিজির (আঃ) হযরত মূসা নবীকে-
আমি নিজের ইচ্ছায় কিছুই করিনি; এই ইচ্ছে যাতে তুমি ছবর করতে পারনি তারতাবীল।
উপরের ঘটনার দিকে দৃষ্টি পাত করলে আমরা পরিস্কার দেখতে পাই যে, যারা আল্লাহ্‌র সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তারা তার এলহামের অনুপ্রেরণা যোগে জেনে শুনেই করেন। যা সাধারনদের আপাতদৃষ্টিতে বোধগম্য না হলেও তা কল্যাণময়।
৫। নফসে রহমানী
****************
নফসে মূলহেমা পাকা কায়েম দায়েম হলেই সম্ভবপর হয় নফস রহমানী। একেবারে রহমানুর রাহিমের খাছলত হাসেল হলেই বলা যাবে নফসে রহমানী।
তাখাল্লাকু বে আখলাকিল্লাহ্‌ (হাদীস একারনেহ্‌)
অর্থ - আল্লাহ্‌র গুনে গুণান্নীত, আল্লাহ্‌র জ্ঞানে জ্ঞানান্নীত, আল্লাহ্‌ র শানে শানান্নীত হও।
কোরানে আল্লাহ্‌পাক বলেন-
ছিবগ্বাতাল্লাহ আমান আহছানু মিনালাহি ছিবগ্বাতাউ অনাহুনু লাহূ আ-বিদুন (২ঃ১৩৮)।
অর্থ - আমরা গ্রহণ করলাম আল্লাহ্‌র রং। আল্লাহর রং এর চেয়ে উত্তম রং আর কার হতে পারে? আর আমরা তারই ইবাদত করি।
তাই আমাদের সবার উচিত উত্তম চরিত্র গঠন করা।
লাকদ খলাকনাল ইনসানা ফি আহসানি তাকুইন (৯৫ঃ৪)।
অর্থঃ আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি অতিশয় সুন্দর গঠনে।
তবে যদি কেউ এই রহমানুর রাহিমের খাসালত ধারন করতে পারে সেই পূর্ণময় সর্বোত্তম।
মানুষের ভেতরে দুটো সত্ত্বা রয়েছে। যেমন—জীবাত্মা ও পরমাত্মা। জীবাত্মাকে ‘নফস’ এবং পরমাত্মাকে ‘রুহ’ বলা হয়েছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোগল সম্রাট বলেছেন: তাহলে সবাই রুহের মাগফেরাত কামনা করে কেন? নিশ্চয়ই অজ্ঞতা বশত। বড় বড় আলেম ওলাম সবাইকে বলতে শুনি অমুকের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই মোগল সম্রাট, আপনি একজন মুফতি সাহেবের সাথে সামনা সামনি কথা বলুন। তিনি আপনাকে ভালো পরমর্শ দিবেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: মুফতি কেডা আবার? সবইতো ফতোয়াবাজ।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনাকে একজন ভাল মুফতির খবর দেই,মুফতি মাসুদ ,কোরানে হাফেজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.