নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
১৯৯০ সাল, মা বাবা আমাকে মাদ্রাসায় পাঠালেন মাওলানা হওয়ার জন্য। তখন এলাকায় ইসলামী আদর্শ বহুমুখী মাদ্রাসা নামে একটা মাদ্রাসা কেবল চরমোনাইর পীরের মুরিদরা স্থাপন করছে।
আমার বাপেও তার মুরিদ ছিলো সেখান থেকে শুনেছে বংশে একজন হাফেজ বা মাওলানা থাকলে বংশের ৭০-জন বিনা হিসাবে বেহেস্তে যাবে। সুতরাং উনার বংশের সত্তুর জনকে বেহেস্তে নেওয়ার জন্য একটা চান্স তো নেয়াই যায়।
আমি ভর্তি হয়ে গেলাম আদর্শ বহুমুখী মাদ্রাসায়। ভালই পড়ছিলাম। পাঞ্জাবী ও টুপি পড়তাম,সাথে একটা টিনের সুটকেস ছিলো। তাতে তালা দিয়ে কোমরের তাগা’র সাথে রশি দিয়ে চাবি ঝুলিয়ে রাখতাম। শুক্কুরবার রোদের মধ্যে বসে কাদা মাটি দিয়া কুলুপ বানাইতাম। মাঝে মধ্যে ওয়াজ-মাহাফেলে গজল টজলও গাইতাম। কিন্তু হুজুরের বেতের বাড়ির আঘাতটা সহ্য হয়নি বলে শুরু হইলো মাদ্রাসা পালানো।
বাড়ীতে বাপে ছিলে সাক্ষাৎ আজরাইল । হুজুরের বেধরক পিটানি আর বাপের মাইরের মাঝে আমি ছিলাম মাইনকা চিপায়। বাড়ী থেকে আসতাম, কখনো ‘রিমিঝিম সিনেমা’ আর কখনো ‘আখি সিনেমার’ সামনে দাড়িয়ে পোস্টার দেখতাম কিংবা কখনো ৫০ পয়শা দিয়ে সাম্পানে নদী পার হয় পোর্ট জেটিতে পালিয়ে সময় কাটিয়ে মাদ্রাসা ছুটি হলে বাড়ী যেতাম।
তারপর দেয়া হলো বোডিংয়ে! রাত দিন বোডিংয়ে থাকা লাগবে। শুরু হলো আর এক আযাবের জীবন। খুব ভোরে উঠা লাগবে, যেদিন উঠে ফযরের নামাজ ধরতে পারতাম না সেদিন পিটিয়ে পাছা লাল করে দেয়া হতো। শিশু মনের সেই দগদগে ঘাঁ এখনো মনে পড়লে শিউরে উঠি।
একদিন জেদ ধরলাম আমি, আর মাদ্রাসাযও যাবো না আর পড়ালেখাও করবো না, সকালে এক জামা কাপড়ে পালান দিলাম। একদম নিরুদ্দেশে যাত্রা করে গাজী রকেটে গিয়ে উঠলাম। কিন্তু ধরা খেয়ে গেলাম পাশের বাড়ির টুলি আপার জামাইয়ের কাছে। উনি তখন বিআাইডব্লিউতে চাকরি করতেন। পোস্টিং ছিলো রকেট ঘাটে। বাবাকে লোক মারফত খবর দিলেন, আমাকে রকেট থেকে ধরে নিয়ে গেলো আসামীর মতো, সাথে উত্তম মাধ্যমের বর্ননা দিলাম না।
আমার দাদি বলতেন, ওস্তাদের মাইর যেখানে যেখানে লাগে সে জায়গাটুকু বেহেস্তে যায়। অতো অল্প বয়সে অমন অমানুষিক এবং বেধড়ক পিটুনিতে আমার হাফেজ মাওলানা হবার শখ আর বেহেস্তে যাবার শিশুকালের স্বপ্ন একেবারে নাই হয়ে যায়। তার চেয়ে ঢালীর বাড়ির বাগানে ঘুঘু পাখীর বাসা থেকে ঘুঘুর বাচ্চা ধরা, বিলে মাছ ধরা, পাড়ার ছেলেদের সাথে ডাংগুলি খেলা, ছৈলা আর কেওড়া গাছে উঠে ছৈলা-কেওড়া পেড়ে খাওয়া, কিংবা সমিতির পুকুর পাড়ে দাড়িয়াবান্ধা খেলেই ছিলো আমার বেহেস্ত।
মা তার ভাইকে মানে আমার মামাকে দিয়ে কেঁদে কেটে আমার বাপকে জোর সুপারিশ করালেন আমাকে যেন আবার স্কুলে দেয়। আমার বাপে সেই কথা রেখেছিলেন।
আমি ১৯৯১ সালের জুন মাসে আবার পোর্ট স্কুলে যাওয়া শুরু করি।
ছবিঃ অন্তর্জাল
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় তপন ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আমি মাঝে মধ্যেই ভাবি সেদিন যদি হারিয়ে গিয়ে অজানা অচেনা কোন ঘাটে নেমে যেতাম তাহলে আজ লাইফটা কেমন হতো; হয়তো কোন ফেরিওয়ালা হতাম কিংবা আঙ্গুল কাটা জগলু টাইপের কেউ হতাম অথবা অন্য কিছু।
শুভ কামনা নিরন্তর।
২| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: একটা শিশুও মাদ্রাসা পছন্দ করে না। তার হুজুর এবং বাবার মাইরের ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে বাধ্য হয়।
মাদ্রাসা গুলো চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া দরকার।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
বচ্ছর চারেক আগে যাত্রাবাড়ি মোড়ে ১০/১২ বছর বয়সি একটা ছেলেকে দেখলাম আমার কাছে টাকা চাইছে বাড়ি যাবে বলে। আমি জিগাইলাম- তোমার বাড়ি কই? কইলো-দাউদকান্দি, আবার জিগাইলাম- এইখানে কেমনে আইলা? কয় মাদ্রাসা থিকা পলান দিয়া আইছি।
৩| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শিশু-পেটানো এ হুজুরদেরকে আগে শেখানো উচিত, এভাবে শিশুদের উপর অমানবিক অত্যাচার করে কোনোদিন শিক্ষা দেয়া যায় না।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
উনারা ‘চাবুক মারো’ নীতিতে বিশ্বসী। মাইরের উপ্রে কোন ঔষধ নাই কেডা যে মাথায় ঢুকায়া দিসিলো খোদায় মালুম।
ঐ সময়ের কিছু কথা বাদ দিসি ইচ্ছা করেই তাতে লেখা বড় হয়ে যেতো। এখানে বলি একটু-
মাদ্রাসায় আমার এক বন্ধু জুটেছিলো তার নাম মনির। একবয়সি হলেও ওর সিনেমা দেখার প্রতি বিরাট আকর্ষন ছিলো । তখন সিনেমার শো’ শেষ হবার সময় মাদ্রাসা থেকে বড় বড় ছেলেদের গেটে পাঠানো হতো কেউ সিনেমা দেখতে গেলে তাকে ধরার জন্য। তো নতুন সিনেমা আসলে প্রায় প্রতিটা সিনেমা দেখার অপরাধে আমার বন্ধুটি মাঝে মধ্যে আমি সহ ধরা খেতাম।
তার পরদিন পানিসমেন্ট দেয়া হতো মাঠে দাড় করিয়ে বেত দিয়ে স্বজোড়ে এলোপাতাড়ি পিটানো। আামরা ধুলায় গড়াগড়ি দিতাম, বাবারে মা’রে বলে প্রচন্ড চিৎকার দিতাম। তখন আশপাশের পথচারিরা থেমে আমাদের মার খাওয়া দৃশ্য দেখতো। কেউ এসে থামাতো না। সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে পড়লে আজও আৎকে উঠি।
৪| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: আলেম হতে পারলে ভালই হতো। কিন্তু মাদ্রাসার পড়ালেখা কঠিন। সহজে পড়া মুখস্ত হয় না। মুখস্ত হলেও সহজে পড়া মনে থাকে না। একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহন করতে পারে না। হুজুরদের বুঝা উচিত যে বেতের বারি তে জঙ্গলের বাঘ কে সার্কাসের বাঘ বানানো যায়। কিন্তু আঘাত দিয়ে কোন মানুষ কে এলেম বানানো যায় না। এলেম হতে হলে আল্লাহর রহমত লাগে।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মাদ্রাসার শিশু নির্যাতনের পরম্পরা এবং সেই ইতিহাসকে কন্টিনিউ করে যাছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ওরা বদলাবে না।
৫| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার কথা হল মারামারি করতে যাবে কেন। মাদ্রাসায় তো হাজার হাজার বাচ্চা কাচ্চা পড়তেছে। কিন্তু যাই ইচ্ছে নেই মাদ্রাসায় পড়ার তাকে সেখানে দেওয়া উচিত না।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন মারামারি করতে যাবে কেন
কিন্তু মারামারি ছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষা যেন অপূর্ন; এরকম একটা কালচার ঐ জগতে চালু আছে মনে হয়।
বাবা-মায়েদের আরো সচেতন হওয়া উচিৎ।
৬| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার মনে হয় মাদ্রাসার শিক্ষকদের যথেষ্ট ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা না থাকায় একারনেই তারা বাচ্চাদের সাথে ঠিক কি ধরনের ব্যাবহার করতে হবে সে ব্যাপারে সচেতন নয়।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মাদ্রাসার শিক্ষকদের ট্রেনিং দেয়ার মতো এদেশে কেউ আছে ?
কারন যারা ট্রেনিং দিবেন তারাও উনাদের মতো হক্কানী এলেমদার, দ্বীনদার মমিন মোসলমান না হইলে তারা তাদের কাছ থেকে ট্রেনিং নেয়া তো দুর কা বাত তার বিরুদ্ধে জেহাদও ঘোষনা করতে পারে।
আর ক্ষ্যাইপা যাদি বেশি এক্সট্রিম লেভেলে যায় তো কাতেল করা ওয়াজেব হয়ে যাবে।
৭| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
রানার ব্লগ বলেছেন: মাদ্রাসার শিক্ষক গুলো একটু পশু টাইপের হয় সম্ভাবত । অবশ্য এমন পশুচরিত স্কুল কলেজেও আছে । তবে মাদ্রাসায় সংখ্যা মনে হয় একটূ বেশি ।
২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ইদানিং ইসকুল, মাদ্রাসা, কলেজ এগুলো তুলনামুলক বিচার করা কঠিন ।
গত ২/১ দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ধর্ষন মামলায় গ্রেফতার হয়ে শ্রীঘরে।
৮| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি জানি না, বাচ্চাদেরকে এভাবে নির্মমভাবে এখনো পেটানো হয় কিনা। যদি হয়ে থাকে, থাহলে অবিলম্বে এর একটা বিহিত করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা দরকার। মাঝে মাঝেই বাচ্চাদের পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি। যারা এভাবে বাচ্চা পিটিয়ে মানুষ বানাতে চায়, তারা আসলে মানুষই না।
আমার কমেন্টের উত্তরে যা বলেছেন, তা পড়ে গা শিউরে ওঠে।
২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
মোগল সম্রাট বলেছেন: এর চাইতেও কঠিন শাস্তি ছিলো সেগুলো অন্য কোন লেখায় উল্লেখ করবো। সেগুলো শুনলেও গা শিউরে উঠবে ভাই।
ঐ মাদ্রাসায় এখনো ওরকম নির্মম ভাবে পেটানো হয় কিনা খোজ নিয়ে দেখবো কোন একদিন। আসলে আমি গত ২৩ বছর ধরে একপ্রকার মেহমানের মতে ২/১ দিনের জন্য বাড়ি যাই। চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় থাকতে হয়েছে। তাই সময় করতে পারিনা।
পোস্টে পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৯| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তানভির জুমার বলেছেন: আপনি সিনেমা দেখার ভূত মাথা থেকে তাড়াতে পারলে আজকে হয়তো জীবনের অন্য এক জায়গায় থাকতেন। স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসার পড়া লেখা অনেক অনেক বেশী, ২৪ ঘন্টা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত জীবন, বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর মত পুরো নিয়ন্ত্রিত জীবন। ট্রেইনিং এর কষ্ট সহ্য করতে না পেরে, সামরিক বাহিনী থেকেও অনকে চলে আসে। । মাদ্রাসার চিত্র এখন অনেকটা ভিন্ন, প্রাইভেট লেভেলের কিছু মাদ্রাসা আছে এখন ঐগুলো খুব যত্ন করেই পড়ানো হয়। আপনার জন্য শুভ কামনা।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হুমমম...! হয়তো এখন আমার নামের আগে পরে গোটা দশেক টাইটেল যোগ কইরা বিরাট একটা নাম দাড়াইতো। যেমন ধরেন হযরত মাওলানা পীরেকামেল ইখতিয়ারউদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার কাশিমপুরি দা:বা: এই টাইপের। এবং এই নামের বরকতে ওয়াজ টোয়াজ কইরা বিস্তর ট্যাকা পয়শা কামাইতাম।
আর বিলাই তো কম দুঃখে মান্দার গাছে উঠে না।
১০| ২২ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের রসূল (সা) জীবনে কোন বাচ্চার গায়ে হাত দেন নাই। কিন্তু মাদ্রাসায় বাচ্চাদের অমানুষিক মার দেয়া হয়। এগুলি ওরা কোথা থেকে শিখেছে কে জানে। মাদ্রাসা শিক্ষার আমুল সংস্কার প্রয়োজন। আমরা যখন স্কুলে ছিলাম কিছু শিক্ষকও প্রচণ্ড মারধোর করতো অবশ্য।
আপনার বর্ণনার স্টাইল ভালো।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
রসুলের মহান আদর্শ কয়জন ধারন করে, কয়জন লালন করে?
আর সংস্কারের দিকে সরকার হাত দিসে। হাত দিয়াই "কওমি জননী" খেতাব দেখা গেছে। ধৈর্য্য হারাবেন না
১১| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০১
নতুন বলেছেন: আগের দিনে বাবা শিক্ষকদের বলে আসতেন। প্রডাইয়া হইলেও মানুষ বানাইয়েন স্যার।
চামড়া আপনার হাড্ডি আমাদের।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঠিক! এরকম কথা সেকালে অনেক বাবা মা'ই বলতেন। তবে শিক্ষকরা যে সেই কথাটারই সর্বোত্তম ব্যবহার কেন করতেন সেটাই ভেবে কুল পাইনা। আর এ ধরনের কথা যে সব মা-বাবারা বলতেন তার অধিকাংশই অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত কিংবা অসচেতন ছিলেন।
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
১২| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০২
নতুন বলেছেন: আগের দিনে বাবা শিক্ষকদের বলে আসতেন। প্রডাইয়া হইলেও মানুষ বানাইয়েন স্যার।
চামড়া আপনার হাড্ডি আমাদের।
১৩| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:৫২
শায়মা বলেছেন: আহারে ভাইয়া মাদ্রাসায় বাচ্চাদেরকে এমন করে মারে আমিও শুনেছি। সত্যিই অবাক লাগে মা বাবাদের এতটুকু বুদ্ধি নেই এতটুকু জ্ঞানও নেই। ভাবে বাচ্চাদেরকে হুজুররা মারলে নাকি সোওয়াব হবে।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনি শুনেছেন আর আমি সেই মার খেয়ে এসেছি ।
আর মা বাবার দোষ কি বলেন ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়ে একসময়ে অনেক অন্ধ বিশ্বাস পাকাপোক্ত ছিলো। যেমনঃ বংশের ৭০ জন আশি জন বিনা হিসেবে বেহেশতে যাওয়া। অথবা নুরের টুপি মাথায় দিয়া রোজ হাশরে মা-বাবরে উঠানো। এগুলো ব্যাপক প্রচার হতো মুসলমান সমাজে। এজন্য মা-বাবাদের প্রভাবিত হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৪| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:০০
কামাল১৮ বলেছেন: নির্যাতনের একটা অধ্যায় বাদ পড়ছে।যেটা আজকাল প্রায় দেখাযায় পত্রিকায়।পুলিশ হুজুর আর হাতে হ্যান্ডকাপ।এমন হাজারো ঘটনা থেকে যায় পর্দার অন্তরালে।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঐ চ্যাপ্টারটা আমার ক্ষেত্রে অপঠিত থেকে গেছিলো। কারন বোডিংয়ে মাত্র ৪/৫ মাস থাকছিলাম তবে মাদ্রাসা থেকে আসার পর কিছু ঐধরনের ২/১টা খবর পেতাম দুই এক জনের কাছে।
তাই ঐ অধ্যায়টা স্কীপ করে গেছি।
ধন্যবাদ কামাল ভাই। পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমার ভালো লেগেছে।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৫| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:২৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমিও এমনই শুনেছি ভাইয়া। একজন নাকি মাদ্রাসায় পড়লে তার বাবা মা শুদ্ধু বেহেস্তে যাবে। বাবা মায়েরা নিজেরা দোষ করে নাকি ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসার জোরে তাদের ঘাড়ে চড়ে বেহেস্তে যাবে। কি স্বার্থপরের মত নাকি বোকার মত কথা আমি জানিনা।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:২৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
এই বিশ্বাস এবং ধারনা এখনো হাজার হাজার মানুষের মগজে প্রোথিত রয়ে গেছে। এটা থেকে পরিত্রাণ খুব নিকট ভবিষ্যতে হবার পসিব্লিটি নাই বললেই চলে।
আপনার মন্তব্য লিখুন
১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটা । যদিও শিউরে ওঠার মত ঘটনার স্মৃতিচারণ তারপরও আপনার শিশুমনের ইচ্ছাগুলো সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে লেখাটায়।
আমার মতে এই লেখাটার সবচেয়ে সুন্দর অংশ হলো, আপনার মা এবং মামার অনুরোধে আপনার পিতার সুমতি হওয়া এবং আপনার মাদ্রাসায় যাওয়া থেকে রেহাই পাওয়া।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আসলেই, মামা'র কাছে কৃতজ্ঞ। মামা তৎকালীন সময়ে সরকারি চাকরি করতেন। আর আমার একটাই আপন মামা ছিলো। আমার মা আর মামা পিঠাপিটি ভাই বোন থাকায় কোন সমস্যা হলে মামাকে আগে জানাতেন। আর মামা শিক্ষিত মানুষ থাকায় বাবাও মামাকে অনেক বিষয়ে মান্য করতেন। সেই মামাও রিটায়ার্ড হয়ে গেছে।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে।
শুভকামনা নিরন্তর।
১৭| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অল্পের জন্য সব কিছু সহী হয়ে গেলো। টুলি আপার বরকে শুকরিয়া জানাবেন।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
টুলি আপার জামাই মানে আমাগো দুলাভাই কয়েক বছর পর নারায়নগঞ্জে বদলী হয়ে চলে গেছিলো। তারপর বহু বছর মানে আজ পর্যন্ত আর দেখা হয়নি। নিশ্চয়ই তিনি ভালো আছেন আশা করি। এবার বাড়ি গিয়ে উনার খোজ করবো।
শুভকামনা জলদস্যু ভাই।
১৮| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নিঃসন্দেহে আপনার মাদ্রাসার শিক্ষকগণ মানসিক অসুস্থ ছিলেন। এবং তাদের দ্বারা তৈরি ছাত্ররাও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে থাকবে। - যাদের মানুষের প্রতি বিচার বিবেকজ্ঞান সহ মানবিক কোনো দিক নেই, থাকার কথাও না। মানুষ কেনো? - কোনো পশুকেও এইভাবে মারধোর করা কোনো স্বাভাবিক কাজ হতে পারে না। পশুকেও এইভাবে যারা মারধোর করে এরা স্বাভাবিক মানুষ নয়।
আপনার অবশ্যই ভাগ্য ভালো আপনি এই দঙ্গল থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। পোস্টটি প্রিয়তে রাখছি। আপনার অভিজ্ঞতা প্রয়োজনে আমি অনেককে জানাতে পারবো।
২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মাদ্রাসায় শিশুদের পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া, যৌন নির্যাতন, এমনকি হত্যার ঘটনা এর আগেও বহুবার গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এলেও, এসব নির্যাতন বন্ধে কার্যত কোন দির্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে দেখিনি আমরা।
যেসব ঘটনা সামনে আসছে তার তুলনায় 'প্রকৃত নির্যাতনের ঘটনা কয়েকগুণ বেশি যার বেশিরভাগই ধামাচাপা পড়ে যায়।
অভিভাবকদের অসচেতনতা এবং মানুষের দানে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং মনিটরিং না থাকায় মাদ্রাসায় নির্যাতনের বড় কারণ।
ভালো থাকবেন প্রিয় ঠাকুর ভাই।
১৯| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৭
জ্যেষ্ঠ পান্ডব বলেছেন: আপনার এই ভয়ংকর শৈশবের কথা জেনে দুঃখ অনুভব করছি। আমাদের দেশে সন্তানকে মূলত ইসলামের সেবা করার উদ্দেশ্যে নয় বরং পরকালে যেন বিনা হিসাবে বেহেস্তে নিতে পারে এই উদ্দেশ্যেই মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। পিতামাতা সন্তানকে এইভাবে পেটান বা শাস্তি দেন মূলত নিজেদের বেহেস্ত মিস হয়ে যাবার ভয়ে। যদি ধর্মের কথা আনেন, তাহলে ধর্মে জোর করে কোন কিছু করার জন্য অনুমতি দেয় নি। আর নবী সা: তো বাচ্চাদের প্রতি অনেক সহনশীল এবং দয়ালু ছিলেন। সেখানে আমাদের মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষক তো জালিম প্রকৃতির। কারণ এরাও শৈশবেও এমন নির্মম ঘটনার স্বীকার হয়েছেন, পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেটার প্রতিফলন অন্য কোমল মতি শিক্ষার্থীদের উপর ঘটছে।
মাদ্রাসা মানে স্কুল বা যেখানে মানুষ ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবে। এই কারণে আপনি দেখবেন ইসলামের স্বর্ণযুগে প্রচুর বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী বা আলেম ছিলেন। আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক শাখার উৎপত্তি তাদের হাত ধরে। কিন্তু এই উপমহাদেশে কালের বিবর্তনে মাদ্রাসা শিক্ষার বিপর্যয় ঘটেছে।
কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, এই ব্লগে ছাগু মানসিকতার বেশ অনেক লোকজন আছে। মডারেশনের ছত্রছায়ায় এরা টিকে আছে। এরা ঠিক জামাতি ছাগু না তবে ছাগল মানসিকতার। একজন মহিলা আছেন – এত নির্বোধ মাথা মোটা নারী কবি ও ব্লগার এই ব্লগে খুব কমই এসেছে। ধর্ম নিয়ে কিছু দেখলেই বুঝুক বা না বুঝক সেখানে গিয়ে পণ্ডিতি মারে অথচ তার নিজের জীবনে সে ধর্মের বহু কিছু মানে না। এরা ভণ্ড না, এক এক শ্রেণীর হাস্যকর ধার্মিক। আর একজন আছে যিনি মাদ্রাসাকে সামরিক বাহিনীর সাথে তুলনা করেছেন – তিনি প্রকৃত ছাগু মানসিকতার লোক, আপাতত জাতীয়তাবাদের আড়ালে আছেন। আমার মত পাপী বান্দা যতটা না ধর্মের ক্ষতি করে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে এই সব ছাগু মানসিকতার পাবলিকরা।
২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মাদ্রাসা মানে স্কুল বা যেখানে মানুষ ধর্মীয় জ্ঞানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবে। এই কারণে আপনি দেখবেন ইসলামের স্বর্ণযুগে প্রচুর বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী বা আলেম ছিলেন। আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক শাখার উৎপত্তি তাদের হাত ধরে। কিন্তু এই উপমহাদেশে কালের বিবর্তনে মাদ্রাসা শিক্ষার বিপর্যয় ঘটেছে। - যথার্থ বলেছেন। সহমত ।
পান থেকে চুন খসলেই মাদ্রাসা শিক্ষকদের চরম মারধরের শিকার হয়েছে এমন মাদ্রাসা ছাত্র বহুত পাবেন। মাদ্রাসায় এসব নির্যাতনের কারণে অনেকে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়েছেন। আবার অতি দরিদ্র পরিবারগুলোর বিকল্প উপায় না থাকায় এক প্রকার নীরবেই এই নির্যাতনের বিষয়গুলো তারা মেনে নেন।
কুতর্কে না গিয়ে ছাগুদের এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার জন্য শুভকামনা।
২০| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা এবং লেখার হাত ভালো। আরও বড়ো করে লিখলেও লোকজন পড়বে।
২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আনন্দিত হলাম আপনার মন্তব্যে।
শুভকামনা রইলো ।
২১| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১:২৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার এখানে একটা ছেলে কাজ করে, সে মাদ্রাসার থেকে কামেল পাশ করে এই দেশে আসছে, তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই সে ৬ হাদিসের উপর ডিগ্রি নেয়া একটা ছেলে। বেশ ভুষা ছলনে বলনে সে সাধারণ মানুষ, কে বলবে জান্নাতুল ফেরদাউস তার জন্য মুখ খুলে বসে আছে। আপনার পোষ্ট পড়ার পর তার মাদ্রাসা জীবন নিয়ে কথা হলো। সেসব বলতে চাইনা। নিজের বিবেক বুদ্ধু দিয়ে যেটুকু আগে থেকেই বুঝেছি জেনেছি তাতে কোন সন্দেহ নেই যে মাদ্রাসা ইসলাম ধর্মের কোন উপকারতো করেইনা বরং মানুষ কে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভুল শিক্ষা দেয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পায় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টিত। যেখানে একটা ছেলে কামেল ডিগ্রি নিয়ে বেড়িয়ে আসে শুধু মাত্র ছয় হাদিসের উপর পড়ালেখা করে। যেখানে কোরানের বিশেষ উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
মজার ব্যপার হলো এরা এইচএসসি সমমানের শিক্ষা নাম দিয়েছে আলেম ক্লাশ। মানে জ্ঞানি । মানে ওয়াউজ ম্যান। দুনিয়াতে এমন নির্লজ্জতা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আছে বলে আমার জানা নেই যে কেউ নিজেকে নিজে জ্ঞানি হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। তাও আবার এই টুকু পড়ালেখাার পরেই।এরা এটা করেছে এই জন্য যে কোরানে আল্লাহ. আলেম নিয়ে বহুবার বলেছেন। যে তোমাদের কিছু জানার থাকলে জ্ঞানিদের কাছে যাও, যে বিষয় জানতে চাও সেই বিষয়ের উপর যার মেধা আছে তার কাছে যাও। সেটা যে কোন বিষয়ের উপর হতে পারে, যার আরবি শব্দ হলো আলেম । এই মাদ্রাসা সেই সুযোগটাই নিয়েছেন। তারা বলে কোরানের বর্ণিত এই সেই আলেম যা একমাত্র মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান থেকে আসে। খুবই হাস্যকর বিষয়। আমার এখানে কামেল পাশ মানুষটাকে প্রশ্ন করলাম আপনি মাদ্রাসার শেষ অব্দি পড়ে কি আপনি কোরানে বুঝতে পারেন। অথবা তার অনুবাদ? সে এক কথায় বলে দিলো না পারিনা। তাহলে এই প্রতিষ্ঠানে শেষ অব্দি গিয়ে আপনার কি সুবিধা হলো। সে বললো সঠিক ভাবে নামাজ রোজা পালন করতে পারি, আমি বল্লাম কোরাণ শরিফে আল্লাহ কি শুধু নামাজের কথাই বলেছে? সে চুপ।
একটা মানুষ একটা জাতি গোষ্ঠির (আরবের) কাপড় চোপড় আর মুখে দাড়ি রেখে কিছু নিয়ম কানুন যেমন খাবে কিভাবে ঘুমাবে কিভাবে, ফরজ গোসল কখন ফরয, কিভাবে ফরয। হাত নাভির উপর বাধবে নাকি কারো কান্দের উপোর রাখবে, আমিন জোরে বলবে নাকি আস্তে। কাকড়া খাওয়া হারাম না হালাল। এমন সব আজগবি গজবি বিষয় জানার জন্য হাদিসের মত বিষয়ের উপর সারাটা জীবন পার করে দিয়ে বেহেশ্তর চাবিতে শান দিতে দিতে মরে যাওয়ার নামি কি ধর্ম? আল্লাহর এত বিশাল সৃষ্টি কর্ম বেচে থাকার রশদ রহমত এত সব কি শুধু এই জন্যই বানিয়েছেন? অন্তত কোরাণ পড়ে আমার তা মনে হয়নি কোন কালেই।
বেহেশ্তের আশায় একটা নরম মনের ছোট্ট শিশুকে আরবীয় ফ্যাশন পাঞ্জাবি টুপি দিয়ে তাকে মানুষের থেকে আলাদা করে দুরে সরিয়ে ঐ কোমলমতি শিশুটির উপর কেমন চাপ যায় সমাজে টিকে থাকায় তা অনুমান করতে পারবে যে কেউ।
যাইহোক আমি এই বিষয় নিয়ে ঠিক গুছিয়ে কথা বলতে পারিনা, আমার গলার কাছে সব কিছু ধলা হয়ে বসে থাকে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারিনা। আল্লাহর কোরানের বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার সাইন্স,সাইন,ম্যাথ সহ নানা অলৌকিকতায় ভরা এই কোরান। কোরান কে বুঝতে হলে একটা মানুষকে অন্তত তিনটা বিষয় সমান জ্ঞান থাকতে হবে। সাইন্স, হিষ্ট্রি আন্ড জিওলজিক্যাল বিষয় যার ধারণা নেই সে কোরাণের কিছুই বুঝবেনা, বুঝবে শুধু হুর আর সারবান তাহুরা। সেগুলো কাজে লাগবে মরার পরে। পৃথিবীকে বেহেশ্ত করে তুলতে যেই নিয়ম লাগে সেসব আছে কোরাণে।
যা বলতে এসেছি তা বলার আগেই সময় ফুরিয়ে গেলো, আবার আসবো পরে..।
শুভ কামনা আপনার জন্য
২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
শার্দুল ২২ আপনাকে অনেক দিন পর আমার পোস্টে পেলাম ।
আপনার এই গঠনমুলক সমালোচনাসহ কমেন্টটি আামর এই পোষ্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে নিঃসন্দেহে। মাদ্রাসার শিক্ষা নিয়ে আপনার পর্যবেক্ষন একদম তৃনমুল থেকে তুলে এনে দেখিয়ে দিয়েছেন অনেক কিছু।
কোন সন্দেহ নেই যে মাদ্রাসা ইসলাম ধর্মের কোন উপকারতো করেইনা বরং মানুষ কে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ভুল শিক্ষা দেয়। ব্রিটিশদের পরিকল্পায় এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্টিত। যেখানে একটা ছেলে কামেল ডিগ্রি নিয়ে বেড়িয়ে আসে শুধু মাত্র ছয় হাদিসের উপর পড়ালেখা করে। যেখানে কোরানের বিশেষ উপস্থিতি নেই বললেই চলে। এই কথাটি আসলেই দেশের মাদ্রাসার বর্তমান চিত্রের সাথে হুবহু মিলে গেছে।
তবে বিভিন্ন সময়ে দেশের অনেক সুশীলকে দেখেছি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে প্রশংসায় উচ্চকন্ঠ (যেমন: সলিমুল্লাহ খান, আসিফ নজরুল, পিনাকী ভট্রাচার্য, আন্দলীব পার্থ আরো অনেকে) । জানিনা এদের পোলাপান মাদ্রাসায় পড়ায় কিনা।
যাইহোক, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনার জন্য ।
২২| ২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
নতুন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আমিও এমনই শুনেছি ভাইয়া। একজন নাকি মাদ্রাসায় পড়লে তার বাবা মা শুদ্ধু বেহেস্তে যাবে। বাবা মায়েরা নিজেরা দোষ করে নাকি ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসার জোরে তাদের ঘাড়ে চড়ে বেহেস্তে যাবে। কি স্বার্থপরের মত নাকি বোকার মত কথা আমি জানিনা।
লেখক বলেছেন: এই বিশ্বাস এবং ধারনা এখনো হাজার হাজার মানুষের মগজে প্রোথিত রয়ে গেছে। এটা থেকে পরিত্রাণ খুব নিকট ভবিষ্যতে হবার পসিব্লিটি নাই বললেই চলে।
আপনার মন্তব্য লিখুন
মানুষ ছেলেকে হাফেজ বানাবে বলে মানত করে। নিজে ৫ স্টার হোটেলে বারের ম্যানেজার হিসেবে চাকুরি করে। নিজে ধর্ম অনুসরন করে কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকার চাকুরী ছাড়টা কিন্তু সহজ বিষয় না।
২৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে।
অথচ মাদ্রাসা ছাড়া উপায় নাই। দরিদ্র দেশ। মাদ্রাসায় টাকা পয়সা না দিলেও আরবী শেখা যায়।
২৪| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে নির্যাতন ব্যবস্থা দূর হোক।
২৫| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাদ্রাসা থেকে কামিল হাদিস পাস করেছি। কলেজ থেকে বিএ পাশ করেছি। সরকারী চাকুরীও করছি। মন্দ পরিবেশ-পরিস্থিতিতেও অনেকে মানজিলে মাকসুদে পৌঁছে যায়। সেজন্য দেশে অনেক হাফেজ ও মাওলানা আছে। তবে পিটুনি নামক ব্যকস্থা উঠে যাওয়া উচিত।
২৬| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
নাহল তরকারি বলেছেন: মাদ্রসা শিক্ষা কিন্তু খারাপ না। মাদ্রাসা শিক্ষা কে আপডেট করা উচিৎ। আমার পরিচিত বড় ভাই মাদ্রাসা খুলেছে। তিনি কিন্তু কাউকে মারেন না। তিনি ধৈর্য এর সাথে পিচ্ছিদের সামলান। পিচ্ছিরা কান্দে। পিচ্ছিরা কথা শুনে না। পিচ্ছিদের পড়ার প্রতি মন বসে না। সব কিছু না পিটিয়ে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে শুধু শস্তি দেওয়ার জিনিস প্রচার হয় বেশী। আর ভালো জিনিস প্রচার হয় কম।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: মোগল সম্রাট এ লেখায় বরাবরের মত তার জাত চিনিয়েছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে অনেকেরই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার খবর জানি। কিন্তু আপনার মত করে এত সুন্দর বয়ানে কেউ কখনো বলেনি।
ভাগ্যিস সেদিন পালাতে পারেননি না হলে কোন বাটে কোন ঘাটে গোত্তা খেয়ে ঝড়ে পড়তেন কে জানে। আজকে আমাদের ব্লগার মোগল সম্রাট কে হয়তো আমরা পেতাম না