নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাত্যহিকী-১

২৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩



মাসের শেষ সপ্তাহ চলে। পকেট পুরাই ফকফকা। এরমধ্যে পোলা-মাইয়ার স্কুল থিকা থ্রেড সহ নোটিশ দিতাছে জুন মাস পর্যন্ত বেতন ক্লিয়ার করেন নইলে জরিমানা আছে। ওদিকে আমার অ্যাজমার ট্যাবলেট আর প্রেসারের ট্যাবলেটও শেষ। দুই পাতা ওষুধও কেনা লাগে কিযে করি।

গতমাসে অফিসের কলিগ মালেক ভাইয়ের কাজ থেকে ধার নিছি পাঁচ হাজার টাকা। বেতন পাইয়া দিয়াও দিছি কিন্তু এ মাসে আবার ধার চামু লজ্জাও লাগতাছে।অফিস শেষ কইরা এই কয়টা দিন হাইটাই বাসায় আসি। ঘন্টা খানেক লাগে।

গ্রামে মা'য়ের আথ্রাইটিসের হাটুর ব্যাথায় নামাজ কালাম চেয়ারে বইসা সারতে হয়। কিন্তু টয়লেটে গেলে বাংলা কমোডে আর বসতে পারে না। গত মাসে বলছি - এমাসের মায়না পাইয়াই তোমারে হাই কমোড বসায়া দিমু। মনে হয় এই মাসেও পারমু না। কারন আব্বার গলব্লাডারের অপরেশন এই মাসেই করা লাগবে। ডাক্তার প্রায় পঞ্চাশ হাজারের হিসাব দিছে। টাকার যোগাড় এখনো হয় নাই।
প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে দুই বছর আগে যে লোন নিছিলাম সেই লোন এখনো শোধ হয় নাই। পাঁচটা ইনস্টলমেন্ট বাকি। এডজাস্ট কইরা যে আবার এ্যাপলাই করুম তারও কোনো লাইন পাইতাছিনা ।

ছোট বোনটা বিবাহযোগ্য হইছে আরো তিন চার বছর আগে। তার বিবাহ দেয়া জরুরী। দুই মাস আগে একটা ব্যাংকার পাত্র পাইছিলাম কিন্তু পাত্রের পরিবার থিকা সাফ জানায়া দিছে মেয়ের বাপ ভাইগো ঢাকায় বাড়ি ঘর নাই। সম্বন্ধ ক্যানসেল।

গত ছয় মাস ধরে বাড়িওয়ালার কাছে সব সময় এক মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া থাকছেই। এ মাসে তিনি রিকুয়েষ্ট করছে তার ছেলে সাইপ্রাস যাবে। টাকাটা অবশ্যই যেন দিই।

বউ তিন মাস ধইরা ঘ্যান ঘ্যান করতাছে - বাসার ওয়ালটন ফ্রিজটা নষ্ট হয়া গেছে। মাছ-মাংশ, তরি-তরকারি ভালো থাকেনা। ঘড়ঘড় শব্দ করে রাতে ঘুমের ডিষ্টার্ব হয়। বৌয়ের আদেশ -এবার ভাগে কোরবানি দেয়া লাগবে না, একটা নতুন ফ্রিজ কিন্না দাও।

আমি অফিস শেষ করে, লাঞ্চ বক্সটা কাঁধে ঝুলিয়ে মতিঝিল থেকে হাঁটা শুরু করি। প্রেসক্লাবের সামনে এসে ১০ টাকার চিনা বাদাম কিনি। বাদাম খুঁটতে খুঁটতে আবার হাঁটা শুরু করি। হাইকোর্ট, কার্জন হল, দোয়েল চত্বর পেরিয়ে শহীদ মিনারের গাছ তলায় এসে বসি। ঘামে ভেজা শার্টের দুটো বোতাম খুলে বসে বসে ভাবি আবোল-তাবোল হাবিজাবি কত কিছু।

হঠাৎ ১৪-১৫ বছর বয়সী মন্টু মিয়া চায়ের ফ্লাক্স হাতে সামনে এসে বলে "মামা রংচা দিমু এক কাপ? মাত্র ৫ ট্যাকা দিয়েন"
আমি ওয়ান টাইম চায়ের কাপে চুমুক দেই আর ভাবি চায়ের কাপের বাষ্পীয় ধোয়ার সাথে সাথে চিন্তাগুলোও যদি উড়ে যেতো লম্বা লম্বা চাম্বোল গাছের চুড়া আর কৃষ্ণচূড়ার উপর দিয়ে। আনমনে তাকিয়ে তাকিয়ে আরো ভাবি " আহা জীবন তুমি কতোইনা মধুর"

ঢাকা, ১৫ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।

ছবি সুত্রঃ গুগল মামু

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:



কি বলবো সম্রাট!

হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবারের যাপিত জীবনের চিত্র।
কি মনে হয়, এ সমস্যার সমাধান কি?

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনি ঠিকই ধরেছেন। মধ্য বিত্তের চেহারা সারা দেশে মোটামুটি এমনই। এটার ওভারনাইট কোন সমাধান নাই। কারন মধ্যবিত্তের আর্নিং পারসন একজন থাকে বাট ডিপেন্ডেন্ট থাকে বেশি। রেসপনসেবলিটি মোটামুটি একজনের উপরেই ন্যাস্ত থাকে। এজন্য সমস্যাগুলো বেশি প্রকাশ পায়। তবে দিন পাল্টে যাচ্ছে এই মিডিল ক্লাশ আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। মাত্র দুইটি ক্লাশ থাকবে ধনী আর গরীব।

ভালো থাকবেন। হ্যাপি ব্লগিং।

২| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



প্রতিটা সমস্যা একটা আরেকটার সাথে সম্পৃক্ত।
তারপরও এখানে মেজর কিছু সমস্যা আছে যেটার সমাধান খুব জরুরী।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঘটনা গুলোকে সমস্যা হিসাবে না দেখে তাদের প্রয়োজন হিসাবে দেখে এবং তা মেটানোর প্রনান্তর প্রচেষ্টা করে প্রায়োরিটি বেসিসে। এভাবেই চলে আসছে এদের টিকে থাকা।

৩| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না। আশা করি ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোগল সম্রাট বলেছেন:
মধ্যবিত্তের কাছে এগুলো কোন বিরাট সমস্যাই না। মধ্যবিত্তের বর্তমানের একটা প্রাথমিক চিত্র তুলে ধরেছি। এগুলো ওভারকাম করেই তারা টিকে আছে।

হ্যাপি ব্লগিং।

৪| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



কারন মধ্যবিত্তের আর্নিং পারসন একজন থাকে বাট ডিপেন্ডেন্ট থাকে বেশি।

এটা মূল সমস্যার একটা। একদিনে সমাধান অবশ্যই হবে না কিন্তু এই লুপ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
পরিবারের সবাইকে স্বাবলম্বী হতে হবে। পরিবার একটা টিম আর সেখানে সবাইকে টিম বিল্ডিং-এ পার্টিসিপেট করতে হবে।
যার যার অবস্থান থেকে সবাই সবার পাশে থাকবে। কোন সমস্যাই একার সমস্যা না, প্রতিটা সমস্যা সবার।
সবাই মিলে যখন একটা কাজ করে তখন সেটা সহজ হয়ে যায়, আর চলার জার্নিটাও আনন্দময় হয়ে উঠে।

থ্যাংকস সম্রাট। লেখাটা ভালো লেগেছে।

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কনষ্ট্রাক্টিভ মন্তব্য করার জন্য। মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করি।

লেখা ভালে লাগলো জেনে আনন্দিত হলাম।

শুভকামনা নিরন্তর।

৫| ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: এভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলেই আমরা বেঁচে থাকি!

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:
মধ্য বিত্তের প্রলম্বিত দীর্ঘশ্বাস.........!!!

শুভকামনা নিরন্তর।

৬| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমিতো ভেবেছিলাম শুধু কষ্ট আর কষ্টবোধের কথাই শুনব... এই শহরে ছেলে মেয়ের স্কুলে পড়ানো বড্ড হ্যাপা!
অবশেষে শেষে এসে উপল্বধি হল, লাইফ ইজ বিউটিফুল!
বাড়িওয়ালারে কন- ফাউ সাইপ্রাস যাবে ক্যান পুলা। হুদাই ভুংভাং কইরা টাকা নষ্ট।

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২১

মোগল সম্রাট বলেছেন:
তপন ভাই, আসলেই মাইনষে হা-হুতাশ কইরা বিষয়গুলা বেশি কমপ্লেক্স কইরা মাখায়া ফালায়। ভিডিও গেমের মতো লাইফের কোন রিসেট বাটন নেই। লাইফ ইজ বিউটিফুল। এভাবে ভাবলে কুনো সমস্যাই কঠিন হয় না।

বাড়িওয়ালার পুলাডা ঘাউরা পদের। :) মাথায় এহন সাইপ্রাসের ভুত চাপছে। ওদিকে বাসার দেয়ালের চুন খইসা গেছে। কইলাম রং করায়া দেন। কয় দিমুনি কয়দিন পর, আর দেয়না।

আর পুলাপান একটার পিছে ইসকুলের বছরে যা খরচ হয় আমি পুরা শিক্ষা জীবনে এতো ট্যকা খরচ করিনাই :(

যাউগগা। আপ্নে আমার লেখা পড়েন দেইখ্যা আমি ধইন্না। ভালো থাইক্কেন।

৭| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: সবার আগে মানুষগুলো হতে হবে মানবিক।এটা একটা লম্বা জার্নি।কিন্তু শুরুটা করতে হবে।মানুষ মানবিক হলে সরকার মানবিক হবে।তখন সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান হয়ে যাবে।যেমন হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।নরডিক দেশগুলোতো আরো একধাপ এগিয়ে।
আমাদের প্রধান সমস্যা ধর্মীয় চিন্তা ভাবনা।যা আমাদের এগুতে দিচ্ছে না।পরিবার ছোট করবো।একদল বলে,মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।খাওয়ানোর মালিক আল্লাহ।

৮| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: মধ্যবিত্তের প্রতিদিনের বাস্তবতা সুন্দর ফুটে উঠেছে। চিকিৎসা এবং শিক্ষার খরচটা যদি রাষ্ট্র নিতো, যেমনটা অনেক উন্নত দেশে নেয়, তাহলে আমাদের মধ্যবিত্তের জীবনটা অনেক অনেক উদ্বেগহীন হতো। কিন্তু সেটা তো আর হবার নয়, তাই সে কথা বলে লাভ নেই।

এখন একটা মাত্র উপায় হলো যদি কোন উপায়ে আয় বাড়ানো যায়। সেটা স্ত্রী বা পরিবারের আরেক সদস্যের উপার্জন হতে পারে, পাশাপাশি একটা ছোট খাট ব্যবসা বা কাজ হতে পারে।

২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:
শিক্ষা এবং চিকিৎসা দুইটাই এখন ব্যবসায়িক পন্য। আমাদের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে মানুষ কাঙ্খিত সেবা পায়না। প্রাইভেট হাসপাতালের রমরমা ব্যবসা। ডাক্তার বাবুরা প্রাইভেটে কচকচা টাকা পায়। সরকারিতে কেন সময় নষ্ট করবে। কমিশন বানিজ্য বাদই দিলাম। সাথে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেছে।

স্কুল কলেজের সেইম অবস্থা। কার ব্রান্ড কতো ভালো সেই প্রতিযোগিতায় মত্ত। অভিভাবকদের পকেট কাটতে তৎপর। বছর বছর ভর্তি বানিজ্য রমরমা। এসব খাতে কে হাত দেবে? পাছে ভোট নষ্ট হবে।

আর ব্যবসার কতা বলছেন? মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের কড়াল গ্রাসে শিশু আর রুগ্ন শিল্প মার খেয়ে কোমর ভেঙে পড়ে আাছে।

ভালো থাকবেন। হ্যাপি ব্লগিং।

৯| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:১০

রিদওয়ান খান বলেছেন: কামাল বলেছেনঃ 'আমাদের প্রধান সমস্যা ধর্মীয় চিন্তাভাবনা'
ধর্ম তো বলে বিপদে মানুষের পাশে দাড়াতে। অনাহারীর মুখে অন্য দিতে। তাহলে এটা সমস্যা হলো কিভাবে?

ইউরোপের মানুষ কি ধর্মীয় চিন্তা লালন করেনা বলে
আপনার মনে হয়?

১০| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: @ রিদওয়ান খান,ইসলামের কোন গ্রন্থে কোথায় আছে,বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা আছে।রেফারেন্স দিন,ক্রসচেক করে দেখি।
মুসলমান আর মানুষকে আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।মুসলমান ছাড়া বাকিরা পশুর থেকে নিকৃষ্ট।কোরানের কথা।

১১| ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫১

:) :) :) :) :) বলেছেন:

১২| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি অনেকবার আর্থিক সমস্যায় পড়েছি। কিন্তু কখনও কারো কাছ থেকে লোন নেইনি।

১৩| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫২

রিদওয়ান খান বলেছেন: কামাল বলেছেনঃ ইসলামের কোন গ্রন্থে কোথায় আছে,বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা আছে।রেফারেন্স দিন,ক্রসচেক করে দেখি।
মুসলমান আর মানুষকে আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।মুসলমান ছাড়া বাকিরা পশুর থেকে নিকৃষ্ট।কোরানের কথা।

আপনি আসলে কী বলতে চাচ্ছেন? প্রথমে বলছেন ধর্ম সব বিপদের
অন্তরায় (!) এখন আবার ধর্মের রেফারেন্স চাচ্ছেন!


#ধর্মগ্রন্থ মানুষকে নিঃস্বার্থ উপকার করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)
#অন্যের বিপদে সাহায্য করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রয়োজনে সহযোগিতা করো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)
#অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হওয়ার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)

হাদীসে আসছে 'প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সদকা করা ওয়াজিব। একজন প্রশ্ন করলেন, যদি কারো সে সামর্থ্য না থাকে, তবে কি হবে? সাহাবাদের পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায় নবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে কোনো দুঃখে বা বিপদে পতিত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। -মিশকাত

যারা বিপদগ্রস্ত ও গরিব-দুঃখীকে দান করেন আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের জন্য) নিজের উপার্জন থেকে খরচ কর, আমি আমার ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।








১৪| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৩

রিদওয়ান খান বলেছেন: কামাল বলেছেনঃ ইসলামের কোন গ্রন্থে কোথায় আছে,বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা আছে।রেফারেন্স দিন,ক্রসচেক করে দেখি।
মুসলমান আর মানুষকে আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।মুসলমান ছাড়া বাকিরা পশুর থেকে নিকৃষ্ট।কোরানের কথা।

আপনি আসলে কী বলতে চাচ্ছেন? প্রথমে বলছেন ধর্ম সব বিপদের
অন্তরায় (!) এখন আবার ধর্মের রেফারেন্স চাচ্ছেন!


#ধর্মগ্রন্থ মানুষকে নিঃস্বার্থ উপকার করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)
#অন্যের বিপদে সাহায্য করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রয়োজনে সহযোগিতা করো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)
#অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হওয়ার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)

হাদীসে আসছে 'প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সদকা করা ওয়াজিব। একজন প্রশ্ন করলেন, যদি কারো সে সামর্থ্য না থাকে, তবে কি হবে? সাহাবাদের পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায় নবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে কোনো দুঃখে বা বিপদে পতিত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। -মিশকাত

যারা বিপদগ্রস্ত ও গরিব-দুঃখীকে দান করেন আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের জন্য) নিজের উপার্জন থেকে খরচ কর, আমি আমার ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।








১৫| ৩০ শে মে, ২০২৩ রাত ১:১৩

রিদওয়ান খান বলেছেন: কামাল বলেছেনঃ ইসলামের কোন গ্রন্থে কোথায় আছে,বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা আছে।রেফারেন্স দিন,ক্রসচেক করে দেখি।
মুসলমান আর মানুষকে আপনি গুলিয়ে ফেলেছেন।মুসলমান ছাড়া বাকিরা পশুর থেকে নিকৃষ্ট।কোরানের কথা।

আপনি আসলে কী বলতে চাচ্ছেন? প্রথমে বলছেন ধর্ম সব বিপদের
অন্তরায় (!) এখন আবার ধর্মের রেফারেন্স চাচ্ছেন!


#ধর্মগ্রন্থ মানুষকে নিঃস্বার্থ উপকার করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রতিদান কামনা করে দান বিনষ্ট কোরো না।
(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৬৪)
#অন্যের বিপদে সাহায্য করার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, প্রয়োজনে সহযোগিতা করো। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৩)
#অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হওয়ার কথা বলে,
ইরশাদ হয়েছে, যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮০)

হাদীসে আসছে 'প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সদকা করা ওয়াজিব। একজন প্রশ্ন করলেন, যদি কারো সে সামর্থ্য না থাকে, তবে কি হবে? সাহাবাদের পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায় নবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে কোনো দুঃখে বা বিপদে পতিত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে। -মিশকাত

যারা বিপদগ্রস্ত ও গরিব-দুঃখীকে দান করেন আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের জন্য) নিজের উপার্জন থেকে খরচ কর, আমি আমার ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।








আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.