নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মোগল সম্রাট

মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...

মোগল সম্রাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনপ্রতিনিধি (!)

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২১






বিগত কয়েক দশকের রাজনীতিতে নেতা নির্বাচনের কনসেপ্ট জনগণের মাথা মগজে ধীরে ধীরে যে রূপে, যে আকারে পাকাপোক্ত হয়ে গেছে তা আসলেই মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করার মত। আগে জনগনই নেতা তৈরি করত জনগণের ভিতর থেকে। যার মধ্যে সাহসীকতা, দূরদর্শিতা প্রভাবিত করার মত জীবনাদর্শ, মোহনীয় ব্যক্তিত্ব, সততা-ন্যায়পরায়নতা, পরপকারী, সাংগঠনিক জ্ঞান, সহযোগিতামূলক মনণশীলতা, ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতা ইত্যাদি গুণাবলী থাকতো তাকেই জনগণ নেতা হিসেবে মনোনীত করত। তারপরই তাকে জনপ্রতিনিধি হিসাবে আনুষ্ঠানিক নির্বাচন করে পার্লামেন্টে তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য নির্বাচিত করতো।

কিন্তু বিগত দশক গুলোতে যে বিষয়টি আমরা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হবার মতো হয়ে গেছি তা হল নেতৃত্বের ন্যূনতম কোন গুণাবলী থাকুক আর না থাকুক কোন একজনকে কোন একটা পক্ষ বা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

এখন X,Y,Z তিনজনকে A, B,C দল থেকে আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং জনগণকে বাধ্য হয়েই তাদেরকে ভোট দিতে হচ্ছে। যাদের রাজনৈতিক জ্ঞান নেতৃত্বের গুণাবলী কিছুই নাই। আর প্রায় ক্ষেত্রেই এরা কারা? এরা হলো আংগুল ফুলো কলা গাছ হয়ে যাওয়া ধান্ধাবাজ, সিন্ডিকেট করে পয়শা কামানো কালোবাজারি, অবসরে যাওয়া ঘুষখোর আমলা। রাজনৈতিক দলগুলোর গড়ে তোলা মনোনয়ন বানিজ্য নামের যে সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে প্রসার লাভ করেছে তার সরাসরি ফায়দা এরাই লুটছে।

এসব পদ-পদবী কিনে নেয়া লোকজন নেতা বনে গিয়ে দেশের প্রতি, রাজনীতির প্রতি জনমনে প্রচন্ড ঘৃনা এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করছে। যা অদুর ভবিষ্যতের জন্য ভীতিকর!

সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে না পেরে তার রাগটা ঝাড়তে না পেরে যাকে তাকে দিয়ে হলেও এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় বলে মনে হচ্ছে। যার চূড়ান্ত উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ের ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন।

যে সব আবশ্যক গুণাবলীর সমন্বয়ে সাধারণ মানুষ কাউকে নেতা হিসেবে তৈরি করত সেসব গুণাবলী সম্পন্ন মানুষেরা আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাদের হয়তো খুঁজলে অবশ্যই পাওয়া যাবে।

এমনই একটা সিস্টেমের ফাঁদে এখন সাধারন মানুষ আটকে আছে যে মরন ফাদ থেকে সহজে মুক্তি মেলা প্রায় অসম্ভব। কারন গনতন্ত্রের বাই প্রোডাক্ট পুঁজিবাদের করাল গ্রাসে সম্মোহনী নেতৃত্ব তৈরি হবার প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হয়ে গেছে, আদর্শ চর্চার উন্মুক্ত ক্ষেত্রগুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে।

বিদ্যমান বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পালা করে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার অলিখিত চুক্তি গেছে বহু আগে।

ছবিঃ অন্তর্জাল।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: জনগন সচেতন না হওয়া পর্যন্ত এর থেকে বেরিয়ে আসার পথ নাই।জনগনকে সচেতন করার জন্য চাই সচেতন একটা রাজনৈতিক দল,সেটাও নাই।দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হলে সেখান থেকে গড়ে উঠত সঠিক নেতৃত্ব সেটাও হয় না।লুটেরা অর্থনীতি সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

মোগল সম্রাট বলেছেন:



এখন গোটা পৃথিবীর গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য বা অবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। ডেমোক্রেটিক ডিপ্রেশন চলছে।

২| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, কিন্তু এর থেকে উত্তরণের কোন পথ কি আপনার জানা আছে? আমরাতো একটা পাঁকে চক্রে জড়িয়ে গেছি!!!

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

মোগল সম্রাট বলেছেন:


টাকা দিয়ে ক্ষমতা কেনার ধারাবাহিক ঐতিহ্য বন্ধ করতে হবে, গনতন্ত্রকে ধনতন্ত্রে পুরোপুরি কনভার্ট করে ফেলা থামাতে হবে, জনগণের নামে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তর না করা, নাগরিক দেশপ্রেম পুনর্জোরদারকরণ, শাসনকাজ উন্নততর ও বিকেন্দ্রীকরণ, রাজনীতিতে টাকার ভূমিকা হ্রাসকরণ।

আমাদের উচিত হবে সরকারকে অধিকতর জবাবদিহির আওতায় আনা। আমাদের এমন গণমাধ্যম থাকতে হবে যেটা গণতন্ত্রকে অবনমন নয় বরং জোরালভাবে সমর্থন করবে। এসব সংস্কারমূলক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের প্রাণময় স্বাস্থ্যকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বড়ো একটা কমেন্ট লিখেছিলাম। কিন্তু সাবমিট করার আগে ওটা ডিলিট করে এটাই লিখলাম।

১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

মোগল সম্রাট বলেছেন:

বলেন কি মিয়া ভাই? আপনে কিসের ডরে এমন করলেন? ;) জানতে মুঞ্চায়

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন কিন্তু প্রথম প্যারায় যা বলেছেন এখন ঠিক তার উল্টো না হলে নেতা হওয়া যায়না। এটাই এখন বাস্তবতা। আমরা যে পাকচক্রে চড়িয়ে গেছি এর থেকে উত্তরণের উপায় কী?

২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

মোগল সম্রাট বলেছেন:



উত্তরনের পথ তো অনেক আছে। কিন্তু সেই পথে কে বা কারা হাটবে?

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে বাস করতে হলে বোবা হয়ে থাকাই ভালো।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

মোগল সম্রাট বলেছেন:


রা-নু ভাই ঠিক রলেছেন। বোবার কোন শত্রু নাই :(

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

প্রামানিক বলেছেন: বোবা হওয়া বড়ই উত্তম

২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

মোগল সম্রাট বলেছেন:



বোবা হয়ে কতো কাল থাকবো। :(

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ৪০ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার পাওয়া বেশিরভাগই প্রকৌশলী। রাজনীতিকদের বেশিরভাগই ব্যবসায়ী, আইনজীবী বা অন্য পেশার হওয়াও অস্বাভাবিক না। রাজনীতি এখন রাজনীতিকদের হাতে নেই।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

মোগল সম্রাট বলেছেন:



এখনতো নতুন ট্রেন্ড চালু হইছে। দেশের রাজনীতি অন্য মুল্লুকের হাতে। :((

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০২

মুগ্ধ নয়নের আগন্তুক বলেছেন: আমার ইমেইল ও পাসওয়ার্ড আইডি ভুলে গেছি দেখে আমার ব্লগে ঢুকতে পারতেছি না, শুধু আমার ইউজার নেম মনে আছে, এখন কিভাবে আমার ব্লগে ঢুকতে পারি কারো কোন আইডিয়া ?

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: তবে সম্রাট ভাই আপনি আমার সাথে একমত হবেন কিনা জানিনা যে গরীব এবং কম শিক্ষার দেশে ভোট গনতন্ত্র এক রকম আত্মহত্যার মত। কেন বলছি শুনুন, দেশ, সরকার, পদ, অ্থনীতি ,জিডিপি ,রিজার্ভ এসবের প্রতি কোন রকম ধারণা ছাড়াই একটা মানুষ বুড়ো আঙ্গুল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে চলে যাচ্ছে। সে কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অথবা নিজের খেয়াল খুশিতে কোন ব্যক্তিকে পদ থেকে নামিয়ে দিচ্ছে অথবা কোন অযোগ্য ব্যক্তিকে পদে বসিয়ে দিচ্ছে। এটা একটা গরীব দেশের জন্য মারাত্বক হুমকি, কোন এক মন্তব্যে আমি বলেছিলাম ভোটার হবার ন্যুনতম বয়স হোক ২৫ এবং ন্যুনতম শিক্ষা হোক এইচএসসি সনদ ধারী। অন্তত তারা বুঝবে একটা সরকাকের ন্যুনতম দায়িত্ব কি ।

যতদিন পর্যন্ত এই দেশ শিক্ষার হার ৯০ ভাগ পার না হচ্ছে ততদিন নির্বাচন উঠিয়ে দেয়া উচিৎ। অনেকটা রাজতন্ত্রের মত। যে ক্ষমতায় থাকবে তার ক্ষমতা বাড়বে, প্রধানমন্ত্রী বা রাজার ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকবেনা তাতে তার মন্ত্রণালয় সৎ রাখতে পারবে। যেমন আমাদের শেখ হাসিনা দেশের জন্য মায়া আছে কিন্তু অসৎ মানুষ তার চারপাশ ভরে গেছে। তিনি সেসব জানলেও ভোটের ভয়ে সে সব মেনে নিচ্ছে, ঐ দিকে গণতন্ত্রের জন্মদাতারা তো আছেনি, তারাতো শতভাগ শিক্ষিত অবেলায় ক্ষমতা হারানোর ভয় নেই, তার উপর সম্পদ তো আছেই, যদুমধু রামসাম একজন ক্ষমতায় থাকলেই হলো সম্পদের সুসম বন্টনের জন্য, কিন্তু দুর্ভাগ্য না আমার সম্পদ শালী না আমরা শিক্ষিত। ওদের বিলাসি ভোট আমাদের ভিখারী করে দিচ্ছে।

শুভ কামনা

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ শার্দূল।

আমি আপনার সাথে একমত। অশিক্ষিত অসচেতনদের দ্বারা সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেয়া সম্ভব নয়। অন্তত এই অস্থির সময়ে। এক সময় দেখতাম আমার গ্রামের একটা বিরাট অংশ যে প্রার্থীর কাছ থেকে বেশি টাকা পেতো তাকে সকালে গিয়ে ভোটটা দিয়ে আসতো। সে কালোবাজারি না সন্ত্রাসী না ডাকাত সেটা আর বিবেচনায় থাকতো না। ফলে যা হবার তাই হয়েছে।

মাঝেমাঝে মনে হয় দিনকে দিন এদেশে আমি আনফিট হয়ে যাচ্ছি। চুড়ান্ত অসততায় নিমজ্জিত চারপাশের সবাই। কেউ সুযোগে পেয়েছে আর কেউ সুযোগের অপেক্ষা করছে।

শুভকামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.