নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
জাহেদার বয়স কতো আর হবে, এই পয়ত্রিশ ছত্রিশ। স্বামী লিভার সিরোসিসে মারা গেছে। একটা মাত্র মেয়ে। আহা মেয়েটাকে দেখতেই মায়া লাগে। স্বামীর মৃত্যুর পর শশুড়বাড়িতেই থাকতো মেয়টাকে নিয়ে। জাহেদার স্বামী এ বাড়ির মেজো ছেলে ছিলো। আরো দুই ভাই আছে । তাদের সংসার আর শাশুড়ি নিয়েই জয়েন ফ্যামিলি। তিন ভাই তিন রকম ব্যবসা করতো। জাহেদার স্বামীর মটর পার্সের ব্যবসা ছিলো নবাবপুরে। সেই ব্যবসা চালিয়ে রাখার মতো বুজ-ব্যবস্থাও জাহেদার ছিলোনা। তাই ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়েছিলো। একটা সময় ওবাড়িতে কেমন জানি পরগাছার মতো লাগতো জাহেদার। বাপের বাড়ি গিয়ে যে উঠবে সেরকম অবস্থাও ছিলোনা। ভাইয়ের বৌয়েরা সেটাই বা কয়দিন মানবে।
জাহেদা ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত লেখা পড়া করেছিলো। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে গেটের সামনে বসে থাকতে থাকতে এক আপার সাথে ঘনিষ্ঠতার সুত্র ধরে একটা প্রাইভেট হাসপাতালে রিসিপশনিষ্ট হিসাবে চাকরির ব্যবস্থা করেছিলো তখন। কিন্তু হাসপাতাল ম্যানেজারের জ্বালাতনে সে চাকরী যে বেশি দিন করতে পারেনি। জয়েন করার প্রথম থেকেই টের পেয়েছিলো জাহেদা। ব্যাটার মতলক ভালো ছিলো না। জাহেদা আবার বিয়ের কথা ভাবছে কিনা বা কোথাও একদিন ঘুওে আসি চলেন এই টাইপের কথা বার্তা দেখা হলেই বলতো। আর নজরও একদম ভালোনা। ডিউটির সময় কারনে অকারনে ডেস্কের সামনে এসে বুকের দিকে তাকিয়ে থাকতো। বিরাট অস্বস্তি লাগতো তখন জাহেদার। সেই অস্বস্থির কথা কাউকে বলতেও পারতো না।
একদিন সত্যিই চাকরীটা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। আর পারছিলো না। আর রিসিপশনিস্টের চাকরিটা ছাড়ার পর স্থানীয় একটা কিন্ডারগার্টেনে নিজেই চাকরি নিয়েছিলো। বেতন আট হাজার টাকা। সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ডিউটি। কিন্তু সেখানে সমস্যা হলো বেতন ঠিক মতো দিতো না। দিলেও এমাসেরটা ওমাসে, অথবা অর্ধেক এমাসে অর্ধেক আরেক মাসে। ছুটির পর হেডমাষ্টার শুধু শুধু সামনে বসিয়ে রেখে গাল গপ্পো করতো।
তারপর শুরু হলো আরো সমস্যা। অপরিচিত সব নম্বর থেকে রাত বিরাতে কল আসে। কেউ বিয়ের বিষর নিয়ে আলাপ জমাতে চায়। কেউ নোংড়া কথা বলে আলাপ জমাতে চায়। দিনকে দিন কতো নতুন নতুন উৎপাত এসে ঘিরে ধরেছে। একদিন মহল্লার মুদি দোকানদারও জিজ্ঞেস করেছে;
- ভাবী কি করবেন ভাবছেন? কোন ডিসিশন নিবেন কিনা?
- এসব থাক সুরুজ ভাই, পরে না হয় এসব নিয়ে কথা বলবো এখন যা যা বলছি ওজন করে দেন। এমন সব কথা বলে পাশ কাটিয়ে আসতে হতো।
একদিন গ্রামের বাড়ি থেকে জাহেদার মা মোবাইল করে অনেকক্ষন কথা বলেছে। তারও একই কথা।
- এভাবে তো আর জীবন কাটাতে পারবিনারে মা। তোর সামনে পুরো জীবন পড়ে আছে। তোর মামা একটা সম্বন্ধ এনেছে। ছেলের আগের বৌ ডিভোর্স দিয়ে চলে গেছে। তাছাড়া ছেলেদের বিরাট অবস্থা।
- আচ্ছা মা, বিরাট অবস্থা হলেই কি মানুষ ভালো হয়? নিশ্চয়ই ছেলের সমস্যা আছে।
- আরে না, তোর মাামার জানাশোনা আছে বহুদিনের। তারা তোর মেয়ের দায়িত্ব নেবে।
- আচ্ছা একটু ভেবে দেখি।
জাহেদার শশুড়বাড়ীর লেকেরও আপত্তি নাই জাহেদার আবার বিয়েতে।
শেষ পর্যন্ত জাহেদাকে আবার বিয়ের পিড়ীতে বসতে হলো। তেমন ধুমধাম কোন আয়োজন না। একদম ঘরোয়া পরিবেশে। বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে জাহেদা আবিস্কার করলো তার এই স্বামী প্রায় প্রতিরাতে মদ খেয়ে বাসায় আসে। তারপর বেঘোরে ঘুমায়। প্রথম প্রথম বুজতো না। এ নিয়ে একদিন জাহোদা প্রশ্ন করেছিলো মিলনকে;
- কেন এসব খাও ? একটাই উত্তর -দুঃখ ভোলার জন্য।
জাহেদা ভেবেছে হয়তো প্রথম বৌ’কে ভুলতে পারছেনা, এটাই দুঃখ। শুনেছে সেই বৌ নাকি তার পছন্দ করে বিয়ে করা ছিলো। মানে লাভ ম্যারেজ। হয়তো সিনেমার নায়কদের মতো তাকে ভোলার জন্য মদ খায়। কিন্তু মিলনের বাবার তো বিশাল সম্পত্তি। মিলনেরা দুই ভাই। এই দুই ভাইয়ের নামে দু’টো পাঁচতলা বাড়ি লিখে দিয়েছে। কয়েক মাস পর জাহেদা আবিস্কার করলো মিলন এখন পুরোদমে আগের বৌয়ের সাথে আবার মেলামেশা শুরু করেছে। জাহেদা যতবার বাঁধা দিয়েছে ততবার হিতে বিপরীত হয়েছে। দুই দিন গায় হাতও তুলেছে। সাথে কতো অশ্রাব্য গালাগাল। মেয়েটাও ভিষন ভয় পেয়েছিলো।
এরই মধ্যে জাহেদা প্রেগন্যান্ট হয়েছে। প্রেগন্যান্সির বয়স যখন পাঁচ মাস সে সময়ে এতো টেনশন করতে হতো যে মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসতো। জাহেদা কয়েক মাসের জন্য মেয়েকে তার দাদির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলো সে সময়ে। মেয়েটা কোন ভাবেই ঐ বাড়ির কারো সাথে মানিয়ে নিতে পারতো না। সবাই কেমন জানি। সারাক্ষন মনমরা দিয়ে থাকতো মেয়েটা।
ঐ অবস্থায় সপ্তায় দুই তিন দিন বাসায় আসতো না মিলন। জাহেদা কঠিন কোন সিন্ধান্ত নিতেও পারতো না। মা’কে ফোন করে এসব সমস্যার কথা জানিয়েছিলো । মা বলেতো;
- একটু মানিয়ে নে মা। মেয়েদের কতো কিছু মানিয়ে নিয়ে সংসার করতে হয়।
জাহেদা আর কতো মানিয়ে নিয়ে চলবে একটা ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। কে করবে সেই ব্যবস্থা? এসব ভেবে ভেবেই দিন কাটতো জাহেদার। পরের মাসের বারো তারিখে সিজারের ডেট দিয়েছে ডাক্তার। তখনো কুড়ি বাইশ দিন বাকি আছে। একদিন রাতে মিলন আবারো মদ খেয়ে বাসায় এসেছে। জাহেদা জিজ্ঞেস করছিলো;
- তুমি কি এভাবেই চলবে নাকি? নাহ! এভাবে তো আর সত্যিই চলছে না।
- না চললে নাই, তুমি তোমার পথ দেখতে পারো।
এমন সব উত্তপ্ত কথা বার্তার মধ্যেই আগের বৌ’য়ের কল আসলো মিলনের মোবাইলে। রাগে মেজাজটা গজগজ করে উঠেছিলো জাহেদার । মিলনের হাত থেকে মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে লাউড স্পিকারে দিয়ে কথা বলছে জাহেদা বলছে;
- আপনাকে না কতোবার বলেছি মিলনকে আর ফোন করবেন না।
- তোর কি মাগি? আমার স্বামীকে তো কেড়ে নিয়েছিস তুই। দেখিস না তোর কাছে এখন আর শোয় না।
- চুপ কর বেয়াদব মহিলা। তালাক হয়ে যাওয়া ভাতারের সাথে ঘসাঘসি না করলে তোমার ঘুম হয়না, তাই না?
এ রকম উত্তপ্ত বাক্যালাপের এক পর্যায়ে মিলন খাট থেকে টলতে টলতে উঠে এসে জাহেদাকে একটা ধাক্কা মেরে হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিলো। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে জাহেদা উপুড় হয়ে ফ্লোরে পড়ে গিয়ে সাথে সাথে রক্তক্ষরন শুরু হয়েছিলো জাহেদার। টেবিলের কোনায় মাথা লেগে মাথার ডান পাশটাও বেশ খানিকটা ফুলে গেছে। জাহেদাকে হসপিটালে ভর্তি করানো হলো। জরুরী অপারেশনও করতে হয়েছে। কিন্তু সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব হলো না। প্রায় ছয় ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে জাহেদার।
হসপিটাল থেকে রিলিজ নিয়ে জাহেদা আর মিলনের ঘরে ফিরলো না। মায়ের কাছে গিয়ে উঠলো। আগের শশুড়বাড়ি গিয়ে ওঠারও তো কোন অফশন নাই, আর তা হয়ও না । শরীরের ধকল কাটিয়ে উঠে প্রায় ছয় মাস পর জাহেদা নিজেই ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে মিলনকে।
জাহেদার স্কুল জীবনের বান্ধবী ‘পুতুল’ নিউ মার্কেটে একটা লেডিস টেইলার্সের মালিক। এই বান্ধবীই জাহেদাকে বিপদে আপদে দুই চার কথা বলে মানসিক সাপোর্ট দিয়েছে বিভিন্ন সময়। পুতুলের পরামর্শে জাহেদা তার টেইলার্সে প্রতিদিন সময় দেয় । এখানে একজন কাটিং মাষ্টার আছে তবে সে খন্ডকালীন। দিনের একটা নির্দ্দিষ্ট সময়ে এসে কাপড় কেটে দিয়ে চলে যায়। আর কারিগর দু’জন পার্মানেন্ট। দু’জনই মহিলা। পুতুল কাষ্টমারের কাছ থেকে ওয়ার্ডার নেয়া এবং তা সময় মতো ডেলিভারি দেয়া সহ হিসাব নিকাশ সামলায়।
পুতুল চায় এই টেইলার্সটা জাহেদাকে দিয়ে সে তিন মাস পর স্বামীর সাথে ইউরোপের দেশ ইটালি চলে যাবে। পুতুলের স্বামী বহুবছর ইটালি থাকে। যতোদিন কাগজপত্র ঠিক হয়নি ততোদিন পুতুল এই টেইলার্সটা চালাতো। মাসে যে ইনকাম হয় তাতে একটা সংসার ভালোভাবে চলতে পারে। জাহেদা এই কয়মাসে মন দিয়ে ব্যবসার সব কিছু শিখে নিয়েছে।
ঠিকই একদিন পুতুল জাহেদাকে টেইলার্সটা বুজিয়ে দিয়ে স্বামীর সাথে ইটালি চলে গেলো। জাহেদা এখন নিয়মিত টেইলার্সে বসে। ঢাকায় দুই রুমের একটা বাসা ভাড়া নিয়েছে। মেয়েকেও তার দাদির কাছ থেকে নিজের কাছে এনে পাশের একটা স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। এখন পেছনের দিকে তাকালে মনে হয় একটা বিরাট মরুভুমি পাড়ি দিয়ে শ্যামল বনানীর দেখা পেয়েছে জাহেদা।
ইদানিং নতুন করে কিছু খুচরা উৎপাত আবার শুরু হয়েছে। এই ভবনের প্রতিবেশিরা তাকে নিয়ে কানাকানি করে। কেমনে একা থাকে, দোকানের নাম করে কোথায় যায়, রাতে বারান্দায় এসে কার কাথে কথা বলে, ইত্যাদি আরো কতো কি। তবে জাহেদা এখন কঠিন হতে শিখেছে। জীবনের কতো রকম প্রতিকুলতা আর কতো সংগ্রাম করে আজ এখানে এসে দাড়িয়েছে। ফিরে এসেছে মৃত্যুর দুয়ার থেকেও । সে এখন জানে কাকে কি ভাবে মোবাকিলা করতে হয়।
আসলে জাহেদা আমার মামাতো বোন। গত দুই দিন সে আমার বাসায় বেড়াতে এসেছে। নারায়নগঞ্জ থেকে আরেক খালাতো বোনও এসেছিলো বাসায়। শুক্রবার শনিবার আমার অফিস বন্ধ তাই জমিয়ে আড্ডা মেরছি খালাতো মামাতো ভাইবোন মিলে। জাহেদা তার জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া গল্প গুলো বলতে বলতে নিজে কেঁদেছে আমাদের চোখেও জল এনেছে গত দুই দিনের আড্ডায়।
এই মাত্র ছোট ছেলেটা আমার মোবাইল হাতে নিয়ে দৌড়ে সামনে এলো , - বাবা তোমার ফোন। আমি মোবাইলটা নিয়ে বারান্দায় এসে কথা শেষ করে কতোক্ষন দাড়িয়ে আছি। জাহেদার আজকের বিকেলে আড্ডায় জাহেদার কথায় গলাটা ধরে আসছিলো। তাই জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে ড্রইং রুমে এসে বললাম - চল আজ সবাই মিলে পুরান ঢাকার কাবাব আর বিরিয়ানি খেতে যাবো । বাচ্চারা এটা শুনে হৈ হৈ করে উঠলো। জাহেদার মেয়েটাও আমার বাচ্চাদের সাথে হাসছে , হাসছে জাহেদাও। কিন্তু জাহেদার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে আর ওড়না দিয়ে সে চোখ মুছে নিচ্ছে একটু পরপর।
আমি জাহেদার দিকে তাকিয়ে কনফিউজড হয়ে ভাবছি এটা কি জাহেদার দুঃখের অশ্রু না আনন্দ অশ্রু।
ঢাকা,
১৪ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
শুভকামনা নিরন্তর।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবিটি সুন্দর।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ জানাই।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: আমাদের দেশের মেয়েদের মতো অসহায়, করুন মুখ আর কোথাও দেখেছি কিনা জানিনা। কত কষ্ট-গঞ্জনা-লাঞ্জনা সয়ে কেউ কেউ হাসিমুখে দিনের পর দিন যে পার করে দিচ্ছে, তার খবর কে রাখে।
ধন্যবাদ, সম্রাট - ঘটে যাওয়া শত শত ঘটনার মধ্যে এমন একটা ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লাগছে এটা জেনে যে, শেষ পর্যন্ত জাহেদা কিছু করতে পেরেছে নিজের জন্য। সবাই পারে না।
শুভকামনা রইলো জাহেদা এবং আপনার - দু'জনের জন্যেই। ভালো থাকবেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।
চারপাশে হাজারো জাহেদা এর চাইতেও কতো রকম সমস্যা নিয়ে আছে। এই গল্পটা তার কিঞ্চিৎ মাত্র উপস্থাপন।
শুভকামনা নিরন্তর।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব ঘটনা মনে হলো।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার পোষ্ট আমি পেলেই পড়ি, আর আমি যেসব পোষ্ট গুলো পড়ি সেখানে আমি কিছু যোগ করতে পারি কিংবা ভিন্ন মতামত ও দাড় করাই কিন্তু জাহেদার জীবনে যা ঘটে গেছে এখানে যোগ করার কিছু পাইনি। জাহেদার জীবনে যা ঘটে গেছে সেখানে জাহেদার নিজের কোন হাত নেই।সে যা করেছে তা তার সেরাটুকুই করেছে। তাই জাহেদাকে নিয়ে আমার কোন কথা নেই। বিধাতা মানুষকে কষ্ট দিয়ে কিছু বিষয় বুঝতে চেষ্টা করেন। আমি একজন বিশ্বাসী হিসেবে বলতে পারি বিধাতা তাকে কোথাও কিছু দিয়ে কষ্ট ভুলিয়ে দিবেন।
এমন সব ঘটনায় সমস্যায় পড়ে যায় বাচ্চা গুলো, ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চা গুলো মানসিক ট্রমায় পড়ে। আর ফ্যমিলি ভেঙ্গে যাওয়া শুধু নয়, পরিবার এর ঘটে যাওয়া যে কোন অপ্রিতিকর বিষয় ও ৫/৬ বছরের বাচ্চারা প্রভাবিত হয় আর মানুষ কিন্তু সেখান থেকেই শুরু করে সেগুলৈ ধারণ করে আজীবন। আমি খুব ভাবতাম যে একি মা বাবার ৫ সন্তান কেন ৫ রকম হয়। আশে পাশে এমন বেশ কয়েকজন নিয়ে আমি ভাবতে শুরু করি। কেন তার মা বাবা এবং অন্য ভাই বোন এত ভালো তিনি কেমন এমন ছোট মনের হয়ে উঠলেন। অবশেষে অবাক হয়ে দেখলাম পরিবারে ঘটে যাওয়া অনেক ছোট ছোট মন্দ বিষয় গুলো এমন বয়সের বাচ্চারা লুফে নেয় অথবা তাদের ভাবনার জগৎ পুরোটাই বদলে দেয়।
সেই নিয়ে পরের মন্তব্যে আসছি ....এখন একটু ক্লান্ত লাগছে আমার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
প্রামানিক বলেছেন: বাস্তব কাহিনীর মতো মনে হলো