নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
(১)
আর আধঘন্টা পুলিশ আসতে দেরি করলে হয়তো আর বাচাঁনো যেতো না দুইজনের কাউকেই । ভাগ্যিস পুলিশ এসে উদ্ধার করে কোমরে দড়ি দিয়েছিলো। গ্রাম বাসির মার সামাল দেয়া খুবই কঠিন। যার হাতে যা ছিলো তাই দিয়ে মেরেছে। কদম আলীর মাথা কেটে গিয়ে দরদর করে রক্ত ঝড়ছে। সে রক্তে গাল বেয়ে পরনের জামাও ভিজে জবজব করছে। আর কালামের পা নিশ্চিত ভেঙ্গে ফেলেছে। পায়ে ভর দিয়ে হাটতেই পারছেনা। কোন রকম একজন কনষ্টেবলের ঘাড়ে হাত দিয়ে হেটে হেটে পুলিশের ভ্যানে গিয়ে বসেছে। একজন পুলিশের লোক দুজনেরই কোমরে দড়ি ধরে সামনের বেঞ্চে বসে আছে।
কদম আলী আর কালাম গত রাতে সুশান্ত বাবুর গোয়ালে ভোর রাতে ঢুকে দু’টো ষাড় চুরি করে সুপারির বাগানের ভিতর দিয়ে যাবার সময় কালুর বাপের হাতে ধরা পড়েছিলো। কালুর বাপ সারা রাত বিলে একহাতে টর্চলাইট আর এক হাতে কোচ/বর্ষা নিয়ে মাছ ধরে বাড়ি ফেরার সময় দুজনকে দেখ ফেলে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে ফেলেছিলো। তারপরই সেই রাম ধোলাই খাওয়া।
কদম আলী গরু চুরির মামলায় জেল খেটে এসে গ্রামের ভিটা মাটি সব বিক্রি করে দিয়ে হিলট্রাকে চলে গেছে আর এ গ্রামে ফেরেনি। আর কালাম ঢাকায় চলে আসে। গ্রামে আর মুখ দেখানোর উপায় ছিলোনা। গরু চোরের খেতাব পেয়ে গ্রামে থাকা আসলেই মুশকিল।
ঢাকায় এসে এক মাজারে মাস খানেক ছিলো। পাশেই আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল হওয়ায় দুরপাল্লার যাত্রিদের ব্যাগ চুরি, মোবাইল চুরি, পকেটকাটার কাজও করতো। পুরোনো ট্রেনিং তো আছেই। কিন্তু কপালে সেটাও সইলোনা বেশিদিন। একদিন পকেটমারতে গিয়ে আবারো ধরা পড়লো কালাম। কিল-ঘুসি, চড়-থাপ্পড় খেয়ে কোন মতে দৌড়ে পালিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা হয়েছিলো। কালাম বসে বসে ভাবছে; -নাহ এভাবে আর হয়না।
গফুর ড্রাইভারের সাথে চুক্তি করে লোকাল বাসের হেলপারের চাকরি নিয়ে ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিলো। মাস ছয়েক পর হেলেনাকে বিয়ে করে সংসারও শুরু করেছে। বছর ঘুরতে না ঘুরতে কালাম হেলপার থেকে পাক্কা ড্রাইভার। এখন সে গাজীপুর টু সায়দাবাদ রুটের বাস চালায়। মালিকের জমা, হেলপারের বেতন এবং রাস্তার চাঁদা দিয়েও ডেইলি এক দেড় হাজার টাকা প্রতিদিন ইনকাম।
গত এক বছর যে গাড়িটি ভাড়া নিয়ে চালাতো সেই গাড়ির মালিক মারা যাবার পর একদিন ইচ্ছে করে রোড ডিভাইডারের উপর তুলে দিয়ে একপাশ ভেঙ্গে ফেলে কালাম। তারপর গাড়ির মালিকের ছেলের কাছ থেকে তিন ভাগের একভাগ দাম দিয়ে কিনে নিয়েছিলো কালাম।
সেই গাড়ির ইনকাম দিয়ে এখন কালামের তিনটা বাস আর দু’টো লেগুনা এবং পাচঁখান রিক্সার মালিক। রেলওয়ের একটা অবৈধ যায়গায় টিনশেড তুলে ভাড়া দেয়াও আছে। মহল্লার ছিচকে নেতা, পাতি নেতাদের সাথে ওঠা বসা, ওয়ার্ড কমিশনারের সাথে ঘোড়াঘুরি আর সালিশ দরবারে কোথায় নেই কালাম। শুক্কুরবারে মসজিদে ইমাম সাহেব ‘মারহাবা কালাম ভাই দুই হাজার টাকা দান করেছেন জোরসে বলেন আলহামদুলিল্লাহ’ মুসল্লিদের বলতে বলেন।
বাস টার্মিনালের আশপাশের ফুটপাত আর ভ্রাম্যমান দোকানের চাঁদা তোলার ইজারাটাও কমিশনারের কাছ থেকে বাগিয়ে নিয়েছে। প্রতিদিন সবাইকে দেয়ার পরও ত্রিশ হাজার টাকার মতো থাকে কালামের। জন পাঁচেক স্থানীয় নেতাও সেই টাকার ভাগ পায়। এখন কালাম মোটামুটি এলাকার অতি পরিচিত মুখ। মসজিদ কমিটির সদস্য পদও গত মাসে পেয়ে গেছে।
একবার সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় ঐ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নমিনেশন নিয়ে ব্যাপক গ্রুপিং। সাবেক কমিশনার বজলু মিয়াই আবার নমিনেশন পাবার সম্ভাবনা খুব বেশি কারন তিনি বিপুল জনপ্রিয় ছিলো ঐ ওয়ার্ডে। সেইবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হন বজলু মিয়া। প্রতিপক্ষ গ্রুপের প্রার্থীই নমিনেশন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে যায়। কালামের হাত থেকে চলে যায় চাঁদা তোলা বাস টার্মিনালের ইজারা সহ অনেক ইনকামের সোর্স। তারপরও কালামের সহায় সম্পত্তিতে কোন প্রভাব পড়েনি বরং সম্পত্তির তালিকা আরো বড়ো হয়েছে। বাস, লেগুনা আর রিক্সার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি শহরের ভালো একটা এলাকায় পাঁচ কাঠার প্লট কিনেছে কালাম।
সিটি কর্পোরেশন থেকে এবার বাস টার্মিনাল ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবার পরই বিরাট লবিং শুরু করেছে কালাম তবে তার প্রতিপক্ষ বর্তমান কমিশনার কিসলু। তাকে সামলাতে পারলে নিশ্চিত বাস টার্মিনালের ইজারাটা পেয়ে যাবে। কিন্তু তাকে ঠেকানো যাবেনা। তাছাড়া দুইজন গানম্যান কিসলুর বডিগার্ড তাই অন্য পথে হাটার চিন্তা করছে কালাম।
(২)
প্রায় দেড় যুগ ধরে নিজ গ্রামের সাথে কোন যোগাযোগ ছিলোনা কালামের। এই মুহুর্তে তার ওস্তাদ বাদল মন্ডলকে দরকার ছিলো। একসাথে কতো ডাকাতি করতে গিয়েছে সুন্দরবনে। সাক্ষাৎ আজরাইল। বুকে নল ঠেকিয়ে চোখের সামনে কতোজনকে গুলি করে মারতে দেখেছে। একবার ওস্তাদকে খবর দিলে কেমন হয়, বসে বসে ভাবছে । ওস্তাদ কি বেঁচে আছে? থাকলেও ওসব কি আর পারবে এখনো? নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়।
ওস্তাদ বাদল মন্ডল গত তিনদিন ধরে কালামের বাসায় ছিলো। আজকে রাতের শেষ গাড়ীতেই গ্রামে চলে গেছে। কালাম ফজরের নামাজ মসজিদে আদায় করে ইমাম সাহেবের সাথে বসে মসজিদ উন্নয়নের জন্য এক লাখ টাকা দান করার নিয়তের কথা আলাপ করছে। এমস সময় মুযাজ্জিন সাহেব ছুটতে ছুটতে মসজিদের এসে ইমাম সাহেবকে বলছে;
- হুজুর, একটু আগে পুলিশ আইসা কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে মহল্লার ক্লাব রুম থিকা। মাইকে শোক সংবাদ ঘোষনা করতে কইছে সেক্রেটারী সাব।
দুই জনেই সমস্বরে বলে উঠলো; - ইন্না লিল্লাহ.. ..রজেউন।
কালাম এখন গরীবের বন্ধু। ঢাকায় চারটা বাড়ি, এক ডজন দুরপাল্লার বাস, দশটা ট্রাক, বাসটার্মিনালের পার্মানেন্ট ইজারাদার, মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ বিপুল অর্থ বৈভবের মালিক। হজ্ব ওমরাহ সবই পালন করা হয়ে গেছে। গায়ে সবসময় ফিনফিনে সাদা পানজাবী আর রংকরা চাপ দারি। এলাকার কাউন্সিলর এখন তার কাছে শিশু। কিন্তু কালাম কোন দিনই এলাকার কাউন্সিলর হওয়ার জন্য ইচ্ছেই করেনি। তার স্বপ্ন আরো বড়ো। শিল্পপতি হবার স্বপ্ন। এজন্য একটা গার্মেন্টস কেনার জন্য কথা মোটামুটি ফাইনাল। ব্যাংকের লোনটা মঞ্জুর হয়ে গেলেই নামের আগে শিল্পপতির খেতাব অটোমেটিক এসে যাবে।
(৩)
শিল্পপতি হবার পর তার ব্যবসার পরিধি আরো বেড়েছে। শিল্পপতিদের সংগঠনের সদদস্য পদও পেয়ে গেছে। আমদানীকারকের লাইসেন্স করে ভারত থেকে নিত্য পন্য আমদানী করছে। এজন্য চট্রগ্রামের খাতুন গঞ্জে বিরাট গুদাম ভাড়া করা আছে। সর্বশেষ একটা বেসরকারী ব্যাংকের শেয়ার কিনে ডিরেক্টরশীপ পেয়ে গেছে। কতো লোক এখন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।
কালাম তার নামের আগে আলহাজ্ব আর পরে চৌধুরী লাগিয়ে নিয়েছে। আর দামি গাড়ী কিনেছে সেই কবে। দুই হাজার চৌদ্দ সালের জাতীয় নির্বাচনে যখন সরকার আর বিরোধীদলের তুমুল আন্দোলন চলছে। তখন প্রতিদিন রাজপথে জ্বালাও পোড়াও হচ্ছে। পোট্রোল বোমায় কালামের দু’টো গাড়ি পুড়ে ছাই। বিরোধী দল গুলো নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু সরকারি দল তার অবস্থানে অনড় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রিও শুরু করে দিয়েছে। আলহাজ্ব কালাম চৌধুরী সেবার সেই সুযোগটাই নিয়ে নিয়েছে।
বিপুল পরিমান টাকা দিয়ে সরকারী দলের মনোনয়ন কিনে সেবার বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় এমপি নির্বাচিত হয়ে গেলো। সেই থেকে টাকা দশ বছর সংসদ সদস্য হয়ে কাটিয়ে দিয়েছে নির্বিঘ্নে। কালাম চৌধুরী এখন একাধারে এমপি, শিল্পপতি, ব্যাংকের পরিচালক, বাস মালিক সমিতির সভাপতি, মসজিদ কমিটির সভাপতি আর ঐ এলাকার স্কুল কলেজগুলোর সভাপতি তো অটোমেটিক হয়ে গেছে।
এখন স্কুল কলেজের নিয়োগে, ঠিকাদারী কাজে তার ভাগ অবধারিত। আর ব্যাংকের পরিচালক হবার সুবাধে নামে বেনামে প্রতিষ্ঠান খুলে তার ঋন নেয়া, আবাসন প্রকল্পের নামে সরকারি খাসের জমি দখল করে প্লট বেচা, হাট বাজারের ইজারা সহ বানের জলের মতো চতুর্দিক থেকে পয়শা আসছে কালামের হাতে। সেই কাড়ি কাড়ি টাকা পাচার করে দুবাইতে হোটেল করেছে। কানাডায় বাড়ি কিনেছে। স্ত্রী ছেলে মেয়েরা এখন সব বিদেশে থাকে। বিভিন্ন দেশে টুর দিয়ে বেড়ায়।
(৪)
এতো দিন নিশ্চয়ই গ্রামে তার গরু চুরির ঘটনা কারো মনে থাকার কথা না। তবুও কালামের মনে অজানা সংশয় সব সময় কাজ করে। নিজ গ্রামে গিয়ে যদি শোনে সে একদিন গরু চুরি করে গ্রাম ছাড়া হয়ে ছিলো তখন তার এই নাম যশ, খ্যাতি সব শেষ হয়ে যাবে। অবশ্য সেই সময়ের অনেকেই হয়তো আর বেচে নেই। তাছাড়া গ্রামে গেলে তার সাথে প্রটোকল হিসাবে পুলিশ থাকবে, নিজস্ব গানম্যান থাকবে। আর গ্রামের লোক ওসব মনে করার সাহস পাবেনা ।
কালামের শুধু মনে হচ্ছিলো, সুশান্ত বাবুকে একবার ধন্যবাদ দিয়ে আসি। যদি সেদিন তার গরু চুরি করে গ্রাম ছাড়া না হতাম তাহলে আজকের এই সব কিছুই হতো না হয়তো। কিন্তু সুশান্ত বাবুও করোনায় মরে গেছে সে খবরও পেয়েছে।
প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর এযাবৎ চৌধুরী সাহেব (!) আরো তিনটা বিয়ে করেছিলো। দু’টো বউ এখনো আছে। দ্বিতীয় বউটা পরকীয়া করে এক ড্রাইভারের সাথে পালিয়ে গিয়েছিলো। এখন তিন সংসারে পাঁচটা ছেলে আর তিনটা মেয়ে। প্রত্যেকের নামে আলাদা আলাদা বাড়ি লিখে দিয়েছে কালাম।
কিন্তু কালাম এবার তার সর্বশেষ নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন পায়নি। গোয়েন্দা রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে। তবুও কালাম বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে এবার নির্বাচনে জিতে এসেছে। প্রচুর টাকা ব্যয় করেছে। তার প্রতি-মন্ত্রী হবার সম্ভাবনা খুবই বেশি। লাইন ঘাট ভালো হলে ফুল মন্ত্রিও হয়ে যেতে পারে।
আলহাজ্ব আবুল কালাম চৌধুরীর জন্য এখন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর মসজিদে তার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়ে । মহল্লার জ্ঞানী-গুনিজন সেই মোনাজাতে আমিন আমিন বলে মজলিস ভারি করে।
ঢাকা,
২৭ পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
বিঃদ্রঃ (পোষ্টের সকল চরিত্র স্থান কাল পাত্র সম্পুর্ন কাল্পনিক। কারো সাথে হুবহু বা আংশিক মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মুরব্বি, এইডা কেমন প্রশ্ন করলেন?
আইচ্ছা আফনে কইঞ্চেন দেহি, কুন দলে এই টাইপের আইটেম নাই?
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ অসত্য, অবাস্তব, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত গল্প। কোনো গোরুচোর কখনো --- হতে পারে না। তেব্র প্রতিবাদ গেপন করিতেছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
বর্তমানে কুয়েতের জেলে একজন সাজা খাটিতেছে । উনিও তো শুনছিলাম বিদ্রোহী প্রার্থী আছিলো
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: অন্য চিত্র আছে।একসময়ের গ্রামের প্রতাপশালী লোক এখন কমলাপুরে ক্ষিক্ষা করে।আমার নিজের দেখা।স্বচেতন মানুষের উচিত ,দুটি চিত্রই বন্ধ করা।কেউ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ না হয়,কেউ ঝড়ে সর্বশান্ত না হয়।সমাজের এই সব চিত্র বন্ধ করতে হবে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
এবার ইলেকশনের আগে পত্রিকা থেকে জানলাম একেক জনের তিনশো চারশো গুন সম্পদ বারছে ৫/১০ বছর ব্যবধানে। তব্দা খাওয়ার মতো খবর। আঙ্গুল ফুলে শুধু কলাগাছ না পুরা একশো বিঘার কলার বাগান হয়ে গেছে।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: অনেকটা ৪২০ নাটকের কিসলুর মতন।
একদম ঝরঝরে লেখা, গরু চোর কামালের সাথে আমরা যেন তার পুরো জীবন ঘুরে এলাম।
জীবন কাকে কোন অবস্থা হতে কোন অবস্থায় নিয়ে পৌঁছে দেয়, বোঝা মুশকিল।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখাগুলোর কয়েকটি পড়েছি। আপনার লেখার হাতও ভালো।
আসলে আমি একটু আধটু চেষ্টা করছি লেখালেখি করতে। কিন্তু হাত পাকাতে হলে মনে হচ্ছে আরো একটা লাইফ লাগবে। মানে লাইফেরএকটা রিসেট বাটন থাকলে হয়তো চাপ দিয়ে রিসেট করে আবার চেষ্টা করতাম।
শুভকামনা নিরন্তর।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: *কালাম
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হুমমম বুজতে পেরেছি।
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: কিছু মিলিতেছে আবার কিছু মিলিতেছে না- অনেকটা ঐতিহাসিক উপন্যাসের মত
যাক গল্পটা ভাল- কিছু মানুষের বাস্তব জীবনের সাথে মিলে যেতেও পারে।
* পুরো লেখাটা বর্তমান কালে লেখা। যেমন; প্রায় দেড় যুগ ধরে নিজ গ্রামের সাথে কোন যোগাযোগ নাই কালামের। এখানে যদি বলা হত; প্রায় দেড় যুগ ধরে নিজ গ্রামের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না কালামের। কিংবা গফুর ড্রাইভারের সাথে চুক্তি করে লোকাল বাসের হেলপারের চাকরি নিয়ে ভালোই দিন কাটছে এখন কালামের। বেশ ভালই দিন কেটে যাচ্ছিল লিখলে ভাল বোঝা যেত কাহিনী চলমান। এট আমার পড়ার সময়ে মনে হয়েছে, মনে হচ্ছিল এর পরে আর কিছু ঘটেনি। অবশ্য কিভাবে লিখবেন কি লিখবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার স্বাধীনতা- আমার মতামত জানালাম।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় তপন ভাই। এডিট করে দিয়েছি।
আসলে লেখাটা ভালো করে রিভিউ করা হয়নি একদমই। টাইপ করার পরই পোস্ট করে দিয়েছিলাম। আর আমি এই লাইনে একদম নাদান বলা যায়। স্বাধীনতা টাধিনতার খাতায় আগুন দিলাম। আপনাদের মতো গুনি ব্লগারদের পরামর্শ সব সময় আমার কাছে শ্রদ্ধার। অনেক ভালো লাগলো ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়াতে।
গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
গল্পটা শুরুর দিকে বুঝতে পেরেছি কোনদিকে যাচ্ছে।
যা ভেবেছি তাই, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তব ঘটনা।
তবে হ্যাঁ 420 নাটকে কিন্তু এভাবেই গ্রামের চোর কিসলু এই গল্পের একজন কালামে পরিণত হয়।
আমাদের সমাজে যতদিন এসব কালামরা রাজত্ব করবে, ভালো মানুষদের দুর্দিন থাকবে।
সম্রাটের ঝরঝরে লেখা পড়তে ভালো লেগেছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ মিরোরাপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ৪২০ নাটক আমার দেখা হয়নি। সময় করে দেখবো কোন এক দিন। আমাদের আশপাশে এরকম কালামের অভাব নেই। তরতর করে চোখের সামনে দেখেছি হঠাৎ ফুলে ফেঁপে উঠেছে। অনেকেই সেসব লোকদের সামনে কিছ বলেনা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য। আর এই সুযোগে এধরণের মানুষেদের উত্থান ঘটছে সমাজে রাষ্ট্রে কিংবা পরিবারে।
বরাবরের মতো আমার পোস্টে আপনার কমেন্টে আনন্দিত হলাৃম।
শুভকামনা জানবেন।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাই ছোট বেলায় একবার ডিম ও আলু চুরি করছিলাম। ধরাও খাইছিলাম। কোন একটা ভ্যাকেশনে গ্রামে গেসিলাম। চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে কয়েকজন মিলে এই চুরি। কিন্তু আমাকে কেউ মুরগী বা ডিম চোর বলেনা।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ গোফরান ভাই।
কৈশরে গ্রামে শীতের রাতে খেজুরের রস চুরি করে পায়েশ খওয়া, নারকেলের গাছ থেকে ডাব চুরি করা, মুরগী চুরি করে চড়ুইভাতি করা এগুলো কমন স্মৃতি।
শুভকামনা নিরন্তর।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি আপনার এই পোষ্ট পড়ে খুব হাসছি, মজার বিষয় হলো আমার খুব খুব এক আপনজনের উত্থান অনেকটা এই রকম, যদি ওনার নাম এখানে বলতে যাই তো আমার সোয়া বারটা বেজে যাবে, উনি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য বর্তমানে, ছোট কালে পড়ালেখায় মন ছিলোনা, নিজের ঘরের জিনিসপত্র চুরি, ধান চুরি গাছের ফল চুরি এসব তার অভ্যাস ছিলো, দাদা ভাই একদিন ধরে নারকেল গাছের সাথে বেধে রেখেছিলো সারা রাত। জেদ করে বাড়ি থেকে সেই যে পালিয়েছে একদম এমপি হয়ে ফিরেছে। সায়েদাবাদ এ রাতের বেলায় বাস ওয়াশ থেকে তার জীবন শুরু।
বাংলাদেশের নেতা মন্ত্রী শিল্পপতিদের প্রায় সবার এমন দশা, যুমনার বাবুল সাহেব , পারটেক্স এর হাসেম সাহেব সহ বাঘা বাঘা মানুষরা উঠে এসেছে খুব ছোট পরিসর থেকে। ভয়ে নেতা মন্ত্রীদের নাম নিলামনা। হাহাহা
পৃথিবীর মধ্যে আমরাই ভাগ্যবান মানুষ যে নিজের ভাগ্য নিজেই বদলাতে পারি। মনে করেন রিক্সায় বসে আছেন আর গুলশান রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন এমনি সময় যদি আপনার রিক্সার চালক বলে ফেলে যে একদিন এই ওয়েষ্টিন হোটেলের মালিক হবো আমি দয়া করে অবিশ্বাস বা হেসে উড়িয়ে দিবেননা। সব সম্ভবের দেশে বাংলাদেশ। কেউ কারো যোগ্যতা ক্ষমতা নিয়ে চিন্তিত নন। টাকার গায়ে যে লেখা থাকে- চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্যে থাকিবে এমন অবস্থা। রুচির সাথে, মনের সাথে মেধার সাথে ভাবনার সাথে, বিশ্বাসের সাথে কিছু মিলুক আর না মিলুক আমরা নিজেকে সব কিছুর সাথে মিলিয়ে ফেলতে পারি। আমরা কবিতা না পড়ে না লেখে দাড়ি দিয়ে সাদা পাঞ্জাবী আর কাধে থলে ঝুলিয়ে কবি হতে পারি, বিদেশের মাটিতে পা রাখতেই হয়ে যেতে পারি ওয়েষ্টার্ন কালচারে এম্বাসেডর, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই শুরু করি বিবর্তন মানে মানুষ বানর থেকে আসছে এই নিয়ে আজগুবি বক্তিতা। সামনের তিন পুরুষ খেতে পারে এমন সম্পদ জমা হলে হয়ে যাই নাস্তিক।ফ্রি মাইন্ড বা স্বাধীনতার নামে পেন্টি ব্রা পড়ে সী-বিচে চিৎপটাং। কবি কবিতা দিয়ে হয়ে যেতে পারি ভার্চুয়াল গর্বিত পিতা। দাড়ি রেখেই বনে যাই বেহেস্তের ঠিকাদার। এমন সব আজগুবি মানুষের জন্মস্থান আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি সোনার বাংলাদেশে।
গত দুদিন ধরে শরিফা নিয়ে আমাদের ব্লগে যেই যুদ্ধ চলছে তা দেখে আমি মুগ্ধ। শরিফ শুধু তার অঙ্গহানী বা অঙ্গযোগে শরীফা হয়েছে কিংবা মনের উথাল পাথাল ঘুর্নি ঝড়ে ।কিন্তু সমাজের সুস্থ্য মানুষ গুলো পুরো চরিত্র বদলিয়ে ফেলেছে এর পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিতে। আমি শত চেষ্টা করেও এই নিয়ে একটা লাইন বলতে পারিনি কারো পোষ্টে, হয়ত আমার জ্ঞানের সীমাব্ধতা নয়ত আমার বিচার বোধ দায়ী।
প্রায় অনেকেই দেখেছি হিজড়া এবং ট্রান্সজেন্ডার দুটোকে গুলিয়ে ফেলেছে, বেশিভাগ মানুষ এই বিষয়টার বিশাল পার্থক্যটাই জানেনা কিন্তু নিজের খেয়াল খুশিতে মন্তব্য করেই যাচ্ছে মিডিয়াতে।
ইউসুফ হলো আমার এক বড় ভাইয়ের ব্রাদার ইন ল। ৭ বোনের পরে তার জন্ম। ৭ বোনের চোখের মনি মনের মনি না হলেও তাকে দিয়ে পরিবার থেকে স্বার্থ উদ্ধারে সব বোনের উচ্ছাস উল্লাস আগ্রহ ব্যবহারের সীমা ছিলোনা, তাকে ছোট বয়সে ঠোটে লিপিস্টিক লাগিয়ে দিতো, বোনদের জামা পড়িয়ে দিতো, চোখে কাজল লাগাতো, ইভেন নখে নেইল পলিশ। ছেলে হয়েও ইউষুফ ধিরে ধিরে মেয়েদের মত চলা বলা ফ্যশান অনুসরণ ভালবাসতে শুরু করে। বাথরুমে বসে কোমড় মাঞ্জন পায়ের পাতা মাঞ্জন সহ ২ ঘন্টার বেশি সময় লাগায় ইউসুফ। ইউসুফের কথা বলার সময় মেয়েদের মত একটা বিশেষ ভঙ্গীমায় হাত নাড়া চোখ ঘুরানো, ঠোট বাকানো দেখে যে কেউ তাকে হিজড়া বলেই ভাবতো, ইন্ফ্যক্ট আড়ালে পিছনে এই নামেই ডাকে। তবুও পরিবার হাল ছাড়েনি। হাল ছাড়েনি তার বিয়ে করা বউ। ধিরে ধিরে ইউসুফ কে পুরুষে ফিরিয়ে এনেছে তার বউ। ইউসুফ এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন সহ ২ সন্তানের জনক। বাসর রাতে আমাকে ফোন করে বলে বেয়াই আমি কি করবো আমার হাত পা কাপছে, বুক কাপছে। আমি বল্লাম ঘোমটা দিয়ে খাটে বসে থাকেন, বউ এসে ঘোমটা খুলে যা করার করবে । আপনার কোন চিন্তা করতে হবেনা আজকাল মেয়ে গুলো অনেক মেধাবি সাহসি। অনেক মডার্ন। আপনাকে ধর্ষণ করে ছেড়ে দেবে যতই আমি জামাই জামাই বলে চিল্লাচিল্লি করেন লাভ হবেনা। আমার কথা তার খুব গায়ে লাগে। সেই রাত কিভাবে পার করেছে জানিনা, তবে তার জীবনে ঐ বুক কাঁপা রাত আর নেই। তার পিছনে তার বউ এর কঠিন শ্রম ছিলো বলে তার বউ আমাদের বলেছে।
ভারতের কারণ যোহুর কে প্রশ্ন করেছিলো সালমান খান, নারী হতে পারলে কোন নারী হতে চাইবেন, সে জবাব দিলো ঐশ্বরিয়া। যদিও সে একজন সমকামি। তাও বটম না, টপ।টপ সমকামি হয়েও সে নারীর সৌন্দর্যতার লোভ সামলাতে পারেনি, সমাজে এমন মানুষের অভাব নেই। সমাজ মেনে নিলে বা পশ্রয় দিলে এমন মানসিক সমস্যা গুলো সাহস নিয়ে বেড়িয়ে পড়বে। এখনো মানুষ নিজেকে দমন করে মানসিকতার পরিবর্তন করে সমাজের ভয়ে। নিজের চেষ্টায় নিজের মানসিক দুর্বলতাগুলো সারিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপণে ফিরে আসাই সমাধান। অস্বাভাবিক থাকবে, সেটাকে আমরা ফেলে না দিলেও সু_স্বাগতম জানাতে পারিনা।
বিজ্ঞান যেন বলতে না পারে সব কিছুর একটা নিয়ম আছে সেই নিয়মেই চলে, এখানে কোন কর্তা কতৃত্ব নেই। সবাই জানে পোলা হইতে বাপ লাগে, ইসা নবিকে বাপ ছাড়াই পাঠালো দুনিয়াতে। বিজ্ঞান মানেনি বা চুপ। এভাবে প্রতিটা স্বাভাবিক বিষয়কে উল্টে দিয়েছেন বিধাতা যেন মানুষ বলতে না পারে প্রকৃতিকে উল্টে দেয়ার কেউ নেই।
কারো অস্বাভাবিক জন্ম হতে পারে,কিংবা কারো স্বাভাবিক মানসিকতায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।একটা শিশুর বিকলাঙ্গ হলে আমরা কষ্ট পাই তাকে সারিয়ে তুলে তার চিকিৎসা করে সুস্থ্য জীবন দেয়ার চেষ্টা করবো, কিন্তু তার এই ঘাটতির চিকিৎসা না করে তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা না করে তার জন্য আলাদা পৃথিবী বা অবস্থান তৈরী করা কি আমাদের মত সুস্থ্য মানুষ গুলো মানায়?
কোথাও কিছু বলতে না পেরে আপনার এখানে ছাড়লাম, আপনার পোষ্ট আমার জন্য নিরাপদ।
শুভ কামনা
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
প্রিয় শার্দূল ভাই, আজকে শুক্রবার হওয়ায় সংসারের এক সপ্তাহের সব পেন্ডিং কাজে সকাল থেকে যুক্ত থাকতে হয়েছে। কমেন্ট গুলোর রিপ্লাই দেয়ার ফুরসত হয়নাই।
এই লেখাটার থিমটা খুবই কমন দৃশ্য হলেও জনগন এসব দেখতে দেখতে ইউজটু হয়ে গেছে। বৈধ অবৈধ দেখার টাইম নাই নেক্সট চৌদ্দ জেনারেশন বসে বসে খাবার মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করাই ধ্যান জ্ঞান করে ফেলেছে সবাই। একদম সচিবালয় থেকে পতিতালয় পযর্ন্ত।
দেখেন আমাদের এমপি মন্ত্রীদের পেশা ব্যবসা পরিচালনা, শেয়ার বাজার, কৃষিখামার এবং মৎস্য চাষে হলেও তাদের সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিক ও বিস্ময়কর গতিতে।
দেশ অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়েছে এবং উন্নতি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু মানুষের মধ্যে প্রচন্ড ভাবে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে। দেশে অর্থনৈতিক দুবৃত্তায়ন ও ব্যাংকে লুটপাট চলছে, অর্থ পাচার হচ্ছে, কিছু লোকের হাতে সম্পদ কেন্দ্রিভুত হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সুশীল সমাজ ও লেখক-বুদ্ধিজীবীরা প্রায় সবাই অবৈধ আনুকূল্য ও অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার জন্য অন্ধ রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি আর অবৈধ উপার্জনে আকণ্ঠ নিমজ্জিত।আজ আমাদের এমন কোনো সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নেই যা উলেস্নখ করার মতো অনিয়ম আর দুর্নীতিমুক্ত।
আর ট্রান্স জেন্ডার নিয়ে দেশজুড়ে যে তর্ক বিতর্ক হচ্ছে গত কয়েকদিন তা নিয়ে আমারও আগ্রহ এবং জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করি। তাই কোন আলোচনার অংশ হইনি। তবে পুরো বিশ্ব জুড়ে ট্রান্সজেন্ডার মানুষ এবং লিঙ্গ সংখ্যালঘুদের সম্মুখীন সবথেকে বড় সমস্যা হলো যে তারা নিয়মিত ভুল স্বীকৃতি অর্জন করে থাকে। এই ভুল স্বীকৃতির কারণে, ট্রান্সজেন্ডার মানুষ এবং লিঙ্গ সংখ্যালঘুর প্রতি অন্যরা সর্বদা একটি ভুল, নেতিবাচক ধারণা পোষণ করে থাকে; অর্থাৎ, একটি stereotype পোষণ করে থাকে। এই নেতিবাচক উপলব্ধি বা হলো সেই ভিত্তি, যার উপর ট্রান্সজেন্ডার এবং লিঙ্গ সংখালঘুদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। শুধু তাই নয়, তাদের পরিচয়কে “রোগ” এবং “বিকৃতি” বলে তাদের উপর সমাজে, আইনের দ্বারা এবং চিকিৎসাবিদ্যার দ্বারা নির্যাতন করা হয় বলে আমার মনে হয়।
বাংলাদেশে যৌন শিক্ষা এবং লিঙ্গ শিক্ষা না থাকায়, এ দেশে লিঙ্গ এবং যৌন সংখ্যালঘুদের প্রতি ধারণা পশ্চিম বিশ্বের থেকে আরো অনেক নেতিবাচক মনে করি। তবে জেন্ডার আইডেন্টিটি গবেষণার ইতিহাস কিছুটা বিজ্ঞানের নিজের ভুল থেকে শেখার একটি দীর্ঘ গল্প; বৈচিত্র্যময় লিঙ্গ পরিচয়কে একটি মানসিক ব্যাধি হিসাবে ধারণা করা হয়েছে অনেক যায়গায়।
আমার পোস্টে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য বরাবরের মতো আমাকে বিরাট আনন্দিত করেছে। আপনার জন্য শুভকামনা সবসময়।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ রা-নু ভাই।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিন্তু আমাকে কেউ মুরগী বা ডিম চোর বলেনা।
আফসোস আছে মনে হচ্ছে!
নো প্রব্লেম, আমরা ডাকবো।
কি বলে ডাকবো, ডিম চোর না মুরগী চোর?
১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
শার্দূল ২২ বলেছেন: হাহাহা আপনি খুব বেশি ভদ্র মানুষ, আমার কোন বক্তব্য বা মন্তব্য পছন্দ না হলে আপনি আপনার মতামত তুলে ধরবেন, আমি সাবলিল ভাষায় সব কিছু নিতে পারি ।
আমি উপরে খুব সংক্ষেপে বলেছি বলে আপনি আমার কথা ঠিক ধরতে পারেননি।
আমাদের দেশে ওয়াজ মাহফিল হয়, হুজুর আরবিতে এক লাইন বলে সাথে সাথে সামনে বসা সবাই আহা আহা করে বুঝুক আর না বুঝুক। এরপর হুজুর সেই আরবি অনুবাদ মনের খেয়াল খুশি মত করে। আমাদের এখানেই কিছু অতি শিক্ষিত মানুষ আছে যারা নিজের বিদ্যার বিচ্চুতি ঘটায় অযথা ইংরেজি শব্দের ব্যবহার করে।
থ্রি ইডিয়ট মুভিতে আমির খানকে শিক্ষক প্রশ্ন করেছিলো যে হোয়াট ইজ মেসিন। আমির খান জবাবে বলেছে - যে বস্তু সব কাজকে সহজ করে দেয় তাহাই মেসিন, এই সহজ সরল জবাব শিক্ষকের পছন্দ হয়নি। পাশের ছাত্র কিছু মেকানিক্যাল শব্দ এক সাথে করে জবাব দেয়ার পর শিক্ষক বললো - বাহ।
আমার কথা জবাব মন্তব্য গুলোই আমির খানের মতই। একদম নিজের মত করে সহজ সরল ভাষা। আসুন আমরা আজকে বুঝি লিঙ্গ জিনিসটা কি।
জেন্ডার মানে লিঙ্গ, শিশ্ন, যৌনী। যাদের সঙ্গম করার মত লিঙ্গ আছে তাকে আমরা নারী ও পুরুষ বলে থাকি, যার দুটোর কোনটাই সম্পুর্ন নাই, বা আংশিক আছে, বা লিঙ্গ আছে তার ব্যবহার তথা সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নাই তাকে আমরা তৃতীয়লিঙ্গ বলি। তাহলে বুঝা গেলো এই তিন অবস্থা মানুষ মায়ের গর্ব থেকে নিয়ে আসে দুনিয়াতে, এর মধ্যে কিছু হর্মোনাল ব্যতিক্রম থাকে সেসব মানুষের অভ্যান্তরিন কিছু ব্যতিক্রম বিষয়। সেই বিষয় আমাদের শরিফ শরিফার সাথে রিলেটেড না। তাই ওসব আনছিনা।
কথা হচ্ছিলো ট্রান্সজেন্ডার, এই শব্দটাই আর্টিফিসিয়াল, প্রাকৃতিক না, কারণ জেন্ডার বা লিঙ্গ বায়োলজিক ভাবে দুনিয়াতে প্রাকৃতিক ভাবে পরিবর্তন হয়না। পরিবর্তন হয় মানসিকতার। মাানসিক ভাবে মানুষ গরু ছাগল পাগল কতকিছু হয় হতে পারে। আবার কেউ কেউ জো বাইডেন ওবামাও হয়, ভিতরে ভিতরে কে কি ভাবে কি করে এসব আমাদের জাতীয় সমস্যা হতে পারেনা।
আমাদের দেশে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাকে বলা হয় গণশিক্ষা, এই গণশিক্ষার মুল বিষয় গুলো হলো- ভাষা, গণিত,ভুগোল ইতিহাস এবং বিজ্ঞান। এর বাইরে আর যত শিক্ষা আছে সব এই ক্লাসের পরের থেকে প্রথমে ঐচ্ছিক এবং পরে বিশেষ বিষয় গ্রহণ পঠন হয়। অষ্টম শ্রেনি পর্যন্ত সেক্সুয়াল বিষয় পাঠ্য বইয়ে সংযোজন আমাদের শিক্ষানীতির বাইরে। সুতরাং শরীফ সাহব মনে মনে ডিপজল হলো নাকি ঐশ্বরীয়া রায় হয়েছে এসব আমাদের পড়ার কোন যুক্তি নেই।
এবার আসুন এই শরিফ বা শরীফা আদমি কৌন হ্যায়। পাঠ্য বইয়ে শরিফ সাহেব নিজেকে ছেলে হিসেবে প্রথমে পরিচিত করেছে। তারপর তার ভিতরে ফিলিংস তার পরিবার কে শেয়ার করেছে। পরিবারের সম্মতিতে সে গুরুমা নির্বাচন পরে নির্বাসন।
শরীফএর প্রসঙ্গ পরে, আসুন তৃতীয় লিঙ্গের কথা বলি। দুনিয়াতে এই মানুষ অনেক আছে, আরব দেশেও আছে, আমেরিকা ইউরোপেও আছে, কিন্তু পাক ভারত ছাড়া এই ত্রুটি নিয়ে জন্মানো মানুষ গুলোর জন্য আলাদা কোন প্লাটফর্ম কেউ বানায়নি, বানিয়েছি আমরা ভারত বাংলাদেশের মানুষরা। কিভাবে ভারতে এটা শুরু হলো? রাজা বাদশারা এসব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গুলোকে আলাদা করে রাজ দরবারে রাখা হতো বরণ পোষণ দিয়ে, এবং তাদের দিয়ে রং মহলের রঙ্গিন সন্ধ্যার আয়োজন করা হতো। আজ যারা এই তৃতীয় লিঙ্গের জন্য নেকি মানবতা আর কাননা করছে তারা এটা কেউ বলেনা, একজন মানুষ যদি কোন ত্রুটি নিয়ে জন্মায় তাকে সমাজ থেকে আলাদা কেন করা হয়, কেন তাকে পরিবার থেকে বের করে গুরুমার কাছে বা হিজড়া পল্লিতে পাঠানো হয়। এই ত্রুটির মানুষ গুলো যদি এই পল্লিতে না যেত তাহলে তাদের যেই বিশেষ অঙ্গভঙ্গি দেখা যায় তা তারা শিখতইনা বা জানতোইনা, পরিবার তাকে যেই চরিত্র মানাবে সেটাই দিতো সে সেভাবেই বেঁচে থাকতো।সেই মানুষটার মধ্যে যেই চরিত্র বেশি অংশ দেখা যায় সে সেই চরিত্র প্লে করে পরিবারের সাথেই থেকে যাবে। পড়ালেখা করবে মানুষ হবে। শুধু বিয়েটাই করবেনা এতটুকু।
ফিরে আসি ট্রান্সজেন্ডারে। এই ট্রান্সজেন্ডার মানুষ গুলো হলো পুরো দমে মানসিক রুগি অথবা বিশেষ কিছু পরিবেশে বেড়ে উঠার কারণে তাদের মাসনিক পরিবর্তণ ঘটে। যেমন আমার বর্ণিত ইউসুফের মত। নারি পুরুষ সবার অনুভুতি এক রকম। কিন্তু তার প্রকাশ ব্যতিক্রম। ইউসুফের প্রকাশ গুলো তার বোনদের কপি করা। মেয়েদের পিরিয়ড ব্যথা হয়, আমাদের এই ব্যথা না হলেও খাদ্যের সমস্যাজনিত কারণেও হয়। আমরা পুরুষরা পেটের ব্যথা দাত মুখ চেপে সোজা দাড়িয়ে থেকে হজম করি। কিন্তু একটা মেয়ে তা করেনা , মেয়েরা পিরিয়ডে ব্যথায় পেটে হাত চেপে কুজো হয়ে বসে থাকে। আমাদের ইউসুফও তাই করতো, আমরা মজা করে বলতাম কিরে ইউসুফ তোর কি পিরিয়ড হইসে, সে লজ্জা পেয়ে আমাদের হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে ঠিক মেয়েদের মতই বলতো - যাহ শুয়তান বেহায়া নির্লজ্জ। এটা সে তার বোনদের কপি করেছে। মাঝে মাঝে সে নিজেই বলে বসতো আল্লাহ আমি এমন কেন ভাই, আপনাদের মত হইলামনা কেন? আল্লাহ কি আমাকে ভুলে পুরুষ বানিয়ে ফেলেছে। ইউসুফের পাকিষ্তানি পুরুষদের ভালো লাগতো, সে আফসোস করে বলতো ইস আমি যদি এমন হতাম, তার মানে সে এমন পুরুষকে লাইক করে, এখন এই ইউসুফ যদি শরিফ এর মত চিন্তা করতো যে আমার নারি ভালো লাগেনা, পাকিস্তানি ছেলে ভালো লাগে তাহলে সমাজে আরেকজন শরিফের জন্ম নিতো।
এবার একটু কঠিন কথা বলি- সমাজে কোন দুর্বল বা অস্বাভাবিক মানুষকে আমরা ঘৃণা না করলেও মেনে নেবোনা, যেমন ভিক্ষুক, আমরা যদি ভিক্ষুক চরিত্রকে মায়া ভালাবাসার বন্যা বইয়ে দেই তাহলে এই দেশে এই চরিত্রের মানুষ কমবেনা বাড়বে। যেমন ঢাকা শহরে শিশুদের চুরি করে নিয়ে হাত পা ভেঙ্গে ভিক্ষা করায়, কারণ এই অবস্থার ডিমান্ড ভালো আমাদের সমাজে, সবার মানবতার মানদন্ড কিছু একটার মত যখন তখান হুদাই উথিত হয়। নিজেরাই বলছি এটা স্বাভাবিক না, অস্বাভাবিক। এটা সুস্থ্য না, এটা অসুস্থ্য। যেহেতু ত্বতীয় লিঙ্গের মত পাকৃতিক না তাহলে এটাকে আমরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করবো কেন? বরং আমরা ফাইট করবো এমন করে কেউ যেন মানসিক ভাবে অসুস্থ্য না হয়। বা হলেও আমাদের সমাজের ধোপে না টিকে।
এবার আসি সমকামি- সমকামি নিয়ে কিছু মানুষের মানবতার আর বৈজ্ঞানিক নেকামি দেখলে আমার মেজাজ খারাপ হয়। নতুন করে বিজ্ঞান শিখে সব কিছুতে বিজ্ঞানের ব্যখ্যা ঢুকিয়ে দেয়, বলে এটা হরমোন জনিত। ভাই হরমোন হোক আর হারমোনিয়াম যেই তালেই নাচুক এটা যে কোন ভাবেই স্বাস্থ্যকর বিষয়না সেটা পাড়ার কুত্তাও বুঝে, তারা ভুলেও পুরুষ কুত্তার পশ্চাতে তাকায়না, আমেরিকায় এখন ১০ থেকে ১২ বছরে ছেলেদের সাথে গার্ডিয়ান স্কুলে নিয়ে যেতে হয় ,আনতে হয়, কারন যে কোন বয়সের সমকামি এই বয়সের ছেলেদের প্রোপোজ করতে পারে, আইনে বাধা নেই, তারা পুলিশকে বলে সে ১৮ হলে আমি তাকে বিয়ে করবো। তাই এখন থেকে আমি তাকে দেখে রাখছি। এটা যদি হরমোন জনিত হয় তাহলে কেন ২০ ভাগ সমকামি ৪০ পার হলে স্বাভাবিক ভাবে মেয়েদের বিয়ে করে সংসার করছে আমেরিকাতে? তখন তাদের হরমোন কি পায়ু পথ দিয়ে বের হয়ে যায়? একটু কঠিন কথা বলতে ইচ্ছে করছে। এখন সময় নেই
আরেকটা কথা বলে যাই, আমেরিকাতে একজন কেন্ডি বয়বসায়ী ১০ জন গবেষক ভাড়া করে রিপোর্ট বের করতে পারে সুগার ডায়াবেটিকস এর জন্য অভিশাপ না আশির্বাদ, সুতরাং ডক্টর কিংবা বিজ্ঞান দিয়ে কারো পায়ু পথ হালাল করার সুযোগ নাই,
কোরাণের একটা আয়াত মনে পড়লো, - আল্লাহ লুত নবির সময়ের ঘটনা বলতে গিয়ে বললেন, কিছু গেষ্ট আসছিলো লুত নবির বাসায়, সমকামিরা জানতে পেরে লুত নবির ঘর থেকে গেষ্টদের নিয়ে যেতে চাইলে, তখন লুত নবি বলছেন এরা আমার অতিথি, তোমরা এদের নিয়ে আমাকে অপমানিত করোনা, চাইলে তোমরা আমার মেয়ে আছে ওদের নিয়ে যাও, তারা বলে আমরা মেয়ে চাইনা তোমার অতিথি পুরুষ চাই, সেইদিন লুত নবি আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলে আল্লাহ পুরো শহরের মাটি উলটে ওদের মাটি চাপা দেন, সেই শহড়ে তখন ৬০ ভাগ নারি ছিলো তাদেরও ক্ষমা করেননি কারণ তারা মনে মনে সমাকমির বিরোধিতা করেনি, এবংকি পুত নবির ওয়ঈফকেও ছাড়েননি আল্লাহ। কারণ তিনিও ওদের মনে মনে সমর্থণ করতেন।
আবার আসবো এই নিয়ে ।
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
বিজন রয় বলেছেন: পিলাসসসসস!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন দলের এমপি?