নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারেনা...ও বন্ধু...
একঃ
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসে উঠেছি। এয়ারপোর্ট যাবো। এক আত্নীয় সৌদি আরব থেকে আসবে। তাকে রিসিভ করে একটা গাড়ি ঠিক করে দিতে হবে। বাসে উঠেই দেখি সব সিটে যাত্রি বসা। আমি বাসের রড ধরে দাড়িয়ে আছি। সাইন্সল্যাবে এসে দুইজন যাত্রি নেমে গেল। আমি জানালার পাশের সিটে গিয়ে বসলাম। একটু পর ল্যাব এইডের সামনে থেকে বোরকা আর হিজাব পরা একজন মহিলা যাত্রি উঠে আমার পাশের খালি সিটে এসে বসেছে। আমি খুব সংকুচিত আরো একটু ওপাশে চেপে বসেছি। বাস খুব ধীর গতিতে চলছে। একটু পর পর আমার মোবাইলে কল আসছে;
-ভাই এই মাত্র প্লেন ল্যান্ড করছে, এই মাত্র ইমিগ্রেশনে লাইনে, এখনো লাগেজ আসেনই ইত্যাদি ইত্যাদি।
বত্রিশ নাম্বারের সামনে আসতেই মহিলা বলে উঠেছে;
- ভাইয়া একটু চেপে বসেন, আমার গায়ে লাগতেছে।
আমি দেখলাম ওপাশে আর চাপার যায়গা নাই তারপরও বাম হাত তুলে সামনের সিটের উপর রেখে আরো চেপে বসেছি। এবার সংসদ ভবনের মোড়টার সিগনালে বাস থামলো। মহিলা আবারো বলছে;
-ভাইয়া চেপে বসেন।
আমি মহা বিব্রত হয়ে সিট ছেড়ে দিয়ে রড ধরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছি; পর্দানশিন মহিলাদের পাশে লোকাল বাসে চড়া আসলেই ভয়াবহ।
দুইঃ
গত আঠারো বছর যাবৎ নিজের সংসার আর বাপের সংসার সমানে চালাইতেছে খলিল ভাই। সোংসারে বড় পোলা হওয়ার কারনে ভাই-বোনের লেখা পড়া করানো, চাকরি বাকরি দেয়া, বিয়েশাদি সব একহাতের কামাই দিয়ে করেছে। এজন্য তাকে প্রচন্ড খাটতে হয়েছে লাইফে। আমি খুব কাছ থেকে দেখছি সেই খাটুনি। বোনদের ভালো ঘর দেখে বিয়ে দেয়ার পর প্রতিবছর ইদে কোরবানিতে জামইদের নতুন কাপড় আর ভাগনা ভাগনিদের নতুন জামাকাপড় দিয়ে আসছে। জৈষ্ঠ্য মাসে আম কাঠাল বোনদের শশুড় বাড়ি পাঠাতে হয়েছে। ছোট ভাইদের পড়ালেখা করিয়ে শেষ পর্যন্ত চাকরির ব্যবস্থাও করেছে।
খলিল ভাই গত কাল আফসোস করে জিগ্যেস করছে আমাকে? -ভাই ভালবাসা, দ্বায়-দায়িত্ব কি সব একতরফা দুনিয়ায়?
আমি কইলাম ঘটনা কি? খলিল ভাই? খলিল ভাই কইলোঃ ভাই আমার ছেলে-মেয়েদের বয়স দশ বারো বছর। কোন ভাই বোন আমার ছেলে মেয়েদের কোন ইদে কোরবানিতে একটা সুতাও কোন দিন দেয়নি। তাছাড়া গত প্রায় এক বছর আমার মোবাইলে একটা কল দিয়ে কেউ একটু খোজ খবরও নেয়নি।
আমি কিছুই কইতে পারিনাই। এসব পরিস্থিতে যে সব কথা বলে সান্তনা দিতে হয় সব আজকাল সস্তা হয়ে গেছে। আমি চিনি কম দিয়ে দুইটা রংচায়ের ওয়ার্ডার দিলাম বাবুলের টং দোকানে।
বাবুল চা বানানোর ফাঁকে আমাদের সব আলোচনা শুনে ফেলে মন্তব্য করছেঃ
‘‘আমরা পরিবারের জন্য গলা পানিতে নাইমা গেছি কিন্ত আমাগো জইন্নে কেউ নলা পানিতেও নামে নাই’’
তিনঃ
গত তিন মাস যাবৎ ভুমি অফিসে দৌড়াইতে দৌড়াইতে জীবন তেজপাতা বানায়া ফালাইছি। সরকার কতো সুন্দর সিস্টেম করে দিছে, অনলাইতে সব কাজ সারা যায় । অথচ অনলাইনে সকল রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করে আবেদন করার পরও রিজেক্ট কইরা দিছে। কয় ভুমি অফিসে সরাসরি আইসা যোগাযোগ করেন। বাধ্য হয়ে গেলাম এবং যথা রিতি বারোশো টাকার কাম সাড়ে ছয় হাজার টাকা দিয়া হাত পাও ধইরা কাজ উদ্ধার কইরা আনছি। বহুবার ধর্মের দোহাই দিয়াও ভুমি অফিসের মুমিন বান্দার মন গলাইতে পারলাম না। ঘুষের রেট দুই টাকাও কমাইতে পারি নাই।
মনে মনে ভাবতেছি আমার মতো অথর্ব আর কেউ আছে কিনা দুইন্নায়।
চারঃ
সবার ফেমিলিতে মনে হয় সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া একজন ছোট কাকা থাকে। আমারও একজন আছে। দাদার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ছোট কাকা এখন বিরাট মওলানা। এক পীরের মুরিদ হয়ে সকাল বিকাল হালকায়ে জিকিরও করে। এখন সে একখান মসজিদ খাড়া করবে । আমার কাছে চান্দা চাইছে পাঁচ বান টিন। আমি জিগাইলাম জমি পাইলা কই? কেডা দিছে?
চাচায় কইলো – -খাল পাড়ের খাসের যায়গায় তুলমু।
আমি কইলাম- ‘একশো হাত দুরে থাকুন‘।
পাঁচঃ
প্রতিদিন খুব ভোরে উইঠ্যা আমার তিনডা বাচ্চা লইয়া বাইক চালায়া সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে আইতাম। এক ঘন্টা এক্সারসাইজ কইরা বাসায় যাইতাম। ফেব্রুয়ারী মাসের দুই তারিখ সকালে কালি মন্দিরের গেট দিয়া প্রবেশ করার সময় পুলিশ আটকায়া দিছিলো। প্রবেশ নিষেধ। আমি কইলাম;
- আমি তো রেগুলার আন্ডাবাচ্চা সমেত এইখানে জগিং করতে আহি, আর এতো ভোরে আটাকানের দরকারটা কি? উত্তরে যা শুনাইলো তাতে বাচ্চদের কানে আংগুল দিয়া বাইক ঘুরায়া দৌড় দিসিলাম।
গত একমাস সকালে জগিং বন্ধ। পোলাপান কয়; -বাবা জগিং করা বন্ধ আর কতোদিন থাকবে।
ভাবতাছি সামনের শুক্কুরবার থিকা আবার দৌড়ানো শুরু করুম।
ঢাকা,
২১ ফাল্গুন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
ছবিঃ অন্তর্জাল।
প্রাত্যহিকী-১
প্রাত্যহিকী-২
প্রত্যহিকী-৩
প্রাত্যহিকী-৪
প্রাত্যহিকী-৫
প্রাত্যহিকী-৬
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:১৫
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ভাই সাহেব কিযে কন। পর্দানশীন মহিলারে যদি ধমক দিতাম তাইলে অন্যসব যাত্রিরা আমারে কতল করা ওয়াজেব কইরালাইতো। এমনিতেই দেশ মোল্লা তন্ত্রের সোনালী যুগে প্রবেশ করছে।
দায় দ্বায়ীত্ব এখন আর এক তরফা আসলে হয় না। আগে হইতো । এখন সম্পর্কগুলা সুপার ট্র্রানজেকশনাল হয়ে যাচ্ছে।
তয় খাসের জায়গা মাসে সরকারি যায়গা। বাংলাদেশে তো বহু মসজিদ খাসের যায়গা আর তেরো রকম বিবাদের যায়গা দখল করে বানানো । সেই সব মুসুল্লিদের প্রতিদিনের নামাযের কি হবে? জানতে মুঞ্চায়।
কমেন্টের জন্য ধইন্নবাদ।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: মন্দিরের বিষয়টা বুঝি নাই- তবে ধুলো মেঘের মন্তব্যে একতু আঁচ করতে পারলাম।
মহিলাকে ঝাড়ি দেয়া উচিৎ ছিল- বলা দরকার ছিল 'আপনি চাপেন নাইলে উঠেন'।
সবাই বলে প্রতিদান পাবার জন্য দায়িত্ব পালন করা উচিৎ নয়। এটা ভুয়া থিউরি। নিজের জীবন দিয়ে দায়িত্ব পালনের কোন মানে হয় না। প্রথমে নিজেকে ভাল রেখে বাকি সবাইকে ভাল রাখাটা জরুরী। সবাই নিজের দুঃসময়ে প্রতিদান আশা করে। যার প্রতি দায়িত্ব পালন করেছে সে যদি দুঃসময়ে পাশে এসে না দাঁড়ায় তো রাস্তার লোক এসে দাঁড়াবে? কি বড় আহাম্মকী কথা।
- সারা বছর একটা ফোন করে ভাল মন্দ খবর নেবে না, বাচ্চাদের আদর সোহাগ করবে না এমন আত্মীয় পরিজনের খ্যাতাপুরি।
সুসময়ে দুঃসময়ে যারা আমার পাশে থাকবে তাদের জন্যই জান কোরবান করব।
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
মোগল সম্রাট বলেছেন:
তপন ভাই, মন্দিরের কুনো সিনারি তো লিখি নায়। আর আমি গো-বেচারা টাইপের মানুষ মহিলাদের জারি মারার মতো সাহস নাই। দেশে সব আইন মহিলাগোর পক্ষে। গত চৌত্রিশ বছরের বেশি দেশে নারী শাসন বিদ্যমান। পুরুষতন্ত্রের সমাধি রচনা হয়া গেছে মুনে অয়
আসলে যারা এ ধরনের দ্বায়িত্ব পালন করে তারা প্রতিদান পাবার আশায় কেউ হয়তো করেনা। কিন্তু একটা সময় অবহেলা পেতে শুরু করলে তখন তাদের কষ্টটা কতো ওজন ওজন লাগে সেটা অবশ্যই বুজতে পারেন।
তয় এখন থিকা থিউরি পাল্টাতে হবে এইডা দারুন একখান কথা কইলেন। মনে ধরছে।
ভালো থাইক্কেন।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বোরখা আর হিজাবেই নারীদেরকে ডুবাবে।
এমন একটা সময় আসবে যে এই দেশের নারীদেরকেই আবার এই সব বোরখা হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।
সেটা হতে পারে আজ থেকে ৫০ কিংবা ৭৫ বছর পর।
এই দেশের নারীদের কপালে শনি আছে।
০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
এসব কথা কওন হারাম । ধরের উপ্রো কল্লা থাকবে না।
মন্তব্যের জন্য ধইন্নবাদ।
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: একদম বাস্তব লিখেছেন।
বাসে আমি কোনো মহিলার পাশে বসি না। আমি মনে করি এর চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভালো। মহিলারা ক্যাচাল করে ফাসিয়ে দেবে। মান সম্মান শেষ করে দিবে। এরচেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভালো।
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
মেট্রোরেল চালু হবার পর লোকাল বাসের পেছেঞ্জার কমে গেছে নাকি এখন?
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
মহিলার কথা ঠিক মতো বুঝেছিলেন, নাকি ভুল বুঝেছেন; উনি হয়তো উনার দিকে চেপে বসতে বলেছিলেন!
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০০
মোগল সম্রাট বলেছেন:
গাজী সাব অনেক দিন পর আপনার মন্তব্যে মজা পাইলাম ।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:২৫
এম ডি মুসা বলেছেন: এরকম টপিকগুলি আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপনার পোস্টটা পড়ে আমার ভালো লাগবে
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:০১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:১২
ধুলো মেঘ বলেছেন: আপনার নামাজের সময় হলে আপনি যে কোন জায়গাতেই বসে নামাজ পড়তে পারেন। কিন্তু কোন জায়গায় আপনি যদি মসজিদ স্থাপন করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেই জায়গার মালিকের অনুমতি নিতে হবে। খাস জমিতে মসজিদ বানালে নামাজীর হয়তোবা কোন সমস্যা হবেনা, কিন্তু মসজিদ যারা বানাবে - তাদের কঠিন পাপ হবে। আমার আগের মন্তব্য কারেক্টেড বাই দিস ওয়ান।
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
পুনঃমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপানার সাথে সহমত প্রকাশ করি।
শুভকামনা ।
৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
মেট্রোরেল চালু হবার পর লোকাল বাসের পেছেঞ্জার কমে গেছে নাকি এখন?
আসলে মেট্রোরেল তো পুর ঢাকা শহর জুড়ে না।
যেমন আমার বাসার কাছে কোনো মেট্রোরেল নেই। আমাকে মেট্রোরেলে উঠতে হবে- প্রেসক্লাব যেতে হবে, নয়তো ফার্মগেট যেতে হবে। বাসে যাত্রী সংখ্যা কমেনি। সেই আগের মতোই ভিড় আছে। ধাক্কাধাক্কি আছে।
০৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
মোগল সম্রাট বলেছেন:
তবে একটা ব্যপার চোখে পড়ার মতো। সেটা হলো মেট্রো রেল চালু হবার পর মটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করার সংখ্যা কমে গেছে। আগে দেখতাম মোড়ে মোড়ে প্রচুর মটরবাইক দাড়িয়ে থাকতো অফলাইনে ভাড়া টানতো সেগুলো কমে গেছে। আর লোকাল বাসে ধাক্কাধাক্কি করে ওঠা বা ঠেসেঠুসে যাওয়ার চিরচেনা দৃশ্য বদলাবেনা মনে হচ্ছে।
শুভকামনা।
৯| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
০৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
শুভকামনা নিরন্তর ।
১০| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনারা মোট পাঁচজন মানুষ ।
এত বিশাল খরচের ধাক্কা সম্মেলন কিভাবে?
০৭ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪
মোগল সম্রাট বলেছেন:
হিমশিম খেতে হয় । ত্রাহি এাহি অবস্থা ভাই।
ধন্যবাদ এবং শুভকামনা
১১| ১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৪১
শার্দূল ২২ বলেছেন: প্রতিটা ঘটনা নিয়েই আলোচনা করা যায়, তবে মসজিদ নিয়ে বলি- আমি মসজিদ নিয়ে আগেও অনেক বলেছি, এই মসজিদ নিয়ে আমি আমার সমাজে অনেকটাই অবাঞ্চিত হয়ে গেছি।
মাঠের মধ্যে খানের জমির দামের চেয়ে বড় রাস্তার পাশে জমির দাম আকাশ পাতাল ব্যবধান হয়। আমাদের সমাজে সবাই মসজিদ মসজিদ করে কিন্তু কেউ রাস্তার পাশের জমি দান বা বিক্রি করতে রাজি না। অবশেষে আব্বু আমাকে বললো জমিটা মসজিদকে দিতে চাই তুই অনুমতি দিলে, আমি বললাম এটা তোমার কেনা জমি তুমি দান কর না হয় তুলে নদিতে ফেলে দাও আমার কি? তবে তুমি যদি মতামত চাও আমি বলবো- আমার কেনা টাকায় জমি হলে আমি মসজিদকে দিতামনা।প্রয়োজনে আমি সেই জমি কোন গরিবকে দিতাম যেন সে ঘর তুলে থাকতে পারে যার ঘরের জায়গা নাই তাকে। যাইহোক অবশেষে মসজিদ হলো, কমিটি হলো, কাকে যেন ক্যশিয়ার বানালো, আবার সে নাকি টাকার হিসেব দিতে পারেনা, এই নিয়ে নানা ঝামেলা এসব শুনে আসছি। আমার কাছে প্রায় মসজিদের জন্য অনুদান চায়, আমি দেইনা, এক টাকাও আমি দেইনি আজ পর্যন্ত। বরং আমাদের সমাজে যার ঘর নেই, তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঘর তুলে দিয়েছি। আমি মনে করি যেই গ্রামে কোন মানুষের থাকার ঘর নেই কিন্তু সেই গ্রামে মসজিদ মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে সেই মসজিদ বিচার দিবসে গরীবের পক্ষে কথা বলবে।
যারা গরীবকে উপেক্ষা করে মসজিদে দান করেছে তারা বিচার দিবসে মসজিদের নিচে চাপা পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯
মোগল সম্রাট বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
রোজা রমজানে সামুতে ঢুঁ মারার সময় পাইনা। অফিসে কাজের চাপ থাকে। আর ইফতারের পর শরির চলেনা।
মসজিদ নিয়া সম্প্রতিক অভিজ্ঞতা হলো আমরা কয়েক বন্ধু মিলে একটা পতিত যায়গা কিরে কৃষি খামার গড়ে তুলেছি। অনেক কষ্ট করে জমানো টাকা দিয়ে। ঐ জমিটা ছিলো একদম বিলের মধ্যে। বড় রাস্তা থেকে একটা খাল বিলের মাজ খান দিয়ে এগ্রাম থেকে ওগ্রামে গিয়ে মিশেছে। আমরা মাঝামাঝি একটা যায়গায় খালপাড়ে কয়েক একর যায়গা কিনে। খামারটা শুরু করার বছর তিনেকের মধ্যে আশপাশে আরো কিছু প্রায় ৮/১০ বসত বাড়ি হয়েছে। এখন এদের নামাজ পড়ার কোন মসজিদ নাই । আর প্রায় সবাই্ প্রান্তিক মজুর শ্রেনির পরিবার। অল্পদামে ২/৪ কাঠা যায়গা কিনে ঘর তুলেছে। যাই হোক, আমাদের কাছে ঐ ৮/১০ পরিবার মিলে একটা মসজিদের যায়গা চাইলো। আমরাও একদম সামনের দিক থেকে ৩ কাঠা জমি দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে বল্লাম এখানে তোমরা মসজিদের জন্য সবাই মিলে মাটি কেটে পোতা (ফ্লোর) উচু করো। আমরাও ২টা কিষান দিবোনে। এরপর তারা নানান ঝামেলা পাকিয়ে সেই ভিটা আর উচু করতে পারেনাই্। ঝামেলা গুলো হলোঃ আগে পুরো জমি ওয়াকফ করতে হবে, সভাপতি কে হবে, কে হবে সেক্রেটারি, আমাদের ভিটা, সহ পুরো মসজিদ করে দিতে হবে। হাতাহাতি মারামারির পর্যায়ে।
আমরা তাতেও রাজি হয়ে বলেছি আমাদের জমি এখনো মিউটেশন হয়নি। মিউটেশনের পর ওয়াকফো করে তারপর আমাদের সময় মতো সব করে দিবো।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:৪৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: হাহাহা এমনি হয় সম্রাট ভাই , মসজিদ নিয়ে। মজার ব্যপার হলো যখন দেখি এখানে আমেরিকায় কোন গির্জা কিংবা মন্দিরের সামনে কোন পুলিশ রাখতে হয়না কিন্তু শুক্রবারে আমাদের প্রায় সব মসজিদের সামনে পুলিশ পাহাড়ায় থাকতে হয়।প্রতি শুক্রবারে মসজিদের আয় ব্যয় হিসেব হয়, আর সেদিন হাতাহাতি মারামারি এসব লেগেই থাকে, এই আমেরিকায় আমরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কখন হয়ে যায় তা এক রকম বুঝতেই পারিনা কিন্তু মসজিদ কমিটির নির্বাচন হই হই রই রই ঘটে থাকে। বিষয়টা কেমন না যে কেউ একজন বলছে আমাকে ক্যাশিয়ার পদে ভোট দেন আমি সৎ আর কেউ কেউ বলছে না তোমাকে বিশ্বাস করিনা, , এর চেয়ে লজ্জা আর কি আছে মসজিদের টাকা মেরে খেতে পারে সেই মসজিদের মানুষ গুলৈ যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। হায়রে মুসলমান।
আমি যেদিন প্রথম কোরাণে পড়লাম,- আল্লাহ বাজি রেখে বলছে- নিশ্চই সালাহ( কথিত নামাজ) মানুষকে পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন বলেছে সালাহ মানুষকে পরিবর্তণ করে তাহলে অবশ্যই করে, কিন্তু এরা কোন সালাহ করছে যা তাদের পরিবর্তন করছেনা, নিশচই এখানে আল্লাহ অন্য কিছু বলছে, সেদিকে না যাই।
কেমন আছে আপনি? পরিবারের সবাই কেমন ?
আগাম ঈদ মোবারক
১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঈদ মোবারক শার্দুল ভাই।
পরিবারের সবাই এখন ভালো আছে, আলহামদুল্লিাহ। ঈদের আগে ছেলে দুইটা আর ছেলেদের মা অসুস্থ ছিলো। তাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। ঈদে ঢাকাতেই ছিলাম।
আপনি সুরা আনকাবুতের ৪৫ নং আয়াতের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘‘নিশ্চয়ই নামাজ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে।’’ আমার মনে এই প্রশ্ন বহুকাল জেগেছে। সারা দেশ জুড়ে এত মসজিদে পাচ ওয়াক্ত নামাজ লাখ লাখ মানুষ আদায় করছে কিন্তু কোন প্রকার খারাপ কাজ কেন এই দেশ থেকে যাচ্ছে না। তাহলে কি কারো নামায হচ্চে না?
অনেক ঘাটাঘাটি, হাটাহাটির পর যা বুজলাম আসলে মানুষ যদি নিজেকে নামাযের জন্য উপযোগী আগে না তৈরী করে নামাজে দাড়ায় কপালে কালো দাগও ফালায় তাতে কোন লাভ নাই। কোন পরিবর্তন কোন কিছু হবে না। এ বিষয়ে ব্লগে কোন পোষ্ট দিলে ধরের উপ্রে কল্লা থাকবে কিনা সেটা দুইশো বার ভাবতে হবে এই মোসলমানের দেশে। তাই এসব বিষয় নিয়ে লেখার চিন্তাও বাদ দিছি।
যাই হোক, আপনি কেমন আছেন? আপনার পরিবারে সবাই কেমন আছে? সবার জন্য শুভকামনা ও দোয়া।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:২০
ধুলো মেঘ বলেছেন: এক। এরকম পরিস্থিতি হলে এক রাম ধমক দিয়ে বাস থেকে নেমে যাবেন, নইলে বিপদে পড়তে পারেন। জেনুইন পর্দানশীন নারীর এরকম আচরণ করার কথা নয়।
দুই। উনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্বের আবার প্রতিদান কি? আমার মা যে ক্যারিয়ার গড়েছেন, তারা পেছনে পরিবারের কারোরই কোন সমর্থন বা সহায়তা পাননি - তাতে কি উনার অগ্রগতি আটকে গেছে? যায়নি।
তিন। সরকার অনলাইন করেছে ডিজিটাল ও স্মার্ট দেশ হিসেব বিশ্বে পরিচিত লাভের জন্য - আপনার সমস্যা তুড়ি মেরে সমাধান করার জন্য না। এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
চার। খাস জায়গায় মসজিদ বানালে সেই মসজিদে নামাজ হবেনা। মসজিদের জায়গা অবশ্যই ওয়াকফকৃত হতে হবে।
পাঁচ। অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে গজবখান মইরা গিয়ে যত ঝামেলায় ফেলছে - জীবিত থাকতে তা করতে পারেনি।