![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্ত চিন্তা করুন, অন্যকে মুক্ত চিন্তা করার স্বাধিনতা দিন এবং সকলকে ভাল বাসুন।
(Sonnet-চতুর্দশপদী কবিতা)
যে তটিনীর গর্ভে জন্ম আমার সে আজ মৃত প্রায়, (a)
যার শীতল স্রোতে জুড়িয়েছি মোর দেহ মন প্রাণ, (b)
অহর্ণিশি শুনেছি তার সকরুণ সুরে শ্রুতি মধুর কত গান। (b)
আজও তার স্মৃতির স্রোতে সাঁতার কাটে মোর অশরিরী কায়, (a)
শ’ ক্রোশের সাক্ষ্য নিয়ে ক্লান্তিহীন স্মৃতি নিয়ে সে শুধু সমুখপানে যায়, (a)
উৎস্বর্গের উপমায় অবহেলার প্রভায় বক্ষে ভাসে সদা প্রেমের ঘ্রাণ, (b)
হয় না সে বিধুর পথ চলাতে, মর্ম পিড়ায় ভাঙে না সে, হয়না কভু ম্লান। (b)
আধার পথের পাষাণে, সুখ, দুঃখ বিষাদে, দুঃখ যে তার বায়। (a)
পথের ক্লান্তি পথে হারায়, পথের দুঃখ পথে হারায়, পথকে করেই সাথী, (C)
পথে কত আপদ-বিপদ, কত আছে শবল শ্বাপদ, ছোঁয়না তাকে কভু অপথ, (d)
কোটি লিটার দুগ্ধ দিয়ে বড় করে হাজার ভুখা অপত্যকে, (e)
এত শত দুঃখ নিয়ে, বুকে ব্যথা কষ্ট নিয়ে, বাঁচায় সবে, খোঁজেনা সে পরমাগতি। (c)
তবে মোরা ভয়তে কেন ভীত হব, পথ চলতে পিছবা হবে দেখলে সমুখ বিপথ। (d)
যতই আসুক ঝড় ঝান্ডা মা তটিনীর শিক্ষা নিয়ে পরাভূত করব সকল অসত্যকে। (e)
শব্দার্থ
বায় - বায়ু
অপত্য - সন্তান
শবল - নানা বর্ণযুক্ত
পরমাগতি - মুক্তি
বিধুর - কাতর
বাংলায় সনেটের প্রবর্তক মধুসূদন দত্তের ’’কপোতাক্ষ নদ’’ শীর্ষক সনেটটি তুলে দিলাম-
’’সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
সতত (যেমতি লোক নিশার স্বপনে
শোনে মায়া- মন্ত্রধ্বনি) তব কলকলে
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে!
বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।
আর কি হে হবে দেখা?- যত দিন যাবে,
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে
বারি-রুপ কর তুমি; এ মিনতি, গাবে
বঙ্গজ জনের কানে, সখে, সখা-রীতে
নাম তার, এ প্রবাসে মজি প্রেম-ভাবে
লইছে যে নাম তব বঙ্গের সংগীতে।’’
এটা অক্ষরবৃত্ত ছন্দে লেখা। প্রত্যেক লাইনে ১৪টি করে মাত্রা। অক্ষরবৃত্তে প্রতি অক্ষর ১ মাত্রা।
আমি মাত্রা বলতে এটাই বুঝিয়েছি।
©somewhere in net ltd.