নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তা এখানে মুক্ত

আলমগীর_কবির

মুক্ত চিন্তা করুন, অন্যকে মুক্ত চিন্তা করার স্বাধিনতা দিন এবং সকলকে ভাল বাসুন।

আলমগীর_কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরুষের দোষ কেন নারীর ঘাড়ে? (সংক্ষিপ্ত)

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৪



ভূমিকা :

পক্ষপাতহীন ভাবে লেখাটার যৌক্তিকতা তুলে ধরতে আমি কোন Feminist (Feminism is a collection of movements and ideologies aimed at defining, establishing, and defending a state of equal political, economic, cultural, and social rights for women. Who does it is Feminist) নই সেটা লেখার শুরুতে বলে রাখা ভাল। একুবিংশ শতকের এই দেড় দশকে দাঁড়িয়ে এমন একটি বিষয় নিয়ে লিখছি যা নিয়ে লেখা নব্য লেখক হিসাবে বেশ অসম্মানকর। কিন্তু এই অসম্মানের দায়ভার কাঁধে তুলে নিতেই হচ্ছে তা-না হলে পৃথীবিতে আমার প্রিয় সবচেয়ে চারজন মানুষ আমাকে ক্ষমা করবে না। সেই চারজন মানুষ হলো আমার মা, আমার মেয়ে, আমার প্রেয়সী বা স্ত্রী এবং আমার বোন।



নারী কে?

নারী বলতে পৃথিবীর অন্যতম প্রাণী মানুষের স্ত্রী-বাচকতা নির্দেশক রূপটিকে বোঝায়- Wikipedia.

বিশ্বাব্যাপী নারীদের ব্যাপারে ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা

ঐতিহাসিকভাবেই নারীদেরকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান অধিকার আইন আকারে গৃহীত হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কিছু ধর্ম বা সংস্কৃতিতে নারীদের জন্য কঠোরভাবে অন্ত:পুরে আবদ্ধ রাখার বিধান তৈরী করা হয়েছে যা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। যারপরানই নারীরা শৈশব থেকেই অবরুদ্ধবাদ মানষিকতা নিয়ে বেড়ে উঠে। এরফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মনন বিকাশের স্বাভাবিক বিষয়গুলো অস্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্থ হয়। এমনকি কিছু সংষ্কৃতিতে, যেখানে নারীদের কুমারীত্বের সাথে পারিবারিক সম্মান জড়িত। সেখানে যদি বিবাহের পূর্বেই নারী যৌনসম্পর্ক করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা পরিবারের জন্য অসম্মানকর হিসেবে বিবেচিত। এক্ষেত্রেও যদি নারীদের তথাকথিক কুমারীত্ব নষ্ট হয়েই থাকে তাহলে সেখানে একজন পুরুষেরও সমান ভূমিকা থাকে।অথচ সম্মান নষ্ট হয় শুধুমাত্র নারী পরিবারে পুরুষ পরিবারে নয়। বড়ই হাস্যকর প্রথা।





বিভিন সময় ধর্ম প্রবর্তকগণ (সকল ধর্মের ধর্ম প্রবর্তকই পুরুষ) সেক্স (Human sexual activity has sociological, cognitive, emotional, behavioral and biological aspects)বিষয় প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করে গেছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর স্বীকার হয়েছেন নারীরা। তথাকথিক Feminist-গণও তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় এসবের বিরুদ্ধে বৈজ্ঞানিক বা বিবর্তনবাদ সত্যকে তুলে ধরা থেকে নিজেদেরকে অব্যাহতি দিয়েছেন। শুধু অব্যাহতিই দেননি এমনকি তারাও আবার নারীদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে নতুন এমন কিছু শব্দের প্রচলন করেছে যা সেক্স বিষয়ক দমননীতি মনোভাব চালু করেছে যে নীতি সেক্স সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।



কর্মক্ষেত্রে নারীবিষয়ক প্রচলিত ধারনা :

প্রকৃতির কিছু অ-লঙ্ঘনিয় বিধান প্রতিপালন করতে গিয়ে নারীদেরকে কর্মক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় একটু বেশি অনুপস্থিত থাকতে হয় সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই অলঙ্ঘনিয় বিধানগুলো কখনই নারীদের দূর্বলতা নয় বরং ঐগুলোই তাদের সর্বাপেক্ষা গৌরবজনক বিষয়। নারীদের সেই গৌরবান্বিত অনুপস্থিতির কারণেই একজন পুরুষ সন্তান সে নিজেকে পুরুষ হিসাবে গর্ববোধ করে। যদিও আপনি পুরুষ এইটা নিয়ে গর্ব করার পেছনে তার তিল পরিমাণ অবদান নেই বা গর্ব করারও কিছু নেই। এটা মূলত প্রকৃতির ভারসাম্য নীতির কারণেই হয়ে থাকে।

সাধারণ ভাবে বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে থাকে বা কম কাজ করে থাকে। আপাতত কথাটা বিশ্বাস করতে থাকি। শেষতক কি ফলাফল পাওয়া যায় তার জন্য অপেক্ষা করি। উল্লেখ্য যে, আন্ডার লাইন করা বাক্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করার পরিসাংখ্যিক তথ্য থাকলেও আপাতত সেই পথে না হেটে বাক্যটা সত্য মনে করে নারীরা পুরুষদের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এবং কেন আছে তা বিশ্লেষণ করা যাক।

 প্রয়োজনেও নারীরা অফিস সময়ের একটু আগে অফিসে যেতে পারেনা বা অফিস সময়ের একটু পরে অফিস ছাড়তে পারেনা। কিন্তু কেন? এই ঘটনার জন্য কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ি নাকি নাকি অন্য কেউ? অবশ্যই, খুব কম ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষরা দায়ী। একজন নারী যখন অফিসে আসেন তখন তাকে অনেক ঘর গৃহস্থালীর কাজ সেরে অফিসে আসতে হয় আবার অফিস থেকে ফিরেও সেই একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটাতে হয়। ঘরে ফিরে স্বামী যদি তার স্ত্রীকে দেখতে না পায় তাহলে বিরাট সমস্যার বিষয় হয়ে থাকে কিন্তু স্ত্রী ঘরে ফিরে তার স্বামীকে দেখতে পাবেনা সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে এক্ষেত্রে নারীদের সমস্যার মূল কারণ মূলত: পুরুষদের বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রথা।

 কর্মী যদি নারী হয়ে থাকে কাজের প্রয়োজনে বাইরে রাত্রিযাপন করা সমস্যাপূর্ণ একটা বিষয়ই বটে। কাজের প্রয়োজনে এটা সত্যিকার অর্থেই একটি সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কাজের প্রয়োজনে সহকর্মীদেরকে বাইরে যাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে আমাকেও অনুরোধ করতে হয়। কিন্ত নারী কর্মী হলে যে কাজ করার জন্য বাইরে রাত্রি যাপন করত হয় সেই ধরনের কাজের জন্য তাদেরকে পাঠানো হয়না। এটা সত্যিই সমস্যাপূর্ণ ব্যাপার। কিন্তু এই সমস্যার জন্য সত্যিই কি সংশ্লিষ্ট নারী কর্মী দায়ী? আদৌ তা নয়। একজন নারী কর্মী বাইরে নিরাপদ রাত্রি যাপন করতে পারবেনা বলেই তাকে বাইরে এইরূপ কাজে বাইরে পাঠানো হয়না, সেটাতো পুরুষদের জন্যই। একই সমস্যার কারণে তাদের ফিরতে সন্ধ্যা বা রাত হয়ে যাবে সেই রকম দূরুত্বে কাজ করতে যাওয়াটাও সমস্যা। নারীদের কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যাকে সঙ্গী করে কাজ করতে হয়। বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তার কোনটির জন্যই নারী নিজে দায়ী নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ দায়ী।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ আছে কিন্তু সেটা করতে গেলে পাঠকদের বিরক্তির উদ্রেগ হবে তাই এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংক্ষিপ্ত করা হলো।





নারী বনাম পুরুষ -একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ

ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মানসিক পরিপক্বতা দ্রুত হয়—এ ধারণা সমাজে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, মস্তিষ্কের পরিপক্বতার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায় ১০ বছর এগিয়ে থাকে।



গবেষণার পর যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের মস্তিষ্কে জমা হওয়া তথ্য থেকে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ, তা বাছাই করতে পারার সক্ষমতা তৈরি হওয়ার পর থেকে মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। মেয়েদের বয়স মোটামুটি ১০ বছর হওয়ার পর থেকে তাদের এই সক্ষমতা তৈরি হয়। এ জন্য ছেলেদের ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।



গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে সেরিব্রাল কর্টেক্স সাময়িকীতে। ৪ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২১ জন নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়।



গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে গবেষক সল লিম বলেন, ‘দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে মেয়েদের মস্তিষ্ক তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারছে। অর্থাৎ, তাদের মানসিক পরিপক্বতা আসতে শুরু করে। আর ছেলেদের মধ্যে এটা ঘটে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে।’ টেলিগ্রাফ। Link : Click This Link



উপসংহার

উপরের আলোচনা থেকে এটা বুঝতে সমস্যা হয়না যে, যেসকল কারণে নারীদেরকে অযোগ্য মনে করি বা অপরাধী করি তার জন্য নারীরা দায়ী নয়। সকল ক্ষেত্রেই প্রায় পুরুষগণ এককভাবে দায়ী অথবা যৌথভাবে দায়ী। তাহলে পুরুষদের অপরাধে দায়-ভার নারীগণ কেন শতকের পর শতক বহন করে যাবেন?

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা -----প্রিয়তে নিয়ে গেলাম
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এখন তার খোলস পাল্টে আধুনিক রূপ নিয়েছে --- এর ভিতরই আমরা চলি, কাজ করি-- যন্ত্রনা ভোগ করি --।

শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

আলমগীর_কবির বলেছেন: ধন্যবাদ আরজুমান।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

দয়ালু বলেছেন: প্রিয়তে ভাইয়া

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭

আলমগীর_কবির বলেছেন: ভাই আপনার দয়া।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

নতুন বলেছেন: এখনো নারীকে নিজের মতন করে ম`যাদা আমাদের সমাজের পুরুষেরা দেয়না...

ছেলে দের মনে রাখতে হবে যে নারীরাও আমাদের মতন মানুষ... একটুও কম না..

স্বামীরা প্রভু না বরং স্ত্রীর সাথে সম্পকটা সবচেয়ে ভাল বন্ধুর মতন হওয়া উচিত... যার সাথে সারা জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে হয়..

আরো শিক্ষা দরকার সমাজে...

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

আলমগীর_কবির বলেছেন: জ্বি ভাই আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর কথায় বলেছেন।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

মেঠোপথ বলেছেন: পুরুষ শ্বাসিত সমাজ নারিদেরকে কখনো মানুষ হিসেবে ভাবেনি।
তাদের অধীনস্থ মনে করে।
একটা ছেলে হাজারটা মেয়ের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলাটা স্বাভাবিক , কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন ।।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

আলমগীর_কবির বলেছেন: পুরুষ শ্বাসিত সমাজ নারিদেরকে কখনো মানুষ হিসেবে ভাবেনি।
তাদের অধীনস্থ মনে করে।
একটা ছেলে হাজারটা মেয়ের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলাটা স্বাভাবিক , কিন্তু নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন ।

একদম সত্যি কথা।

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ আলমগীর_কবির :

আপনি বলেছেন যে,
"এক্ষেত্রেও যদি নারীদের তথাকথিক কুমারীত্ব নষ্ট হয়েই থাকে তাহলে সেখানে একজন পুরুষেরও সমান ভূমিকা থাকে।অথচ সম্মান নষ্ট হয় শুধুমাত্র নারী পরিবারে পুরুষ পরিবারে নয়। বড়ই হাস্যকর প্রথা।"



এই হাস্যকর প্রথা আসলে আপনাদের প্রচারকদের নিজেদেরই সৃষ্টি।

কারণ, কোথায় দেখেছেন যে, বিবাহের যদি পূর্বেই কোন পুরুষ যৌনসম্পর্ক করেছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে তা পরিবারের জন্য অসম্মানকর হিসেবে বিবেচিত হয়নি?

ওই ধরণের দোষী পুরুষদের সামনে অথবা পিছনে কি কোন নিন্দা হয়না?

আর জেনে-শুনে কেউ কি সেচ্চায় (ঠেকায় না পড়লেও) তাদের সাথে নিজেদের মেয়েদেরকে বিয়ে দেয়?



সর্বপরি একজন নারীর কুমারীত্ব নষ্ট হয়া এবং একজন পুরুষের কুমারত্ব নষ্ট হওয়ার মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

সেটা হচ্ছে নারীর যদি সন্তান হয়ে থাকে তবে তার দ্বায়ভার থেকে দোষী পুরুষটি কৌশল অনেক সময় গা বাচিয়ে এবং সন্তানকে অস্বীকার করে চলতে পারে, যেটা নারীর পক্ষে সম্ভব হয় না।

কারণ নারীকেই ওই সন্তানের ভবিষ্যত দেখ ভালের দ্বায় দ্বায়িত্ব নিতে হয়।

কিন্তু ওই নারীর ভবিষ্যত কোন হবু স্বামী ও তার পরিবার হয়তো এমন ভাবে প্রমানিত একটা বিষয়কে সহজে মেনে নিতে চাইবে না।

কিন্তু পুরুষকে কোন সন্তান ধারণ করতেও হয়না, কাজেই সে ওই বাড়তি ঝামেলা থেকে রেহাই পেয়ে যায়, এটাতো আর অস্বীকার করা যাবে না।

যেহেতু, মস্তিষ্কের পরিপক্বতার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায় ১০ বছর এগিয়ে থাকে। সেইহেতু মেয়দেরকেই এই বিষয় আগে থেকে ভেবে সতর্ক হওয়া উচিত।

কারণ দুজনেই অথবা শুধু মাত্র পুরুষটি দোষী হলেও ওই সন্তানকে নিয়ে নারীকেই একটা বড় ধরণের বাড়তি ভুগান্তি ভুগতে হয়।

আর উক্ত পুরুষকে সকলে নির্দোষ বানিয়ে বুকে টেনে নিবে, এমনটা কিন্তু হয় না।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ আলমগীর_কবির :


আপনি বলেছেন।----
"বিভিন সময় ধর্ম প্রবর্তকগণ (সকল ধর্মের ধর্ম প্রবর্তকই পুরুষ) সেক্স (Human sexual activity has sociological, cognitive, emotional, behavioral and biological aspects)বিষয় প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করে গেছেন।"


বিষয়টা নিয়ে আরেকটা বিস্তারিত পোস্ট দিলে সকলেই আরেকটু পরিস্কার ভাবে জানতে পারবে যে, কোন কোন ধর্ম কি কি ভাবে নারীর বিরুদ্ধে প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করেছে।

এই বিষয়টা নিয়ে আমিও একটু বিস্তারিত জানতে চাই।
কারণ আমার কাছেও এটা কেমন যেন একটু ঘোলাটে লাগে।

তাই আপনার পরবর্তী পোস্ট যদি এই বিষয়ে করে থাকেন, তবে ভালো হত।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

আলমগীর_কবির বলেছেন: @মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ । সকল ধুর্মের প্রবর্তকগণই প্রকৃতিবিরুদ্ধমতবাদ প্রবর্তন করে গেছেন। কোন একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক নয়। এ বিষয়ে নানান তথ্য, যুক্তি অনেক কিছুই দেওয়া সম্ভব। এমনকি আপনি নিজেও সেগুলো ম্যানেজ করে পড়তে পারেন। তবে অবশ্যই দৃষ্টিভঙ্গি নিরপেক্ষ হতে হবে। আবার আমি যদি বলি সেগুলো আপনার কাছে খুব বিতর্কিত মনে হতে পারে। আপনি আমাকে অনেন মন্দ কথাও বলবেন। তাই অহেতুক সেব সব বলে আপনার সাথে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হবে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২০

আলমগীর_কবির বলেছেন: একই ঘটনার কারণে নারীদেরকে যে মূল্য দিতে হয় পুরুষদেরকে সেই মূল্য দিতে হয় না।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ আলমগীর_কবির :


"আপনি আমাকে অনেন মন্দ কথাও বলবেন। তাই অহেতুক সেব সব বলে আপনার সাথে বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হবে। "


আপনাকে ভালো বা মন্দ যাই বলি না কেন, আপনি লিখুন।

আর বিতর্ক হলে কি আসে যায়?
বরং তাতে নতুন কিছু জানা যেতে পারে, অবশ্য আমি নিজেই অন্য কাজে ব্যাস্ত।
তা্‌ই আমার কাছ থেকে বিতর্ক না আসাই স্বাভাবিক।

আমি বড়ই আলসে, তাই এই সব খুজা-খুজি ভালো লাগেনা।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪৬

একে৪৭ বলেছেন: (অামার মা, বোন কিংবা অামার প্রিয়তমা (যে স্ত্রী হবে) এবং অন্যান্য সকল নারীদের প্রতি যথাযথ সম্নান প্রদর্শন করেই বলছি-)
অাপনার লিখায় ঠিক মাঝ বরাবর হাটতে পারলাম না। মাঝে মাঝেই একপাশের দেয়ালে ধাক্কা খেতে হল!
অাপনি নারীদের প্রাকৃতীক দূর্বল দিকগুলোকে (যদিও অামি তাকে দূর্বল দিক মনে করি না, বলি প্রাকৃতিক) পুরুষের দোষ হিসেবে চালিয়ে দিলেন।

-ভাই, মুক্ত চিন্তার মানুষ অাপনি, মুক্ত মনেই ভাবুন না!
১. অাপনি অাজ দুপুরে ভাত খেয়েছেন কি না, তাতে অামার কিচ্ছু যায় অাসে না। অাগামী এক মাস খেয়ে থাকবেন, নাকি না খেয়ে থাকবেন তা অাপনার বিষয়! অামার কি?
কিন্তু অামার কিছু হবে, যখন অাপনাকে দিয়ে অামার কোনা কাজ হবে। যখন অাপনার কাজে অাসাটা অামার কাছে জরুরী।
-কিন্তু অামার কাজে লাগতে পারে এমন মানুষটা অারেকজনের সন্তান গর্ভে নিয়ে বাড়িতে/হাসপাতালে দিনের পর দিন কটাবে অামি কেন তা মানব? তার গৌরবে অামার কি? কাজের যায়গাটা যদি এমনই হয় যে তাকেই দরকার, তবে এখানে কি কোন পার্থক্য নেই?
-কিন্তু অামাকে তা মানতে হয়। সেই প্রাকৃতীক কারণেই! অামার অস্তিত্বের শুরুটাওযে সেভাবেই!

২. নারীদের তথাকথিত কুমারিত্ব নষ্ট হওয়াকে হাস্যকর প্রথা বললেনঃ ভাই কাপড়ের নিচে মনে হয় অাপনি অার অামি একই রকম! তবে তা জনসম্মুখে খুললেই কেন কাহীনি হয়? একই তো! অাপনারটা দেখলে/দেখালে কেন ইজ্জত নিয়ে ভাবেন???
নারী-পূরুষের যৌন সম্পর্কে শারীরিক প্রমান নারী-ই বহন করে! পূরুষতো করে না! এখানে কি পার্থক্য নেই??? দুজনের সমান দোষে একজন কেন প্রমান বয়ে বেড়াবে??? অার তার খেশারত যে নারী পরিবারই বেশী দিবে, সেটাইতো স্বাভাবিক!

৩. কাজের ক্ষেত্রে নারীর বাইরে থাকাঃ সেই অাগের কথাটা অাবারও বলতে হচ্ছে! ওরা থাকতে পারবে না তা কি অামার দোষ??? বলবেন যে অারেক পূরুষের ভয়ে পারে না! অাপনার কথা মতো অারেক পূরুষকে ভয় কেন পেতে হবে? ওই পূরুষরা তাকে ভয় পাক! ওই নারী ওই পূরুষকে ধর্ষন করে দিক! পারবে না? তবে তো অাবরো পার্থক্য চলে এল!

-অাপনার লিখাটার দৃষ্টিকোন যদিও অামি যে কথাগুলো বললাম সেই দিকের না, তবে ওই যে বললেন- "বিশ্বাব্যাপী নারীদের ব্যাপারে ধর্ম ও সংস্কৃতি চর্চা ঐতিহাসিকভাবেই নারীদেরকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে"। যুগে-যুগে তা রেখেছে তাদের নিরাপত্তার জন্যই। অাপনার মুরগীর বাচ্চাগুলোকে বাচাতে অাপনি কি করবেন? বাচ্চাগুলোকে ঢেকে রাখবেন, নাকি চীল/কাক'কে দোষ দেবেন???

নারীদের প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা ভিন্ন ব্যাপার। তারা ভাল করছে এবং করবে। তবে তা একটা বলয়ের ভেতর থেকেই। অামার বোনকে অামি পাহাড়া দিয়ে স্কুলে নিয়ে যাই, যাতে কেউ তার কোন ক্ষতি করতে না পারে। অাবার অন্য কেউ হয়তো তার বোনকে পাহাড়ায় রাখে, যাতে অামি তার কোন ক্ষতি করার সুযোগ না পাই। এখানে দায়ী কে হলো তার চেয়ে বোধয় বড় বিষয় ক্ষতিগ্রস্থ কে হল।

এখন যদি দুই বোন অামাদের দুই পুরুষের দোষ নিয়ে তর্ক করতে থাকে, তবে হয়ত অন্য কেউ সুযোগ নিবে।
খারাপ তো খারাপ ই, বণ্যকেতো অার অাইন সেখানো যায় না!

(নারী-পূরুষ, কেউ বড় নয়, অাবার কেউ ছোটও নয়। তবে ক্ষমতা/বীচরণভূমির পার্থক্য অবশ্যই অাছে। দুজনকে এক দেখানোর চেষ্টা অনর্থক)

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

মদন বলেছেন: একে৪৭ ++

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@একে৪৭:

একে৪৭ শুধু একে৪৭ না, আরো বেশী কিছু!!!!!!!!!!++++

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

আলমগীর_কবির বলেছেন: @একে৪৭ : আপনি আপনার মন্তব্য আপনার নামের মতই চলিয়েছেন। আমি সময় করে পড়ে আপনার মন্তব্যর প্রতি মন্তব্য করব।

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধুর মিয়া .. ক্ষেত্র বিশেষে নারীকূল অনেক অনেক অনেক উপরে ।
সেখানে পুরুষের দাম মাত্র নাই । :/

তখন সেখানে সমঅধিকার খাটে না ! হুহ :-P

১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধুর মিয়া .. ক্ষেত্র বিশেষে নারীকূল অনেক অনেক অনেক উপরে ।
সেখানে পুরুষের দাম মাত্র নাই । :/

তখন সেখানে সমঅধিকার খাটে না ! হুহ :-P

১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

আলমগীর_কবির বলেছেন:

১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

নিতান্তই মনগড়া আজাইরা বিশ্লেষন!! অনেক কিছুই বলেছেন যার ভিত্তি নাই!!!

বেশী না, ১০০০ মেয়ের মধ্যে একটা গবেষনা করুন , তাদের জিজ্ঞাস করুন যে তারা তাদের সামাজিক, পারিবারিক, শারিরিক, মানষিক প্যাসিভনেসটা এঞ্জয় করে কিনা?? নাকি সকল ক্ষেত্রে তারাই এ্যক্টিভ হতে চায়?

আর এদের % জানাবেন।

অন্য ধর্মের ব্যাপারে আমি জানি না ইসলাম সম্পর্কে একটু একটু জানি, জানতে চাই ইসলাম নারীর সেক্সুয়াল বিষয়ে প্রকৃতির বিরূদ্ধে কি বলেছে ।

" নারী বনাম পুরুষ -একটি বৈজ্ঞানিক প্রমাণ
ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মানসিক পরিপক্বতা দ্রুত হয়—এ ধারণা সমাজে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, মস্তিষ্কের পরিপক্বতার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা প্রায় ১০ বছর এগিয়ে থাকে।
"

এই ১০ বছর এগিয়ে থাকবার গবেষোনার মূল লিংকটা দিবেন, দয়া করে আলু পেপারের লিংক দিবেন না!!

আমাকে নারী বিদ্ধেষি ভাববেন না, বরং আমি তার উল্টা। কিন্তু কেউ অজোচিত নারী তোষন করলে সন্দেহ হয়।

ভাই নারী হচ্ছে সকল ভালোবাসার উৎস, যেখানে নারী নাই সেখানে সুখ শব্দটাই নাই, উনাদের যা পাউনা তাই আগে এনসিউর করুন না!!! দেখুন না, এর পরও তাদের আর কি চাহিদা বাকি থাকে ???

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

আলমগীর_কবির বলেছেন: আপনার মন্তব্যর প্রতি মন্তব্য আমি একটু পরে দেব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.