![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রেলস্টেশন, বাস টার্মিনালে ভীড় জমায় একদল তরুন। তাদের লক্ষ্য ঢাকা; কারন এদেশে ঝাড়ুদার নিয়োগ করলেও তার নিয়োগ পরীক্ষা হয় ঢাকা থেকে। তারা কেউ প্রিলি দেবে; কেউ রিটেন; কেউ ভাইভা। কারো প্রথম, কারো পঞ্চাশতম; কারো বয়স শেষের শেষ পরীক্ষা।।
মা ফোন দেয়- 'বাবা পাশ করেছিস দুই বছর হল; একটা কিছু কর। তোর বাবার পক্ষে আর সম্ভব না। মা তোর জন্য আশীর্বাদ করছি। এবার তোর চাকরি হবেই হবে'
বাবা ফোন দেয়- 'বাবা আমাদের জন্য না; তোর জন্য একটা চাকরি ঠিক কর; বয়স কত হয়েছে খেয়াল আছে তোর।'
কথা দেয়া প্রিয়তমার ফোন বাজে - 'তুমি বিসিএস ক্যাডার হও; ব্যাংকার হও
এইটা আমি চাই না; একটা ছোটখাট চাকরি যোগাড় করো প্লিজ। বড় জব
পরে দেখা যাবে।'
শুধুমাত্র একটি চাকুরির জন্য যুবকটি অনার্স ফাস্ট ইয়ার থেকে মুখস্ত করে আসছে - কারেন্ট নিউজ, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডয়ের সব সংখ্যা; জবের সকল গাইড।
পৃথিবীর ২১৫ টি দেশের রাজধানী, মুদ্রা, আয়তন, জনসংখ্যা, রাষ্ট্রনায়কের নাম সবই তার মুখস্থ।
যমুনা সেতুর পিলার কয়টা?
চর্যাপদের কোন লাইন কে লিখেছেন?
কোন জেলায় কি আছে?
পৃথিবীর কোন নদী, শহর, প্রনালী, বাঁধ কোথায়? .. .... ... সবই তার মুখস্থ।
যুবকটি একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে রাতভর পাড়ি দিয়ে ঢাকা পোঁছায়। সকালে পরীক্ষা। ঢাকায় নেমে হাতমুখ ধুয়ে ২টা পরটা গিলে এক্সাম হলে দৌড় দেয়।
পরীক্ষা ভালোই দেয়; হল থেকে বের হওয়ার পরপরই পর্যায়ক্রমে- মা, বাবা,
প্রিয়তমা, বন্ধুদের ফোন।
বাসে ওঠে যখন শুনে তার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে; মন ভেঙ্গে যায়।
বেশিরভাগ যুবকেরাই বার বার ভাইভা দেয়, কিন্তু চাকরি মিলে না।
ফিজিক্স থেকে পাস করে চাকরি মিলে হয়ত কৃষি ব্যাংকে; সারাজীবন রসায়ন পড়ে হয়ত ঢুকে পুলিশ বিভাগে; প্রানীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা পড়ে তাকে ঢুকতে হয় মার্কেটিং জবে !!
কেউ পুরো বেকার; কেউ অর্ধেক বেকার; কেউ কোনমতে পড়ে থাকে পেটচালানোর জন্য।।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমাদের যুবকদের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
রাষ্ট্র ডিজিটাল হয়; জিডিপি বাড়ে; বাজেটের আকার বাড়ে; শতশত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি দেশে ঢুকে; কেবল উন্নয়নের চুক্তি হয়; বৈঠক হয়; ঝাঁকে ঝাঁকে সেমিনার-সিম্পজিয়াম হয় ......
কেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাড়ে না, কর্মসংস্থান বাড়ে না।
বেকারের ভীড় বাড়তে থাকে; ১টি পোস্টের বিপরীতে উপচে পড়ে হাজার হাজার প্রতিযোগী ।। তারপরও যুবকেরা একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটে; কোন এক শুক্রবারে তার স্বপ্ন পূরণ হবে।।
মাকে ফোন করে বলবে- 'মারে আমার চাকরি হয়েছে'
বাবাকে বলবে- 'বাবা তুমি এবার বিশ্রাম নাও; শুধু বাজার করবে; পত্রিকা পড়বে আর টিভি দেখবে'।
প্রিয়তমাকে বলবে- 'আগামী মাসেই তোমার বাবার সামনে আমি দাঁড়াবো;
দেখি কে ঠেকায়' !! (EduIcon থেকে নেওয়া)
আসুন সবাই চিৎকার দিয়ে কান্না করি। দেশটাতে কি নেই একটু বলুন তো। সবই তো আছে; গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম, স্বর্ন, চীনা মাটি। এগুলোকি কাজে লাগানো যায়না? শুধু ব্যস্ত্য বড় বড় স্থাপনা কি ভাবে করবে, কিভাবে হাইলাইট হবে সব। প্রশ্ন করা হলে বলে, এগুলো করতে অনেক টাকা লাগবে। বড় স্থাপনা পরে করেন। বড় স্থাপনা করতে টাকা লাগেনা? এগুলোর সময় বিভিন্ন ভাবে টাকা কেটে নেয়। সম্পদগুলোকে কাজে লাগিয়ে যুবকদের কর্মসংস্থান করে দেন। এগুলো কাজে লাগালে বিদেশে উলটা লোক আনতে হবে। কোন সরকারকে আপনি ভালো বলবেন? এই সব সরকারের সাপোর্ট বাদ দিয়ে নিজের সরকার হন। প্রতিবাদ করুন। এতো সম্পদ থাকতে আমরা আজ না খেয়ে আছি; আবার নেপাল ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়। আরে যুবকদের ত্রাণ দিবে কে? চোখ পানি মুছবে কে?
দয়া করে ভিডিওটি দেখুন, আপনিও কাঁদবেন।
মামুনরা মরে যাক
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
মজুমদার আলমগীর বলেছেন: সেমিনার-সিম্পজিয়ামের জন্যই সব বাজেট। কি দরকার আর ঐসব কিছু? দেশপ্রেমিক দিয়ে কি হবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিজিক্স থেকে পাস করে চাকরি মিলে হয়ত কৃষি ব্যাংকে; সারাজীবন রসায়ন পড়ে হয়ত ঢুকে পুলিশ বিভাগে; প্রানীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা পড়ে তাকে ঢুকতে হয় মার্কেটিং জবে !!
কেউ পুরো বেকার; কেউ অর্ধেক বেকার; কেউ কোনমতে পড়ে থাকে পেটচালানোর জন্য।।
স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমাদের যুবকদের জন্য চাকরির নিশ্চয়তা নেই।
রাষ্ট্র ডিজিটাল হয়; জিডিপি বাড়ে; বাজেটের আকার বাড়ে; শতশত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি দেশে ঢুকে; কেবল উন্নয়নের চুক্তি হয়; বৈঠক হয়; ঝাঁকে ঝাঁকে সেমিনার-সিম্পজিয়াম হয় ......
কেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাড়ে না, কর্মসংস্থান বাড়ে না।
বেকারের ভীড় বাড়তে থাকে; ১টি পোস্টের বিপরীতে উপচে পড়ে হাজার হাজার প্রতিযোগী ।।
জ্বলন্ত বাস্তবতা!
আসুন সবাই চিৎকার দিয়ে কান্না করি। দেশটাতে কি নেই একটু বলুন তো।
নেই একজন দেশপ্রেমিক নেতা!
নেই একদল বিবেক সম্পন্ন রাজণীতিবিদ!
নেই একদল মনুষ্যত্ব বোধ সম্পন্ন ব্যবসায়ী!
নেই একদল সত্যবাদী বুদ্ধিজীবি!
নেই একদল বিশ্বাসী ইমাম!
নেই একদল বিবেকের দায় সম্পন্ন সাংবাদিক!
নেই মা, মাটি মানুষের যাক শোনা মিডিয়া!
নেই অনেক কিছু। আর নেই বলেই আমরা উল্টো হাটছি!
+++++++++++++