নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে এখনো চিনিতে পারি নাই্। চিনিতে পারিলে বলিব।

আলামিন১০৪

আলামিন

আলামিন১০৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদম (আঃ) এর ভুলের শাস্তি কি আমাদের প্রাপ্য?

২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:০৪



আমরা কম-বেশি সবাই জানি কি কারণে আমাদের আদি পিতা, আদম (আঃ) জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়েছিল। নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণ করে তিনি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছিলেন, শাস্তিস্বরূপ তাঁকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ঠিক কিভাবে বা কি কৌশলে ইবলিশ তাঁকে প্ররোচিত করেছিল তা কি আমরা জানি?
ইবলিশের আদি নাম/উপাধি ‍ছিল আযাযিল আর সে ফেরেস্তাদের সর্দার ছিল। উচ্চ মর্যাদা প্রাপ্তির কারণে পরবর্তীতে তার মধ্যে অহংবোধ জাগ্রত হয়। আদম (আঃ)কে সৃস্টির পর ফেরেস্তাদের যখন আদমকে সেজদা করতে আদেশ করা হয় তখন আযাযিল সে আজ্ঞা পালনে অস্বীকৃতি জানায়। নিজেকে আদমের চেয়ে শেষ্ঠ ঘোষণা করে আল্লাহর সাথে তর্ক করে ফলে শাস্তি হিসেবে তার সমস্ত মর্যাদা কেড়ে নিয়ে তাকে সেখান থেকে বিতাড়িত (রাজিম) করা হয়। আর এতে ইবলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে, আদমের শত্রুতে পরিণত হয়।
আর আল্লাহ আদমকে ইবলিশ সম্পর্কে সাবধান করে দিয়ে জান্নাতে অবাধ বিচরণের স্বাধীনতা দিয়ে শুধু একটি বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধাজ্ঞা দেন।
‘হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং জান্নাতের যেথা ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে আহার কর। কিন্তু এ বৃক্ষের নিকটবর্তী হয়ো না; তাহলে তোমরা অন্যায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’ (সূরা বাকারা:৩৫)
‘অতঃপর আমি বললাম, ‘হে আদম! নিশ্চয়ই এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতরাং সে যেন কিছুতেই তোমাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে না দেয়। তাহলে তোমরা দু:খ-কষ্ট পাবে। নিশ্চয় তোমার জন্য থাকল (এ নিয়ম) যে তুমি জান্নাতে ক্ষুধার্ত ও বিবস্ত্র হবে না এবং পিপাসার্ত ও রোদে ক্লিষ্টও হবে না।’ (সূরা ত্বহা:১১-১১৯)

কিন্তু আদম কোনভাবে জানতে পেরেছিল যে তাকে পৃথিবীর জন্য সৃস্টি করা হয়েছে এবং অচিরেই তাঁকে পৃথিবী নামক বিপদসংকুল এক জায়গায় পাঠানো হবে। তাই সে তাঁর প্রতিপালকের কথায় আশ্বস্ত হতে পারলনা। আর শয়তান এ ‍সুযোগটিই নিল।
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রনা দিল, বললঃ হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা? [সূরা ত্বা-হা: 120]

শয়তান তার পুরনো কৌশল এখন আরো শানিত করেছে। আমরা কিছু প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করা শুরু করেছি-
যেমন- আদম না হয় গন্ধম খেয়ে পৃথিবীতে বিতারিত হয়েছে কিন্তু আমাদের কী ভুল ‍ছিল? আমাদেরকে তিনি দুনিয়াতে কেন পাঠালেন?

কি মনে হয় আপনাদের? কেন আমরা আদমের ভুলের শাস্তি আস্বাদন করছি?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:০৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০. আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ
পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ – ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩২৮-(৬) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! যদি তোমরা গুনাহ না করতে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে সরিয়ে এমন জাতিকে সৃষ্টি করতেন যারা গুনাহ করত ও আল্লাহ তা‘আলার কাছে ক্ষমা চাইত। আর আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিতেন। (মুসলিম)(1)
(1) সহীহ : মুসলিম ২৭৪৯, শু‘আবূল ঈমান ৬৭০০, সহীহাহ্ ১৯৫০, সহীহ আত্ তারগীব ৩১৪৯।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih

সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
পাবলিশারঃ আল্লামা আলবানী একাডেমী
অধ্যায়ঃ ৩৫/ সুন্নাহ
৪৭০৩। মুসলিম ইবনু ইয়াসার আল-জুহানী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলোঃ ‘‘যখন তোমার রব আদম সন্তানের পিঠ থেকে তাদের সমস্ত সন্তানদেরকে বের করলেন…’’ (সূরা আল-আ‘রাফঃ ১৭২)। বর্ণনাকারী বলেন, আল-কা‘নবী এ আয়াত পড়েছিলেন। উমার (রাঃ) বলেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করতে শুনেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহান আল্লাহ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর স্বীয় ডান হাতে তাঁর পিঠ বুলিয়ে তা থেকে তাঁর একদল সন্তান বের করে বললেন, আমি এদেরকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং এরা জান্নাতবাসীর উপযোগী কাজই করবে।
অতঃপর আবার তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে একদল সন্তান বেরিয়ে এনে বললেন, এদেরকে আমি জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি এবং জাহান্নামীদের উপযোগী কাজই করবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে আমলের কি মূল্য রইলো? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন তখন তার দ্বারা জান্নাতবাসীদের কাজই করিয়ে নেন। শেষে সে জান্নাতীদের কাজ করেই মারা যায়। আর আল্লাহ এর বিনিময়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর যখন তিনি কোনো বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তার দ্বারা জাহান্নামীদের কাজ করিয়ে নেন। অবশেষে সে জাহান্নামীদের কাজ করে মারা যায়। অতঃপর এজন্য তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান।(1)
সহীহ, পিঠ বুলানো কথাটি বাদে।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
উত্তর পাইছেন? না ত্যানা প্যাচাবেন?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২১

আলামিন১০৪ বলেছেন: আপনার রেফারেন্স পরিপূর্ণ নয়, পরিপূর্ণ জ্ঞান হলো আল্লাহর কিতাবের সম্পূর্ণটা অনুধাবন করা এবং তা নিশ্চিতভাবেই অনেক কঠিন। আপনার বক্তব্য অনুযায়ী আল্লাহ নিজ ইচ্ছামতো কতককে জাহান্নামের শাস্তি দেন আর কতককে জান্নাত দেন। আপনি তো আল্লাহকে যুলুমকারীদের কাতারে ফেললেন অথচ আল্লাহ ইনসাফকারী, তিনি কারো উপর যুলুম করেন না। আপনার জ্ঞানের গভীরতা আরো বৃদ্ধি করুন, সম্পূর্ণ কোরআন (পারলে হাদিস গ্রন্থসমূহ সহ) অধ্যয়ন করুন।

রাসুল (সঃ বলেন, “আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে তাহলে হাসতে কম, কাঁদতে বেশি।”
তিনি আরো বলেন, তোমরা বেশি প্রশ্ন করোনা তোমরা মনে করো না যে আল্লাহ উহা বলতে ভূলে গেছেন
আল কোরআনে আল্লাহ বলেন, “ মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে আল্লাহ তাঁর সাথে কথা বলবেন....” কি মনে হয় আপনার, আপনি-আমি কি এমন অপরাধ করেছি যে মর্যাদাহীন হয়ে পড়েছি?

এসব প্রশ্নের উত্তর আল্লাহ ইচ্ছা করেই দেন নি। যেমনটা আদমকে আগেই জানিয়ে দেননি যে তাকে কেন পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হবে।

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেন, আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি।

আপনি কি বলতে চান, যেহেতু আমাদের আদমের পিঠ থেকে বের করা হয়েছে, সেহেতু, আদমের গন্ধম খাওয়ার পিছনে আমাদেরও ভূমিকা আছে?
আপনি বলতে ভূলে গেছেন, আর আল্লাহ ভালো জানেন যেহেতু আপনি নিশ্চিত নন আরেএ ব্যাপারে সরাসরি কোরআন বা হাদিসে কিছু বলা হয় নি। আর পিতার দুষ্কর্মের জন্য পুত্রকে শাস্তি দেওয়া হবে না।
আল্লাহর অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে ....যখনই একটি দল প্রবেশ করবে, তখন পূর্বের দলকে তারা লা‘নত করবে। অবশেষে যখন তারা সবাই তাতে একত্রিত হবে তখন তাদের পরবর্তী দলটি পূর্বের দল সম্পর্কে বলবে, ‘হে আমাদের রব, এরা আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে। তাই আপনি তাদেরকে আগুনের দ্বিগুণ আযাব দিন’। তিনি বলবেন, ‘সবার জন্য দ্বিগুণ, কিন্তু তোমরা জান না’

কিন্তু যেহেতু, সরাসরি কোন কিছু আল্লাহ বলেন নি তাই আমিও সরাসরি উত্তরটা জানানো থেকে বিরত থাকলাম কারণ উহা সরল পথ নহে, ঐ পথে শয়তান উৎ পেতে রয়েছে। আর আল্লাহ ভালো জানেন

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯

কিরকুট বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: উত্তর পাইছেন? না ত্যানা প্যাচাবেন?

:D যা বলেছেন ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০০

অগ্নিবেশ বলেছেন: ত্যানা প্যাচানো শুরু হইছে, আমি যে হাদিসটি দিয়েছি তাতে এক অক্ষরও নিজে কিছু লিখিনি বা বর্ননা করিনি। মুল হাদিসে যা লেখা তা কপি করেছি মাত্র। আপনি এই হাদিস যদি অস্বীকার করেন তাহলে আপনি কি আর মুসলমান থাকবেন? কোরান হাদিসে যা যেভাবে লেখা আছে তাহাই ইসলাম। আপনি কি বুঝলেন তাতে ইসলামের কি?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই, কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ঐ সম্পর্কিত সমস্ত আয়াত এবং হাদিসের জ্ঞান থাকতে হবে, আপনি বিচ্ছিন্নভাবেে এক- দুইটা আয়াত/হাদিস দিয়ে তার উত্তর সন্দেহাতীতভাবে বের করতে পারবেন না, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। বিষয়টা অনেকটা অনেকগুলো সমীকরণ সমাধানের মতো, আপনি একটা সমীকরণ দিয়ে সমাধান করতে পারবেন না যখন ভ্যারিএবল এর সংখ্যা বেশি হয়।
আপনার বর্ণিত আয়াত কিংবা হাদিস কোনটাই অস্বীকার করছিনা আমি শুধু সব হাদিস আর পূর্ণ কোরআন অধ্যয়ন করতে বলেছি।



৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: একটা জিনিস কি হিসেব করেছেন।

কোরানের এই কাহিনি অনুযায়ী। মানুষের সৃস্টি ভীন গ্রহে। ঐখান থেকে মানুষকে শাস্তি হিসেবে পৃথিবি নামক গ্রহে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। ;)

তো যারা পাঠিয়েছে তারা তো পরে মানুষকে এই পৃথিবিতে বেচে থাকার জন্য সাহাজ্য ও করবে তাইনা।

তাহলে কি ভীন গ্রহের এডভান্সড সিভিলাইজেসনই কেই পরের মানুষের বইএ সৃস্টিকর্ত হিসেবে লিখেছন? ;)

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




@নতুন,

আপনি ঘুমাবার সময় পান? এতো এতো আইডিয়া আপনার মাঝে!!! :)

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:১৮

কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ঐ সম্পর্কিত সমস্ত আয়াত এবং হাদিসের জ্ঞান থাকতে হবে, আপনি বিচ্ছিন্নভাবেে এক- দুইটা আয়াত/হাদিস দিয়ে তার উত্তর সন্দেহাতীতভাবে বের করতে পারবেন না, ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে। বিষয়টা অনেকটা অনেকগুলো সমীকরণ সমাধানের মতো, আপনি একটা সমীকরণ দিয়ে সমাধান করতে পারবেন না যখন ভ্যারিএবল এর সংখ্যা বেশি হয়। আপনার বর্ণিত আয়াত কিংবা হাদিস কোনটাই অস্বীকার করছিনা আমি শুধু সব হাদিস আর পূর্ণ কোরআন অধ্যয়ন করতে বলেছি।


এই কথা কারা বলে জানেন? তারা বলে যাদের পড়াশুনার ইচ্ছা একদম নাই কিন্তু ভাব দেখাবে মহা পন্ডিত ।

অগ্নিবেশের কথা অনুযায়ী ত্যানা না পেঁচিয়ে অন্য কিছু প্যাচান এতে একটা কিছু তৈরী হতে পারে । যাতে মানুষের কোন উপকারে লাগে।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: @নতুন,
আপনি ঘুমাবার সময় পান? এতো এতো আইডিয়া আপনার মাঝে!!! :)


ভাই আমি তো শুধুই বিশ্লেষন করেছি মাত্র।

আয়াতের ঘটনার টাইমলাইন ধরে বোঝার চেস্টা করুন ঘটনা তো এই রকমেরই মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.