নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকার এই ব্যাস্ত নগরীর আমি এক ক্ষুদ্র পথচারী , লিখা লিখি করার ভীষন ইচ্ছা । তাই নিজের কথা গুলো তুলে ধরতে্‌ আমি ব্লগে লিখা লিখি শুরু করলাম।আমি আল-আমিন । মধ্যবৃত্য পরিবারের আমি সন্তান। স্বপ্ন তো সবাই দেখতে পারে । তাই আমিও দেখছি।

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন

https://www.facebook.com/alamin.noyon চাইছিলাম পরিচয় গোপন থাক। তবে তাতে কি লাভ।বন্ধু মহলে আমি বড় একা। তবে ব্লগে আমার মতের অনেকেই আছে। বন্ধুত্ব বাঁড়াতে সমস্যা কোথায়।

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেলা অসমাপ্তই থাকলো

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

পিচ ঢালা গরম রাস্তায় দাড়িয়ে এতো এতো মানুষের ভিড়ে নিজে কে, কি ভাবে প্রমান করি? কথা বলতেই সব আমার বিপরীতে চলে যায়। পর মুহূর্তে কথা বলার মানুষটিও পাই না। তখন আমার সাথী আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের সাথে কথা বলি। কত সুখী মনে হয় তখন। কোন তর্কও করে না আমার বোকা মনটা।
প্রতিটা দিন সকালে যখন হাঁটতে বেড় হই, পরিবেশটা কত রোমাঞ্চওকর মনে হয়। মনে হয় কিছু একটা আমার সাথে নেই। পর মুহূর্তে মা ফোন থেকে ফোন আশে, -কিরে তুই ঘুম থেকে উঠছিস।
-হাসতে হাঁসতে, মা কটা বাজে।
-মা ফোন কেটে দেয়।
তারপর রুমে এসে, এক প্যাকেট লুডুস আর ডিম।এক খাবারে একাকার অবস্তা। তারপর নয়'টা বাজতে ব্যাগটা ঘারে নিয়ে বিজয়সারনির মড়ে। হয়তও বাস পাবো না। হাটা শুরু আর একা একা কথা বলা। মহাখালী চলে আশে। তারপর দৌরে গিয়ে বিআরটিসি তে। ৫ মিনিটের রাস্তায় তবু ২০ মিনিটের বেশি লাগে।

অবশেষে বাস নামিয়ে দেয় বনানী তে। অভার ব্রিজে উঠবো ঠিক তখন মধ্যবয়স্ক এক লোক। মামা লাগবো নাকি, পার সর্ট ৩০০ টাকা। মুখে একটা হাসি দেখিয়ে উঠে যাই ব্রিজে। কত রকমের চাকরি মানুষ করে এই ঢাকা শহরে।ভার্সিটি গিয়ে দেখবো সব ফ্রেন্ড আমার আগে চলে এসেছে। আমি সেদিনও লেট আর ল্যাব রিপোর্ট করে আনি নি। ক্লাস শেষ করে আবার বাসের জন্য দাড়িয়ে। কোন মতো উঠে গিয়ে একটু দাড়াতেই দেখি সামনে এক মেয়ে তাকিয়ে আছে। চেহারা মোটা মুটি ভালো। এরপর বার বার চোখে চোখ রাখার চেষ্টা। নিজেকে নিজের মাঝে লুচ্চা মনে হয় সে সময়। পড়ে হাসি দিয়ে আকর্ষিত করার চেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আবার জ্যাম। তাই বাধ্য হয়ে সেখানেই নামতে হয়। চোখে চোখে লিখা কাব্য সেখানেই সমাপ্ত।
বাসায় ঢোকার আগে চ্যাঁয়ের দোকানে বসে একটা সিগারেট আর লাল চা। সামনে সামনে দিয়ে গাড়ি চলছে। চোখ আমার গাড়ির চাকায়। শুধু দৌড় আর দৌড়। আমি চিন্তা করছিলাম চাকার সাথে আমার অমিল কোথায়। আছে আছে, আমি মানুষ।

বিজয়সারনি মড়ে আবার জ্যাম। এক পুচকি ফুল বেচছে। পুচকি মেয়েটি কখন আমার পাশে আসছে টের পাই নি। আস্তে করে বললও- ভাইয়া একটা ফুল নিবেন। আমি বললাম আমি ফুল দিয়ে কি করবো। আপারে দিবেন।
আমি বললাম আপা তো নাইরে। পুচকি মেয়েটির উত্তর রেডি। তাইলে মায়েরে দিবেন।

নিলাম ফুলটি দশ টাকা দিয়ে। অতি সুন্দর হাসি দিয়ে চলে গেল।

বেলা তখনও সন্ধ্যা নামে নি। বাবা-মা ছেড়ে এক অচেনা জায়গায় পড়ে আছি নিজের জগত গড়তে। মাকে কিভাবে ফুলটা দেই। বাসায় নিয়ে আসলাম, ফুলটি আজ শুকিয়ে গেছে।
মনে হচ্ছে বেলা আমার অসমাপ্তই থাকছে। সুখ গুলো মরে গেছে।
কাল আবার দিন শুরু হবে এক অসমাপ্তও বেলার জন্য।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

শায়মা বলেছেন: যখন মায়ের সাথে দেখা হবে তখনই দিও ফুলটা ভাইয়া।:)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেছেন: ফুলতও আজি শুঁকায়ে গেছে। আমার টেবিলের উপরে আছে।শুকনো ফুল কি আর মাকে দেওয়া যায়।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

শায়মা বলেছেন: কেনো যাবেনা? ফুল তাজা বা শুকনোর মধ্যে আমি কোনো প্রভেদ দেখিনা। বরং মায়ের সাথে যেদিন দেখা হবে মাকে বলা যেতে পারে সেই পুচকি মেয়েটার কথা যে মাকে ভালোবেসে এই ফুল দিতে বলেছিলো।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোঃ আব্দুল্লাহ আল-আমিন বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন তো, আমি তো কালি বাড়ি যেতে চাচ্ছি, এটা আমার মাথায় আসে নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.