![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিগত আফগান মাসের (২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত) উল্লেখযোগ্য সাফল্য তুলে ধরেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
বিগত মাসে ৩৮ জন নারীর জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ করা হয়েছে, ২৪ জন নারীর শরিয়াহ উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ৪০ জন নারীকে পারিবারিক সহিংস পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া যৌতুকের কবল থেকে ২২ জন নারীকে মুক্ত করা হয়েছে। ৮ জন নারীর বিবাহ রোধ করা হয়েছে, যেখানে নারীগণ প্রতারণার স্বীকার হয়েছিল।
উল্লেখ্য যে, উল্লিখিত সমস্যাগুলো আমাদের বাংলাদেশেও প্রকট, কিন্তু তা সমাধানে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।
অথচ সম্প্রতি বাংলাদেশে নারী বৈষম্য দূর করার নামে ইসলাম বিরোধী নানা সুপারিশ উপস্থাপন করে তথাকথিত নারী সংস্কার কমিশন। নারী অধিকারের আড়ালে নারীদের কোনঠাসা করা, তাদের স্বাভাবিকত্ব নষ্ট করাই যেন কথিত নারী কমিশনের উদ্দেশ্য। যেখানে পতিতাবৃত্তির মতো হারাম ও অবমাননাকর পেশাকে স্বীকৃত দেয়ার মত উদ্ভট দাবি তোলা হয়েছে। এছাড়া পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনে মহান আল্লাহর বিধানকে চ্যালেঞ্জ করার মত দুঃসাহস দেখানো হয়েছে। দেশের আলেম-ওলামা থেকে সর্বস্তরের মুসলমান জনগণ ঘৃণার সাথে এই সকল দাবির বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।
যেখানে কুফরি শাসনব্যবস্থার আওতাধীন বাংলাদেশের মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নারী সমাজ অবহেলিত হচ্ছে, এর বিপরীতে মহান আল্লাহর বিধানের আলোকে নারীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। ইমারতে ইসলামিয়ার সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম থেকে তা বারংবার সুস্পষ্ট হয়েছে।
©somewhere in net ltd.