![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের আহমেদাবাদের চান্দোলা তালাবের পাশে দানিলিমদা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮,৫০০-এরও বেশি ঘরবাড়ি। হিন্দুদের ঘর অক্ষত রেখে শুধুমাত্র মুসলিমদের বসতি গুঁড়িয়ে দেওয়ায় হাজার হাজার পরিবার আজ ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে।
গত ৩ জুন মুসলিম মিরর-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রশাসনের তথাকথিত দখলদারবিরোধী অভিযান এলাকাজুড়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও একই এলাকায় ২,০০০-এর বেশি বাড়ি ভেঙে দিয়ে মুসলিমদের উচ্ছেদ করা হয়। সেই অভিযান ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতা ও মুসলিম প্রতিনিধিরা প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে ঘরবাড়ি ভাঙার সময় নারীদের কান্না ও পুরুষদের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠা মর্মান্তিক দৃশ্য। ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে অসহায় মানুষগুলোর চোখে ছিল ভয়, ক্ষোভ ও অনিশ্চয়তা।
বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এখন অস্থায়ী তাঁবুতে কিংবা খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছে। শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য কোনো পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো—একই গলির অনেক হিন্দু পরিবারের ঘরবাড়ি ছিল নিরাপদ, যেগুলো ছোঁয়াও হয়নি। ফলে এই বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বহু মুসলিম।
তাদের প্রশ্ন—‘যদি জমি সরকারি হয়, তাহলে মুসলিমদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়ে হিন্দুদের ঘর রেহাই পেল কেন? আমরা তো বহু প্রজন্ম ধরে এখানেই বাস করছি। আমাদের দোষ কী?’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো দায় নিচ্ছে না। বছরের পর বছর সংগ্রাম করে গড়ে তোলা ঘরবাড়ি ও জীবিকার অবলম্বন এক মুহূর্তেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.