![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের আসামের ধুবড়ি জেলায় ঈদুল আজহার পরদিন একটি হনুমান মন্দিরের সামনে গরুর কাটা মাথা পাওয়ার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ‘দেখামাত্র গুলি’র নির্দেশ জারি করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ অন্তত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম।
কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই আসামের উ/গ্র হি!ন্দুত্ববাদী প্রশাসন এই ঘটনার দায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর চাপিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কালেক্টিভ পানিশমেন্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
১৪ জুন ভারতীয় গণমাধ্যম মাকতুব মিডিয়ার খবরে জানা যায়, ওই হি!ন্দুত্ব*বাদী নেতা বলেছে, ‘ধুবড়িতে শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সক্রিয়। আমি রাতে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ জারি করেছি। যদি কেউ পাথর ছোঁড়ে এবং পুলিশ তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ করে, তাহলে তারা গুলি করবে।’
ধুবড়িতে এসে পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শনের সময় সে বলে, ‘সামনের ঈদে যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আমি নিজেই সারা রাত হনুমান বাবার মন্দির পাহারা দেব।’ সে ঘটনাটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ দাবি করে জানায়, ‘কিছু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি পরিবেশকে বিষাক্ত করছে। সরকার এটা সহ্য করবে না।’
পরে সে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ‘আগে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল, এখন আর সেই দিন নেই। আমার কথা মনে রাখবেন: আজ রাতে যদি কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়া যায়, তবে তাদের দেখামাত্র গুলি করা হবে।’
উল্লেখ্য, ধুবড়ির বালুরচর এলাকায় গত ঈদুল ফিতরের সময় একটি হনুমান মন্দিরের সামনে গরুর মাংস পড়ে থাকার অভিযোগ ওঠে। পরদিন চাতিয়ানাতলা ও বালুরচর এলাকায় আবারও গরুর চামড়া ও মাংস পাওয়া গেলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
এ সময় হি!ন্দুত্ব@বাদী জনতা রিকশা চালক এবং রাস্তার পাশের মুসলিম বিক্রেতাদের ওপর হামলা চালায়। এবং বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
©somewhere in net ltd.