![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে নৃশংস হ!ত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি কর্মীরা মাত্র ৭ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে খুন করে বস্তায় ভরে গাছে ঝুলিয়ে রাখে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, শিশুটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল, গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় এবং কপালে তিলক আঁকা ছিল।
এ হ!ত্যাকাণ্ডকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় হি!ন্দুত্ববাদীরা অভিযুক্তদের প্রশংসা করে আপত্তিকর ও মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছে। কেউ লিখেছে, 'এক মোল্লা কমলো', আবার অনেকে শিশুটিকে ‘সন্ত্রা!সী’ বলে অভিহিত করে মাদ্রাসায় 'বো!মা বানানো শিখে' এমন মিথ্যা দাবি ছড়িয়েছে, অন্য একজন মন্তব্যে বলেছে, 'এমন সাপদের দ্রুত দেশ থেকে মুছে ফেলতে হবে।'
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দ্য অবজারবার পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিশুটি বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। শিশুর পরিবার প্রথমে ভেবেছিল সে বন্ধুদের সঙ্গে আছে, কিন্তু রাত গভীর হলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। পরে পরিবারটি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়নি। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশের একটি গাছে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির লাশ ঝুলতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী মান্তু নিগম ও শলিন্দ্র নিগম গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক বিরোধ ও ব্যবসায়িক ঈর্ষার কথা উঠে এসেছে, তবে শিশুটির পরিবার বলছে এটি ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে করা হয়েছে।
নিহতের বাবা শাহাব-এ-আলম শোকে বিধ্বস্ত হয়ে বলেছেন, 'আমরা তাকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছি।' শিশুটির চাচা শওকিন আলম পুলিশি ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, 'যদি তারা দ্রুত খুঁজত, হয়তো আমাদের শিশু এখনো বেঁচে থাকত'।
©somewhere in net ltd.