নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাল- হেলাল ৭৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান

মোহাম্মদ আতীকুর রহমান

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান রাষ্ট্র নায়ক মহানবী (সা.) ও বর্তমান প্রেক্ষাপট-

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২১

বিশ্বমানবতার জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যেমন ছিলেন ধর্মবেত্তা তেমনি ছিলেন সমগ্র বিশ্ব মানবের জন্য রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক। ইতিহাসের অনন্য সাধারণ কীর্তিমান মহাপুরুষ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যল্প সময়ের ব্যবধানে গভীর বিচক্ষণতার সাথে যুগ যুগ ধরে লালিত পৌত্তলিকতা ও কু-সংস্কারের অচলায়তন ভেঙ্গে ধর্মাশ্রয়ী এক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পত্তন করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে অদ্যাবধি কোন রাষ্ট্রনায়ক মুহাম্মদ (সা.)-এর মত এত দুরদর্শিতার সাথে এত বড় বৈপ¬বিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হননি। মাইকেল এইচ হার্ট তার The Hundreds নামক গ্রন্থে বলেছেন, “Muhammad (sm) only the man in the history who was supremely successful on both religious and secular levels.”



মহানবী (সা.)-এর রাষ্ট্র গঠন

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় উপস্থিত হয়েই একটি আদর্শ সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। দুরদর্শী রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে তিনি যাবতীয় রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। হিজরতের পরই তিনি ৪৭ ধারা সম্বলিত ‘মদীনার সনদ’ (Charter of Madina) তৈরী করেন। ফলে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান ও সকল ধর্মাবলম্বী লোক ঐক্যসূত্রে গ্রথিত হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন গোত্রপতি বা রাষ্ট্রপ্রধানদের সাথে নানাধরণের চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বন্ধন স্থাপন করেছেন। ইসলাম গ্রহণের নিমিত্তে দাওয়াত দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে পত্র প্রেরণ করেছেন।

বিচার বিভাগ সুসংগঠিত করে তার সুষ্ঠু পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে দীর্ঘ ১০টি বছর তিনি যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রীয় ফরমান জারী করেছেন। গড়ে তুলেছেন সু-সংহত প্রশাসন। গোটা রাষ্ট্রকে মদীনা, তায়মা, আল-জানাদ, ইয়েমেন, নাজরান, খায়বার, হাজরামাউত, বাহরাইন ও ওমান প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং যোগ্য শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন।

মহানবী (সা.) প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মূলনীতি ছিল জাতিয়তা, ধর্ম, বর্ণ ও বংশ নির্বিশেষে সমগ্র মানব সভ্যতার কল্যাণে কাজ করা এবং ন্যায়পরায়নতার সাথে প্রত্যেকের অধিকার ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। পবিত্র কুরআনের বাণী, ‘কাজ কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন।’ (আল-ইমরান : ১৫৯) এর ভিত্তিতে ‘মজলিসে শূরা’ গঠনের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় কার্যাবলী সম্পাদন করতেন। এক কথায় "The strong and the weak, the big and the small are equal in the eye of law.’ এই ছিল মহানবী (সা.)-এর শাসননীতি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে প্রত্যেকের বাক ও বিবেকের স্বাধীনতা উন্মুক্ত ছিল। পরধর্মে তিনি যেমন ছিলেন সহিষ্ণু, তেমনি পররাষ্ট্রের প্রতি তাঁর বাণী ছিল শান্তি এবং ভ্রতৃত্বের। বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করে ইসলামের সুনাম ও বিস্তৃতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে তাঁর এ প্রতিভার কথা উল্লেখ করে জর্জ বার্নার্ডশ যথার্থই বলেছেন, "If all the world was united one leader, then Muhammad (sm) would have been the best fitted man to lead the peoples of various creeds, dogmas and ideas to peace and happiness.



বর্তমান প্রেক্ষাপট ঃ

আজ মুসলিম উম্মাহ দিকভ্রান্ত। গন্তব্য অনিশ্চিত। স্বপ্ন নেই, প্রেরণা নেই, জেগে উঠার তাগিদ নেই। আমরা কী ছিলাম তা আজ বিস্মৃত। ভুলে গেছি আমাদের সোনালী যুগের কথা। আমরা ভুলে গেছি একসময় আমরা দুনিয়া শাসন করেছি। মানবতাকে পথ দেখিয়েছি। জ্ঞানের আলো বিতরণ করেছি। মানুষের মনে আশা জাগিয়েছি। কল্যাণের ফল্গুধারা বিতরণ করেছি। তখন ইতিহাস ছিল আমাদের নিয়ন্ত্রনে। আর আজ? সবই যেন মনে হয় দু:স্বপ্ন। আজ আমরা পরাধীনতার শৃংখলে আবদ্ধ। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে পাশ্চাত্য সাংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত। ইবাদাত কবুলের পূর্ব শর্ত হালাল উপার্জন অর্জনের পরিবর্তে সুদ, ঘুষ, ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে অর্থ উপার্জনে ছুটে চলছি অবিরত। কিন্তু কেন?

মহানবী (সা.) জ্ঞানার্জনের কথা বলতেন। জ্ঞানার্জনকে সবার জন্য অপরিহার্য ঘোষণা করেছিলেন। আজ আমরা মূর্খতার গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত। মহানবীর (সা.) শিক্ষা ছিল ‘পড়’। পড়াতো দুরের কথা, মুসলিম বিশ্বে অক্ষর জ্ঞানও বেশী মানুষের নেই। আজ আমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবার চেয়ে পিছিয়ে। মহানবীর (সা.) শিক্ষা ছিল প্রতিবেশীকে উপোষ রেখে নিজে পেট পুরে খেলে সে মুমিন নয়। অথচ আমাদের পাশে কত লোক উপোষ করছে সে খোঁজটুকুই নেই। কত মানুষ আজ নিরন্ন জীবনযাপন করছে তার খবর কে রাখে? মহানবী (সা.) ও তাঁর মহান খলীফাগণ প্রতিটি নাগরিকের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন থাকলেও আমরা আজ নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকছি। মহানবীর (সা.) শিক্ষা ছিল ধন পুঞ্জিভূত নয়, ছড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু আজ সব কিছুই মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে কুক্ষিগত হয়ে আছে। কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, - এটা মহানবীর (সা.) আদর্শ ছিল না। কিন্তু তাই ঘটছে বাস্তবে।

মহানবীর (সা.) শিক্ষা ছিল ন্যায়ের শাসন। অথচ মুসলিম বিশ্বে নির্যাতন নিপীড়ন নিত্য ঘটনা। দুর্নীতির কবলে পড়ে ন্যায়নীতি ভূলুন্ঠিত। অত্যাচার অনাচার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জুলুম নির্যাতন প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজ সাধারণ মানুষের কোন ভূমিকা নেই।



এই চরম অবস্থা হতে উদ্ধারে মহান আল্লাহ নির্দেশিত এবং মহানবী (সা.) প্রদর্শিত পথ মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুনদর পোসট।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: আজ পবিত্র ঈদে মিলাদ-উননাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]। আসুন রাসুল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে ভালোবেসে সবাই বলি - "বালাগাল উলা বিকামালিহি, কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি, হাসানাত জামিউ খিসালিহি, সাল্লু আলাইহে ওয়াআলিহি।"
শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: আমাদের উচিত মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: বালাগাল উলা বিকামালিহি, কাসাফাদ্দোজা বিজামালিহি, হাসানাত জামিউ খিসালিহি, সাল্লু আলাইহে ওয়াআলিহি

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

আদরসারািদন বলেছেন: আমাদের সকলের উটিৎ দিকখ্রান্ত হলে কোরআন এবাং রসূলের বাণী অনুষরণ করা

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: অবশ্যই।

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

ইভা_110 বলেছেন:

সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

তবে এ্ই চরম অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য আমাদের নিম্নের কাজ গুলো করতে হবে:

১- মুসলিম উম্মার মাযহাবগত মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও তাদের দুশমনদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হবে হবে। কেননা মহান আল্লাহ বলেন : (وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللهِ جَمِيعاً وَلاَ تَفَرَّقُوا )
২-মাযহাবগত যুদ্ধ ও মুসলমান দেশগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে আক্রমন ও যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩- পবিত্র কুরআন ও বিশুদ্ধু সুন্নাতকে আকড়ে ধরতে হবে কেননা মহানবী (স,) বলেন " «إِنِّی تَارِکٌ فِیکُمُ الثَّقَلَیْنِ مَا إِنْ تَمَسَّکْتُمْ بِهِمَا لَنْ تَضِلُّوا، کِتَابَ اللَّهِ وَ عِتْرَتِی؛ أَهْلَ بَیْتِی وَ إِنَّهُمَا لَنْ یَفْتَرِقَا حَتَّى یَرِدَا عَلَیَّ الْحَوْضَ»

সহিহ মুসলিম হাদীস নম্বর ৪৪২৫ ।
সুনানে তিরমিজি হাদীস নম্বর ৪১৫৫, ৪১৫৭. ৮১৭৫,৮১৪৮ , ,

হাদিসে সাকালাইন
১। মুসলিম স্বীয় সহীহ গ্রন্থে যায়েদ ইবনে আরকাম হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল (স.) একদিন মদিনা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থলে "খুম" নামক একটি পুকুরের কাছে খোতবা দান করেন। উক্ত খোতবায় তিনি আল্লাহর প্রশংসার পর লোকদেরকে নসিহত করে বলেন:
ألا أيّها الناس، فانّما أنا بشرٌ يوشک أن يأتی رسول ربّی فأجيب، و أنا تارکت فيکم ثقلين: أولهما کتاب الله فيه الهدی و النور، فخذوا بکتاب الله و استمسکوا به -فحث علی کتاب الله و رغّب فيه ثم قال: - و أهل بيتی، أذکرکم الله في أهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی
হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। খুব শিগগিরি আমার প্রভুর নিযুক্ত ব্যক্তি আমার কাছে আসবে এবং আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু'টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। রাসূল (স.) আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অত:পর বলেন: আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইত। আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন। সূত্র: সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩।
দারেমি এই টেক্সট বা মাতন তথা হাদিসের মূলপাঠটি নিজ ‘সুনান'-শীর্ষক বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সূত্র:সুনানে দারেমী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩১-৪৩২।
২। তিরমিযি এই হাদিসটিতে ((وعترتی أهل بيتی)) শব্দগুলো বর্ণনা করেছেন। মূল হাদিসটি হলো:
إنی تارکت فيکم الثقلين ما ان تمسکتم به لن تضلّوا بعدی؛ أحدهما أعظم من الآخر: کتاب الله حبل ممدود من السماء إلی الأرض و عترتی اهل بيتی، لن يفترقا حتی يردا عليَّ الحوض، فانظروا کيف تخلفونی فيها.
"নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে দু'টি ভারী (মূল্যবান) জিনিস (আমানত হিসেবে) রেখে যাচ্ছি। যদি তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধর তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। সেগুলো একটি অপরটির উপর প্রধান্য রাখে। (সেগুলো হচ্ছে) আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত (রহমতের) ঝুলন্ত রশির ন্যায় এবং অপরটি হলো আমার বংশধর; আমার আহলে বাইত। এরা হাউযে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও একে অপর হতে আলাদা হবে না। অতএব, তোমরা লক্ষ্য রেখ যে, আমার (ছেড়ে যাওয়া) আমানতের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করো।'' (সূত্র:সুনানে তিরমিযি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৬৩।)
মুসলিম এবং তিরমিযী যাদের দু'জনই সহীহ হাদিস গ্রন্থ এবং (দুই পৃথক) ‘সুনান'-এর প্রণেতা। আর (মুসলিম এবং তিরমিযী কর্তৃক বর্ণিত) উক্ত হাদিস দু'টি সনদগত দিক থেকে পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য এবং কোনরূপ আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রাখে না। অর্থাত, এই হাদিস দু'টি সনদগতভাবে দিবালোকের মতো স্পষ্ট ও নিখুঁত।
হাদিসে সাকালাইনের ভাবার্থ
যেহেতু মহানবী (স.) নিজ বংশধরকে পবিত্র কুরআনের পাশে স্থান দিয়েছেন এবং উভয়কে উম্মতের মাঝে আল্লাহর হুজ্জাত (চূড়ান্ত দলিল) হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাই এ দু'টির প্রতি দৃষ্টি রেখে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়:

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সিদ্ধান্তগুলো কোথায়?

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

বাদল দিনের গান বলেছেন: মহানবী (সা.) প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের মূলনীতি ছিল জাতিয়তা, ধর্ম, বর্ণ ও বংশ নির্বিশেষে সমগ্র মানব সভ্যতার কল্যাণে কাজ করা

আর তাইতো হুজুররা যেকুনো মাহফিল অথবা নামাজ শেসে শুদু সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য দুয়া করে. আজ পর্যন্ত কুন হুজুরকেই দেখলাম না সমগ্র মানব জাতির জন্য দুয়া করতে, শুধু মুসলিম উম্মাহ ছাড়া!

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:
"পড়" কথাটা নবীর না, আল্লাহর।

ইসলামের অধঃপতনের মূল কারন পশ্চাত্য সভ্যতার অনুসরন না কি ইসলামের অপব্যাখ্যা? আমার তো মনেহয় ইসলামের যে পরিমাণ অপব্যাখ্যা আছে, তার জন্যই ইসলাম আজকে দুরাবস্থায় পড়েছে। ১৪০০ বছর আগের কঠিন কঠিন আইনও ইসলামকে চলতি সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে সত্যিকারের ইসলাম মেনে চললে এ যুগে চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

ক্লোনিং করা কি পাপ? এর পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক যুক্তি আসবে, কিন্তু সব আলোচনা শেষ হলে জানা যাবে যে মোট ফলাফল শূন্য, মানে ইসলামের নামে অনেক কথা হবে, কিন্তু জবাব মিলবে না। ইসলামের পিছিয়ে পড়ার কারন এইটাই। আমরা আলোচনা করছি, কিন্তু পথ পাচ্ছি না। অথচ বলছি যে কোরান আর হাদিসে সব জবাব দেওয়া আছে! হাস্যকর না?

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: @বাদল দিনের গান বলেছেন: আজ পর্যন্ত কুন হুজুরকেই দেখলাম না সমগ্র মানব জাতির জন্য দুয়া করতে, শুধু মুসলিম উম্মাহ ছাড়া।

তাবলীগে যান, তাহলে দেখতে পারবেন উনারা কিয়ামাত পর্যন্ত আনেওয়ালা সমস্ত মানুষের হেদায়েতের জন্য দুয়া করেন।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

বাদল দিনের গান বলেছেন: দেশের বেশির ভাগ মুসলমান তো তাবলিগ কে দেখতে পারেনা তাহলে কি করে বুঝি যে তাবলিগে যা করে তা ইসলামের দৃষ্টিতে সঠিক?
@বাঙাল শিক্ষক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.