নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাল- হেলাল ৭৩

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান

মোহাম্মদ আতীকুর রহমান

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষা উপেক্ষিত কেন?

২৭ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯



একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক শাখায় বিগত বছরগুলোতে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক অথবা ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে শিক্ষার্থীদের নেয়ার সুযোগ ছিল। পত্রিকান্তরে জানা যায়, এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ ইসলাম শিক্ষা বিষয়টিকে ২০১৩-২০১৪ সেশন থেকে ঐচ্ছিক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অবগত হয়ে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টিকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে পড়তে আগ্রহী লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ইসলামী জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে অপরদিকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীর স্বল্পতার দরুন চাকুরী হারাবার ঝুঁকিতে পড়বেন। সর্বোপরি অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের ইসলাম শিক্ষা হতে বঞ্চিত হবার বিষয়টিকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, চরম নৈতিক অবক্ষয়ের এ যুগে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টি আবশ্যিক থাকায় এবং শিক্ষার্থীরা তা স্বত:স্ফূর্তভাবে নেয়ায় যৎসামান্য হলেও নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে আসছে। উক্ত বিষয়টি ঐচ্ছিক পর্যায়ে নেমে আসায় এবং ইসলাম শিক্ষা ব্যতীত এমন কিছু বিষয় নেয়ার সুযোগ থাকায় যাতে অধিক নম্বর পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা অধিক নম্বর পাবার আশায় উক্ত বিষয়টি না নেয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে তারা আরও ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের আশংকা করছেন। তারা আরও আশংকা করছেন যে, বিষয়টি আগামী নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টির যথাযথ গুরুত্ব উপলব্ধি করে ইসলাম শিক্ষা বিষয়টিকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শাখায় আবশ্যিক বিষয় হিসেবে ঘোষণা দিয়ে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধর্মের বেসিক শিক্ষার জন্য মাধ্যমিক স্তর পর্যন্তই তো এনাফ। ইসলামের নিয়ম নীতি তো এত কঠিন কিছুনা। তারপর যারা নিয়মিত ধর্মাচার করতে চায় সেটা করতে হবে তাদের আগ্রহের ভিত্তিতে। মাধ্যমিক স্তরের পর মনেহয় না সাধারণ ধর্মাচারের জন্য আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে।

আর নৈতিকতাবোধের যেটা বললেন এখন আমরা খুব ছোটবেলা থেকেই পড়ে এসেছি সদা সত্য কথা বল, অসৎ হইও না। কিন্তু সেটা আমরা কতজন মানছি! নৈতিকতার বেসিক মানদন্ড ফলো করার জন্যও মনে হয়না এত বেশী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন আছে। তার চাইতে কিভাবে সার্বিক পরিবেশ উন্নত করে কিভাবে ধর্মাচার, নীতি নৈতিকতা এসবের চর্চা করানো যায় তার দিকে আমাদের গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। একজন যদি চারিদিকে অধর্মাচার অনৈতিকতা দেখতে থাকে তাহলে তাকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ধর্মাচার বা নীতি নৈতিকতা শিখিয়ে তেমন কোন ফল আসার কথা না।

২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

ড.েমাহাম্মদ অাতীকু রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার মন্তব্যের জন্য। শুরুতেই জানতে ইচ্ছে করছে ইসলাম শিক্ষা যদি মাধ্যমিক স্তর পর্যন্তই এনাফ হয় তাহলে ইংরেজী বা বাংলা ভাষা ও অন্যান্য বিষয়গুলো কেন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত এনাফ হবে না? এ কথা সত্য যে, শ্রেণি কক্ষের কোন পড়া লেখাই যথার্থ জ্ঞানার্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষকগণ শুধুমাত্র ধারণা দিয়ে থাকেন মাত্র। মালয়েশিয়া আজ উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করা সত্ত্বেও তারা সর্বত্রই ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে রেখেছে।
আমরা জানি, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর সুশিক্ষাই এই মেরুদন্ডকে দৃঢ়তা দিতে সক্ষম। শিক্ষা অপরিহার্য হলেও নীতিহীন শিক্ষা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুসলিম এবং আমাদের রাষ্ট্র ধর্ম যেহেতু ইসলাম, কাজেই শিক্ষার মূল চেতনা হবে ইসলাম। এটাই বৃহত্তর জাতির প্রত্যাশা। কেননা মহানবী (সা.) বলেছেন, “হে আল্লাহ! যে জ্ঞান উপকারে আসেনা আপনার নিকট তা থেকে পানাহ চাই।” মানুষ কেবল অন্যান্য জীবের মত নয়, বরং আধ্যাত্মিক তথা আদর্শিক জীবও বটে। যৌক্তিকতার মানদন্ডে উন্নত মানুষই প্রকৃত মনুষত্বের মানদন্ড। তাই মহানবী (সা.) বলেছেন, “পিতা মাতা তাদের সন্তানদের সুশিক্ষা দেয়ার চাইতে উত্তম আর কিছুই দিতে পারে না।”
Stanely Hall যথার্থই বলেছেন, 'If you teach your child the three ‘R’ Reading, Writing and Arithmetic and leave the 4th ‘R’ Religion you will set a 5th ‘R’ Rascality.

ধর্মীয় শিক্ষাকে উপেক্ষা করে কারো পক্ষেই একজন আদর্শ মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের দেশের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে যাতে ধর্মীয় ভাবধারা গড়ে উঠে এখন থেকেই তার জোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত। নচেৎ তারা ধর্মীয় ভাবধারা হতে পদচ্যুত হয়ে ক্রমশ পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে নিজেদের জীবনে প্রতিফলিত করতে সচেষ্ট হবে। পাশ্চাত্য সভ্যতা যে কতটা ভয়াবহ অনুগ্রহপূর্বক পাশ্চাত্য সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, পাশ্চাত্য সমাজে liberal education এর নাম দিয়ে যে শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়েছে সে ব্যবস্থায় শিক্ষিত আমেরিকার একজন Social philosopher এবং educationist নিজেই বলেছেন যে, Three kinds of progress are significant progress in knowledge and technology, progress in socialization of man progress in Spirituality. The last on is the most important. আর এই শিক্ষবিদের নাম হচ্ছে Albert schezer। তিনি এ বিষয়ে যে বই লিখেছেন তার নাম হচ্ছে ‘The Teaching of Reverence For Life’ তিনি বর্তমান আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থায় secularএবং liberal শিক্ষা ব্যবস্থা যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সেখানে একটা turning point- এ শিক্ষাকে ideologically orient করার চেষ্টা করতে বলেছেন। এই ক্ষেত্রে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, Our age must achieve spiritual renewal. A new renaissance must come-the renaissance in which mankind discovered that ethical action is the supreme truth and be supreme utilitarianism by which mankind will be liberated : এই spiritual liberation ছাড়া mankind এর কোন liberation হতে পারে না।
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে Knowledge is virtue and ignorance is sin’ পবিত্র কুরআনের প্রথম এবং প্রধান নির্দেশ জ্ঞান অর্জন করা এবং সত্যনিষ্ঠ হওয়া। তাই মহানবী (সা.) জ্ঞান অর্জন স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য অবশ্য কর্তব্য বলে ঘোষণা করেছেন। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য কি? এ সম্পর্কে মহাকবি Milton বলেছেন, 'Education is the harmonious development of body, mind and soul’এই body, mind and soul – এর harmonious development কোনো ideology বা কোনো আদর্শ ছাড়া কী হতে পারে?
আজ আমাদের সমাজের সকল স্তরে যে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে তার একমাত্র কারণ আদর্শ বিবর্জিত শিক্ষা। তাই আমাদের উচিৎ এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন যেখানে চিন্তা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে। আর এই বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে ইসলাম শিক্ষাকে সর্বোচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.