| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
ডঃ এম এ আলী
	সাধারণ পাঠক ও লেখক
 সামুর পাতায় প্রকাশিত একটি পোষ্ট থেকে দেখা যায় যে 
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে  ৭৩৬০ কোটি টাকা  চুরি হয়েছে ।  পিলে  চমকানুর মত তথ্য তাতে কোন সন্দেহ নেই । তবে খবরটির সাথে   কোন তথ্য সুত্রের উল্লখ   না থাকায় যথেষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে গেছি । 
কেননা দেশের সবকটি সংবাদ পত্র তন্য  তন্য  করে পাঠ করেও  কোথাও ৭৩৬০কোটি টাকার চুরির তথ্য মিললনা । দেনিক ইনকিলাবে ১৫/০৩/২০১৬ তারিখের  ‘রাজকোষ কেলেঙ্কারিতে তোলপাড়’ শীরোনামের সংবাদ ভাষ্যের উপসংহার থেকে দেখা যায় যে 
“যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি হয় ৫ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইবার আক্রমণে ৩৫টি ভুয়া পরিশোধ নির্দেশের মাধ্যমে ৯৫ কোটি ১০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তার মধ্যে ৩০টি নির্দেশ আটকানো সম্ভব হয়। তাতে ৮৫ কোটি ডলার বেহাত হওয়া প্রতিহত করা গেছে। তবে পাঁচটি পরিশোধ নির্দেশের বিপরীতে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় ৮০৮ কোটি টাকা ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় চলে যায়। তার মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বা প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা থেকে মাত্র ৬৮ হাজার ডলার বা ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ফেরত এসেছে।“
 দৈনিক জনকন্ঠে ১৫/৩/২০১৬ তারবখে প্রকাশিত খবরে দেখা যায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরী হয়েছে । এক ডলার সমান ৭৮ টাকা ধরা হলে এর পরিমান দ্বাড়ায় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা । 
জনকণ্ঠ সংবাদ ভাষ্য থেকে আরো জানা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। ওই টাকার ৮১ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিটের রিজাল ব্যাংকের কয়েকটি এ্যাকাউন্টে। গত ফেব্রুয়ারির ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে এ অর্থ পাঠানো হয়। 
সংবাদ ভাষ   উপসংহারে বলা হয় যে যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে গচ্ছিত বাংলাদেশের রিজার্ভের মোট ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপিন্সে চলে যায়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় গেছে দুই কোটি ডলার। এর থেকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। ফিলিপিন্সে যাওয়া মোট ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে ৬৮ হাজার ডলারের হদিস মিলেছে। অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সে জব্দ হওয়া ছয়টি ব্যাংক হিসাবে এ অর্থ রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়েছে। 
প্রথম আলোর১৫/০৩/২০১৬ তারিখের সংবাদ ভাষ্য থেকে দেখা যায় যে বাংলাদেশ ব্য্ংকের 
ডেপুটি গভর্নর বললেন
আট কোটি নয় লাখ ৩২ হাজার ডলারের হদিস মিলছে না
টাকার অংকে যা হবে প্রায় ৭০০কোটি টাকার মত ।
দেশের সবকটি প্রথম শ্রেণীর সংবাদ পত্রের  সংবাদ ভাষ্য় থেকেই  দেখা যায় যে  প্রকৃত  চুরী হয়ে যাওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা । 
তাই পোষ্টে উল্লেখিত   চুরি  হয়ে যাওয়া অর্থের পরিমান দেখা যায়   সকল সংবাদপত্রে  উল্লেখিত অর্থ থেকে প্রায়  ১০ গুন  বেশী । অবশ্য  মিলিয়নকে  কোটি মনে করে হিসাব কষে থাকলে  কিছুই করনীয় নেই । 
আর এরকম  হিসাবের গড়মিল   পোষ্টে প্রদত্ত   অন্যান্য টাকার বেলাতেও হয়েছে কিনা তা  বুঝা যাচ্ছে  না । এতকিছু বুঝার সাধ্যও  নেই, কেননা তথ্য ভান্ডারে তো সকলে প্রবেশ করতে পারেনা , এক পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ  অার পারে অনুপ্রবেশকারীগন। দেশের প্রথম  সারির  সংবাদ পত্রে যা দেখা যায় তার উপরই সাধারণ পাঠক হিসাবে নির্ভর করতে হয় ।   যাহোক,  সংম্শিষ্টগন  এরকম টাকা পয়সা সংক্রান্ত লিখা  কিভাবে নিবেন তা আমার জানা নেই ।  তবে আমাদের মত সাধারণ পাঠক, জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে  যেন বিভ্রান্ত না হই সংশ্লিষ্টরা  তা ভেবে  দেখবেন বলেই  আশা করি । 
সেই সাথে রাজকোষের রক্ষক বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টদেরকে  পোষ্ট লিখকের মত একই সুরে বলব  তারা যেন সচেতন হয় এবং অলসতার ঘুম ভেংগে যেন জেগে উঠে । তবে  সকল বাংগালী নয় , কেননা সবাই তো আর রাজকোষের রক্ষক নন । সবাইকে একই ব্রেকেটে ফেলা  কি যতার্থ । তবে দেশের সকলকেই   যে কোন ধরণের লোটপাটের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে অতন্দ্র প্রহরীর মত, নাক, কান  চোখ খুলা রেখে , কেও যেন চুরী  করতে না পারে । দেশের সম্পদ সকলের সম্পদ । কারো গাফলতির জন্য যেন দেশের সমপদ চুরী হয়ে না যায় । যাহোক পোষ্ট লিখকে সাধুবাদ জানাই তার সচেতনার জন্য  ও  অপর সকলকেই অলসতার ঘুম ভেংগে জেগে উঠার বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার জন্য । 
২| 
১৫ ই মার্চ, ২০১৬  দুপুর ২:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: আন্দোলন।
৩| 
২২ শে জুন, ২০১৮  সকাল ১১:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচনাটি ভাল ছিল, এ নিয়ে পাঠকদের কাছ থেকে আরো তথ্য আসবে বলে আশা করেছিলাম। 
রাষ্ট্রীয় কোষাগার সুরক্ষায় দায়িত্বশীলদের এমন নিদারুণ ব্যর্থতা এবং এ ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা দেশের দরিদ্র নাগরিকদের জন্য বড়ই পীড়াদায়ক।  
বিষয়টির উপর কিছুটা হলেও, আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ, ডঃ এম এ আলী। আপনার শরীর এখন কেমনা যাচ্ছে? আশু আরোগ্য কামনা করছি।
 
০৩ রা জুলাই, ২০১৮  ভোর ৫:৩৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক পুরাতন একটি লেখা পাঠের জন্য ধন্যবাদ  আহসান ভাই ।    সকল স্তরের জনগনের সচেতনতার অভাবে  প্রকৃত চোরদের কোন বিচার হয়নি । বিচার হোক বা না হোক এটলিষ্ট এটা সুশ্পষ্টভাবে জানা প্রয়োজন ছিল কাদের গাফিলতি বা অসর্তকতার কারণে দেশের এত বড় একটি ক্ষতি হল । 
পুরাপুরি আরোগ্যলাভে  আরো একটু সময় লাগবে । দোয়া করবেন । 
শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৬  দুপুর ১২:২৫
নুর আমিন লেবু বলেছেন: এভাবে দেশেদ সম্পদ লুট হতে থাকলে, আমাদের কি করণীয় রয়েছে?