নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুকোচ্ছে গঙ্গা, জলচুক্তির দিকেই ভারতীয়দের আঙুল

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৪


বাংলাদেশকে নিরানন্দ করার লক্ষে ভারতীয় আনন্দ বাজারের সংবাদ শিরোনাম। নীচে পড়ে দেখুন তার মুদ্দা কথা :
আনন্দ বাজার: তারিখ ১৫/০৩/২০১৫
রাতারাতি জল হারিয়েছিল গঙ্গা, বহরমপুরের ফরাসডাঙায় রবিবার সকালে নদীর বুকে বিস্তৃত চর দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, এ বার চর পড়তে দেখল হাওড়ার বালি।
গঙ্গার এই জল-হারা দশার জন্য একুশ বছর আগে, ভারত-বাংলাদেশ জলচুক্তির শর্তের দিকেই আঙুল তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি সূত্রও জানাচ্ছে, ওই জলচুক্তি মানতে গিয়েই ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে নেমে গিয়েছে জলস্তর। আর তার জেরেই, গঙ্গার বুকে কোথাও জেগেছে বিস্তৃত চর, কোথাও বা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ফেরি চলাচল। ফরাক্কার ফিডার ক্যানালও নালার চেহারা নেওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে এনটিপিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনাও যে নেই, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল দিতে বাধ্য থাকবে ভারত। তাই এ সপ্তাহে পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।
ব্যারাজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ মার্চের পর থেকে টানা ১০ দিন চুক্তি অনুসারে ভারত কমপক্ষে ৩৫ হাজার কিউসেক জল পাবে। তখন সমস্যা কিছুটা বদলাবে। তবে, উত্তর ভারতে বৃষ্টি হলে জল সঙ্কট মিটবে কিছুটা দ্রুত। নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলছেন, ‘‘না হলে, অপেক্ষায় থাকতে হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কারণ, ওই সময়ে হিমালয়ে বরফ গললে সে জল নেমে আসবে নদীর নিম্ন অববাহিকায়।’’
গঙ্গার এমন জলসঙ্কটের কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ সচিব প্রদীপ কুমার পূজারীকে নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এনটিপিসি, ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় জল কমিশনের মধ্যেও সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ জারি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গায় জল নেই, খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা।

এখন ভারতীয়দের এই উদ্যোগের কি খেসারত বাংলাদেশকে দিতে হয় তা কে বলতে পারে । সচেতন হতে হবে বাংলাদেশ সরকারকেও চুক্তি আছে বলেই বসে থাকলে চলবেনা । তার সমস্ত মেশিনারী ( লোকবল) নিয়ে সচেতন থাকতে হবে, না হলে রাজকোষ থেকে যেভাবে টাকা চুরি হয়ে গেছে তার থেকেও আরো সহজে গঙ্গা তথা পদ্মা থেকে চুরি হয়ে যাবে সকল পানি ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশও শুকাচ্ছে। আমরা শেষ হয়ে গেলাম।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৭

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল দিতে বাধ্য থাকবে ভারত।

.................. এতো ভালো ক্যারে ????????

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৮

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের সঙ্গে গঙ্গা প্রশ্নে জরুরি আন্তরিক আলোচনা শুরু করে। ১৯৭২ সালে গঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন (JRC)। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদ্বয় এক যৌথ ঘোষণায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, ফারাক্কা প্রকল্প চালু করার আগে গঙ্গায় বছরে সর্বনিম্ন প্রবাহের সময়কালে নদীর জলবণ্টন প্রশ্নে তারা পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য একটি মতৈক্যে উপনীত হবেন। ঐ শীর্ষ বৈঠকে আরও স্থির হয় যে, শুষ্ক মৌসুমের পানি ভাগাভাগির পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়ার আগে ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হবে না। ১৯৭৫ সালে ভারত বাংলাদেশকে জানায় যে, ফারাক্কা বাঁধের ফিডার ক্যানাল পরীক্ষা করা তাদের প্রয়োজন। সে সময় ভারত ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ১০ দিন ফারাক্কা থেকে ৩১০-৪৫০ কিউবিক মিটার/সেকেন্ড গঙ্গার প্রবাহ প্রত্যাহার করার ব্যাপারে বাংলাদেশের অনুমতি প্রার্থনা করে। বাংলাদেশ সরল বিশ্বাসে এতে সম্মতি জ্ঞাপন করে। ভারত বাঁধ চালু করে দেয় এবং নির্ধারিত সময়ের পরেও একতরফাভাবে গঙ্গার গতি পরিবর্তন করতে থাকে যা ১৯৭৬ সালের পুরা শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এর উদ্দেশ্য ছিল কলকাতা বন্দরের নাব্যতা উন্নয়নে পলি ধুয়ে নিতে শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গানদী থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভাগিরথী-হুগলী নদীতে ১১৩০ কিউবিক মিটারের বেশি পানি পৌঁছে দেওয়া।

ভারতকে এ কাজ থেকে বিরত করতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ এ ব্যাপারে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হয়। ১৯৭৬ সালের ২৬ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি সর্বসম্মত বিবৃতি গৃহীত হয় যাতে অন্যান্যের মধ্যে ভারতকে সমস্যার একটি ন্যায্য ও দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর জের ধরে কয়েক দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৭৭ সালের ৫ নভেম্বর দুই দেশ ফারাক্কায় প্রাপ্ত শুষ্ক মৌসুমের জলবণ্টনের ওপর ৫ বছর মেয়াদি (১৯৭৮-৮২) একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৮২ সালের অক্টোবর মাসে দুই দেশের মধ্যে ১৯৮৩ ও ৮৪ সালের জন্য গঙ্গার জলবণ্টন সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। কোন সমঝোতা চুক্তি না থাকায় ১৯৮৫ সালে গঙ্গার জলের ভাগবাটোয়ারা হয় নি। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮-এই তিন বছরের জন্য পানি বণ্টনের ওপর আরেকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বণ্টন সংক্রান্ত এই অস্থায়ী ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল এলাকায় বিভিন্ন খাতে গঙ্গার পানির আরও অর্থবহ ও সর্বোচ্চ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি।

১৯৮৯ সালের পর শুষ্ক মৌসুম থেকে জল ভাগাভাগি সংক্রান্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা চালু ছিল না। এই সুযোগে ভারত শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি ব্যাপকভাবে একতরফা প্রত্যাহার শুরু করে। ফলে বাংলাদেশে গঙ্গার প্রবাহ দারুণভাবে হ্রাস পায়। হিসাবে দেখা যায় যে, প্রাক-ফারাক্কা আমলে মার্চ মাসে হার্ডিঞ্জ সেতুর কাছে যেখানে গঙ্গার প্রবাহ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১৯৮০ কিউবিক মিটার, ১৯৯৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৬১ কিউবিক মিটারে। ১৯৯২ সালের মে মাসে দুই দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীনভাবে আশ্বাস দেন যে, ফারাক্কায় গঙ্গার পানি সাম্যতার ভিত্তিতে বণ্টনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অযথা হয়রানি থেকে রেহাই দিতে সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে দুটি মন্ত্রী পর্যায়ের ও দুটি সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদিও বণ্টন সংক্রান্ত কোন চুক্তিতে উপনীত হওয়া যায় নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে আবার বৈঠকে মিলিত হন কিন্তু বাংলাদেশকে অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূর্বাপর অপূর্ণই থেকে গেল।
দ্বিপাক্ষিয় আলোচনা বাদ দিয়ে আমাদের জিয়াউর রহমানের মত জাতিসংঘের সরণাপন্ন হতে হবে।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সময়োপযোগী পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে, যদিও আমি নিজেই তা পড়লাম অনেক দেরীতে। একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন, এজন্য সাধুবাদ।
৩ নং মন্তব্যের জন্য মোহাম্মদ মজিবর রহমান কেও জানাচ্ছি অনেক ধন্যবাদ।
নতুন নকিব এর লেখা তারাবীহ নামায বিশ রাকাতঃ একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা (৩০ মে ২০১৭) শীর্ষক পোস্টের ১৪ নং মন্তব্যে আপনি যে মূল্যবান কথাগুলো বলেছেন, সেজন্য আপনাকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি। উনি সেই পোস্টে আর কোন মন্তব্য গ্রহণ করছেন না, তাই কথাটা আপনাকে এখানেই বলে গেলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:১২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ পুরাতন একটি পোষ্ট দেখার জন্য । আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে দেশের প্রতিটি মন্ত্রনালয়ে বিসিএস ইনফরমেশন কেডারের একজন তথ্য কর্মকর্তা অাছেন । তিনি মন্ত্রীর অফিস কক্ষের খুব কাছেই বসেন । তার অন্যতম কাজ হলো দেশের প্রথম সারির সংবাদ পত্র ও অনলাইনে দেখা যায় এমন সকল দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত মন্ত্রনালয় সংস্লিষ্ট গুরুত্ব পুর্ণ খবরের ক্লিপিং সকাল বেলাতেই ফাই্ল বন্দী করে মন্ত্রীর টেবিলে পাঠানো । মন্ত্রী মহোদয়দের অফিসে ডুকে ( উনাদেরতো আবার অফিসে আসার সময়ের কোন ঠিক ঠিকানা নাই ) প্রথমেই সংবাদ ক্লিপিংগুলি দেখার পরে দিনের কার্যক্রম শরু হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে । আনন্দ বাজারের খবরটি আমার কাছে গুরুত্বপুর্ণ মনে হয়েছিল । তাই তথ্য কর্মকর্তার কাছে ফোনে জানতে চেয়ছিলাম খবরটি তাদের নজরে পরেছে কিনা । উত্তর দানের অবস্থা দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম । তাই মনে হলো সামুতে একটি পোষ্ট দিয়ে দেই, যদি কারো নজরে পরে ।

নতুন নকিবের লেখার উপর আমার মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরায় খুশী হলাম ।

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.