নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ পাঠক ও লেখক
পথ খাল বেয়ে রাতের অঁধারে ইঞ্জিন নৌকা দিতেছে সীমান্ত পাড়ি
দেশ হচ্ছে লুণ্ঠিত কেও বা বাংগালী কেও বা হচ্ছে সুদুরে দেশান্তরী
নিজের সাথীটিকে নিয়ে যাচ্ছে চণ্ডালে কেরে বাড়িঘর হতেছে দগ্ধ
নষ্ট হতেছে ইন্দ্রিয় না জানি মন আমার কোথায় গিয়ে হয় আবদ্ধ।
নিজ পরিবার নিয়ে ছিলেম সুখে লুটেরা মম ভান্ডার করে দিল শেষ
জীবিত বা মৃত এ দুটোর মাঝে আমি করিনা কোন পার্থক্য বিশেষ
কামাতুর হিংস্র হায়েনার দল শুধু মোর সোনা রুপাই করেনি লুট
মোর সাথীটিকেও করেছে অপহরণ যাকে নিয়ে ছিল মহা সুখ ।
এক দিকে জীবন রক্ষা করার সংগ্রাম অন্য দিকে ভাতের সংগ্রাম
কী দুঃসহ সংগ্রাম বুকে চেপে ধরে রেখেছি হয়ে সাধারণ মানুষ
মুষ্ঠিবদ্ধ এক মুঠো চাল আর মোটা ভাতের জন্য হাহাকার সর্বত্র
নাই জায়গা থাকার বস্তিতে গেলেও ট্যাক্স দিতে হয় বিবিধ প্রকার ।
ছেড়ে দিয়ে বস্তি তাই একাকী থাকার নিমিত্ত দুর টিলাতেই করি গমন
টিলার উপরে প্রতিবেশীহীন বসতঘর হাঁড়িতেও থাকেনা ভাত তেমন
নিত্যই মেহমান আসে ব্যাঙ হয়ে সাপকে তাই দিতে হয় কিছু বাজা
দোয়া দুধ যায়না ফেরানো বাঁটে এরা বলদ করে প্রসব অথচ গাই বাঁঝা ।
কোন মতে পাত্র ভরে দোয়াই দুধ তিন সন্ধ্যা তাও নেয় দুর্বৃত্তরা কারি
বুদ্ধিমান হয়েও দেখছি হয়ে গেলাম এক নির্বোধ নির্জনে বসবাস করি
যে চোর সেই সাধু হয়ে কর্তার মত বসে আছে মাথার এদিক সে দিক ধরি
বিপর্যস্ত উদভ্রান্তের মত প্রতিদিন শেয়াল হয়ে সিংহের সাথে যুদ্ধ করি ।
চোর সাধু , উচ্চ নীচ, ধর্ম অধর্ম , সাপ ব্যঙ শিয়াল সিংহ ইত্যাকার নিয়ে
নিয়ম কানুনের বেড়াজাল ভেঙে গড়ে উঠেছে এখনেও এক দুর্বৃত্তদের সমাজ
এ যেন সহস্রাধিক বছর পেরোনো চর্যাপদের কবিদের মতই এক নীরব আর্তনাদ
ইতিহাসের বাঁক বদলের মোহনায় এসেও আজো তা যায়নি এতটুকু হারিয়ে ।
জাতপাত সংগ্রাম, উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের সংগ্রাম ব্রাহ্মণ নিগ্রহ
এমনকি শবরী বালিকাদের যৌন অত্যাচার, লুণ্ঠন, ডাকাতি
কামাচারের সে সময়ের দুঃসহ ছবি এবং তার নীরব প্রতিবাদ
চর্যাপদের দোঁহার ভিতরেও উঠে এসেছিল নিদারুনভাবে ।
বাংলার আকাশ বাতাস পথে প্রান্তরেও এর জলন্ত প্রমাণ আছে ভূরি ভূরি
ধর্ম অধর্ম স্বৈরশাসন একনায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চারিত হয়ে সাধারণের সাথে
কবি লেখকরাও হন নির্যাতিত নিষ্পেষিত, নির্যাতিত কবিরা লাঞ্ছিত হন পথে পথে
কখনো মৃত্যুকেও করেন বরণ নির্মমভাবে দুবৃত্তের কোপানলে চাপাতির ঘায়ে ।
মনে তাই বাজে উচ্চবিত্তের বিরুদ্ধে অত্যাচারিত মানুষ লড়ে যাচ্ছে এখন যে যুদ্ধে
সেখানে নিয়ম ভেঙ্গে দোহানো দুধ গরুর বাঁটে ফের প্রবেশ করানো কি সহজ সাধ্যে
বলদের যেমন বাচ্চা প্রসব করানো সাধ্যাতিত, এদেরকে ঠেকানো টাও বেশ প্রয়াসলব্ধ
এক অসম অস্থীর বাস্তব চিত্রই এ কবিতাপদে ছোট্ট করে মেলে ধরা হল পাঠক সমাজে ।
ছবি : সুত্র নেট
অট : তিয়ান ময়ী যা সাকা হাফং বা মাদুক মোয়াল নামে পরিচিত বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা বান্দরবন জেলায় অবস্থিত দেশের সর্বোচ্চ পাহারচুড়া , উচ্চতা ৩৪৫১ ফুট । এ পাহাড় টিলা ঢালে গড়ে উঠা মুরং উপজাতি সমাজ যা দেশের মুল চিত্রেরই এক সহ- প্রকাশ এবং সহয্র বছর পুরাতন চর্যাপদ দোঁহায় বর্ণিত পাহাড় টিলায় বসবাসকারীদের সমাজ জীবনেরই এক নবপরিনতি, সেটাই এ কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল
২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৩৪
হুমম্ বলেছেন: ভালো লাগা
+++++++++++++++
০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এবার হয়েছি ঠিক । নীচের এত গুল্লা প্লাস গুলাকে মাথার মধ্যখানে ডুকিয়ে রাখলাম একটা একটা করে ছাড়ব কবিতায় কবিতায় । এক হুম আমার ঘুম কাইরা নিছে আবার নতুন হুম খাইছে আমারে !!! স্বাগতম
সকল ভাললাগার জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: যে চোর সেই সাধু হয়ে কর্তার মত বসে আছে মাথার এদিক সে দিক ধরি
বিপর্যস্ত উদভ্রান্তের মত প্রতিদিন শেয়াল হয়ে সিংহের সাথে যুদ্ধ করি - বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন।
০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় অাহসান ভাই । এখনকার সমাজ চিত্রের কিছু দৃশ্য যে কত নির্মম তা ভুক্তভোগি ছাড়া অন্যের পক্ষে বুঝা বেশ কস্টকর । আপনার লিখাতেও আমি এমনই দেখি বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন । আধুনিক অনেক উচ্চ মার্গের কবিতায় দেখি এ চিত্র গুলি আসে রূপকভাবে , চিত্রগুলি যা আসে কথায় তার থেকে বেশী থাকে অন্তর দৃষ্টির কল্পনায় । তাই শিয়ালের ধুর্ততায় সিংহের সাথে যুদ্ধের কথা বলেছি । কিন্তু এই অসম যুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কতটুকু । মুক্তমনা কবিকুলতো হয় নির্বাসনে না হয় ....... কত কিছুই তো ঘটছে ।
অনেক ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৬
রমিত বলেছেন: সুন্দর কবিতা।
০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবিতাটি সুন্দর লাগার জন্য । ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
নীলপরি বলেছেন: এ যেন সহস্রাধিক বছর পেরোনো চর্যাপদের কবিদের মতই এক নীরব আর্তনাদ
ইতিহাসের বাঁক বদলের মোহনায় এসেও আজো তা যায়নি এতটুকু হারিয়ে ।
খুব ভালো লাগলো ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবিতাটি খুব ভাল লাগল শুনে খুব খুশী হয়েছি , এসাথে ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
দোয়ানো দুধ যায়না ফেরানো বাঁটে এটুকু দারুন লিখেছেন ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দারুন অনুভবের জন্য । ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৭| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
কালনী নদী বলেছেন: বাংলার আকাশ বাতাস পথে প্রান্তরেও এর জলন্ত প্রমাণ আছে ভূরি ভূরি
ধর্ম অধর্ম স্বৈরশাসন একনায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চারিত হয়ে সাধারণের সাথে
কবি লেখকরাও হন নির্যাতিত নিষ্পেষিত, নির্যাতিত কবিরা লাঞ্ছিত হন পথে পথে
কখনো মৃত্যুকেও করেন বরণ নির্মমভাবে দুবৃত্তের কোপানলে চাপাতির ঘায়ে ।
এজন্যই কি কালকে আমাকে কবি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল? ভাইয়া।
অসাধারণ আমার জীবনে পড়া এটা একটি অন্যতম কবিতা।
অনিমেষ ভালোবাসা জানবেন।
০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য । জ্বিহা ভাইজান, কালকে আমার করা প্রশ্রটা এবং সেটার উত্তরটিও খুবই জরুরী ছিল । অাপনার দেয়া উত্তর গুলি আমাকে শক্তি জুগিয়েছে এটি লিখতে । লিখাটির জন্য কিছু উপাদান ও পেয়ছি আপনার দেয়া কথা মালা থেকে । ধন্যবাদ সাথে কৃতজ্ঞতা দুটোই একসাথে জানালাম ।ভালবাসাটুকু সাদরে গৃহীত ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
৮| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
কালনী নদী বলেছেন: অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাইয়া।
০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার প্রতিও থাকল ধন্যবাদ ্
৯| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার কবিতা।
কবিতায়++++++++++++
০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পথিক ভাই কবিতাটি তব প্রতি চমৎকার হওয়ার জন্য ।
ভাল থাকুন নিরন্তর এ শুভ কামনা থাকল ।
১০| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: বাংলার আকাশ বাতাস পথে প্রান্তরেও এর জলন্ত প্রমাণ আছে ভূরি ভূরি
ধর্ম অধর্ম স্বৈরশাসন একনায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চারিত হয়ে সাধারণের সাথে
কবি লেখকরাও হন নির্যাতিত নিষ্পেষিত, নির্যাতিত কবিরা লাঞ্ছিত হন পথে পথে
কখনো মৃত্যুকেও করেন বরণ নির্মমভাবে দুবৃত্তের কোপানলে চাপাতির ঘায়ে ।
মনোমুগ্ধকর কাব্যশৈলী। অসাধারন লেখনি। খুবই ভালো লাগলো কবি। এগিয়ে যান। ভলো থাকবেন শুভকামনা রইল।
০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই । ভাল থাকুন এই পুণ্যময় রমজানে ।
১১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই । ভাল থাকুন এই পুণ্যময় রমজানে ।
১২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১২
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: প্রতিউত্তরের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদের জন্য ধন্যবাদ ।
১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৭
বিজন রয় বলেছেন: পথ খাল বেয়ে রাতের অঁধারে ইঞ্জিন নৌকা দিতেছে সীমান্ত পাড়ি
দেশ হচ্ছে লুণ্ঠিত কেও বা বাংগালী কেও বা হচ্ছে সুদুরে দেশান্তরী
নিজের সাথীটিকে নিয়ে যাচ্ছে চণ্ডালে কেরে বাড়িঘর হতেছে দগ্ধ
নষ্ট হতেছে ইন্দ্রিয় না জানি মন আমার কোথায় গিয়ে হয় আবদ্ধ।
এখন এইটুকু পড়লাম। একটু একটু করে পড়বো। এই জীবনানন্দীয় কবিতা একবারে পড়ে এর মর্মমূলে পৌঁছানো যাবে না।
১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৮
বিজন রয় বলেছেন: আপনি ডঃ না হয়ে নিখাদ কবি হলে অনেক ভাল করতেন।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বুঝেছি আমি কবিতার বদ সুরত দেখে দাদার ইন্দ্রিয় এই চার লাইনেই হয়ে গেছে আবদ্ধ । তবে এ টুকুতেই কবিতা আমার ধন্য । দাদার মুখে ফুলচন্দন পরুক । এত বড় সাধ্য আমার লিখা জীবনানন্দীয় কবিতা , বাকিটা যদি পড়তেন তাহলে বলতেই হতো এটা পাঠকের জন্য ব্যাদনানন্ন্দনীয় কবিতা ।
অনেক খুশি হয়েছি প্রসংসাবাণী শুনে । ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ড: এর সাথে ক: লাগাতে পারলে তো জীবন ধন্য হয়ে যেতো । কিন্তু মুসকিল হল ড: লাগাতে মাত্র তিন বছর লাগে, কেও আগেও নিতে পারে , কাওরে আবার এমনিতেই সম্মান করে দিয়ে দেয় । কিন্তু সারা জীবন কবিতা লিখেও নামের অাগে ক: লাগানো যায়না । অনেকে মরে যাওয়ার পরে কবি উপাদি পাইছে । এখনো বাংলা একাডেমী অনেকরে মরনোত্তর দিতেছে আবার অনেকে জীবিতরা ও বলতেছেন কোন পদক নিবনা যেমন গুন বলতেছে পদক দিলেও নিবেনা ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১
বিজন রয় বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে পুরোটাই পড়েছি চার বার।
এত ডুবে গিয়েছি যে ওটুকু বলেছি।
টুথব্রাসকে ব্লক করেছেন?
আমি করেছি।
০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সেটা আমি বুঝেছি, একটু সুযোগ ছিল দাদার সাথে একটু রসিকতা করলাম, অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল । কাওকে ব্লক করার টেকনিক জানা নাই , আবার নীজেকরই না ব্লক করে ফেলি !!! ব্লক করেই বা কি করবেন , একটা নিক খুলতে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে আর নিক খুলেই ঝাপিয়ে পড়তে পারে । বর্তমান যে অবস্থা তাতে নতুন একটি নিককে পরের পোস্টে মন্তব্য দেয়ার সুযোগ দেযার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন পর্যবেক্ষনে রাখার বিষয় সামু কতৃপক্ষ বিবেচনা করে দেখতে পারে । তাহলে এরা অনেকাংশেই নিরোৎসাহিত হবে । ব্লগের পরিবেশটা ভাল থাকবে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
১৬| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৭
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: "জাতপাত সংগ্রাম, উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের সংগ্রাম ব্রাহ্মণ নিগ্রহ
এমনকি শবরী বালিকাদের যৌন অত্যাচার, লুণ্ঠন, ডাকাতি
কামাচারের সে সময়ের দুঃসহ ছবি এবং তার নীরব প্রতিবাদ
চর্যাপদের দোঁহার ভিতরেও উঠে এসেছিল নিদারুনভাবে ।"
-চরম সত্যটাকে তুলে ধরেছেন। নিগ্রহ, আধিপত্য, লুন্ঠনই যেন চিরন্তন। এখনও চলছে একই ভাবে।
ভাল থাকুন।
০৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যতার্থ মুল্যায়ন নিগ্রহ, আধিপত্য, লুন্ঠনই যেন চিরন্তন কিভাবে যে হবে এর উতরণ বিধাতাই জানে ।
ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।
১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ যতার্থ মুল্যায়ন নিগ্রহ, আধিপত্য, লুন্ঠনই যেন চিরন্তন কিভাবে যে হবে এর উতরণ বিধাতাই জানে ।
ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল ।
১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২০
প্রামানিক বলেছেন: অসাধারণ কবিতা। খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ অনুভুত হওয়ার জন্য ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
১৯| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম হা হা হ
কবিতা ভাল লাগল কবি সাহেব
০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: স্বনামধন্য কবির হেথায় হুম হাম নিয়ে আগমনে সুস্বাগতম। কবিতা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ ।
২০| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেকে পড়েছেন এই পোস্ট
০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এই কবিতাটি লিখার পুর্বে আমাকেও প্রাচীন চর্যাপদগুলি একটু পড়তে হয়েছে , মোটামুটি একটু গবেষণা করতে হয়েছে ।
ধন্যবাদ অনুপ্রেরণামুলক কথা বলার জন্য ।
২১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৮:২৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সুন্দর কবিতার জব্য ধব্যবাদ.......সাকা হাফং বা তিয়ান ময়ী যাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। ওখানকার মানুষদের খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার বেশ সুযোগও আমি পেয়েছি।
০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । সাকা হাফং বা তিয়ান ময়ী যাওয়ার কথা শুনে ভাল লাগল । সেখানকার মানুষদের জন্য করার অনেক কিছুই আছে । সমাজের মূল জনশ্রোতে মিশার জন্য সরু রাস্তাটাকে আরু প্রসস্ত করতে হবে । সরকারী লোকজনদেরকে সেখানে পাঠালে মনে করে নির্বাসন , এন জি ও রা গেলে অনেকেই মনে করে টাকা কামানোর ধানধা উপাই তো একটা বের করতে হবে ।
সমাজ নিয়ে যারা ভাবে তাদের উপরই ছেড়ে দিলাম ।
ভাল থাকুন শুভ কামনা থাকল ।
২২| ০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওখানে যাওয়ার রাস্তা কোথায়, সবই তো পায়ে চলা ফিতের মতো উপজাতিয়দের পায়ের চিহ্ন, সরকারী লোকেরা উদিকে যাওয়ার কোন উপায় নাই। এমন কোন্ সরকারী লোকটি আছে দুই তিন দিন পায়ে হেটে পাহাড়ের চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কখনো বা খড়স্রোতা পাহাড়ি নদী পেড়িয়ে ওখানে যাবে! ওদিকে তো কোন হেলিপ্যাড ও নাই, সর্বশেষ হেলিপ্যাড তো দেখেছিলাম বাকলাই পাড়াতে।
০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ । সে জন্যই তো বলেছি সরু পথ । একে একটু কস্ট করে আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত করা যায় । অবশ্য সমস্যাও অনেক । যাহোক আপনাকে আনেক ধন্যবাদ , এ মন্তব্যের লিখা থেকেও এলাকাটি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবে অনেকেই ।
এলাকাটি আপনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করেছেন তা আপনার মন্তব্যে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল ।
২৩| ০৯ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পুনরায় মন্তব্যে ফিরে এলাম। আপনি আমার কবিতা সুখের গভীরেও থাকে দুখের আঁচর এর শেষ পংক্তিটি উদ্ধৃত করে সেখানে মন্তব্যে বলেছেন যে আমার কবিতার সূত্র ধরেই আপনি এ কবিতাটি লিখেছেন। এ জন্য ধন্যবাদ জানাতে পুনরায় এখানে এলাম।
কবিতার কিছু রূপক ভালো লেগেছে, যেমন শিয়াল হয়ে সিংহের সাথে যুদ্ধ করা, দোহানো দুধ বাঁটে ফেরানো, ইত্যাদি।
সাদা মনের মানুষ এর কাছে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, তিনি কি এমন দূর্গম জায়গায় ভ্রমণোপলক্ষ্যে গিয়েছিলেন, নাকি কোন এনজিওতে কর্তব্য পালনোপলক্ষ্যে?
০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: আপনার সুখের গভীরেও থাকে দুখের আঁচর কবিতাটির কথাগুলো:
“সুখে থেকে কেউ কবি হতে পারেন না,যারা সুখের কবিতা লিখতে পারেন, লিখে যান, তাদের পংক্তিগুলোর গভীরেও থাকে ,কোন রুদ্রাণী শকুনির নখের আঁচর,
নয়তো কোন হিংস্র বাঘিনীর দংশনের গভীর ক্ষত। এসব যন্ত্রণা নিয়েই কবিরা লিখে যান অনুভবের কথা। সেসব কখনো কল্পিত সুখের কথা হয়, কখনো দুখের।
পাঠকেরা কখনও সুখী কবির দুঃখ দেখতে পান না।“
পাঠের সময় মানষপটে ভেসে আসে এক নিশ্ব সহায় সম্বলহীন পল্লী কবির জীবনের করুন কথা । সহায় সম্বলহীন কবিকে ঘর বাধতে হয় পাহাড় টিলায় ।
তার জীবনের শেষ সময়টায় তার সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছিল । রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তিনি রচনা করে ফেলতেন অপুর্ব ছন্দময় কবিতা । লিখে রাখতেন কাগজের পাতায়, ছাপার অক্ষরে বের হয়নি তা । তার প্রয়ানের সাথে সাথে তার পরিজনেরা হাতে লিখা কাগজ গুলো সের দরে বিক্রি করে দেন, কিছু খায় উই পোকায় । তার কথা মানসপটে রেখেই লিখি এ কবিতা ।
এই খানেই শেষ হয়নি, তার স্মৃতি মনে করতে গিয়ে মনের পর্দায় ভেসে আসে তার কির্তী কথা ।
ষাট ও শত্তরের দশকে ভাওয়াল অঞ্চলের এই প্ল্লী কবি যাকে স্থানীয়রা সম্মান করে ডাকতেন ইদ্রিস মাষ্টার বলে, ছিলেন একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক । প্রয়াত ইদ্রিশ মাষ্টার পুথি অবলম্বনে আলোমতি এবং ছয়ফল মুল্লুক বদর জামাল নামে দুটি যাত্রা আসরে উপস্থাপনযোগ্য পালা গান রচনা করে ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে মঞ্চায়ন করেন । তখন এটা স্থানীয়ভাবে বেশ জনপ্রিয়তা পায়, তবে যাত্রার দল করে গান বাজনা নিয়ে মাতামাতিতে রত থাকায় ইদ্রিস মাষ্টারকে হারাতে হয় তার স্কুলের চাকুরী , বিশাল যাত্রা দল পরিচালনা করতে গিয়ে তাকে হতে হয় সর্বশান্ত । গান বাজনা লোকগাথা পাগল এই পল্লী কবি একে একে বিক্রি করে দেন তার ধানের জমি , তবু তিনি পিছপা হননি তার লোকজ সংস্কৃত চর্চা হতে তার নেশা হতে । গ্রামীন জনপদের হাজার হাজার মানুষকে দিয়েছেন তিনি বিনে পয়সায় বিনোদন । বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন গরীব কৃষক ও মেহনতি মানূষের ভালবাসা আর বিত্তবান ও ধর্মীয়গোরাদের নিগ্রহ । তবু তিনি দমে যাননি এতটুকু । সত্তরের শেষভাগে তাঁর রচিত ও পরিচালিত এই রূপকথা ভিত্তিক ও অজ পারাগায়ে মঞ্চায়িত ছয়ফলমুল্লুক বদরজামাল যাত্রাটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল । শৈশবে দেখা এটার সকল কথা মনে নেই , তবে এর কিছু কিছু গানের কলি মনে আছে যথা :
জামাল রূপে পাগল হয়ে
দেশ ছাড়িলাম জাহাজ লয়ে
ডুবল জাহাজ লবলং সাগরে ,
আমারে যে ধইরা নিল
দেও দানবে ।
তার এই লবলং সাগর যে আসলে লোহিত সাগর সেটা আজ বুঝতে পারলাম যখন আমি ছয়ফলমুল্লুক-বদরুজ্জামাল রূপকথা অবলম্বনে কাব্য রচনায় হাত দিলাম । শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে তখনকার দিনের এই পল্লী কবির জ্ঞানের পরিধি দেখে । ছয়ফলমুল্লুক-বদরুজ্জামাল কবিতাটির ১ম পর্ব সামুতে উপস্থাপন করেছি । এটার রচনা শেষ হলে তার নামে উৎসর্গ করার বাসনা আছে ।
এ কথাগুলো এ জন্যই শ্রদ্ধেয় ভাইকে জানালাম যে আপনার কবিতাটির ভাবার্থ আমার মত একজন সাধারণ মানুষকেও কতটুকু করতে পারে প্রভাবিত ।
অনেক ধন্যবাদ এখানে আবার আসার জন্য । সাদা মনের মানুষ যদি কখনো আপনার মন্তব্যটি দেখেন তখন হয়ত বা আপনার প্রশ্নের উত্তর দান করবেন ।
ভাল থাকার শুভ কামনা থাকল
২৪| ১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৪
মহা সমন্বয় বলেছেন:
১০ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর গোলাপ জীবনেও দেখি নাই । এইটা আমার ভাবতে্ই বুকটা ভরে যায় ।
২৫| ১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি এক কথায় অভিভূত, আমার একটি কবিতা আপনাকে এতটা উদ্বুদ্ধ করেছে জেনে। আর আপনি যেভাবে অকাতরে আমাকে কৃ্তিত্ব দিয়েছেন, তাতে বিনয় ও নম্রতায় আমার মাথা নত হয়ে আসে। আপনাকে এজন্য যথার্থভাবে কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি কয়েকদিন সময় নিলাম আপনার এ মন্তব্যের একটা উপযুক্ত মূল্যায়ন করার জন্য, কিন্তু আমি ব্যর্থ।
উল্লেখিত নিঃস্ব, সহায় সম্বলহীন প্রয়াত পল্লী কবি ইদ্রিশ মাষ্টার এর প্রতি আমার অন্তর থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি তার এই অসাধারণ প্রতিভার জন্য। সেই সাথে আপনার দুঃখবোধটাকেও অন্তর দিয়ে অনুভব করছি, এমন বিরল প্রতিভার যথার্থ মূল্যায়ন না হওয়ার জন্য।
১৪ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আহসান ভাই । খুব খুশি হলাম জবাবটি নজরে এসেছে দেখে । আপনার অতীত দিনের স্মুতিময় লিখাগুলি খু্ব ভাল লাগে । প্রয়াত ইদ্রিস মাষ্টারের পরিজনের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে এখনকার একজন স্বনামধন্য কবির শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বাণীটুকু , তারা খুব খুশী হবে জেনে দেশের দুর দুরান্তরের গুণিজনেরা তাঁকে শ্রদ্ধ করে জেনে ।
ভাল থাকুন এ শুভ কামনা থাকল ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবন তার পথ খুজে নেবে