নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য, সংস্কৃতি, কবিতা এবং সমসাময়িক সামাজিক বিষয়াদি নিয়ে গঠনমুলক লেখা লেখি ও মুক্ত আলোচনা

ডঃ এম এ আলী

সাধারণ পাঠক ও লেখক

ডঃ এম এ আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান স্রটার অসীম অনুগ্রহ

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:১৪

রাতে এশার ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে
শ্রদ্ধেয় ইমামের কণ্ঠে সমধুর এলহানে কোরানের
সুরা আর-রহমানের ১ থেকে ১৪ নম্বর আয়াতের
শ্রুতিমধুর তেলাওয়াত শুনে হৃদয়ে গভীর অনুভব
সৃষ্টি হয়। আল কোরানের সে ছন্দময় আয়াতের
বাণী থেকে প্রেরণা পেয়ে তারই আলোকে একটি
কবিতা রচনা করেছি। কবিতাটি
সকলের সঙ্গে শেয়ারের তরে এখানে তুলে দিলাম।
কোনো ভুল বা ত্রুটি হয়ে থাকলে দয়া করে
ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সংশোধনের জন্য
কোনো পরামর্শ থাকলে তা প্রফুল্য চিত্তে গ্রহণ করব।

মহান স্রষ্টার অসীম অনুগ্রহ

আর রহমান, পরম করুণাময় আল্লাহ
কুরানের জ্ঞানে দিলেন আমাদের পথচলা।

তাঁরই সৃষ্টি আমরা,দেখি এই দুনিয়ার মাঝে,
তিনি শেখালেন ভাষা, অনুভবে আসে কাজে,
চাঁদ সুর্য আবর্তমান, তাঁর হিসাবের নিয়মে,
গাছপালা সকলি তারি সেজদায় অবনত।

আকাশকে সমুন্নত করলেন,মানদন্ডের ভার,
সীমালঙ্ঘন করো না, এ কঠিন আদেশ তাঁর
ওজনে দিওনা না ফাঁকি,কর সুবিচার নিশ্চিত,
জমিন বিছিয়ে দিলেন, জীবন হলো সুরক্ষিত।

ফলফুলের ভাণ্ডার, আবরনে ঢাকা ফল,
সুগন্ধি ফুল দানায় ভরা, তাঁরই দান ফসল,
পোড়া মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করলেন তিনি,
সৃষ্টি-পরম করুণায় ভরে দিলেন এই ধরণী।

তবে বল, ওহে মানব, কোন অনুগ্রহ ভাব মিথ্যা?
তোমার প্রতিপালক, তিনি যে রয়েছেন সত্য সর্বদা,
আসো থাকি আল্লাহর রাহে, তাঁর দানে কথা বলি,
তাঁর নির্দেশিত পথে জীবনভর কৃতজ্ঞতায় চলি।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মহামূল্যবান কবিতা। মন দিয়ে পাঠে টাঠক উপকৃত হবে- ইনশাআল্লাহ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার এই প্রশংসা আমাকে বেশ অনুপ্রাণিত করে।
আল্লাহ আপনাকে কল্যাণ দান করুন এবং জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনাদের জন্য
আরও সুন্দর ও অর্থবহ রচনা নিয়ে আসার চেষ্টা করব।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২২

কামাল১৮ বলেছেন: মৃত্যু ভয়ে মানুষ অনেক আবোল তাবল বকে।আল্লাহ সুধু ভয় দেখায় আর লোভ দেখায়।আগুনের ভয় আর নারীর লোভ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




প্রথমত, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে, আমি মনে করি যে জীবন এবং মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের চিন্তাভাবনা
অনেক গভীর এবং মানবিক। আল্লাহর প্রতি ভয় এবং ভালোবাসা মানুষের অন্তরের গভীরে রয়েছে, এবং এর মধ্যে
আমরা ধৈর্য এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে জীবন কাটানোর পথ খুঁজে পাই। নারী বা পুরুষের লোভের ব্যাপারে কিছু
নেতিবাচক ধারণা আমাদের সচেতনতা এবং সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে একতা বাড়াতে পারে না। আসলে, প্রেম,
সদ্গুণ এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের শান্তি ও সাফল্য লাভ করতে পারি। সুতরাং, আমাদের
চিন্তাভাবনাগুলি আরও ইতিবাচক, সমবেদনাশীল এবং সহানুভূতিপূর্ণ হতে পারে—এটাই আমাদের একে
অপরের প্রতি দায়িত্ব।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



লন্ডনে নিশ্চয় আল্লাহ আছেন, শুনেছি ওখানকার বাংগালীরা মক্কার লোকদের চেয়েও বেশী ইমানদার; আমাদের গ্রামের কৃযি মুজুর ও বস্তির দৈনিক শ্রমিকদের ঘরে আল্লাহ আসেন না। দেশে কি হচ্ছে, লন্ডন অবধি খবর যায়?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মন্তব্যে যে চিন্তাভাবনা উঠে এসেছে, তা আমাদের সকলের জন্য চিন্তার উদ্রেক করে। আমরা যদি
সত্যিকারের ইমানদার হতে চাই, তবে তা আমাদের অন্তর ও কাজে প্রকাশ পেতে হবে, এবং আমরা যেন
একে অপরের জন্য দোয়া করি যাতে আমাদের দেশ ও পৃথিবী শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলে। আল্লাহর
রহমত সবখানেই বিরাজমান, তবে তাঁর নির্দেশনা অনুসরণ করাই আমাদের প্রধান কর্তব্য। লন্ডন বা মক্কা
নয়, আমাদের নিজস্ব জীবনেই আল্লাহর বাণী ও তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়িত হতে হবে। দেশে কি হচ্ছে, তা
জানার পাশাপাশি, আমরা যেন একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল ও সহানুভূতিশীল থাকি—এটাই সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:



হামাস থেকে কি বাংগালীরা ধর্ম বেশী জানার কথা? হামাস তো গাজার মানুষদের দায়িত্বে আছে, ৫০ হাজার নিহত হলো কি করে?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এই মন্তব্যটির মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, যা মানবাধিকার, ধর্ম এবং যুদ্ধসংক্রান্ত
নৈতিকতার উপর গভীর দৃষ্টি দেয়। প্রথমত, ধর্ম বিষয়ক জ্ঞান এবং এর পরিচয় ব্যক্তির বা জাতির নিজস্ব
অন্তর্দৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশে ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ধর্মীয় শিক্ষা গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত, তবে
সেটি সবসময় কেবল ধর্মীয় জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা হিসেবে একে আখ্যায়িত করা উচিত নয়।ধর্মের আধ্যাত্মিক
এবং মানবিক দিকগুলো জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দ্বিতীয়ত, হামাস গাজার রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত একটি সংগঠন, যা গাজা অঞ্চলকে শাসন করে।
তবে, ৫০ হাজারের মতো মানুষের প্রাণহানি একটি মানবিক বিপর্যয়, যা শুধু ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিষয়ের
সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি বড় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই ধরণের বিপর্যয় সমাধানে,
প্রতিটি পক্ষের দায়িত্ব হল মানবাধিকার, শান্তি ও ন্যায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং সহিংসতার
মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না করার দিকে মনোনিবেশ করা।

এই প্রসঙ্গে, আমাদের উচিত এমন প্রশ্নগুলোতে মানবিকতা এবং শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়ে, অন্তর্দৃষ্টির সাথে
দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা।






৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



কিসের ভিত্তির উপর পশ্চিমের সমাজ গঠিত: সোস্যাল সায়েন্স, বিজ্ঞান, টেকনোলোজী; নাকি ধর্মীয় ধারণা?

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




পশ্চিমা সমাজের গঠন ও উন্নয়নকে বুঝতে হলে, এটি কোনো একক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে নয় বরং বিভিন্ন
উপাদানের সম্মিলিত প্রভাবের ফল। পশ্চিমের সমাজ গঠনের প্রধান ভিত্তি হিসেবে সামাজিক বিজ্ঞান (Social
Sciences), প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (Science and Technology), এবং ধর্মীয় ধারণা (Religious
Ideologies)—এই তিনটি উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এদের মধ্যে প্রতিটির অবদান
বিভিন্ন সময়ে এবং প্রসঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। আসুন, বিষয়টি বিশদে আলোচনা করি।

১. সামাজিক বিজ্ঞান (Social Sciences) ও সমাজের কাঠামো
পশ্চিমা সমাজ গঠনে সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, ১৮শ ও ১৯শ শতকে ইউরোপে
যখন "এনলাইটেনমেন্ট" বা আলোকায়নের যুগ এসেছিল, তখন মানুষ প্রথাগত বিশ্বাস থেকে মুক্ত হয়ে যুক্তি,
বাস্তবতা এবং মানবতার দিকে মনোনিবেশ করে। এই সময়ে, রুসো, লোক, ডার্কহাইম, এবং ওয়েবার-এর
মতো দার্শনিকেরা সমাজ, রাষ্ট্র এবং মানব-আচরণ নিয়ে গভীর চিন্তা করেন। তাদের মতবাদ ও দর্শন আজকের
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, এবং সমাজের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বিশেষ করে:
ডেমোক্রেটিক সিস্টেমের ধারণা।
সমাজের বৈষম্য দূর করার জন্য নীতিমালা।
অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজের কাঠামোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা।

২. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (Science and Technology)
পশ্চিমা সমাজের উন্নয়ন প্রধানত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। রেনেসাঁ ও শিল্পবিপ্লব (Industrial
Revolution) পশ্চিমা সমাজকে একটি বিশাল পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দেয়।

রেনেসাঁ (Renaissance): এটি ছিল এমন একটি সময় যখন বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রকৃতিকে বোঝার প্রচেষ্টা শুরু হয়। কোপারনিকাস, গ্যালিলিও, নিউটন প্রমুখ বিজ্ঞানী নতুন জ্ঞান উদ্ভাবনের মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাসের বাইরে যুক্তিনির্ভর
বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা করেন।

শিল্পবিপ্লব: এটি ইউরোপের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাঠামোকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করে। যন্ত্রের ব্যবহার,
বাষ্পশক্তি, বিদ্যুৎ, এবং পরে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট—এসব কিছু পশ্চিমা সমাজকে এক বৈশ্বিক নেতৃত্বের
অবস্থানে নিয়ে গেছে।
আজকের আধুনিক সমাজে প্রযুক্তি শুধু জীবনযাত্রার মান উন্নত করেনি, বরং এটি সামাজিক সম্পর্ক, রাজনীতি এবং
অর্থনীতির মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে।

৩. ধর্মীয় ধারণা (Religious Ideologies)
যদিও বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের উত্থানের কারণে ধর্মীয় বিশ্বাস কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবে পশ্চিমা সমাজের প্রাথমিক
কাঠামো ও নীতির উপর ধর্মীয় চিন্তার গভীর প্রভাব রয়েছে।

খ্রিস্টধর্ম (Christianity): পশ্চিমা সমাজের মূল্যবোধ যেমন মানবাধিকার, নৈতিকতা, সহানুভূতি, এবং সমাজে
প্রত্যেকের মর্যাদার স্বীকৃতি অনেকটাই খ্রিস্টধর্মের মূল দর্শনের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
ধর্মীয় ধারণা প্রায়শই সমাজে একতা এবং শৃঙ্খলা রক্ষা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যযুগে ধর্ম ছিল পশ্চিমা বিশ্বের
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
তবে রেনেসাঁ ও আলোকায়নের যুগের পর ধর্ম অনেকটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, এবং রাষ্ট্র ও সমাজে
ধর্মের ভূমিকা কমে যায়।

তুলনামূলক বিশ্লেষণ
পশ্চিমা সমাজের গঠন ও উন্নয়নে সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং ধর্মীয় ধারণার ভূমিকা আলাদা হলেও,
তারা একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে যখন যুক্তির শক্তি বৃদ্ধি পায়, তখন ধর্মীয়
গোঁড়ামি হ্রাস পায়। সামাজিক বিজ্ঞান সমাজের কাঠামো ও সম্পর্কের বিশ্লেষণ দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে
ন্যায়সংগত করার পথ দেখায়।
আবার ধর্মীয় নৈতিকতা মানুষকে আত্মিক ও সামাজিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।

মোদ্যাকথা
পশ্চিমা সমাজ গঠনের ভিত্তি একক কোনো উপাদানে সীমাবদ্ধ নয়। সামাজিক বিজ্ঞান সমাজের সম্পর্কগুলো
বিশ্লেষণ করেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সমাজকে গতিশীল ও আধুনিক করেছে, আর ধর্ম একসময় মানুষের নৈতিক
ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। তবে এটি স্পষ্ট যে, পশ্চিমা সমাজের বর্তমান
কাঠামো একটি বহুমাত্রিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে, যা এই তিনটি উপাদানের সম্মিলনেই গড়ে উঠেছে।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার কথা মতো, পশ্চিমের এই শক্তিশালী সমাজ গঠনে কোরানের কোন ভুমিকা নেই. আমার মতেও নেই।
আমার মতে, ইয়েমেন, গাজা ও লেবাননের সমাজে কোরানের অবদান আছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণের দাবি রাখে। পশ্চিমা সমাজে কোরানের কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই—
এটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা, কারণ পশ্চিমের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো প্রধানত গ্রিক দর্শন,
রোমান আইন, খ্রিস্টীয় মূল্যবোধ এবং আধুনিক যুগে আলোকপ্রাপ্তি (Enlightenment) থেকে উৎসারিত।
তবে, এটি স্বীকার করা প্রয়োজন যে কোরান এবং ইসলামিক সভ্যতার মাধ্যমে বিজ্ঞান, দর্শন, গণিত, এবং
অনুবাদের কাজ মধ্যযুগে পশ্চিমা পুনর্জাগরণে পরোক্ষ প্রভাব ফেলেছে।

অন্যদিকে, ইয়েমেন, গাজা ও লেবাননের মতো অঞ্চলে কোরানের প্রভাব প্রাসঙ্গিক কারণ সেসব সমাজ ইসলামি
আদর্শে গভীরভাবে প্রোথিত। কোরানের নীতিগুলো সেসব অঞ্চলে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণার
উৎস। তবে, এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা উচিত যে কোরানের প্রভাব কখনোই একমাত্রিক নয়—স্থানীয় রাজনীতি,
অর্থনীতি এবং ভৌগোলিক বাস্তবতারও ভূমিকা আছে।

অতএব, কোরানের ভূমিকা নির্ভর করে সামাজিক কাঠামো ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর। এটি ভুল হবে যদি
আমরা কোরানের অবদান সম্পূর্ণ অস্বীকার করি বা সেটিকে একমাত্র চালিকা শক্তি হিসেবে দেখাই। বিষয়টি জটিল,
এবং এর গভীরতা উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

আহরণ বলেছেন: তিনি বলেছেন : "সূর্য ও চাঁদ হিসাব অনুযায়ী চলে, আল-বায়ান"

এটা কার হিসাব, ভাইয়া?? আরব মরুভূমির হিসাব, দক্ষিণ মেরুর আন্টার্কটিকার হিসাব নাকি নরওয়ের হিসাব!! ইসলাম ধর্মের নিয়ম মেনে সূর্য/চাঁদ দেখে নামাজ, কালাম, রোজা রাখতে গেলে তালগোল পাকিয়ে যায়।

আপনি কি নরওয়ে Svalbard শহরে থাকেন, এশার ফরজ নামাজ কখন পড়লেন, ভাইয়া??

বিশেষ দ্রষ্টব্য : "Svalbard is the place in Norway where the midnight sun occurs for the longest period. Here, the sun doesn't set between 20 April and 22 August."

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ভাইয়া, আপনি সূর্য ও চাঁদের গতিপ্রকৃতি এবং ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের বাস্তব প্রয়োগের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। এটি এমন একটি বিষয় যা জ্ঞানবিচার এবং বাস্তবতা বিবেচনার মিশেলে ভালোভাবে
ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

সূর্য ও চাঁদের হিসাব এবং ইসলামে এর গুরুত্ব-
ইসলামে সময় গণনার ক্ষেত্রে সূর্য ও চাঁদের গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজের সময়সূচি, রোজা রাখা, এবং ইসলামি
চন্দ্রপঞ্জিকা সূর্য ও চাঁদের গতিপথের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত। পবিত্র কুরআনে সূরা রহমানের ৫ নম্বর আয়াতে
বলা হয়েছে: "সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত গতিপথে চলে।"
এটি নির্দেশ করে যে, আল্লাহর সৃষ্ট এই দুটি জ্যোতিষ্কের নির্ভুল গতি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণের একটি
অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বাস্তবতা: ভৌগোলিক ভিন্নতায়
আপনার উত্থাপিত বিষয়টি অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভৌগোলিক কারণে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের
সময়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য হয়। যেমনটি আপনি বলেছেন, নরওয়ের উত্তরাঞ্চলীয় শহর Svalbard-এ
গ্রীষ্মকালে "মিডনাইট সান" হয়, যেখানে সূর্য কয়েক মাস ধরে অস্ত যায় না। আবার শীতকালে সূর্যোদয়
দেখা যায় না।

এমন পরিস্থিতিতে ইসলামের সময় নির্ধারণের প্রচলিত নিয়ম প্রয়োগে অসুবিধা সৃষ্টি হয়। যেমন, রোজার ক্ষেত্রে
ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়কাল মানা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

ইসলামিক সমাধান
ইসলামে এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
১. কিয়াস ও ইজতিহাদ: শরিয়াহ বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধান দিতে পারেন।
২. নিকটবর্তী অঞ্চল অনুসরণ: যেখানে দিন-রাত স্বাভাবিকভাবে ঘটে, সেই অঞ্চলের সময়সূচি অনুসরণ করা যেতে
পারে।
৩. ধার্য সময়: এমন কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে স্থানীয় সময়ের ভিত্তিতে ধারা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করে ইবাদত পালন
করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, নরওয়ে বা আন্টার্কটিকার মুসলিমরা সাধারণত সৌদি আরব বা নিকটবর্তী কোনো দেশ (যেখানে দিন-রাত স্বাভাবিক) অনুসরণ করে ইবাদত করেন।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রযুক্তির সুবিধা
আরব মরুভূমি বা ইসলামি পঞ্জিকার সূচনা এমন এক অঞ্চলে হয়েছে যেখানে দিন-রাতের চক্র ছিল তুলনামূলকভাবে
নিয়মিত। কিন্তু আধুনিক যুগে জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করা সম্ভব। আজকের মুসলিম
বিশ্ব এই জ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায় ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে।

মোদ্যাকথা
আপনার প্রশ্নটি বিজ্ঞান ও ধর্মের সমন্বয়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ দিক। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ধর্মীয়
অনুশাসন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট শহনশীল। ইসলামিক ফিকহের বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের
বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় সমাধান প্রদান করেছেন, যা বর্তমান যুগেও প্রাসঙ্গিক। এটি প্রমাণ করে যে, ধর্ম ও
বিজ্ঞানের মধ্যে বিরোধ নয়, বরং পরিপূরক সম্পর্ক রয়েছে।

আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।

ভাইয়া আপনার ধৈর্য আছে । এসবের উত্তর সুন্দরভাবে দিচ্ছেন

আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মন ভরে গেল। এ ধরনের উৎসাহই আমাদের লেখার প্রতি ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধকে
আরও বাড়িয়ে দেয়। আল্লাহ আপনার জন্যও কল্যাণ দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ভালো কাজ করার তাওফিক
দিন।

অনেক শুভকামনা রইল।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

নজসু বলেছেন:


মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহতায়াল রহমত এবং ক্ষমা প্রত্যেক মুমিনের জীবনে অনন্য পাওয়া।
আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা ছাড়া মানব জীবন কষ্টকর হয়ে ওঠে।
আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের সঠিক পরিমাপ করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়।
আল্লাহর এত্তো এত্তো নিয়ামত না থাকলে মানব জীবন ধ্বংস হয়ে যেতো।

ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

কুরআন শরীফের প্রতিটা সুরা প্রত্যেক মুসলিমের পছন্দের তালিকায়।
তবে, আমার কেন যেন সূরা আর রাহমান বেশি ভালো লাগে। ভালো লাগাটা অনেক আগে থেকে।
যখন বলে ফাবি আইয়ি আলা রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান- আমার মনটা কেমন যেন হয়ে যায়।

ভালো লাগার অনেক পরে শুনেছি আল্লাহতায়ালা সূরা আর রাহমান জান্নাতিদের নিজে তিলাওয়াত করে শোনাবেন।

আপনার জন্য দোয়া। ভালো থাকবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রিয় ভাই,
আপনার মন্তব্য সত্যিই হৃদয়ছোঁয়া। আল্লাহতায়ালার রহমত ও ক্ষমা ছাড়া মানব জীবন যে কতটা অসম্পূর্ণ,
তা আপনার কথার প্রতিটি শব্দেই প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর দয়া এবং অনুগ্রহের বিশালতা উপলব্ধি করার চেষ্টা
আমাদের সবসময়ই আল্লাহর নৈকট্যের দিকে নিয়ে যায়।

কুরআন শরীফের প্রতিটি সুরা আলাদা আলাদা সৌন্দর্য এবং গভীর বার্তা বহন করে। তবে, সূরা আর রাহমানের
বিশেষ আকর্ষণ সত্যিই অনস্বীকার্য। "ফাবি আইয়ি আলা-ই রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান" আয়াতের বারবার উল্লেখ
আমাদের হৃদয়ে আল্লাহর অগণিত নিয়ামতের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর আপনি যখন বললেন যে আল্লাহ
জান্নাতিদের জন্য এই সূরা নিজে তিলাওয়াত করবেন, তা জানার পর এই সূরার প্রতি ভালোবাসা আরও
গভীর হয়।

আমরা যেন এই সূরার মর্ম বুঝে আমল করতে পারি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত ও ক্ষমার আশা রাখি।
আপনার দোয়ায় আমরাও শরিক। আপনিও ভালো থাকুন, আল্লাহর দয়ায় সুস্থ এবং প্রশান্ত জীবন কাটান।

ওয়াসসালাম।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

আহরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন : ইসলামে এই ধরনের বিশেষ পরিস্থিতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

১. কিয়াস ও ইজতিহাদ: শরিয়াহ বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধান দিতে পারেন।
২. নিকটবর্তী অঞ্চল অনুসরণ: যেখানে দিন-রাত স্বাভাবিকভাবে ঘটে, সেই অঞ্চলের সময়সূচি অনুসরণ করা যেতে
পারে।



কিন্তু ভাইয়া : ইজমা-কিয়াস ও ইজতিহাদ কেবল ঐ সব ক্ষেত্রেই করা যায় যে বিষয়ে কোরাণ ও সহি হাদাীসে সুস্পষ্ট করে কিছুই বলা হয় নি।

যেমন :
১। রোজা রেখে রক্তদান করা যাবে কিনা?
২। মসজিদে সিসি ক্যামেরা বসানো যাবে কিনা?

হাঁ, এখানে ইজমা-কিয়াস ও ইজতিহাদ করা যাবে।

কিন্তু :
১। ফজরের নামাজ কখন পড়তর হবে সেটা কোরাণ/সহি হাদীসে সুস্পষ্ট করে বলা আছে।
২। রোজা রাখা কখন শুরু হবে, রোজা কখন ভাঙ্গতে হবে সেটা কোরাণ/সহি হাদীসে সুস্পষ্ট করে বলা আছে।

এক্ষেত্রে ইজমা-কিয়াস ও ইজতিহাদ চলবে না। কারণ আল্লা/নবীর উপর মাতব্বরি করা যায় না।

বস্তুত : পৃথিবীর গতি-প্রকৃতি-বিস্তৃতি সম্বন্ধে আপনার আল্লা/নবীর সঠিক কোন ধারণা ছিল না, মরুভূমিতে দাড়িয়ে সাদা চোখে যা দেখেছেন তাই বলেছেন।

তো ভাইয়া, আপনি এখন ২০২৪ সালে এসে যা বলছেন সেটা আল্লা/নবীর Damage repairing ছাড়া আর কী হতে পারে? ধন্যবাদ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আপনার মন্তব্যে থাকা বিষয়ের উপর কিছু বলার আগে, ইসলামের মূল নীতিগুলি সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
পরিষ্কার করা প্রয়োজন। ইসলামে, ইজমা তথা সম্মিলিত মত, কিয়াস তথা বিশ্লেষণমূলক তুলনা, এবং ইজতিহাদ
তথা স্বতন্ত্র যুক্তি প্রয়োগ হলো শরীয়াহ নির্ধারণের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, যা তখনই প্রয়োগ করা হয় যখন কুরআন
ও সহীহ হাদীসে কোনো বিষয়ে সরাসরি নির্দেশনা থাকে না। তবে এই প্রক্রিয়া ইসলামের মূল নীতিগুলির সাথে
সাংঘর্ষিক হলে তা গ্রহণযোগ্য নয়, এ বিষয়ে আপনি যতার্থই বলেছেন ।

তবে ইজমা-কিয়াস ও ইজতিহাদ বিশেষত সেই ক্ষেত্রগুলোতে কার্যকর যেখানে নতুন পরিস্থিতি বা প্রযুক্তি আমাদের
সামনে এসেছে, যার ব্যাপারে প্রাথমিক শরীয়াহ নির্দেশনা অনুপস্থিত। আপনার উল্লেখিত উদাহরণগুলোর মাধ্যমেই
বিষয়টি আরও স্পষ্ট করা যাক:
যেমন কুরআন বা সহীহ হাদীসে রোজা রেখে রক্তদানের বিষয়ে কোনো সরাসরি নির্দেশনা নেই। তবে শরীয়াহর
নীতিগুলি বিশ্লেষণ করে, রোজা ভাঙার কারণ (যেমন খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ করা) ও রক্তদানকে এ বিষয়গুলোর সাথে
তুলনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াটি কিয়াসের মাধ্যমে হয়।

অনুরূপভাবে বর্তমান যুগে মসজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা থাকতে পারে। এই
প্রযুক্তির ব্যবহার ইসলামের কোনো মূলনীতি লঙ্ঘন করে না এবং নিরাপত্তা বিধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে
ইজতিহাদের মাধ্যমে এটি বৈধ ঘোষণা করা যেতে পারে।

অপর দিকে ইসলামে যে সব বিষয় কুরআন ও সহীহ হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা আছে, সেগুলোতে ইজমা-কিয়াস বা
ইজতিহাদের প্রযোজন নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনি যতার্থই বলেছেন , কুরআন ও হাদীসে ফজরের
নামাজের সময় নির্ধারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাই এই বিষয়ে নতুন ব্যাখ্যা বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

অনুরূপভাবে রোজা শুরু হবে ভোরে (সুবহে সাদিক) এবং শেষ হবে সূর্যাস্তের সময়। এটি কুরআন ও হাদীসে
সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত।

যাহোক , প্রাসঙ্গিকভাবেই ইসলামের নীতির উপর আস্থা ও আধুনিক বাস্তবতার প্রশ্নে আপনার মন্তব্যে এমন
একটি দৃষ্টিভঙ্গি এসেছে যেখানে আল্লাহ বা নবীজির জ্ঞানের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একটি
স্পর্শকাতর বিষয়। একজন মুসলিম হিসেবে বিশ্বাস করা হয় যে কুরআন হলো সর্বশেষ ঐশী গ্রন্থ, যা সর্বকালের
জন্য উপযুক্ত। যদিও কুরআন এবং হাদীস সরাসরি প্রতিটি আধুনিক প্রশ্নের উত্তর দেয় না, ইসলামে ইজমা,
কিয়াস ও ইজতিহাদের মাধ্যমেই এসব প্রশ্নের সমাধান করা হয়।তাই এটি কোনো "damage repairing" নয়,
বরং একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যেখানে ইসলামের মূল শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমাধান দেওয়া হয়।

পরিশেষে বলা যায় ইসলামের মূল উদ্দেশ্য হলো মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দেওয়া, যাতে মানুষ
ন্যায়পরায়ণতা, সুবিচার, এবং কল্যাণের পথে চলতে পারে। ইজমা, কিয়াস ও ইজতিহাদ ইসলামের একটি
গতিশীলতা প্রমাণ করে যা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম। তবে এটি কখনো আল্লাহ
বা নবীজির নির্ধারিত মূলনীতির ওপর "মাতব্বরি" নয়। বরং এটি সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে ইসলামের সামগ্রিক
দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।

আশা করি, এই আলোচনা আপনার মন্তব্যের বিষয়ে কিছুটা ব্যাখ্যা দিবে । এর বেশী কিছূ বলার ক্ষমতা আমার মত
একজন অতি সাধারণ মানুষের নেই , তাই এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বিনয়ের সাথে অপারগতা প্রকাশ করছি ।
আপনার মুল্যবান মন্তব্যের প্রক্ষিতে এ বিষয়ে আরো কিছু কথা বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

আহরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন : পবিত্র কুরআনে সূরা রহমানের ৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: "সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত গতিপথে চলে।"


কিন্তু ভাইয়া, "সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত গতিপথে চলে" ......... এই layman's explanation আজ থেকে ৩০০০ বছর আগে বাংলাদেশের নৌকার মাঝিদেরও জানা ছিল। নতুন কিছু না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমার বলা উল্লেখিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি প্রাণবন্ত আলোচনা শুরু করা যেতেই পারে, যেখানে আমরা
বিষয়টির বৈজ্ঞানিক, ধর্মীয়, এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বিশ্লেষণ করতে পারি ।
প্রথমত, এটা বলাই হয়েছে যে উক্ত আয়াতটি কুরআনের সূরা রহমান থেকে নেওয়া, যেখানে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির
নিখুঁত সুষমতা ও ব্যবস্থাপনা তুলে ধরা হয়েছে। "সূর্য ও চাঁদ নির্ধারিত গতিপথে চলে"—এই বাক্যটি একটি
অত্যন্ত সহজ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা, যা সাধারণ মানুষও বুঝতে সক্ষম। তবে এটি শুধু প্রাথমিক বোঝার জন্য নয়,
বরং এর অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে এর বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য স্পষ্ট হয়।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে বলতে গেলে বলতে হয় যে আজকের আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান থেকে আমরা জানি যে
সূর্য নিজেও গ্যালাক্সির কেন্দ্রে তার নিজস্ব গতিতে ঘুরছে এবং পৃথিবীর মতোই চাঁদও নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে।
একইভাবে পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। কুরআনে এ তথ্য যখন প্রকাশিত হয়েছিল, তখন এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
মানুষের জানা ছিল না। এই আয়াতটি তখনকার মানুষের জন্য একটি সাধারণ সত্য মনে হতে পারে, তবে
আজকের প্রেক্ষিতে এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার সঙ্গে মিলে যায়।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা যায় যে আপনার বক্তব্য সঠিক এ জন্য যে , প্রাচীন যুগেও সাধারণ মানুষ
সূর্য ও চাঁদের নিয়মিত চলাফেরা লক্ষ করে এর একটি সাধারণ ধারণা রাখত। তবে তারা এর পেছনের সঠিক
কারণ বা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত ছিল না। প্রাচীন নৌকার মাঝিরা চাঁদের গতিবিধি ও
জোয়ার-ভাটার সংযোগ সম্পর্কে জানত, কিন্তু সূর্য ও চাঁদের কক্ষপথের বিশদ তত্ত্ব নিয়ে তাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ ছিল।

ধর্মীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে বলা যায় যে কুরআনের ভাষা এমনভাবে গঠিত, যা সকল যুগের মানুষের জন্য প্রাসঙ্গিক
থাকে। এই আয়াতটি শুধুমাত্র সাধারণ সত্য নয়, বরং এতে গভীরতর বার্তা নিহিত রয়েছে। এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার
সৃষ্টির নিখুঁত সমন্বয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এটি শুধুই তথ্যের সরবরাহ নয়, বরং সৃষ্টির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও
স্রষ্টার জ্ঞান ও ক্ষমতার স্বীকৃতি।

আপনার বলা "নতুন কিছু না" এই বক্তব্য আংশিক সত্য। কারণ, সাধারণ জ্ঞান বা পর্যবেক্ষণ হিসেবে এটি তখনকার
মানুষের কাছেও পরিচিত ছিল। তবে কুরআনের বক্তব্যটি কেবলমাত্র এই সত্যকে পুনরুল্লেখ করে না। বরং এটি
একটি বিশদ চিন্তা ও অনুসন্ধানের আহ্বান জানায়—যেখানে আধ্যাত্মিক ও বৈজ্ঞানিক উভয় ক্ষেত্রেই সত্য উদঘাটনের
সুযোগ রয়েছে।সুতরাং, "নতুন কিছু না" হিসেবে এটিকে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং এটি যে বিভিন্ন যুগে মানুষকে
অনুপ্রাণিত করেছে, সেই প্রেক্ষিতটিও বিবেচনা করা উচিত। এটি সাধারণ সত্যের আড়ালে একটি বিস্তৃত দৃষ্টিকোণ
তুলে ধরে।

যাহোক, একটি বিষয়ের উপর গঠণমুলক আলোচনা সব সময়াই সুফল বয়ে আনে বলে আমি বিশ্বাস করি ।
তাই, এ বিষয়ে আপনার বলা কথাগুলি এই আলোচনার ক্ষেত্রকে বিস্তৃতি দিয়েছে , সে জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন
করা হল ।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

এম ডি মুসা বলেছেন: কবিতা বর্তমান নকল আর চুরির খেলা

১৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মুল্যবন একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.