|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জাকিরুল হক তালুকদার
জাকিরুল হক তালুকদার
	আমার বড় পরিচয় আমি একজন মানুষ! আমি মন, মানসিকতা, স্মৃষ্টি আর সমাজের পংকিলতার সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করেছি। ঘুরে বেড়াচ্ছি একটি ভাল চাকুরীর সন্ধানে। অনেকদিন কাজ করছি দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় কন্ট্রিবিউটর হিসেবে। বর্তমানে কাজ করছি ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিতব্য বাংলা সাপ্তাহিক 'হিটজ'-এ।
মানুষের জীবনটা কেন এরকম হয়? কেন মানুষ নির্মম নিয়তির কাছে বারবার হেরে যায়? কেন একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের হাতের খেলনা হয়? মানুষ কেন জীবন যুদ্ধে হেরে যায়?
আমি জীবন যুদ্ধে হেরে যাওয়া একজন মানুষ! জীবনের কাছে পরাজিত হয়েছি বারবার! যারা ষাড়ের লড়াই দেখেছেন তারা হয়তো জানেন, লড়াইয়ে হেরে যাওয়া ষাড়টা থাকে রক্তে রঞ্জিত, আহত ক্ষত বিক্ষত প্রচন্ডভাবে। হেরে যাওয়া সে ষাড়টাকে বাজারে বিক্রি করে দিতে হয় কম দামে কিংবা জবাই করে বিক্রি করতে হয় তার মাংস! আমার অবস্থা এখন  হেরে যাওয়া ষাড়টির চেয়েও করুণ। আমি রক্তাক্ত, আহত প্রচন্ডভাবে। তবে সেটা শারীরিকভাবে নয়, মানসিক ভাবে। 
আমার জীবনটা চলছিলো স্বাভাবিক গতিতে। কিন্তু হঠাৎ করে যে কী হয়ে গেলো ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। একটা ফোন, একটা মেয়েলী কন্ঠ আমাকে বদলে দিতে শুরু করলো আমূল ভাবে। আমি হারালাম আমার জীবনের স্বাভাবিকত্ব। হারালাম সবই! মেয়েটির সাথে আমার কোনদিন দেখা হয়নি। (ভবিষ্যতে দেখা হবার সম্ভাবনাও কিঞ্চিত! ) কেবল ফোনেই যোগাযোগ। আর সেখান থেকেই বদলে যাওয়া শুরু। এক পযর্ায়ে আমি আবিস্কার করি যে আমি তাকে আস্তে আস্তে ভালবাসতে শুরু করেছি। তাকে ভালবেসে  ফেলেছি। কিন্তু জীবনে প্রথম কোন নারীকে আমার ভাললাগার কথাটা বলতে আমি বারবার বিব্রত হচ্ছিলাম। কীভাবে বলতে হবে, কোন এংগেলে বলতে হবে কিছুই বুঝতে পারছিলামনা। তারপরও অনেক চেষ্টার পর একদিন তাকে বলেই ফেললাম। কিন্তু আমি যা জানলাম তাতে আমার  বুকের ভিতর যে ভাঙ্গন স্মৃষ্টি হল তা আর থামানো গেলনা। আমি হেরে যাওয়া ষাড়ের চেয়েও মারাত্বকভাবে ক্ষত বিক্ষত হলাম। হৃদয়ের সেই ঘা আজও শুকায়নি। 
তার সাথে আমার চার চক্ষুর মিলন হয়নি সত্যি, দুটি দেহ কাছাকাছি আসেনি, তারপরও আমি তার প্রেমে উম্মাদ হয়ে গেলাম! আমি জানিনা তথাকথিত সমাজে হয়তো এটাকে আমার পাগলামী বলা হবে। কিন্তু আমি মনে করি এটাই হয়তো প্রেমের চরম স্বার্থকতা। দুজনের মনের মাঝে কেবল মিল  হলেই যে প্রেম গড়ে উঠেই সেটাই আমার মতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালবাসা। 
কিন্তু আহত-ক্ষত বিক্ষত অবস্থা থেকে আমি ফিরতে পারলামনা। ফিরতে পারিনি আজো! আসলে  তখন আর ফিরে আসার সময় ছিলনা। ছিলনা নিজেকে বুঝানোর মতো কোন শক্তিও। আমি ধীরে ধীরে শেষ হতে লাগলাম। এবং একপযর্ায়ে শেষ হলামও। 
আপনারা হয়তো আমাকে অনেকেই ভাবছেন বোকা! আসলে আমি একটা বোকা ছেলেই। যে ছেলে একটা মেয়েকে না দেখে, কেবল ফোনের কথায় ভালবাসতে পারে তাকে আর যাই হোক চালাক বলা যায়না। 
তবে একটা জিনিস ভেবে দেখবেন, তথাকথিত সমাজের প্রেম ভালবাসায় আমি বিশ্বাসী ছিলামনা, এখনো নই।  আমার ভালবাসায় কোন খাদ নেই, ছিলনা, ভবিষ্যতেও থাকবেনা। 
আমি জানিনা কতটুকু ভালবাসলে কতটা কাছে আসা যায়, কতটা ভালবাসলে ধীরে ধীরে অস্বাভাবিক হয়ে উঠা যায়! 
আমি জানি তাকে আমার করে কোনদিনই পাবোনা। আর সব ভালবাসার স্বার্থকতা কি কেবল বিয়েতেই? তা নয়। কিছু কিছু মানুষের কিছু কিছু ভালবাসা থাকে যেগুলো হয়তো কোনদিন শেষ হয়না। হয়তো আমারটাও.......
আমার সাথে তার কথাবাতর্া এখনো হয়। গতকাল সে আমাকে অনুরোধ করেছে আমি যেন সিগারেট খাওয়াটা ছেড়ে দেই। আমার জীবনে কোন মেয়ের আবদার এটাই প্রথম। তাই আমি তাকে কথা দিয়েছি আমি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিব। কারন ভালবাসার মানুষটা একটা আবদার করেছে আর সেটা যদি আমি না রাখি তবে সেটা হবে ভালবাসার প্রতি একটি চরম অবমাননা। 
আপনারা হয়তো অনেকেই মেয়েটাকেও কিছু দোষ দিবেন। কিন্তু সেটা মনে হয় ঠিক হবেনা। আমি জানি আমার প্রতি সে হয়তো ভালবাসার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেনি, পারেনি প্রেমিক হিসেবে মেনে নিতে। কিন্তু  সে একজন ভাল বন্ধু হিসেবে আমাকে ভাবে  সবসময়ই।
পাঠক, আমি যতটুকু আবেগ নিয়ে লেখাটি লেখছি তার শতভাগের একভাগ আবেগও আপনাদের  স্পর্শ করবেনা। যদি করেও সেটা হবে আমার প্রতি আপনাদের করুণারই বহিঃপ্রকাশ।
একবার ভাবতে পারেন একটা অচেনা, অজানা, অদেখা মেয়েকে কতটুকু ভালবাসলে একটা ছেলের জীবনটাই পুরোপুরি এলামেলো হয়ে যায়? 
কেউ কি আমাকে একফোটা শান্তির পথ বাথলে দিবেন কিংবা দিবেন এক টুকরো শান্তির সন্ধান। নাকি মৃত্যুর স্পর্শই সকল শান্তির উৎস?
পাঠক, মেয়েটির প্রেমিক বর্তমানে প্রচন্ড অসুস্থ্য হয়ে ক্লিনিকে ভর্তি। আপনারা তার জন্য একটু দোয়া করবেন। আমি চাইনা কোনদিন আমার প্রিয়তমার কান্না ভরা চোখ দেখতে। আমি চাই তাদের একটা সুখী-সুন্দর জীবন।
---সংগত কারনেই মেয়েটি এবং তার প্রেমিকের পরিচয়টি গোপন রাখা হল। কারণ তাদের পরিচয় দিলে অনেকেই তাদেরকে চিনে ফেলবেন। প্লিজ, শুধু আমার দুঃখের কাহিনীটা জেনে রাখুন। তাদের পরিচয় নয়।---
(বাকীটুকু আগামীতে লেখার ইচ্ছে রইল)
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +১/-০
    	+১/-০২|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
অতিথি বলেছেন: ধানসিঁড়ি, বলতে পারেন একটা মন কতজনকে, কতবার দেয়া যায়? একটা হৃদয়ের সকল মুক্তো দিয়ে বানানো একটা মালা কতজনের গলায় পড়ানো যায়?
আসলে প্রথম প্রেম কেউ কখনোই ভুলতে পারেনা। তবে আমার ব্যপারটা ভিন্ন। আমি হয়তো জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নিতেও কখনো পিছপা হবনা। 
আপনার পরামর্শের জন্য  ধন্যবাদ।
৩|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
ধানসিঁড়ি বলেছেন: প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। আপনাকে ভুলতেও বলবো না। তবে বলবো প্রখম প্রেমটা ছিল বন্ধুত্বের এটা ভাবার চেষ্টা করুন এবং নিজেই নিজেকে মাঝে মধ্যে বোঝান যে সে আপনার বন্ধু ছিল এবং এখনও একজন ভালো বন্ধু, তবে হয়তো বিষয়টা অনেক সহজ হতে পারে।
৪|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
অতিথি বলেছেন: অনেক চেষ্টা করেও সেটা পারিনি। নিজের জীবনটাকে কে চায় বলুন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে? আমিও চাইনি। কিন্তু ..........
৫|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
ধানসিঁড়ি বলেছেন: ম্যান ক্যান ডু হোয়াট ম্যান হ্যাভ ডান। 
মানুষ পারে না এমন কিছুই নেই।
নিজেকে আবিস্কার করুন। নিজের শক্তিগুলো সম্পর্কে সচেতন হোন এবং কাজে লাগান।
মোট কথা আপনাকে পারতেই হবে।
৬|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
অতিথি বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো। জানি পারবোনা। তারপরও।
৭|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ২:০২
অতিথি বলেছেন: তালুকদার, আশা হারাবেন না। 
আপনার লেখা পড়ে মন খারাপ হলো। কিন্তু গুছিয়ে লিখেছেন। চালিয়ে যান। 
৮|  ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  রাত ৮:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  রাত ৮:০২
শফিকুল ইসলাম বলেছেন: নিজের দুঃখের কাহিনী এত সুন্দর করে জানানোর কী দরকারটা ছিলো ভাই?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ১:০২
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৬  দুপুর ১:০২
ধানসিঁড়ি বলেছেন: আপনার কষ্ট আমাদেরকেও নাড়া দিচ্ছে। তারপরও বলব নতুন করে জীবনটাকে গড়ার চেষ্টা করুন, এক ভালোবাসা আপনার জীবনটা যেমন বিধ্বস্ত করেছে ঠিক তেমনি আরেকটি ভালোবাসা হয়তো আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। সুযোগ থাকলে বিয়ে করে ফেলুন। সার্বক্ষনি সুখ-দুঃখ শেয়ার করার একজন সঙ্গী পেলে জীবনটা অনেক সুন্দর হবে।
শুভ কামনা রইল।