![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাদিস সংগ্রহ - ১
৬৪. সকল সৃষ্টিই আল্লাহর পরিবার। এই পরিবার অর্থাৎ সৃষ্টির সেবাকারীকেই আল্লাহ বেশি ভালবাসেন। -বায়হাকি
৬৫. শুধুমাত্র দয়ালুকে আল্লাহ দয়া করেন। তাই জীবে দয়া কর; আল্লাহ তোমাকে দয়া করবেন। -আবু দাউদ
৬৬. নিজের জন্যে যা আকাঙ্ক্ষা কর, অন্যের জন্যেও তা-ই আকাঙ্ক্ষা করবে। তাহলেই তুমি প্রকৃত বিশ্বাসী হতে পারবে। -বোখারী
৬৭. প্রয়োজন ছাড়া অন্যের বিষয়ে নাক গলাবে না। এটাই প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়। -আবু দাউদ
৬৮. অক্লান্ত পরিশ্রম কর। তাহলে আল্লাহ তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। -বায়হাকি
৬৯. সৎকর্ম ও সত্যনিষ্ঠায় প্রথম হওয়ার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা কর। তাহলেই সফলকাম হবে। -বায়হাকি
৭০. প্রবৃত্তির শৃঙ্খল থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টাই উত্তম জেহাদ। -দারেমি
৭১. অতিরিক্ত পানাহার থেকে বিরত থাকো। তা না হলে তোমার অন্তরতম সত্তার মৃত্যু ঘটবে। -মুুসলিম
৭২. যদি আমাকে ভালবাসো তবে অপরের প্রতি বিদ্বেষ, ক্ষোভ ও ঘৃণা থেকে নিজের অন্তর মুক্ত রাখো। -মেশকাত
৭৩. বিবেক দংশিত হয় এমন কিছু করো না। -মেশকাত
৭৪. আন্তরিক বিনয় সকল সৎগুণের উৎস। -মেশকাত
৭৫. গোপনে দান কর। এটাই সর্বোত্তম দান। -মেশকাত
৭৬. যখন তুমি কোনো পীড়িতকে দেখতে যাও তখন তাকে সান্ত্বনা দাও এবং বল- 'তুমি সুস্হ ও দীর্ঘজীবী হবে'। -মেশকাত
৭৭. জ্ঞান অর্জন কর ও জ্ঞান বিতরণ কর, এটাই সর্বোত্তম কাজ। -মেশকাত
৭৮. মৃতদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলো না। -তিরমিজী
৭৯. যখন কথা বল- সত্য বল। যখন অঙ্গীকার কর, তা পালন কর। অন্যায় ও আঘাত করা থেকে বিরত থাকো। অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। সংযমী, চরিত্রবান হও। -মেশকাত
৮০. নিকৃষ্ট মানুষ তারাই, যারা অন্যের ক্ষতি করার জন্যে ও বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্যে কুৎসা রটায় এবং ভালো মানুষের ছিদ্রান্বেষণ করে। -মেশকাত
৮১. তুমি যদি বিশ্বাসী হও তাহলে ভালো কথা বল অথবা নীরব থাকো। অান্দাজে কথা বলো না। আন্দাজে কথা বলা জঘন্য মিথ্যাচার। -মুসলিম
৮২. অনন্য মানুষ বা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বান্দা তারাই যাদের দেখলে আল্লাহকে মনে পড়ে। -মেশকাত
৮৩. তুমি যদি বিশ্বাসী হও, তাহলে প্রতিবেশীকে কষ্ট দিও না। -বোখারী
৮৪. প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে যে পেট পুরে খায়, সে বিশ্বাসী নয়। -বায়হাকি
৮৫. অন্যের বুদ্ধি-বিবেচনা বা চেতনার স্তর বুঝে কথা বল। -বোখারী
৮৬. তিনজন একত্রিত হলে দুজন কখনো চুপিচুপি কথা বলবে না; যতক্ষণ না আরো লোকজন এসে উপস্হিত হয়। -বোখারী
৮৭. যখন কোনো শবযাত্রা তোমার পাশ দিয়ে যাবে তখন উঠে দাঁড়াও। -মেশকাত
৮৮. এক হাজার অজ্ঞ আবেদের চেয়ে একজন প্রাজ্ঞ ব্যক্তি শয়তানের বিরুদ্ধে অনেক বেশি শক্তিশালী। -তিরমিজ
৮৯। আল্লাহর দৃষ্টিতে সেটিই শ্রেষ্ঠ আমল বা সৎকর্ম যা অল্পমাত্রায় হলেও নিয়মিত করা হয়। -বোখারী
৯০। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো, কিন্তু সতর্কতা ও করণীয় কর্তব্যে অবহেলা করো না। -মেশকাত
৯১। তোমাদের মধ্যে সে-ই উত্তম পুরুষ যে তার স্ত্রীর সাথে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করে। -আবু দাউদ
৯২। সঙ্গীদের আগে খাওয়া শেষ করবে না। -মেশকাত
৯৩। মেহমানকে বাড়ির দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবে। -মেশকাত
৯৪। একজন অতিথির এত বেশি সময় থাকা উচিত নয়, যাতে মেজবানের অসুবিধা হয়। -বোখারী
৯৫। মজলুমকে সাহায্য কর। -তিরমিজী
৯৬। শাশ্বত ধর্মের কথা বলতে গিয়ে নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। -মেশকাত
৯৭। অন্যের এমন সব দোষত্রুটি দেখা ও বলা থেকে বিরত থাকো, যা তোমার মধ্যেও আছে। -মেশকাত
৯৮। প্রশংসার ক্ষেত্রে যুক্তির সীমা লঙ্ঘন করো না। -মেশকাত
৯৯। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। যে মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ নয়। -আবু দাউদ
১০০। কারো প্রতি অন্যায় করে থাকলে যত তাড়াতাড়ি পারো ক্ষমা চেয়ে নাও। -বোখারী
১০১। দুনিয়ার পেছনে ছুটো না, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন। আর সাধারণ মানুষদের যা আছে তা কামনা করো না, তাহলে তারা তোমাকে ভালবাসবে। -তিরমিজী
১০২। তিনজন একত্রে চললে একজনকে নেতা বানাও। -আবু দাউদ
১০৩। সবাইকে আগে সালাম দাও। -বোখারী
১০৪। সবচেয়ে নিকৃষ্ট সে-ই, যার দুর্ব্যবহারের জন্যে অন্যেরা তাকে এড়িয়ে চলে। -বোখারী
১০৫। কোনো পশুর মুখে প্রহার করবে না। -মুসলিম
১০৬। শেষ বিচারের দিন আল্লাহ বলবেন- হে মানুষ! আমি অসুস্হ ছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখ নি। আমি অভুক্ত ছিলাম, কিন্তু তোমরা খাবার দাও নি। মানুষ বলবে- তুমি তো রোগ ও ক্ষুধা থেকে মুক্ত। আল্লাহ বলবেন- অমুক অসুস্হ ছিলো কিন্তু তোমরা তাকে দেখ নি। অমুক অভুক্ত ছিলো কিন্তু তোমরা তাকে খাবার দাও নি। -মুসলিম
১০৭। শিষ্টাচার, সুবিবেচনা, পরিমিতি ও মধ্যপন্থা অবলম্বন হলো নবুয়তের চব্বিশ ভাগের একভাগ। -তিরমিজী
১০৮। সাদাকা বা দান করা প্রত্যেক বিশ্বাসীর কর্তব্য। যার আর্থিক সামর্থ্য নেই তার জন্যে যেকোন সৎ কাজ করা বা খারাপ কাজ থেকে (নিজেকে বা অন্যকে) বিরত রাখাও দান বা সাদাকা। -বোখারী
১০৯। প্রতিটি সৎকর্মই সাদাকা বা দান। হাসিমুখে কথা বলা সাদাকা। ভালো কাজে উৎসাহিত করা সাদাকা। খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হওয়া সাদাকা। পথহারা মানুষকে পথ দেখানো সাদাকা। অসুস্হকে দেখতে যাওয়া সাদাকা। কাউকে পানি ঢেলে খাওয়ানোও সাদাকা। -তিরমিজী
১১০। গাছ লাগানো সাদাকা। -মুসলিম
১১১। কোনো ব্যক্তিকে যানবাহনে ওঠাতে বা মাল ওঠাতে সাহায্য করা সাদাকা বা দান। সুন্দরভাবে কারো প্রশ্নের উত্তর দেয়া সাদাকা। মানুষেপ চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টিকারী কাঁটা, পাথর বা বাধা সরিয়ে ফেলাও সাদাকা। -বোখারী
১১২। গৃহকর্মীদো তা-ই খেতে দেবে যা তোমরা খাও। তা-ই পরতে দেবে যা তোমরা পর। তাদের সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ দেবে না, দুর্ব্যবহার করবে না। অতিরিক্ত কাজ হলে নিজেরা সাহায্য করবে। -বোখারী
১১৩। আল্লাহ একজন পতিতাকে তার সারাজীবনের গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন- একটি মৃতপ্রায় তৃষিত কুকুরকে কুয়ো থেকে পানি তুলে পানি পান করানোর জন্যে। যেকোনো প্রাণীর উপকার করলেই তাকে পুরষ্কৃত করা হবে। -বোখারী
১১৪। সুশিক্ষা দান হচ্ছে সন্তনের প্রতি পিতার সর্বোত্তম উপহার। -বায়হাকি
১১৫। কৃপণ আবেদের চেয়ে নিরক্ষর দাতা আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। -তিরমিজী
১১৬। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। আরবো ওপর কোনো অনারবের বা অনারবের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। আল্লাহর কাছে সে-ই বেশি প্রিয় যে তাকওয়ার অধিকারী। -বিদায় হজ
১১৭। একজন সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, কীভাবে আত্নশুদ্ধি করা যায়। নবীজী (স) বললেন, তুমি সবসময় মনে রাখবে তুমি যেখানেই থাকো না কেন আল্লাহ তোমার সাথে আছেন (তোমার সবকিছু দেখছেন)। -তিরমিজী
১১৮। তোমার দায়িত্ব ও তোমার কর্মের জন্যে তোমাকেই জবাবদিহি করতে হবে। -বোখারী
১১৯। শেষ বিচারের দিনে পাঁচটি বিষয়ের হিসেব দিতে হবে। ১। সময় কীভাবে ব্যয় করেছো। ২। মানসিক ও দৈহিক শক্তি কী কাজে ব্যয় করেছো। ৩। সম্পদ কীভাবে অর্জন করেছো। ৪। কীভাবে সম্পদ ব্যয় করেছো এবং ৫। যা সত্য বলে জেনেছো, তা কতটুকু অনুসরণ করেছো। -তিরমিজী
১২০। আল্লাহ বলেন, হে মানুষ! শুধু আমার বিধান অনুসরণ কর; তাহলে তুমি আমার গুণাবলিতে ভূষিত হবে এবং তখন যা বলবে- দেখবে তা-ই হয়েছে। -বোখারী
তথ্যসূত্র: view this link
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩১
আলি জুয়েল বলেছেন: ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞতা রইলো মন্তব্যের জন্যে।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪০
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাল লাগেছে পড়ে ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
আলি জুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা রইলো।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
আশাবাদী অধম বলেছেন: মানুষের পড়ার ধৈর্য কম। এক পোস্টে এত হাদিস না দিয়ে আরো কম দিলে পাঠক বেশি পড়বে। সুন্দর পোস্ট। জাযাকাল্লাহ!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
আলি জুয়েল বলেছেন: ভালো বলেছেন। পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৯
খাইরুন নাহার বিনতে খলিল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।