![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘পায়ে লয়ে যাও আমায়’ নাম করণে লালন একাডেমি ৬০ পৃষ্ঠায় একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে। এ স্বরনিকায় কুষ্টিয়া জেলার স্বনামধন্য লেখকগণের কয়েকটি প্রবন্ধ অলংকৃত হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন আমাদের প্রিয় লালিম হক, বাংলার বাউল ও তার পটভূমি একটি খসড়া শিরোনামে লিখেছেন ধর্ম নিয়ে। তিনি দেখিয়েছেন ধর্ম এসেছে দুদিক থেকে। এক হলো নিয়ন্ত্রক বিধাতার তরফ থেকে নিয়ন্ত্রিত ধর্ম। আর একটি এসেছে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে অর্থাৎ যে ধর্মের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। লেখক এভাবে সরাসরি বলেছেন, একটি মানুষের ধর্ম আর একটি অলৌকিত ঈশ্বরের ধর্ম। পৃ:৩৮ ৩০ লাইন।
“কেন লালনকে চাই” শিরোনামে ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। আবুল আহসান একটি আরবী নাম অর্থ সুন্দরতমের পিতা। কুষ্টিয়ার বাংলা ভাষাকে সুন্দর করে তোলার মুূলে তার অবদান রয়েছে এককভাবে। ভাষাকে সুন্দর ও মানাসই করে তোলার দায়িত্ব লেখকদের উপরই আসে। তা এ জন্য লেখককে অনেক কিছুই জানতে হয়। আবুল আহসান চৌধুরী একজন গোড়া মুসলিম পরিবারের সন্তান হিসেবে এবং ইসলামী শীর্ষ শিক্ষা পীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের যোগ্য অধ্যাপক তার প্রমাণ তাঁর এ সংক্ষেপ প্রবন্ধে স্পষ্ট। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন লালন ছিলেন ইসলামে অনীহা পোষনকারী। তিনি স্বরনিকার ২৬ পৃষ্ঠায় লিখেছেনÑ “কোনো বিশেষ ধর্মের গন্ডিতে তিনি বাধা পড়েননি। কোনো ধর্মে বাধা না পড়ার মানেই তো হবে যে, তিনি হিন্দু বা মুসলিম ধর্মের বাইরের মানুষ ছিলেন।” তিনি আরও বলেছেন, “তাই প্রাতিষ্ঠানিক সব ধর্ম সম্পর্কেই তিনি ছিলেন উদাসীন ও সংশয়ী।” লেখক এখানেই থেমে যাননি। একজন লেখক হিসেবে সময় ও কাল বুঝেই লেখে থাকেন। ড: সাহেব তাঁর এ প্রবন্ধে অনেকটা চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন বলা যায়। যেমন তিনি লালনের কোনো শাস্ত্রেই আস্থা ছিলনা প্রমান করতে গিয়ে তাঁর এক গানের প্রথম লাইন বাদ দিয়ে দ্বিতীয় লাইন থেকে শুরু করে প্রমান করেছেন তার শাস্ত্রবিরোধী উক্তিটি বলীয়ান করতে। প্রথম লাইন টা ছিল, “কি কালাম পাঠালেন সাঁই দয়াময়।” কালাম বলতে পবিত্র কুরআন কেই বুঝায়। কিন্তু বিষয় হিতে বিপরীত হওয়া আশংকায় উক্ত প্রথম পদ গোপন করে দ্বিতীয় পদ হতে প্রমাণ উল্লেখ করেছেন। যেমন, “এক এক দেশে এক এক বাণি পাঠান কি সাঁই গুণমণি মানুষের রচনা জানি লালন ফকির কয়।” ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী জাত বিরোধী হিসেবে লালনকে যতখানিক চিনতে পেরেছেন ততখানিক আর কে বা কারা আছেন। তিনি জানেন যে, লালন জাত বিরোধী কেননা তিনি পুরান বাইবেল বিরোধী। ডক্টর সাহেব জানেন বলেই তো লালন সাঁইকে ইসলাম বিরোধী বলেও প্রমানিত করতে কুন্ঠা বোধ করেননি। তিনি লালনের দুঃসাহসের প্রশংসা করে বলেছেনÑ কী ভয়ংকর কথা কী দুঃসাহস! আর বক্তব্য পেশ করেছিলেন তিনি এক অজ্ঞ- অজ্ঞান ধর্ম্মান্ধ সমাজে বাস করে! লালন যে ইসলামের বিধি বিধানকে বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়েছেন তাও প্রমান করতে ছাড়েননি ডক্টর সাহেব। তিনি লালন সাঁইয়ের যে গান দিয়ে নামাজ রোজা মক্কা ও মেয়রাজ বিরোধী ছিলেন তার প্রমান তুলে ধরেছেন। যেমনÑ
“মেয়ারাজের কথা শুধাবো কারে আদম তন আর নিরুপ খোদা নিরাকারে মিললো কি করে?
পড়গা নামাজ জেনে শুনে নিয়েত বাধঁগা মানুষ মক্কা পানে।”
ডক্টর শেষ পর্যন্ত লালনকে এতই ইসলাম বিরোধী করে দেখিয়েছেন যা শুনলে অনেক লালন পন্থিও হিম শিম খেয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন,
“ মুসলমানের ভেস্ত বা হিন্দুর স্বর্গ লালন কোথাও যেতে চাননি এ দুই-ই তার কাছে ফাটক সমান মনে হয়েছে।
Ñ এই হাজত খানার বাসিয়ে হতে কার বা তা ভাল লাগে।”
লালন সাঁই যে মুসলমান বা হিন্দু ছিলেন না, তিনি কুরআন কালাম মানেননি, তিন হরফে কোরান তামাম শোধ লিখেছে বলে উক্তি করেছেন। অতএব, তাঁকে কোরআন বিরোধীই বলতে হবে যেহেতু পবিত্র কুরআন আরবী ভাষার সমস্ত হরফ দিয়ে লেখা তিনটি হরফ বা বর্ণ দিয়ে কখনই কুরআন লেখা যায়না তা সকলেরই জানা আছে। আরবীর একত্রিশ হরফেই আল-কোরআন অবর্তীণ হয়েছে। আর এজন্যই তো দেশের আলেম সমাজ লালনের বিরূদ্ধে সেচ্চার ছিলেন এবং বর্তমানেও সোচ্চার আছেন ও থাকবেন। বৃটিশ আমলে যারা লালন সাইঁয়ের বিরূদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন তাদের অন্যতম ছিলেন কুষ্টিয়ার বানিয়া পাড়ার প্রাক্তন মন্ত্রি শামছুদ্দীন-এর ভাই মওলানা আফসার উদ্দীন এবং আর একজন লালন বিরোধী নেতার নাম জানা যায় তিনি হলেন আলমডাঙ্গার শ্রীরামপুর গ্রামের ধর্মীয় ও সামাজিক ব্যাক্তিত্ব খোন্দকার মেজাজ আলী মুন্সী এবং তার শ্বশুর কুমারখালির অন্তর্ভূক্ত বাশঁগ্রামের দাওরা পাশ আলেম মওলানা জসিম উদ্দীন দেও বন্দি।
আগামী দিনে বেশী বাড়াবাড়ি হলে হয়ত লালনের ইসলামের আকিদা বিরূদ্ধ গান প্রচারের জন্য মুসলিম যুব সমাজ আন্দোলনে নেমে যেতে পারেন। কারণ আমাদের যুব সমাজ দেশকে স্বাধীন করতে যখন মুক্তিযুদ্ধে করেছিলেন তেমন এ যুগের যুব সমাজ কুরআন ছুন্নাহর বিরোধী গানের রচয়িতা হিসেবে লালন সাইঁয়ের আপত্তিকর গান বাজেয়াপ্ত করণের জন্য আন্দোলনে নামতে পারে। যে আন্দোলনের সহায়ক শক্তি হবে ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরীর প্রমানিত ও দালিলিক লেখাটি কেন লালনকে চাই। ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী “কেন লালনকে চাই” প্রবন্ধে যে ভাবে কৌশল গত প্রচেষ্টা চালিয়ে লালন সাঁইকে একজন কোরআন বিরুদ্ধ মক্কা বিরুদ্ধ সত্তা হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাতে তিনি নিজেকে একজন ইসলামী চেতনার ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। এজন্য লালন স্মরণোৎসব-২০১৪ এর সদ্য প্রকাশিত স্মরনিকায় কেন লালনকে চাই লেখার জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং সত্যকে তুলে ধরার জন্য শেষ জীবন পর্যন্ত যাতে ইসলামের স্বপক্ষে নিজেকে উৎসর্গ করেন। ডক্টর আবুল আহসান চৌধুরী যে ইসলামের শীর্ষ শিক্ষা পীঠ ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক তিনি জানেন যে, অবতারবাদী জাত বিরোধী এবং কোরআনকে তিন হরফের বলে তাচ্ছিল্যকারী লালন সাঁইয়ের নাম তার প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসের নামকরণ করা মোটেও শোভা পায়না।
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
আল্লামা সোবহান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
আসিফ ইকবাল কাজল বলেছেন: লালনকে নিয়ে আরো শক্ত আলোচনা সমালোচনা চায়। স্বার্থের জন্য একজন পক্ষে আর অন্যজর বিপক্ষে বলবেন তা হবে না। সঠিক ও সত্য জানতে চায়
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
আল্লামা সোবহান বলেছেন: হয়তো বা আপনি আমাদের আগের পোষ্ট পরেন নাই তাই এইভাবে বলছেন ভাই। আর আমাদের নতুন পোষ্ট কিছু সময় পরই দেওয়া হবে আশা করি দেখবেন। ধন্যবাদ আসিফ ইকবাল কাজল ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আধ্যাত্মিক চেতনার তাত্ত্বিক দর্শন
শিরোনাম সাইজি লালন
গবেষণা ভাল লাগল ।
পোস্টে ধন্যবাদ