![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লামা সোবহান
এদেশের কতিপয় মহাপ্রাণ ইসলামের খাদেম বাউলদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা দক্ষিণে ফরিদপুরে তৎকালীন সাতশো ফকিরের বসবাস ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন মীরপুর থানার দক্ষিণ সীমান্ত এলাকার শ্রীরামপুরের তৎকালীন সংস্কারক মুন্সী মেজাজ আলী। আর একজন বাউল বিরোধী নেতা মওলানা আফছার উদ্দিন কুষ্টিয়ার এককালীন খ্যাতিমান মন্ত্রী শামসুদ্দিন আহমদের বড় ভাই। মওলানা আফসার উদ্দিন আহামদ সরাসরি ছেউড়িয়ার লালন আড্ডায় ঘোড়া চালিয়ে বাউলদেরকে বিতাড়িত করেন। মুন্সী মেজাজ আলী সাহেবের একটি দল সব সময়ের জন্য সাথে কাইচি রাখত। যেখানেই বাউল ফকিরদের সঙ্গে দেখা হত তখনই আর রেহাই নেই ফকিরদের বাবরি চুল কেঁটে দিত। গানের বাদ্যযন্ত্র কেড়ে নিত এমনি ভাবে বাউল দমন দল ব্রিটিশ আমলে ছিল অনেক। যার ফলে তারা সমাজে অত্যন্ত হীন ও অপাংতেয় হয়ে বসবাস করত। এরা যে সত্যিকারের ইসলামের শত্রু আলেমগনের আন্দোলনে তা প্রকাশ পেয়েছিল। পৃ: ১০৮/১০৯-উ:প: ২৯০
ডকটর সুধীর চক্রবর্তী আলোচ্য উদ্ধতির পক্ষে মন্তব্য পেশ করেন। তিনি বলেন,- ব্রিটিশ আমলে এই বাউল দমন দল গঠন এবং পীড়নের ঘটনা অনেক ঘটেছিল, যার বিরুদ্ধ প্রতিবেদন আজ পাওয়া কঠিন তবে কেন যে এই বাউল দমন তার কারণ বোঝা যায় এই মন্তব্যে যে তারা মুসলিম নামের অন্তরালে হিন্দুদের অংশীবাদ ইত্যাদি জন্মান্তরবাদ; সর্বেশ্বরবাদ অহংবাদ ইত্যাদি মতবাদ ইসলামে ঢুকিয়ে ইসলামের মুলনীতিকে ফাঁটল ধরাতে স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সমাজের লোকদের কাছে সাধু আচরণ দেখিয়ে গান-গীতের অন্তরালে ইসলামের বিরোধিতা করতে থাকে। (উ: প: ২৯১) ৪৯ পৃ: বাউল একটি ফেতনা, পৃ:৯ মুল: পৃ:-১০৯।
ম.আ. সোবহান সাহেবের বাউল একটি ফেতনা পুস্তিকা থেকে সংগৃহীত এই উদ্ধতির প্রতি সমর্থন দিয়ে ড. সুধির চক্রবর্তি ব্রাত্য লোকায়ত লালন গ্রন্থের ২৪৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন।
একটি প্রতিষ্ঠিত ধর্মের বিরুদ্ধে কেবল গানের শব্দ ব্যবহার বাউলের নি:সঙ্গ একতারা যেন একটা রুদ্ধ সংগীতের প্রতীক ও প্রতিবাদ হয়ে উঠেছিল। সন্দেহ নেই গানে গানে গাঁথা এসব প্রতিবাদ লালনের রচনা অথবা তার শিষ্য দ্দুশাহ। এখানে মনে রাখতে হবে, ইসলামী বিশ্বাসী অনেকে আবার সংগীত বিরোধী। বিশ শতকের গোঁড়ায় একদল আলেম ও মৌলানা মুসলমানদের পক্ষে গীতি চর্চা নাজায়েজ ঘোষনা করেছিলেন, লালন শিষ্য দ্দুদুশাহ তার বিরুদ্ধে যুক্তি দিয়ে লেখেন, গান গাওয়া যদি অপরাধ হয়, কোরান মজিদ কেন ভিন্ন এলহামে গায়, ইত্যাদি ডক্টর চক্রবর্তী এখানেই সমাপ্ত করেন নি। তিনি ম. আ. সোবহানের আরও পরপর দুটি উদ্ধৃতি দেয়া যায় আর দৃষ্টি ভঙ্গিতে। ম. আ. সোবহান তার নিবন্ধে জানাচ্ছেনÑ
সাম্প্রতিক কালে রেডিও টেলিভিশনে লালন গীতির প্রচার যেমন বেড়ে চলেছে পাশাপাশি শ্রোতার সৎখ্যাও আনুপাতিক হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আবাল বৃদ্ধ বনিতার অনেকেই এখন লালন গীতির ভক্ত বনেছে, পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বড় একটা আপত্তি করছে না। লালন গীতির ছন্দে ছন্দে আরবী শব্দের প্রয়োগ যেমন: ইন্তেজারী, আহাদ, আহামদ, কালাম খোদা, আখেরী, নামাজ, রোজা ইত্যাদি অগনিত আরবী ও পারশী শব্দ মিশ্রিত রয়েছে লালনের গানে। এসব আধ্যাত্মিক গান সুফী তাত্তিকদের গান ইত্যাদি আখ্যায়িত করে বসেছেন। পৃ: ২৪৭/ উ: প: ১০০, লালন শাহ মুসলমান ছিলেন না, সাপ্তাহিক ইস্পোত- কুষ্টিয়া ১৭- অক্টোবর -১৯৯১- উ:প: পৃ: ২৯৩। অত:পর ডক্টর চক্রবর্তী বলছেন- এই একই লেখক সোবহান সাহেব অন্য এক নিবন্ধে বাউল একটি ফেতনা বলেছেন- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আঙ্গনে ফকির লালনের গান, গজল ও লোকগীতি হিসেবে সমাদৃত। বাংলাদেশ সংস্থা রেডিও- টেলিভিশন ও ফিল্মে অতি উচ্চ স্থান লাভ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সমুহের লালন গীতির উপর গবেষণাগর খোলা হয়েছে এবং গবেষকদের কে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। ধর্মীয় গান ও গীতি এলহামী কালাম রূপে অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে গৃহীত হয়েছে। ফলে দেখা যায় খোল করতাল, খুনজুরী ইত্যাদি বাদ্যবাজনাপূর্ণ মাইজভান্ডারী মজলিশ লালন গানের সাথে জিকির আজকার পর্যন্ত চালু হয়েছে। লালন গীতিতে আল্লাহ, রসুল, দোজখ বেহেশত, বরজোখ, কিয়ামত, হাশর- নাশর, দুনিয়দারি, তলী, মুরর্শীদ ইত্যাদি ইসলামী শব্দ ছন্দের লাগামহীন ব্যবহার, লালন ভক্তরা তাদেরকে একটা আলাদা ধর্মের লোক বলেও দাবি তুলেছে।
ধর্ম জগত ছাড়াও গ্রাম বাংলার মাঠে ঘাটে, যানবাহনে এমনকি ধানের ক্ষেতের চাষির মুখেও লালনের সুর ছন্দ শোনা যায়। -ব্রত লোকায়ত লালন পৃ: ২৪৭
এমনি ভাবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ডক্টর সুধীর চক্রবর্তী বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাউল বিশারদ ম আ সোবহান সাহেবের অনেক উক্তির উদ্ধৃতি তার গ্রন্থেতুলে ধরেছেন। এ ব্যাপারে আমরা কুষ্টিয়াবাসী ডক্টর সুধূর চক্রবর্তীকে জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতাসহ ধন্যবাদ।
কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকাতে লালন শাহ মুসলমান ছিলেন না বলে ঐ প্রবন্ধের শেষাংশে জোর দিয়ে বলেছেনÑ আজ যারা লালনকে মুসলমান বলে বিশেষ বিশেষ মহলে সম্মান কুড়োচ্ছেন তাদের পরিণতি কোন পথে যাবে তা তাদের ভেবে দেখা উচিত। কারণ ইসলামের সাথে গাদ্দারী করে আজ পর্যন্ত কেও সুখী হতে পারেনি বলে আমাদের বিশ্বাস’ তাছাড়া তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেনÑ লালন সাইঁ সত্যিই কি মুসলমান? সত্যিই কি সুফী সাধক? শতাব্দী ধরে যে ব্যক্তি ইসলাম বিরুদ্ধ নাড়ার ফকীর বলে পরিচিত হয়ে এলেন, তার অনুসরণকারী ফকির নামে গাঁজা পান করে গান গেয়ে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়ে নিম্মগামী জীবন যাত্রাকে বেছে নিল। তারা যদি আজ খাঁটি মুসলমানী জীবন-যাপনকারী বলে দাবি করা শোভা পায় না। এই প্রবন্ধে তার মুল বক্তব্যগুলি ছিল এইরূপÑ
প্রথমত: লালন সাঁই যে কি জাতের ছিলেন তা আজ র্পযন্ত রহস্যাবৃত রয়ে গেছে।
দি¦তীয়ত: তাঁর গান বা কবিতায় যা বুঝা যায়, তাতে উভয় দিকেই বাহ্যিক আকারে মেনে নেওয়া যায়।
তৃতীয়ত: তাঁর ইসলামী গান গুলি ইসলামের জন্যই না ইসলাম বিরুদ্ধ অন্য কোন আদর্শ প্রচার করার জন্য তা দেখাতে হবে।
চতুর্থত: লালন মাজারে লালন অনুগামী ও অনুসারীদের মধ্যে আজ পর্যন্ত নামাজ রোজা ও ইসলামী দেয়া শরিয়ত মেনে চলার কোন ঝুঁকি দেখা যায় না, এমনকি লালন মাজারে একটা মসজিদ পর্যন্ত ওঠানো সম্ভব হচ্ছেনা এবং নামাজে আযান শোনা যায় না। ইসলামের আইনে হালাল জীব প্রাণী এমনকি একটি পাখি পর্যন্ত জবাই করা যায় না এবং তাছাড়া ঈদের কুরবানির পশুও জবাই করা তো দুরের কথা লালন মাজারের গেটেও বেঁধে রাখা যায় না। এরপরও যদি দেশের গূণী ব্যক্তিগণ সেই লালনকে সবকিছু উপেক্ষা করে মুসলমান বলে আখ্যায়িত করা হয় তাহলে আর আমাদের কিছু বলার নেই।
পঞ্চমত: লালন সাঁই মুসলমানী পরিভাষায় যে সব গীতি রচনা করেছেন তাতে যে আল্লাহ রাসূলের কথা ব্যবহার করেছেন তা অবতার বাদের লক্ষ্যেই, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ষষ্ঠত: লালন সাঁই কৃষ্ণ রাধার যুগল অবতার হিসেবে উপসনা করতেন। এজন্য সাধন ভজনেও রাধা কৃষ্ণের পঞ্চতত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।
সপ্তমত: গায়কগণ গান গেয়ে উদর পূরণ করায় সার মনে করে দেশ ও জাতির তৌহিদী বিশ্বাস ও আকীদার ওপর কুড়ালাঘাত করে চলেছেন এজন্য জবাবদিহীতা বিষয় আছে।
ম.আ. সোবহান সাহেবর আক্ষেপোক্তি অনুসারে তাঁর প্রবন্ধের ভাষা সরাসরি প্রয়োজনে খতিয়ান ---বিশেষে কিছু কিছু উদ্ধৃত করা যেতে পারে। যাতে করে তিনি তার বক্তব্যে যা রেখেছেন লালন শাহ মুসলমান ছিলেন নাÑ একথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমনÑ
১। দেশের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ দেওয়ান আজরফ লালন প্রমুখ বাউল শিরোনামীদেরকে সুফীÑ সাধক বলে ফতোয়া দিয়ে চলেছেন।
২। প্রবীন অধ্যাপক আবু তালিব সুরের তালে তালে লালনকে মুসলিম পরিবারের সন্তান বলে জোর তাত্মিক আন্দোলন সৃষ্টি করে চলেছেন।”
লালন শাহকে যারা মুসলমান না বলে হিন্দু বলে থাকে; তারা তার চোখে একজন মূর্খ, একজন নাদান। যে চোখেই হোক লালন সাইঁকে অন্তত তারঁ সামনে মুসলমান বলে স্বীকার করাতেই হবে। তিনি লালনের এক লাঠিধারী হাত আবিষ্কার করেছেন তাতেই নাকি তারা মুসলমান দাবীর বড় প্রমান হয়ে রয়েছে।”
ম আ সোবহান সাহেব লালন শাহ প্রসংগে এক সম্পূর্ণ ভিন্নতর ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা সম্পূর্ণ লেখকের মৌলিক দৃষ্টি ভঙ্গি। তাতে লালন ফকিরের পদ গুলিই একমাত্র আলোচ্য বিষয় তবে তাতে লালনকে ভিন্নধর্ম মতপন্থী সাধকের পর্যায়ের ফেলা হয়েছেÑ যাকে এক কথায় লেখকের ভাষায় নিমাই ফকির বলা যেতে পারে। স্বপক্ষে তিনি যা বলেছেন তা হল নি¤œরূপ,Ñ
প্রথমত: “নিমাই সন্ন্যাসীকে উপাসনা করতে গিয়ে লালন যে পরিবেশ নিয়ে ছিলেন তার প্রমাণ বর্তমান নাড়ার ফকীর বাউল সম্প্রদায়।”
লালন নিমাই সন্ন্যাসীর ডোর কৌপনী আচঁলা ঝোলা সবকিছু ব্যবহার করেছেন। এরাই ছিল নিমাই ফকির। মুসলিম ফকির আর নিমাই ফকিরদের মধ্যে আকাশÑ পাতাল ব্যবধান রয়েছে। নিমাইদের প্রশংসা করে বলেছেনÑ “ধন্য মায়ের নিমাই ছেলে এমন বয়সে নিমাই ধরেছে নিমাই লীলে”।
দ্বিতীয়ত: লালন সাঁই কৃষ্ণ-রাধার ---- অবতার বলেই গৌরহরি নিমাইকে উপাসনা করতেন এইজন্য তাঁর সাধন ভজনেও রাধাকৃষ্ণের পদ্মা- তরঙ্গের পরিচয় পাওয়া যায়। সাধন তাতে একটি গানে প্রমান করা হল। যেমনÑ
“কৃষ্ণ পদ্মের করণে দিশে রাধা পদে¥র উদয় হয় মাসে মাসে না জেনে সাইঁ যোগ নিরুপণ রসিক সে ধরে কেমন?”
অসময় চাষ করলে কৃষি হয় কিসে?
তৃতীয়ত: লালন সাঁই এর মতে গোলক ধামই অরশী নগর। এখানে পরম বৃহ্মে অবস্থান করেছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি ম আ সোবহান সাহেবের জোর দাবী।
প্রয়াত অবতার বাদী মোশরেক ফকির লালন সাঁইয়ের কতিপয় গানে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি আল্লাহ তা আলা ও আখেরী নবী হযরত মুহম্মদ (স) কে এক সত্ত্বা বা একইজন বলে উক্তি করেছেন। এ সমস্ত গান দেশের রেডিও -টেলিভিশন কর্মকর্তাগণ সমপ্রচার করে মুসলিম নর নারীর ঈমান ও আকীদায় চরম আঘাত হানছে। লালন সাঁই বলেছেনÑ
“আল্লাহ নবী দুটি অবতার
গাছ বীজ দেখি যে প্রকার”
“মদিনায় রাসূল নামে কে এল ভাই
কায়াধারী হয়ে কেন ছায়া তার নাই”
লালন সাঁই উপনিষদ দর্শনের অবতারবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আল্লাহর আহাদ ও নবীর আহামদ নাম নিয়ে এক জটিলতার সৃষ্টি করেছেন। তিনি আহামদ নামের মীম বর্ণ বাদ দেখাতে চেয়েছেন যে, আল্লাহ ও নবী একইজন তিনি তার বিভিন্ন গানে বলেছেনÑ
আহাদে আহামদ এসে নবী নামটি জানালে
যে তন করিলে সৃষ্টি সে তন কোথায় রাখিলে ?
আহাদ নামে পরোয়ার আহামদ নাম হল যার
জন্ম মৃত্যু হয় কেন তাঁর সনাতন আইন কে দিল ?
পড়ে ভূত আর হয়নে সমবায় কোন হরফে কি ভেদ আছে লেহাজ করে জানতে হয়। আলেফ হে মীম দালেতে আহামদ নাম লেখা যায় মীম হরফটি নফী করে দেখনা খোদা কারে কয়?
আকার ছেড়ে নিরাকারে ভজলিরে আঁধেলা প্রায় আহাদে আহামদ হল করলিনে তার পরিচয়।
জাতে ছেফাত ছেফাতে জাত দরবেশে জানতে পায় লালন বলে কাঠ মোল্লাজী ভেদ না জেনে গোল বাধাঁয়।
এমনি ভাবে অবতারবাদের কৌশলী ভাষ্যকার সৃষ্টিকর্তাকে মা সম্বোধন কারী নারী ভজনকারী লালন সাঁই আল্লাহতায়ালাকে জাতে (অস্তিত্বে) এবং রাসুল্লাহ (স কে আল্লাহ এর মানব রুপি অবতার বলে উক্তি করে ইসলামের ঈমান আকীদা পয়মাল করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন’ তিনি রসুলুল্লাহ (স
কে সরাসরি খোদা বলতে মোটেও সংকোচ বোধ মনে করেননি। তিনি তার গানে বলেছেন Ñ
“রসূল রুপে প্রকাশ রব্বানা লালন বলে
দরবেশ সিরাজ সাঁইয়ের গুণে।
নবী মুহম্মদ (স একজন মানব রসুল, আব্দুল্লাহ মানব পিতার মানব সন্তান অর্থাৎ মানব পিতার ঔরশ জাত সন্তান। অথচ তাঁকে রব্বানা বলার স্পর্ধা কিভাবে হতে পারে তা জিজ্ঞাসাই বটে। লালন সাঁই নবী মহাম্মদ (সা)-কে আল্লাহর মানব রুপ অবতার বলেছেন, সরাসরি মানবরুপ দয়াময় বলেছেন। যেমনÑ
“সবে বলে নবী নবী নবীকে নিরঞ্জণ ভাবি, দেল ঢুড়িল দেখতে পাবি আহামদ নাম বলে যারে।
যার মর্ম সে যদি না কয় কার সাধ্য তাকে জানতে পায় তাইতে আমার স্বাধীন দয়াময় মানুষরুপে ঘোরে ফেরে।”
ইসলাম অবতারবাদ জন্মান্তরবাদ বিরোধী বিশ্বাস ওয়াহদিয়াতি ধর্মীয়জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ একক সত্ত্বা বা আহাদ। যার অর্থÑতিনি কারোর ঔরশজাত নন, তারও কোন ঔরশজাত নেই। তিনি রূপ ধারী বা অনন্ত রূপীও নন। লালন সাঁই ফকির এই বিশুদ্ধ একত্ববাদকে পয়মাল করারহীন উদ্দেশ্যে এ সমস্ত গান রচনা করেছেন। অতএব, এ সমস্ত নাপাক গোনাহ জন্ক গানের প্রতিবাদ করা সকল মুসলিম নর-নারীর জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে। লালন গবেষক গণ থিসিস লিখে বাহবা কুড়াচ্ছেন কেন তা আমাদের জন্য বড়ই মর্মান্তিক বিষয়। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমুহেও সিলেবাস ভুক্ত করে ছাত্রছাত্রীদের ইমান নষ্ট করে দিচ্ছে লালনের গান। লোকসংগীত, ভক্তিমূলক গানের নামে রেডিও টেলিভিশনের কর্মকর্তাগণই বা কি করে এ সব নাপাক গান সম্প্রচার করে যাচ্ছেন। এসব গান নিঃসন্দেহে ঈমান আকীদা ধ্বংসকারী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত সৃষ্টি কারী। বিধায় লালন ফকিরের আলোচ্য গান গুলো বাজেয়াপ্ত করার জন্য আশু ব্যাবস্থা নেওয়া উচিত। লালন সাঁইয়ের উল্লেখিত ইসলাম বিরুদ্ধ গান রেডিওÑ টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে অচিরেই বন্ধ করে দেয়া হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৩
একজন অবাঙ্গালী বলেছেন: ''লালন সাঁইয়ের উল্লেখিত ইসলাম বিরুদ্ধ গান রেডিওÑ টেলিভিশন কেন্দ্র থেকে অচিরেই বন্ধ করে দেয়া হোক।''
তা আর কি কি বন্ধ করা দরকার বলে আপনার মনে হয়?
কেন 'অবতারবাদ' গ্রহনযোগ্য নয়, একটু বুঝায়া বলেন তো।