![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লামা সোবহান
আল্লাহর হাত, পা, চোখ, মুখ থাকার স্বপক্ষে কতিপয় কুরআনের আয়াত ও হাদীস থাকায় ইসলামিক পিচ টিভির আলেম জনৈক হাশিমীসহ দেশের লা মাজহাবী আলেম ওলামা শায়েখগণ বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ ছুরতধারী দেহধারী অবয়ব। কিন্তু আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ভুক্ত কোটি কোটি মুসলিম নর নারী বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহর আকার নেই। তিনি আকার বা দেহ বিহীন সত্তা। তিনি আকার ও নিরাকার উভয় অবস্থা থেকে মুক্ত। কোরআনে আছে লাইছাকা মিছলিহি শাই। অর্থাৎ কোনো (আকার ও নিরাকার) প্রাণি ও বস্তুর মত নন। অতএব যারা আল্লাহর হাত পা মুখ থাকা আয়াত ও হাদীসের সরাসরি অর্থ করে, তারা আল্লাহকে সাকার সত্তায় ভেবেই ইসলামী জীবন যাপন করে আসছেন। এক লোকো কবিও বলেছেনÑ
“কেন যাই অদেখা ভাবুক দলে”।
আল্লাহর আকার (ছুরত) আছে এমন সরাসরি কোন আয়াত না থাকলেও তাঁর অঙ্গ প্রতঙ্গের উল্লেখ থাকায় আকার সাব্যস্ত করে থাকেন ঐ সব লা মজহাবী আলেম ওলামা।
আল্লাহর হাত থাকার একটা হাদীস সহিহ বুখারী গ্রন্থ থেকে উল্লেখ করা হলো। যেমন:
ইউ’জিনী ইবনু আদামা ইয়াছুব্বুদ দাহরা ওয়া আনাদদাহার বিইয়াদিয়াল আমরু উকাল্লিবু ল্লাইলা ওয়ান নাহার।
আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়। সে গালি দেয় কাল (দাহার) কে অথচ আমিই দাহার বা কাল।
বি ইয়াদিয়াল আমরা আমার হাতে আদেশ। এ হাদীসে যে ইয়াদিয়া শব্দটি আছে এই ইয়াদিয়া মানে আমার হাত। অতএব এ কথায় যেমন বুঝায় যে লোকটি তার কথা শোনে তাই সে তার হাতে আছে বলা হয়। ফলে হাত শব্দটি সুসর্ম্পক হিসেবে অথবা আজ্ঞাবাহি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কাল বা সময় কখনো দেহধারী হয়না অতএব যা দেহধারী নয় তার সাথে কোন দৈহিক অঙ্গের সর্ম্পক দেখা দিলে ঐ দৈহিক অঙ্গটি রৃপক অর্থে ব্যবহৃত হবে। এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত দ্বারা রূপকতার পক্ষে রায় দেওয়া যাবে।
এ হাদীসের পর একই পর্বের আর একটি হাদীসে আল্লাহর ডান থাকার কথা স্পষ্ঠ আছে।
এবার আমরা পবিত্র কুরআনের দিকে আসি। এতে আল্লাহর হাত পা মুখ সম্পর্কে কোন কোন আয়াত রয়েছে।
এমনিভাবে পবিত্র কুরআনে বলা হচ্ছেÑ
এক: ওয়াছছামায়া বানাইনাহা বিআই দিন ওয়া ইন্না লা মুছিউন। আবু আমি সাকাশকে বিনিরমান করেছি হাতগুলো দিয়ে আর আদিতা প্রশাস্ত কারী। জারিয়াত ৪৭
দুই: তাবার কাল্লাজী বি ইয়াদিহিল মুলকÑ সাফল্য তারা যিনি রাজ্যকে তার হাতের উপর রেখেছেন Ñ মুলক-১
তিন ছুবহানাল্লাজী বিইয়াদিহী মালাকুত কুল্লি শাইয়িন ওয়া ইলাইহি তুরকাইন। ইয়াছীনÑ৮৩।
তিনি সেই পবিত্র সত্তা যার হাতে রয়েছে রাজ্য।
এমনি আরও সুরা ফাতহে দেখা যায় ইন্নাল্লাজীনা ইউবাযিউনাকা ইন্নামা ইউবায়িউনাল্লাহা, ইয়াদুল্লা-হি ফাউকা আইদিহিমÑ১০
Ñ যারা আপনার কাছে শপথ নেয় তারা (মুলত) আল্লাহর কাছেই শপথ গ্রহণ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে।
পরপর কয়েকটি আয়াতে আল্লাহর হাত (ইয়াদুল্লাহ) বা হাত গুলি ব্যবহৃত হয়েছে। তাহলে সরাসরি অর্থে তো হাত যার আছে দেহ তার আছেই। এমন যে গোপন দেহ তাও নয়। আল্লাহ তার হাতে গুলো দিয়ে আকাশ বানিয়েছেন আল্লাহর রাজ্যকে এক হাতের উপর রেখেছেন আল্লাহ তার সমস্ত রাজ্য তার এক হাতের উপর রেখেছেন, এবং তার দিকে ফিরে যাওয়ার অর্থ এখানে তিনি অনুপস্থিত আছেন অথচ যে দুনিয়া তার হাতের উপর তাহলে কি তার হাত এত লম্বা যার দেহের দিকে ফিরায় কথা এসেছে। আল্লাহর হাত তাদের শপথ কারীদের হাতের উপর। তাহলে মানুষের বহু হাতের উপর তার হাত থাকা কিভাবে হবে?
চলবে..................
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
মিমায়িত জীবন বলেছেন: আল্লাহ দেহ-ছুরত হীন হলেও কিন্তু তার চিন্তা ধারা মানবীয় বা মানবিক। তিনি মানুষের মতই রাগ করেন, গোস্বা করেন, ভালবাসেন, আবার অভিষাপ দেন। শাসন করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এইগুলো কি তাওহীদের কোন এক অংশ কিনা যদি এমন বিতর্কে গিয়ে তাওহীদ থেকে দুরে সরে যায় মানুষ তার জন্য দায়ী কে?