নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একমাত্র বিরোধী পক্ষ!!

*কুনোব্যাঙ*

তফাত যাও সব ঝুঁট হ্যাঁয়!

*কুনোব্যাঙ* › বিস্তারিত পোস্টঃ

CRUX: দক্ষিণের অভিযাত্রীদের পথ প্রদর্শক !!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩০





অস্ট্রেলিয়ার পতাকায় আঁকা ছয়টি তারা বা নিউজিল্যান্ডের পতাকার চারটি তারা আমরা সবাই দেখেছি। বিশেষ করে ক্রিকেটের কল্যাণে আমাদের ভারতবর্ষের প্রায় মানুষ অস্ট্রিলিয়ান ক্রিকেটারদের গায়ের জার্সির পাঁচটি তারার সাথে বিশেষ ভাবে পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা যে একটি নক্ষত্র মন্ডলের থেকেই মূলত এই এই তারাগুলোর আগমন। অস্ট্রেলিয়ার পতাকার কমনওয়েলথ তারাটি বাদ দিয়ে বাকী পাঁচটি তারা বা নিউজিল্যান্ডের পতাকার চারটি তারা এর সবই একটি নক্ষত্র মন্ডলকে উপস্থাপন করে। খালি চোখে দৃশ্যমান ৮৮ টি নক্ষত্র মন্ডলের অন্যতম এই নক্ষত্র মন্ডলের নাম Crux যা দক্ষিণের ক্রুশ নামে পরিচিত। (উত্তরের ক্রুশ বলা হয় cygnus বা বক নক্ষত্রমন্ডলকে)



Crux নক্ষত্র মন্ডল







এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত এত নক্ষত্র মন্ডল থাকতে ঠিক কি কারণে দৃশ্যমান নক্ষত্র মন্ডলের মধ্যে সবচাইতে ছোট Crux নক্ষত্র মন্ডল এত গুরুত্ব পেলো যে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের পতাকায় জায়গা করে নিলো? হ্যাঁ, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ কারণে Crux নক্ষত্রমন্ডলের ঠাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পতাকায়।



আমরা সবাই জানি প্রাচীন মানুষজনের নৌ যাত্রায় আবশ্যিক ভাবে নির্ভর করতে হতো আকাশের তারকাপুঞ্জের উপর। ঠিক যখন পর্যন্ত কম্পাস আবিষ্কার হয়নি তখন আকাশের তারকা মন্ডলই ছিলো অথৈ সাগরে নাবিকদের একমাত্র দিক নির্দেশক।



আবার আমরা আরো জানি মূলত ধ্রুব তারাকে স্থির ধরেই প্রাচীন মানুষ রাতের আকাশের দিক নির্ণয় করতো। কিন্তু যেখানে ধ্রুব তারা অদৃশ্য সেখানে কি হতো? উত্তর গোলার্ধে ধ্রুবতারা বা ধ্রুব তারা নির্ণায়ক উরসা মেজর বা সপ্তর্শি এবং ক্যাসিওপিয়া নক্ষত্রমন্ডল সহজলভ্য কিন্তু দক্ষিণ গোলার্ধে এইসব নক্ষত্রমন্ডল ঠিক এতটা সহজলভ্য নয়। বিশেষ করে ধ্রুবতারা তো সম্পুর্ণই অদৃশ্য। আর ঠিক এই কারণেই দক্ষিণের অভিযাত্রীদের কাছে Crux নক্ষত্রমন্ডল এতটা গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠে। প্রাচীন লোকেরা দক্ষিণে যাত্রার সময় দক্ষিণ দিক নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করতো এই নক্ষত্রমন্ডলকে। দক্ষিণ আকাশের অন্যান্যা তারকাপুঞ্জ সময় ভেদে অস্থিতিশীল থাকলেও রাতের আকাশে যে কোন সময়েই একমাত্র এই নক্ষত্রমন্ডলের মাধ্যমেই সঠিক ভাবে দিক নির্ণয় সম্ভব হতো।



Crux



খালি চোখে দৃশ্যমান ৮৮টি নক্ষত্রমন্ডলের মধ্যে সবচাইতে ছোট নক্ষত্র মন্ডল হচ্ছে Crux, যে নামের উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ থেকে আর ইংরেজীতে Crux এর মানে হচ্ছে ক্রুশ বা ক্রস।



আলফা , বিটা , গামাডেল্টা এই চার ধরনের পাঁচটি প্রধান তারা নিয়ে Crux নক্ষত্রমন্ডল গঠিত। যেখানে গামা ও আলফা টাইপ তারা দুটোকে দুটি বিন্দু ধরে আলফার দিকে একটি সরল রেখা টেনে দক্ষিণের প্রধান বিন্দু বের করা হয়। আবার শুধু এই একটি সরল রেখা দক্ষিণ দিক নির্নয় করে সাধারণ দূরত্বে ব্যবহার করা গেলেও সম্পুর্ন নিখুঁত দিক দিতে পারতো না। সম্পুর্ণ নিখুঁত ভাবে দিক নির্নয়ের জন্য নির্ভর করতে হতো |আলফা সেঞ্চুরি বিটা সেঞ্চুরি নামক আরো দুটি তারার উপর। এই দুটি তারা চিহ্নিত করার উপায় হচ্ছে Crux নক্ষত্র মন্ডলের ডেল্টা ও বিটা টাইপ তারা দুটোকে দুটি বিন্দু কল্পনা করে বিটা তারার দিকে একটি সরল রেখা টানলে যে দুটো উজ্জ্বল নক্ষত্রের পাশ দিয়ে যায় সে দুটোই হচ্ছে আলফা সেঞ্চুরি ও বিটা সেঞ্চুরি। এখন আলফা সেঞ্চুরি ও বিটা সেঞ্চুরির ঠিক মধ্যভাগে একটি লম্ব আঁকলে বা ৯০ডিগ্রী একটি কোণ আঁকলে Crux নক্ষত্র মন্ডলের গামা ও আলফা বরারব সরল রেখার যে বিন্দুতে ছেদ করে ঠিক সেটাই হচ্ছে দক্ষিণের বিন্দু।



নিচের চিত্র দেখুন-







কিন্তু দক্ষিণের ক্রুশ বা Crux নক্ষত্রমন্ডল থাকার পরও দক্ষিণের যাত্রাপথ এতটা সহজ ছিলোনা। দক্ষিণের যাত্রাপথ পথভ্রষ্ট নাবিকদের করুণ পরিণতির ইতিহাস। কিন্তু কেন? হ্যাঁ, ঠিক এই Crux নক্ষত্রমন্ডলের কাছেই Crux এর চাইতে অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল আরেকটি নক্ষত্র মন্ডলের নাম Vela , যাকে ফলস সাউদার্ন ক্রসও বলা হয়ে থাকে। ঠিক প্রায় Crux নক্ষত্রমন্ডলের মতো দেখতেই Vela নক্ষত্র মন্ডলকে ধরে নাবিকরা যখন দিক নির্নয় করতে যেতো তখনই হয়ে যেতো দিকভ্রম। আর দুটোর সাদৃশ্য এতটাই যে নাবিকদের কাছে সেটাকে Crux ভেবে ভুল করাটাই স্বাভাবিক ছিলো। তাছাড়া যেহেতু দুটো নক্ষত্র মন্ডলই ছায়াপথের প্রায় মধ্যিখানে অবস্থিত সেহেতু ছোট ছোট তারার ভীড়ে সঠিক Crux কে চিহ্নিত করা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে যেতো।









অনেকের ধারণা Crux নক্ষত্র মন্ডল শুধু দক্ষিণ গোলার্ধেই দৃশ্যমান। কিন্তু এটি সম্পুর্ণ সত্যি নয়। সময় বিশেষ বিশেষ করে এপ্রিলের দিকে উত্তর গোলার্ধ থেকে এই নক্ষত্র মন্ডল দৃশ্যমান হয়। তাছাড়া ভারতীয় বা চাইনিজ জোতির্বিদ্যায় এই নক্ষত্রমন্ডলের আলোচনাও প্রাচীন কালে উত্তর গোলার্ধে এই নক্ষত্র মন্ডলের গুরুত্বের সাক্ষ্য দেয়। ভারতীয় পুরাণ এবং জোতির্বিজ্ঞানে Crux নক্ষত্র মন্ডল ত্রিশংকু নামে পরিচিত। ভারতীয় পুরণ মতে বিশ্বমিত্র যাকে দক্ষিণের নক্ষত্র মন্ডলে স্থান দেন। আবার চীনা জোতির্বিদ্যার ২৮টি রাজকীয় তারকা মন্ডলের সর্বশেষ ২৮ তম স্থানে Crux নক্ষত্রমন্ডলের অবস্থান। চীনা জোতির্বিজ্ঞানে যার নাম জেন(Zhěn)



মাউরিদের (নিউজিল্যান্ডের আদি অধিবাসী) উপকথাতে Crux নক্ষত্র মন্ডলকে পাওয়া যায় জাহাজ বা নৌকার নোঙ্গর হিসেবে। হয়তো ছায়াপথের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান এবং মাউরিরা দেখতো সমগ্র ছায়পথ তারকাপুঞ্জ ঘুর্ণয়নাম দোলরত আর সেখানে Crux নক্ষত্রমন্ডল সমস্ত ছায়াপথকে ধরে রেখেছে নোঙ্গরের মতো করে যার কারণ ছায়াপথ ছুটে বেড়িয়ে যেতে পারছেনা। আর তার থেকেই হয়তো তারা এটাকে মহাকাশের নোঙ্গর বলে ভেবেছে।



আর এভাবেই Crux নক্ষত্রমন্ডল হয়ে উঠেছে দক্ষিণের মানুষের ভালোবাসার ধন, প্রিয় নক্ষত্র মন্ডল। আর তার থেকে রচিত হয়েছে বা এখনও হচ্ছে নানা গান, উৎসবের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রতিদান। আর এভাবেই পথ প্রদর্শক হিসেব Crux নক্ষত্র মন্ডল মানুষের মাঝে ঠাঁই করে নিয়েছে। যার কারণে শুধু অস্ট্রেলিয়া নয় ব্রাজিল কিংবা পাপুয়া নিউগিনির পতাকাতেও ঠাঁই করে নিয়েছে এই নক্ষত্রমন্ডল। আর এভাবেই ভালোবাসার বিনিময়ের মাধ্যমে হাজার বছর পর যখন মানুষ নির্মিত তারা স্যাটেলাইট বা জিপিএসের আরো হাজার গুণ উৎকর্ষ সাধিত হবে তখন হয়তো ভালোবাসায় ভর করে এই নক্ষত্র মন্ডলেরই আবির্ভাব হবে কোন নতুন মিথের প্রধান চরিত্রগুলোর অন্যতম হয়ে। আর Vela হয়তো মিথের কোন খল চরিত্রে।



ব্রাজিলের পতাকায়-





ট্যাটুতে-





দেশে দেশে-





গানে-









--------

*ছবিসুত্রঃ ইন্টারনেট

**সকল লিংকঃ উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ব্যাপক কষ্ট করছেন ভাই , পোস্টের জন্যে+++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজমুল ভাই। পড়েছেন এখানেই সার্থকতা :)



শুভ কামনা

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪০

দি অপু বলেছেন: ভালো লিখসেন। কিছু লিঙ্কে ডুকতে পারলাম নাহ,

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ঠিক করে দিচ্ছি।


অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫১

বাগসবানি বলেছেন: ওয়াও

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: একটি শব্দে সম্পুর্ণ ভালোলাগা বুঝে পেলাম :)

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫১

নীল বরফ বলেছেন: একদমই অজানা ছিলো!। প্রিয়তে নিলাম সাথে ++++।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১০

বৃতি বলেছেন: অজানা অনেক কিছু জানা হলো । পোস্টে +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ জিনিস জানা হলো। পোস্টে +++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী :)

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই :)

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

কিরিটি রায় বলেছেন: কত অজানারে!!!!!!!!!!!

সত্যি জ্ঞানের রাজ্যে আমরা কত অসহায়!!! কিছূই জানিনা!!


তোমরা এই বিশাল নক্ষত্রমন্ডলের দিকে তাকাও। এটি আমি অযথাই সৃষ্টি করিনি। এতে রয়েছে নিদর্শন জ্ঞানীদের জন্য!

আল্লাহর এইরকম একটা বাক্য পড়েছিলাম। আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ল।

+++++++++++++++++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শুধুই অজানা আর জীবনটা অনেক ছোট। বিশ্বমন্ডলে অপ্রয়োজনীয় বলে কিছু নেই মনেহয়, কিছুর প্রয়োজনীয়তা আমরা অনুভব করেছি আর কিছুর প্রয়োজনীয়া এখনও অনুভব করতে পারিনি এই যা পার্থক্য।


অনেক ধন্যবাদ কিরিটি রায়

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

হেডস্যার বলেছেন:
কত কিছু যে জানার আছে।
+++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ হেডস্যার। জানার পথ অফুরন্ত


১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

ধূর্ত উঁই বলেছেন: যাক নতুন জিনিস জানা গেল ধ্রুবতারার বিকল্প ক্রাক্স সঙ্গে খল চরিত্র ভেলা।সব মিলিয়ে উপভোগ্য পোস্ট। প্রথমে হুচট খেয়েছি নক্ষত্র মন্ডল শব্দটা পড়ে। কারণ নক্ষত্র মন্ডল তো বহুবচন।পরে বুঝলাম আপনি এক দল নক্ষত্রকে মন্ডল বলেছেন্। দারুণ একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভবিষ্যৎ মিথ! শুভ অশুভ সৎ অসৎ এর সম্মিলিত উপস্থিতি :D


পোষ্টে আসার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ধূর্ত উঁই :)


১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


একজন স্বাভাবিক মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় রয়েছে এ কথা আমরা সবাই জানি। ইন্দ্রিয়গুলো হলো- কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, চক্ষু ও ত্বক।

সূরা বাকারাহ; আয়াত ৩-৪ (পর্ব ৫)

সূরা বাকারাহ'র তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে-

" الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِالْغَيْبِ وَيُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (3)

"যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, যথাযথভাবে নামাজ পড়ে ও তাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি তা হতে ব্যয় করে।" (২:৩)"

পবিত্র কোরআন বিশ্বজগতকে দু'টি ভাগে বিভক্ত করেছে। একটি অদৃশ্য জগত যা আমরা চর্মচক্ষুতে দেখতে পাই না, আর অপরটি হচ্ছে দৃশ্যমান জগত। অর্থাৎ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে আমরা যে জগত অনুভব করি; এই বস্তুগত জগত কেবলমাত্র চোখে দেখা যায়, কানে শোনা যায় এবং পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে অনুভব করা যায় এমন কিছুর অস্তিত্বই স্বীকার করে। সত্য অনুসন্ধানী ও তাকওয়া সম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধু এই বস্তুগত জগতের মধ্যেই তাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ রাখেননি। তারা অদৃশ্য জগত অর্থাৎ আল্লাহপাক, ফেরেশতাকুল, আখেরাত যা পঞ্চ-ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা যায় না তার প্রতিও বিশ্বাস রাখেন। অবশ্য ঈমান জ্ঞানের উর্দ্ধে। ঈমান হলো এমন পর্যায় যেখানে মানুষের অন্তর ও আত্মা কোন কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার করে, তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে,তাকে ভালবাসে। এটা স্পষ্ট যে এ ধরনের ঈমান ও বিশ্বাস থেকে সৎ কাজ উৎসারিত হবে।



হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে পঞ্চপাণ্ডব হলেন সেই শাপগ্রস্থ পঞ্চ ইন্দ্রের অংশ, যাঁদের ধর্ম, বায়ু, ইন্দ্র ও অশ্বিনীকুমারদ্বয় মানুষীর গর্ভে উৎপাদন করেছেন, আর কৃষ্ণা হলেন সেই ঋষিকন্যা। মহাদেবের ইচ্ছাতেই কৃষ্ণা পঞ্চপাণ্ডবের পত্নী হবেন। কৃষ্ণা (দ্রৌপদী, যাজ্ঞসেনী) - পাঞ্চাল রাজ দ্রুপদের কন্যা ও পঞ্চ পাণ্ডবের পত্নী। দ্রৌপদী পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন (এঁরা সবাই পূর্বজন্মে বিশ্ব-নামধারী দেবতা ছিলেন) - প্রতিবিন্ধ্য (যুধিষ্ঠিরের), সুতসোম(ভীমের), শ্রুতকীর্তি (অর্জুনের),শতানীক (নকুলের) এবং শ্রুতসেন (সহদেবের)।



পৃথিবী হল বৃহৎ একটি চুম্বক যার মধ্যে আছে উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু।এর জন্যেই সৃষ্টি হচ্ছে নানাবিধ আকর্ষণ।পৃথিবীর এই চৌম্বকক্ষেত্র জুড়ে রয়েছে মাধ্যকর্ষণ শক্তি।আর এর থেকেই পৃথিরীর সমস্তবিষয়ে চেতন এবং অবচেতনের ফল লক্ষ করা যায়।অর্থাৎ জাগতিক এবং অজাগতিক শক্তি পরিলক্ষিত হয়।ধরিত্রী বা পৃথিবীর দুই প্রান্ত সাড়ে তেইশ মধ্যাহ্নিক অবস্থায় আছে যার জন্য বছরের ছয় মাস উত্তরায়ণ এবং বাকি ছয় মাস দক্ষিণায়ন।পৃথিবী তার নিজের অক্ষে অর্থাৎ মেরু রেখার পশ্চিম থেকে পূর্বে ঘুরছে।ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দিন এবং রাত্রির।আর পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে তার কক্ষপথ ধরে সম্পূর্ণ পরিক্রমা করতে সময় নিচ্ছে প্রায় ৩৬৫ ১/৪ দিন অর্থাৎ এক বৎসর।আগেই বলা হয়েছে পৃথিবীর তিনভাগ পানি আর একভাগ স'ল। পৃথিবীতে এই পাঁচটি গুণই বর্তমান।যথা- শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ।

পৃথিবী প্রতিনিয়ত উত্তর-দক্ষিণ অক্ষে ঘুরছে।ঘূর্ণায়মান অবসস্থায় উত্তর-পূর্ব দিকেই কাত হয়ে আছে।ভুমি, পানি, প্রকাশ, বায়ু ও আকাশের সঙ্গে মানুষের সম্বন্ধ।তাই আদিকাল থেকেই মানুষ বিচার-বিবেচনা করে ঠিক করেছিল যে, পুর্ব এবং উত্তর দিকে এরকম কোনও কিছু নির্মাণ বা বৃক্ষরোপণও অনুচিত যার ফলে সূর্যকিরণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

আয়ুর্বেদ মতে মানুষের শরীরের পাঁচটি প্রধান ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে পঞ্চভূতের।এ তথ্য নতুন নয়।ভূমি, আকাশ, বায়ু, পানি, অগ্নি ও পৃথিবীর সঙ্গে মানবের নিগূঢ় সম্পর্কের কথা নীচের তালিকার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হল।



উপরোক্ত তালিকা ও ছবি থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান, চক্রে নিহিত তথ্যাদি বুঝার জন্য সক্রিয় মনের প্রয়োজন।সক্রিয় মননশীলতার অস্তিত্ব জড়িয়ে আছে জীবনের সঙ্গে যেহেতু পাঁচটি তত্ত্ব মন আর জীবনই আমাদের অস্তিত্বের কারণ।



এই পঞ্চশক্তির প্রভাব দেখা যায় অলিম্পিকের প্রতীক যা বাংলায় অলিম্পিক পতাকা বা অলিম্পিক নিশান হিসেবে পরিচিত মূলত পাঁচটি রিং একে অপরকে জড়িয়ে থাকে। পতাকার এই পাঁচটি রিং আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া এবং ইউরোপ মহাদেশকে নির্দেশ করে। পাঁচটি রিংএর পাঁচটি রঙ নীল, হলুদ, কালো, সবুজ ও লাল চয়ন করার মূল কারণ হল এই পাঁচটি রঙের অন্তত যেকোন একটি বা একাধিক রঙ প্রত্যেক দেশের পতাকায় ব্যাবহৃত হয়েছে।



পঞ্চশক্তির আরেক রূপ হলো হাতের পাঁচটি আঙ্গুলের মুষ্টিবদ্ধ রূপ বা পাঞ্চ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মহাবিশ্বের সার্বিক ঐক্যই সংখ্যা সাদৃশ্যের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। ব্যাপারগুলোকে মিরাকল বললেও বলা যায় কিন্তু কোইনসিডেন্স বলা যায়না কোন ভাবেই। আর মহাবিশ্বের সার্বিক ঐক্য এগুলোকে মিরাকল বলতেও বাঁধা দেয়। আদতে আমরাও একেকজন তো মহাবিশ্বেরই ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র হলেও অংশ বিশেষই।

ভালো লাগলো আপনার তথ্যযোগ আর অনেক বেশী ভালো লাগলো পাঁচের চার্টটি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই :)

১২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

চিরতার রস বলেছেন: দারূণ পোস্ট ভ্রাতা। পোস্টে প্লাস।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চিরতার রস

১৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

শিপন ব্লগার বলেছেন: সুন্ডর পোস্ট।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ডন্যবাড টিপন ব্লগার

১৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

টুকরো কাগজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

শুঁটকি মাছ বলেছেন: কয়েকটা মিথ দিলেন না কেন?

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অধিকাংশ মানুষের বসতি উত্তর গোলার্ধে আর এইসব নক্ষত্রমন্ডল দক্ষিণ গোলার্ধের একেবারে প্রান্তসীমায় আর সে কারণেই হয়তো উত্তর গোলার্ধের আদি সভ্যতাগুলোর কাছে এইসব তারা মণ্ডল অতটা গুরুত্ব পায়নি। যার কারণেই হয়তো মিথেও এগুলো তুলনামূলক কম গুরুত্বের সাথে এসেছে। তবুও কিছু মিথ অনেক উপভোগ্য কিন্তু পোষ্ট লম্বা আর ভারী হয়ে যাওয়ার ভয়ে মিথের গল্পগুলো এড়িয়ে গেছি। তবে ত্রিশংকুর লিংকে গেলে ভারতীয় পুরাণের গল্পটা পাওয়া যাবে।

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

এম মশিউর বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট। প্রিয়তে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এম মশিউর :)

১৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

এহসান সাবির বলেছেন: জটিল............!!
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট.....
+++++++++++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাঙ্কস সাবির ভাই :)

১৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা ফিচার!! জাস্ট অসাম!!! এই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে এত ডিটেইলস জানা ছিল না। অনেক ভালো লাগল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস কাল্পনিক ভাই। মন্তব্যে সত্যিই অনুপ্রেরণা পেলাম :)

১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন একটি পোস্ট,,,,,,,,,

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

২০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: দারুন ! জটিল ! খুব ভালো লাগলো ! কত অজানা যে আছে এই পৃথিবীতে !

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কত অজানা যে আছে এই পৃথিবীতে !


সত্যিই তাই :(


অনেক ধন্যবাদ আদনান ভাই

২১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: দারুন পোস্ট।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সুপার ডুপার একটা পোষ্ট। আসলেই। +++++।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মন্তব্যে আন্তরিক ভালোলাগা টুকু বুঝে পেলাম আর সাথে পেলাম অনুপ্রেরণা।


অনেক অনেক ধন্যবাদ শরৎ ভাই :)

২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পতাকাতে তারকা মন্ডলীর পেছনের কথাগুলো অজানাই ছিল, আপনার এই পোষ্টের কল্যাণে জানা হলো। মহাবিশ্ব আশ্চর্যজনক ভাবে কানেক্টেড। মানুষের জ্ঞানের পরিধি মহাবিশ্বের বিশালতার তুলনায় তুচ্ছ! তারকামন্ডলির মিথ, আমার মনে পড়ে গেল সাম্প্রতিক চরিত্র থর এর কথা!
সুন্দর পোষ্ট!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মহাবিশ্ব আশ্চর্যজনক ভাবে কানেক্টেড। মানুষের জ্ঞানের পরিধি মহাবিশ্বের বিশালতার তুলনায় তুচ্ছ!

সম্পুর্ণ সহমত। অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি।

২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০০

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

দুর্দান্ত ফিচার । অনেক কিছু জানতে পারলাম।
প্রত্যেকটা মিথেই একটা খলচরিত্র থাকে এখানেও Vela সেই জায়গাটি দখল করল। :)

++++++++++++++++
প্রিয়তে...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এখনও করেনি। এমনি একটু অনুমান করে আরেকটু কল্পনা করে বলেছি যে হয়তো জনপ্রিয়তার এই ধারাবাহিকতা ধরে যে যুগে মিনিটের মধ্যে মানুষ এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে যাবে সে যুগে হয়তো পেছনের ঘটনা পরবর্তী মানুষের ভালোবাসা থেকে পপুলার কালচার আর সেই কালচারই হয়তো কালের পরিক্রমায় হয়ে যাবে কিংবদন্তী আরো কালের পরিক্রমায় মিথ! হয়তো এরই মাঝে বয়ে যাবে হাজার হাজার বছর।

২৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

মশিকুর বলেছেন:
অনেক অজানা জিনিষ জানা গেল। দুর্দান্ত পোস্ট +++

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

২৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪

যুবায়ের বলেছেন: চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট....
অনেক কিছু জানা হলো.....
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর লেখাটির জন্য...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পোষ্টে আসার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ যুবায়ের ভাই :)

২৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৫

নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: অসাধারণ!!!!!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজমুল_হাসান_সোহাগ

২৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

নাজমুল_হাসান_সোহাগ বলেছেন: ইনফরমোটিভ কিছু লেখা আসলেই অনেক ঝামেলার। আর সময় সাপেক্ষ। এসব কিছু স্বত্বেও আপনি উৎসাহ নিয়ে কাজটা করেছেন তা লেখাটা পড়তে গেলেই বোঝা যায়। এরকম আরও লেখা পাবো বলে আশা করছি। যাহোক আপনার আসল নামটা কি জানতে পারি...আপনার লিখা পড়লাম কিন্তু আপনার আসল নাম জানতে পারলাম না। এটা কিন্তু কেমন হয়ে গেলো। ভালো থাকবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ফিচার ধর্মী পোষ্ট লেখার চাইতে বেশী ঝামেলার হচ্ছে গুগল উইকি খুঁজে খুঁজে লিংক আর ছবি যুক্ত করা। আমি কিছুটা অলস প্রকৃতির, যার কারণে লেখালেখি খুব একটা হয়না আমাকে দিয়ে।


ভার্চুয়াল সবাই আর ভার্চুয়াল থেকে রিয়েল লাইফে পরবর্তীতে যাদের সাথে পরিচয় হয়তে তারা সবাই আমাকে কুনো, কুনো ভাই, কুনো দা এসব বলেই ডাকে। এ নামটাও আমার দেখি বেশ ভালোই লাগে। আর আমার আসল নাম হচ্ছে মামুন

শুভ কামনা

২৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

জুন বলেছেন: অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের পতাকায় দেখেছি তারা গুলো। ভাবতাম তাদের যেকটা দ্বীপ নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত সে কটা তারা রয়েছে। নক্ষত্র বা মহাকাশ নিয়ে পড়তে অনেক ভালোলাগে। আমাদের সময় তো নেট ছিলনা তাই এন্সাইক্লোপিডিয়াই ভরষা ছিল। সেই উপকথাতে Crux নক্ষত্র মন্ডলকে পাওয়া যায় জাহাজ বা নৌকার নোঙ্গর হিসেবে। হয়তো ছায়াপথের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থান এবং মাউরিরা দেখতো সমগ্র ছায়পথ তারকাপুঞ্জ ঘুর্ণয়নাম দোলরত আর সেখানে Crux নক্ষত্রমন্ডল সমস্ত ছায়াপথকে ধরে রেখেছে নোঙ্গরের মতো করে যার কারণ ছায়াপথ ছুটে বেড়িয়ে যেতে পারছেনা। আর তার থেকেই হয়তো তারা এটাকে মহাকাশের নোঙ্গর বলে ভেবেছে।
তুমিও তোমার প্রতিটি পোষ্টে নোঙ্গর দিয়ে মাউরীদের মত আমাদের আটকে রাখো :)
দারুন একটি বিষয় জানা হলো কুনো। অসাধারন পোষ্টে
+

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: খুব সম্ভব ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে দক্ষিণ মেরুর উপর একটা শোতে Crux আর Vela এর ব্যাপারে প্রথম জেনেছিলাম। তারপর Crux কনস্টেলেশনের কথা মনে থাকলেও ভুলে গিয়েছিলাম Vela এর নাম। তারপর এই কম্পিটারের কল্যাণেই Vela কনস্টেলেশনকে খুঁজে পাই। তখন মাইক্রোসফট এনকার্টা নামে একটি এনসাক্লোপিডিয়া বের করেছিলো। সেখানেই অনেকটা কাকতালীয় ভাবে Vela কে খুঁজে পাই। আর তারপর তো ইন্টারনেট মানেই তথ্যের মহাসমুদ্র। এত ছোট ছোট ছেলেপিলে এখন এত কিছু জানে, সেদিন দেখলাম কলেজ পড়ুয়া এক ছেলে ভিঞ্চিকে নিয়ে অসাধারণ এক পোষ্ট দিয়েছে। আর কলেজ পড়ার সময় ভিঞ্চির মোনালিসা ছাড়া আর কিই বা চিনতাম। ইন্টারনেট সত্যিই এক যাদু এক মিরাকল। নাসার সাম্প্রতিক খবরাখবর থেকে শুরু করে প্রাচীন মিশর, ব্যাবিলন বা মহাজাগতিক ঘটনাবলী কি নেই এখানে। শুধু ক্লিক এন্ড ব্রাউজ। একটা ইন্টারনেট সংযোগ মানে বিশালতর এক পাঠাগারের মালিক হওয়া।

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুনাপু :)

৩০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২

ধূর্ত উঁই বলেছেন: সুন্দর তথ্যবহুল উপভোগ্য পোস্ট প্রিয়তে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ ধূর্ত উঁই :)

৩১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪৬

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
এত কষ্ট :P এগুলো কি অ্যাস্ট্রনমি :-P

ইউরেকা নামেও কান্ট্রি আছে :||

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কবি বলেছেন কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে :!> উহু, এগুলো অ্যাস্ট্রনমি না এগুলো আসলে হিস্ট্রি B-) অ্যাস্ট্রনমি এখানে


নাহ মনেহয়। ছবিটা লাগানোর সময় ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করিনি। এখন উইকিতে দেখলাম। এ দেখি আরেক ইতিহাস :|| View this link

৩২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:০৭

অযুত বলেছেন: দুর্দান্ত হয়েছে।
++

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
দারুণ তথ্যবহুল পোষ্ট।
Crux আর Vela এর ব্যাপারে জানতে পারলাম।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস আরমান ভাই। মহাকাশের সাথে মানুষের সম্পর্কের ইতিহাস আসলেই অনেক মজার।

৩৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯

একজন আরমান বলেছেন:
আমি পিওর কমার্সের স্টুডেন্ট আর মেধাহীন বলে অনেক কিছুই জানি না, আর তাই অনেক কিছুই নতুন মনে হয়। পড়ার পর হা হয়ে থাকি !

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আকাশের তারা বা তারার ইতিহাস জানতে বিজ্ঞানের কোন সুত্র বা নিয়ম কানুন জানার প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র আগ্রহ থাকাই যথেষ্ট। তারায় তারায় রচিত মানব সভ্যতার ইতিহাস :)

৩৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

ড. জেকিল বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম, এরকম পোস্ট সত্যি সবসময় ভালো লাগে।

একসময় তারা চেনার খুব ইচ্ছা ছিলো। এস্ট্রোনমির উপরেও ঝোক ছিলো। হাতের কাছে তারা চেনার জন্য উপযোগী বইও ছিলো। কিন্তু নিজে নিজে চিনতে গিয়ে উতসাহ হারিয়ে ফেলি। মনে হয় বিষয়টা খুব কঠিন। এখনও এস্ট্রোনমি বিষয়টার উপরে আগ্রহ হারায়নি।

অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইন্টারনেটের কল্যাণে তারা চেনার ব্যাপারটা এখন কিন্তু বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে প্রচুর সাইট আছে প্রচুর ইমেজ ভিডিও থেকে শুরু করে গুগলের স্কাই ম্যাপ বা নাসার হাবল সাইট। তবে শহরে থেকে তারা চেনার ব্যাপারটা একটু মুশকিল আর তার সবচাইতে বড় কারণ শহরের আলো। একই সাথে কোন কোন শহরের দুষিত ধুলোভরা বাতাস তো রয়েছেই।


মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৩৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

সুখী চোর বলেছেন: আহ মামুন ভাই ....খত্তদিন ফরে আইলাম ..... আর আইয়াই আফনের পোষ্ট পইড়া ..... আনন্দিত হইলাম ।। :-B

রাজনৈতিক ভন্ডামী , ভেকধারী বুদ্ধিজীবি, দেশ নিয়ে তামশা করা দেশপ্রেমিক দের জ্ঞানের চোটে গর্ভধারন করা অতিমাত্রায় ইনরগানিক টক্সিন সমৃদ্ধ তৈল পূর্ণ ল্যাদানী পোষ্ট বড় বি্শ্রী লাগে ......

... ..... ... সব কিছুর মধ্যে আশার আলো আপনাদের মত কয়েকজনের ২/৪ টা পোষ্ট মাত্র .....

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আরে সাঈদ ভাই যে! আসলেই মেলাদিন পরে আইলেন।


পারিপার্শিক অস্থিরতা মানুষের চিন্তাশীলতা বাধাগ্রস্থ করে সহজেই। যেখানে একজন মানুষ দিন শেষে নতুন কিছু জানার আগ্রহে বসবে সেখানে দিন শেষে তার ভাবতে হয় কোনদিক দিয়ে ককটেল ছুটে আসছেনা তো। কাল অফিস থেকে কি বাড়ী ফিরতে পারব নাকি পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাব। আর সবচাইতে বিরক্তিকর হচ্ছে ভেকধারী বুদ্ধিজীবীদের ফালতু মিথ্যাচার। এতদিনে বুঝতে পারি যে টাকার বিনিময়ে যারা বুদ্ধি ফলাতো সক্রেটিস তাদের কেন এত ঘৃণা করতেন।

রিটার্নের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাঈদ ভাই। এখন থেকে মাঝে মাঝে দেখা পাবো নিশ্চই :)

৩৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

বেলা শেষে বলেছেন: আপনার উপর নজর রাখা হচ্ছে
উপর্যুপরি নিয়ম ভঙ্গ করায় আপনার উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং এর ফলশ্রুতিতে আপনার লেখা সরাসরি প্রথম পাতায় প্রকাশ হবে না। আপনার লেখা কেবল মাত্র আপনার নিজস্ব পাতায় প্রকাশিত হবে। তবে মডারেটর উপস্থিত থাকলে তার বিবেচনা সাপেক্ষে আপনার লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হতে পারে। দয়া করে ব্লগ সাইটের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলুন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নিয়মের আসলে মজাটাই তো নিয়ম ভাঙ্গাতে! ভেঙ্গে যান :D

৩৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ তথ্য বহুল
ভাললাগল
শুভ অভিনন্দন

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শুভ অভিনন্দন প্রিয় পরিবেশ বন্ধু

৩৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

ভুং ভাং বলেছেন: দারুণ পোস্ট ।জানা হলো অনেক নতুন জিনিস।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৪০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

আরজু পনি বলেছেন:

দারুণ পোস্ট !
নিজের শোকস সমৃদ্ধ করতে নিয়ে গেলাম ।।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস আপু অনেক অনেক :)

৪১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ব্লগে দেখি আপনার দুই বছর হয়ে গেল। দ্বিবর্ষপূর্তির অভিনন্দন :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দুই বছরের মধ্যে সাড়ে সাত মাস সময় লেগেছে জেনারেল হতেই :|


অভিনন্দনে অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে :)

৪২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:১৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:

অনেক কিছু জানলাম।


ধন্যবাদ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও :)

৪৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: লেখাটা আগেই পড়ে গিয়েছিলাম , বরাবরের মতই চমৎকার ফিচার ।

এমনিতেও এস্ট্রোনমির অনেক ইন্টারেস্টিং আর প্রিয় একটা বিষয় ।

৪৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: মেরিন েকাডেমীর নেভিগেশনের ছাত্ররা উপকৃত হবে পড়ে।

৪৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

বেলা শেষে বলেছেন: আরকিছু পারি আর না পারি আপনার Blogs গুলো মনদিয়ে পড়তে
পারবো ।
ভালো লেখার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। Picturings are also very beautiful...
অবশ্যই অনেক ভালো থাকবেন।
Up to next time.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.