নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একমাত্র বিরোধী পক্ষ!!

*কুনোব্যাঙ*

তফাত যাও সব ঝুঁট হ্যাঁয়!

*কুনোব্যাঙ* › বিস্তারিত পোস্টঃ

কন্যা, জায়া, জননী...

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩১







ব্যক্তিগত ভাবে নিজেকে আমি বেশ খানিকটা সহ্যশক্তি ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষই ভাবি। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে যখন অসুখ বিসুখে পড়ে যাই। বিশেষ করে জ্বর হলে রীতিমতো অসহায় বোধ করেই ক্ষান্ত হইনা মাকে নিজের কাছ থেকে এতটুকু সরতে দিতে চাইনা। এমনকি কিচেনে গেলেও ডাকাডাকি করি। যতদিন শরীর খারাপ থাকে ততদিন মা আমার সাথেই থাকে আমার সাথেই ঘুমায়। কতটুকু ঘুমায় জানিনা তবে কিছুক্ষণ পরপর আমার গালে কপালে হাত রেখে উত্তাপ দেখা বা কপালে জলের পট্টি লাগিয়ে দেয়াটা প্রায়শই টের পাই। আরেকজন খুবই ছোট্ট মানুষ আছে শুধু শরীর খারাপ না আমার মন খারাপটাও কিভাবে যেনো টের পেয়ে যায়, আর শরীর মন যেটাই খারাপ থাকুক তার সারাক্ষণের কাজ হচ্ছে আমার আশেপাশে ঘুরঘুর করা। কি লাগবে, চা খাবো কিনা, বেশী খারাপ লাগছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন। মনে পড়ে খুব ছোট আমি একদিন দেখি বাড়ীর সকলের পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম। কিছু একটা ঘটেছে বা ঘটবে এটা টের পাচ্ছিলাম কিন্তু কেন সবাই একটু ভিন্ন আচরণ করছে সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। বিকেলের দিকে মা আমার মাথার চুল আঁচড়িয়ে দিলো আর আমি দৌড়িয়ে খেলতে চলে গেলাম। সন্ধ্যায় এসে মাকে পাচ্ছিনা। মা কই গেলো এটা আমার দুঃশ্চিন্তা কিন্তু যাকে জিজ্ঞাসা করি সেই বলে আসবে। আমি রীতিমতো বিভ্রান্ত। এভাবেই সেই রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কে জানি আমাকে বললো যে আম্মুর সাথে ছোট্ট এক বাবু এসেছে আমি যাতে দেখে আসি। কিছুটা অবাক আর বেশ খানিকটা কৌতুহলী হয়ে আমি গেলাম মা আর সেই নতুন বাবুকে দেখতে। গিয়ে দেখি মা পাশ ফিরে ঘুমুচ্ছে বা রেস্ট নিচ্ছে আর খুবই ছোট্ট এক পিচ্চি পাশে শুয়ে আছে আর আমি যাওয়া মাত্র আমাকে দেখে পিটপিট করে তাকাচ্ছে। আমিও অদ্ভুত এক পিচ্চিকে দেখছি। হঠাৎ মনে হলো পিচ্চিকে প্রথম দেখলাম কিছু তো দিতে হবে। পকেটে ছিলো ২টা ক্যান্ডি লজেন্স, কিন্তু এত ছোট ছোট হাত খাবে কি করে! বুদ্ধি করে ক্যান্ডিটা ওর ঠোঁটের কাছে ধরলাম, দেখলাম চুকচুক করে খাচ্ছে। হঠাৎ মা পাশ ফিরে দেখে আমি সেই পিচ্চি বাবুকে কি জানি খাওয়াচ্ছি। মা বলে উঠলো, এই করিস কি করিস কি। ওর মুখ থেকে এটা সরিয়ে ফেল। ক্যান্ডিটা আমি সরিয়ে নিলাম। মা'কে জিজ্ঞাসা করলা বাবুটা কে, মা বললো, নিয়ে এসেছে ওকে আমাদের সাথে নাকি থাকবে। ব্যাপারটা আমি গুরুত্ব দিলামনা কারণ ছোটখাটো মিথ্যা মা আমাকে প্রায়ই বলে যেটা পরে আর হয়না এটা আমি জানি।



কি জানি কি ভেবে ২৫ বছর আগের স্মৃতিচারণ করলাম। সেই পিচ্চি আজ মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করে মানসিক সমস্যা বিশেষজ্ঞ হয়েছে। এখন মন খারাপ থাকলে বা কোন কারণ বিষন্ন থাকলে সেখানে নানা ধরনের সিনড্রোম খোঁজার চেষ্টা করে, বলি তোমার সাইকোলজি পড়া তো খুবই ভুল হয়েছে, সিনড্রোমের বেড়াজালে আটকে গেছে সব। তবুও এখনও মন বা শরীর খারাপ থাকলে সেই ছোট্ট আপুটি এখনও সেই আগের মতোই আমার চারিপাশে ঘুরঘুর করে জিজ্ঞাসা করে বেড়ায় কি লাগবে। অনেক চা খাই কিন্তু সেরা স্বাদের পারফেক্ট চা আমার জন্য এখন পর্যন্ত একমাত্র আমার এই ছোট্ট আপুটিই বানাতে পারে। আমার গায়ের ফতুয়া এখন পর্যন্ত কোনটা আমি নিজে কিনিনি। কোনটা আমার লাগবে আর কোনটা আমার পছন্দ সেটা আপুই ভালো জানে। আর একই সাথে অর্থনৈতিক দৈন্যতায় যখন ঘরের বাইরে বের হওয়া বন্ধ হওয়ার জোগাড় হয় তখন বোন মানেই ভাইয়ের জন্য ঋণ পরিষোধের ঝামেলা মুক্ত রিজার্ভ ব্যাংক। আর ২৫ বছর পড়ে আমার মা'র মাথার চুলে পাক ধরেছে, গায়ের চামড়াও অনেকটা ঢিলে গেছে। হাই ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত মা এখনও সেই চুলো জ্বেলে ঘর পরিষ্কার করে আজো আমাদের পুষ্টি পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে যাচ্ছে, অসুখ হলে এখনও নিজের অসুস্থ শরীর নিয়ে দিন রাত সারাক্ষণ কাছে থেকে যাচ্ছে সেবা পথ্য সব যাতে ঠিকমতো হয়।



নিজের ভাগ্যকে সবসময় ধন্যবাদ দেই এই অপরিসীম প্রাপ্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত না করায়। যত অভিযোগ অত্যাচার সে তো মা'র উপরই। যত ঝগড়া বা দুষ্টুটি সব তো বোনের সাথেই। পৃথিবীর সবাই ছেড়ে গেলেও আমার জীবনের এই দুই নারী কোনদিন আমাকে ছেড়ে যাবেনা। স্রষ্টা আছে কি নেই জানিনা কিন্তু মা'র বাৎসল্য বা বোনের সখ্যতা এর জন্ম কোথায় বা কত বড় স্থান হলে এত বড় স্নেহ ভালোবাসার জন্ম হতে পারে সেটা ভেবে অনেক সময়ই হয়রান হই অযথা।



মনে পড়ে ক্যাম্পাসের সেই বান্ধবীদের কথা যাদের সাথে সাথে কিছুক্ষণ ঘুরে আগ বাড়িয়ে আইসক্রিম খাওয়াতে চাইলেই বুঝে যেতো আমার টাকা দরকার। বলে উঠতো আমার আগের পাওনা শোধ কর আগে তারপর আবার টাকা। বলতাম, আগেরটা শোধ করার মতো টাকা থাকলে কি আবার টাকা চাই। রাগ দেখাতো হাউকাউ করতো আবার পড়ে খুঁজে পেতে ঠিকই দিয়ে যেতো। নারী সত্ত্বা বলে কথা! মনে পড়ে বিদেশ বিভূঁইয়ের সেই তামিল বান্ধবীটির কথা। বিদেশের মাটিতে নিজে কখনও কলম কিনেছি মনে পড়েনা। অথবা সেই কোরিয়ান বান্ধবীটি যার হাতে এত এত বিভিন্ন নাম না জানা কোরিয়ান রান্না খেয়েছি যে এখনও বলি কোরিয়ান ফুড ভেরি গুড। আর সেই সহজ সরল তুর্কি বান্ধবী যার বানানো কেকের প্রশংসা একবার করলে পরবর্তী তিন মাস ফ্রি ফ্রি কেকের সাপ্লাই নিশ্চিত। নারী মমতাময়ী!



মনে পড়ে সেই অপার্থিব সুন্দরের কথা। যে সুন্দরের সামনে দাঁড়ালে দুলে উঠতো পুরো পৃথিবী, মিলিয়ে যেতো পৃথিবীর আর সব রঙ। তীব্র কন্টকরাশি উপেক্ষা করে একদিন যার জন্য তুলে এনেছিলাম একটি বুনো ক্যাকটাস। যার জন্য অভিমানে কেঁদেছি হয়তো কাঁদিয়েছি কতবার। এক পলক বেশী দেখার জন্য নানা অযুহাতে একদা যার জন্য মিথ্যে ছল করে তার চলার পথের পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছি। নারী, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের সুন্দরতম অবয়ব।



জানি আমার মতো আর সকলের গল্পগুলোও একই। নারী কারো মমতাময়ী মা, কারো রাজকুমারী বেশে কন্যা, কারো বড় আদরের বোন, কারো প্রিয় সহপাঠিনী কিংবা কারো দেবীসম প্রিয়তমা। নারীতেই সমর্পন, নারীই পৃথিবীর প্রবেশদ্বার, নারীই বেঁচে থাকার প্রথম খাদ্য জোগানদাত্রী, নারীই অবলম্বন, জীবনের সব আয়োজন শেষে নারীতেই আত্নসমর্পন জীবনভর।



পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।



মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৩৬

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সেটাই :)

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৫

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ব্লগে তো দেখি শুধু নারীবিরোধী পোষ্ট। কয়েকজন এসে নিজেদের স্ত্রীদের খারাপ বলে ব্লগে!

নারীদের শ্রদ্ধা কি শুধু নারী দিবসে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হয়তো তাই! ব্যক্তিগত অভিযোগ যদি কেউ করে থাকে তাহলে সেটা সামগ্রিক ভাবে নেয়ার অবকাশ নেই, যদিও একান্ত দাম্পত্য ব্যাপার ব্লগ প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ না করাই ভালো। আবার নারীবাদী বিরোধী আর নারীবাদী বিরোধী এই দুটোর মধ্যেও মনেহয় কিছুটা পার্থক্য আছে। এগুলোর বাইরে এসে যদি সামগ্রিক ভাবে নারীদের অবমাননা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক যেটা আমরা কখনও চাইনা। শুধু নারী কেন নারী-পুরুষ কারো অবমাননাই কাম্য নয়।


কেমন আছেন? সাইকোলজি কেমন লাগছে? কি কি পড়ছেন এখন? :)

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লাগল পোষ্টটা।

নারী কারো মমতাময়ী মা, কারো রাজকুমারী বেশে কন্যা, কারো বড় আদরের বোন, কারো প্রিয় সহপাঠিনী কিংবা কারো দেবীসম প্রিয়তমা। নারীতেই সমর্পন, নারীই পৃথিবীর প্রবেশদ্বার, নারীই বেঁচে থাকার প্রথম খাদ্য জোগানদাত্রী, নারীই অবলম্বন, জীবনের সব আয়োজন শেষে নারীতেই আত্নসমর্পন জীবনভর।

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক ভাই।


পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভাই-বোনের এই মধুর সম্পর্ক চিরদিনের জন্য নয়।। বিয়ের পরই তা ভাগাভাগি হয়ে যাবে ।।আমি দুঃখিত এই অযাচিত মন্তব্যের জন্য।কিন্তু ব্লগে যখন দিয়েছেন তখন কিছু বলার অধিকার পাঠকদের থাকবেই।।সেই অধিকারেই এই মন্তব্য।।অনধিকারচর্চা হলে ক্ষমাপ্রার্থী।।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আসলে বংশগতি রক্ষা করা কি মানুষ কি অন্যান্য জীব জগত সকলের একটি সহজাত প্রবণতা। সময়ের সাথে সাথে পরবর্তী প্রজন্ম বা তার সব সুখ দুঃখের ভাবনাই এক সময় সকলের কাছেই মুখ্য হয়ে যায়। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই নতুন প্রজন্ম যখন আসে বা আসার প্রস্তুতি শুরু হয় তখন পুর্বের অনেক কিছুর সাথে দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়। যে কারণে হয়তো আগের মতো মধুর সম্পর্কটাতেও কিছুটা ভাটা চলে আসে।

আর অবশ্যই অযাচিত মন্তব্য নয়। সবার সম্মিলিত মতামত ভাবনা চিন্তা যুক্তি বাস্তবতা মিলিয়ে আমরা একটি সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে চাই।

অনেক শুভ কামনা :)

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: নারীদের মূল্য যেন শুধু একদিনেই সীমাবদ্ধ না থাকে। এখন তো সব দিবস কেন্দ্রিক- মাবাবা থেকে শুরু করে প্রিয় মানুষটির জন্যও একটা আলাদা দিবস। কিন্তু আসলে যদি এই দিবসগুলোর উদ্দেশ্য কাজ করত, তাহলে খোদ দিন গুলোরই আলাদা কোন দরকার হত না।
পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

নারী পুরুষ হোক একসাথে এগিয়ে চলায় সহযোগী, নয় প্রতিযোগী।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কিন্তু আসলে যদি এই দিবসগুলোর উদ্দেশ্য কাজ করত, তাহলে খোদ দিন গুলোরই আলাদা কোন দরকার হত না।


সম্পুর্ণ সহমত। আশাকরি একদিন এইসব দিবসের অবলুপ্তি ঘটবে তার উদ্দেশ্য সফল করে।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৭:৫৩

মামুন রশিদ বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।


অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই :)

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:১০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
শ্রদ্ধা

০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

দোজা বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা ।

বেশ সুন্দর ও আন্তরিক মনে হয়েছে প্রকাশটা ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ব্যক্তিগত ঘটনাবলী বলেই হয়তো আন্তরিকতার প্রকাশটা বোঝা যাচ্ছে।


মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা :)

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা। দুনিয়ার সব নারীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি দুনিয়াতে এদেশেই সবচাইতে বেশী নারী নেত্রী বা উঁচু পদে নারীরা সমাসীন হলেও এদেশে নারীরা ভয়ানক ভাবে নিগৃহিতা নির্যাতিতা। সব শ্শ্বাশুরী ভুলে যায় সেও একদিন বউ ছিল।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বিদেশ থাকতে তো আমার বন্ধুদের প্রায়ই মজা করে বলতাম, আমাদের প্রাইম মিনিস্টার, অপজিশন লিডার, হোম মিনিস্টার, ফরেন মিনিষ্টার সহ বড় বড় পদে সব মেয়ে। ওরাও মজা করে বলতো, তাহলে দেশে তোমাদের ছেলেদের কাজ কি। বলতাম, আরাম করে ঘুমানো আড্ডা দেয়া আর ঘুরে বেড়ানো :P

শুধু উঁচু পদে নয়, শিক্ষা, উচ্চ শিক্ষা, চাকুরী, প্রশাসন সর্বক্ষেত্রে এদেশে নারীদের সফল উপস্থিতি অনেক অনেক অর্থশালী দেশেও দুর্লভ। আবার নারী নির্যাতনের হারও নেহায়েত কম নয়।

অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ওয়াও লগিন করেই এতো সুন্দর একটা পোষ্ট পড়লাম।

:) :)

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কু রহস্যময়ী :)


১১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

রুপ।ই বলেছেন: নারী হিসেবে গর্বিত , লেখাটা ভালো।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো থাকুন অনেক অনেক :)

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১৫

সুমন কর বলেছেন: ভাল লাগল।

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন'দা। আপনার ফেবু আইডিটা এখনও পেলামনা। নিচের লিংকটা আমার ফেবু আইডি।

https://www.facebook.com/almamun108blog

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

রাতুলবিডি৪ বলেছেন: ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা। দুনিয়ার সব নারীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি দুনিয়াতে এদেশেই সবচাইতে বেশী নারী নেত্রী বা উঁচু পদে নারীরা সমাসীন হলেও এদেশে নারীরা ভয়ানক ভাবে নিগৃহিতা নির্যাতিতা। সব শ্শ্বাশুরী ভুলে যায় সেও একদিন বউ ছিল।


নারী দিবস, কর্পোরেট নারী আর আমাদের সমাজ জীবনের বাস্তবতা নিয়ে আমার একটা পোষ্ট : Click This Link


আর দোজা বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা ।
বেশ সুন্দর ও আন্তরিক মনে হয়েছে প্রকাশটা ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনার পোষ্টটা পড়ে আসলাম। কর্পোরেট বান্ধব যে ফেমিনিজম সেই ফেমিনিজমের উপর আপনি বেশ বিরক্ত বোঝাই যাচ্ছে।


১৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

আমি ইহতিব বলেছেন: পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

পোস্টে ভালো লাগা ও +

আমার বিষয়ও মনোবিজ্ঞান ছিলো। আপনার আপু কোথায় পড়েছেন ও বর্তমানে কোথায় আছেন? মনোবিজ্ঞানের কারো কথা শুনলেই খুব আপন মনে হয় তাই জানতে চাইছি, কিছু মনে করবেননা দয়া করে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো লাগায় অনেক কৃতজ্ঞতা :)

আপুও ঢাবিতে পড়েছে, আপনার কয়েক ব্যাচ জুনিয়র হতে পারে তবে খুব বেশী হবেনা মনেহয়। আর এখনও আমার সাথেই আছে।

১৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন:

নারী কারো মমতাময়ী মা, কারো রাজকুমারী বেশে কন্যা, কারো বড় আদরের বোন, কারো প্রিয় সহপাঠিনী কিংবা কারো দেবীসম প্রিয়তমা। নারীতেই সমর্পন, নারীই পৃথিবীর প্রবেশদ্বার, নারীই বেঁচে থাকার প্রথম খাদ্য জোগানদাত্রী, নারীই অবলম্বন, জীবনের সব আয়োজন শেষে নারীতেই আত্নসমর্পন জীবনভর।

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।
নারী সম্মানিত হোক প্রতিটি দিবসের প্রতিটি ক্ষণে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নারী সম্মানিত হোক প্রতিটি দিবসের প্রতিটি ক্ষণে।


অনেক ধন্যবাদ :)

১৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

না পারভীন বলেছেন: নারী কারো মমতাময়ী মা, কারো রাজকুমারী বেশে কন্যা, কারো বড় আদরের বোন, কারো প্রিয় সহপাঠিনী কিংবা কারো দেবীসম প্রিয়তমা। নারীতেই সমর্পন, নারীই পৃথিবীর প্রবেশদ্বার, নারীই বেঁচে থাকার প্রথম খাদ্য জোগানদাত্রী, নারীই অবলম্বন, জীবনের সব আয়োজন শেষে নারীতেই আত্নসমর্পন জীবনভর



অসাধারণ লেখনী । খুব ভাল লাগলো পড়ে ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু :)

১৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনি লিখেছেন -

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

আমার অনুভূতি - "কৃতজ্ঞতা" সেই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর যিনি এই বৈচিত্র্যপূর্ণ অদ্ভূত সুন্দর শরীর ও হৃদয় জুড়ানো মানব প্রজাতি "ফিমেল হিউম্যান" আমাদের উপহার দিয়েছেন।

অপত্য স্নেহ একটি অবস্তুগত প্রপঞ্চ। এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে কি?

আর ঐ জিনিষ মানবেতর প্রাণীতে দেখা যায় কি? আমৃত্যু?

মুরগী তার বাচ্চাদের কীভাবে রক্ষা করে দেখেছেন? কিংবা সেরেঙ্গেটির প্রিডেটর আর প্রের সেই ভয়ংকর সুন্দর জীবন মৃত্যুর খেলা? সেখানে মা'র ভূমিকা দেখেছেন?




পোষ্টে প্লাস। :)

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বৈজ্ঞানীক ব্যাক্ষা চাইলে হয়তো হরমোন রিলেটেড কোন ব্যাক্ষা কেউ দিলেও দিতে পারেন। কিন্তু উদার বিশালতম ভালোবাসা স্নেহকে বিজ্ঞান ভিত্তিক সংকীর্ণতায় আবদ্ধ করতে চাইনা।


প্লাসের জন্য ধন্যবাদ :)

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইসলাম মাতা-পিতাকে অনেক সম্মানিত করেছেন। বিশেষ করে মা'কে।

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
বর্তমান নারী দিবস হচ্ছে "দাজ্জাল প্রবর্তিত"। হাদীছে আছে - শেষ জামানায় দাজ্জালের অধিকাংশ অনুাসারী হবে "নারী"। এখন তা-ই চলছে। এবং প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন হবে জাহান্নামী। তা' বর্তমান সময়ের চিত্র।

বর্তমান নারী দিবস "স্যাটানিক"। বিধ্বংসী নারীবাদের সুশীল রূপ।
বর্তমান নারীদিবস নিচের ছবি কিছুটা প্রতিনিধিত্ব করে। থিংক এগেইন। ধন্যবাদ।

----------------------------------------------------




Morpheus: The Matrix is a system, Neo. That system is our enemy. But when you're inside, you look around and what do you see? Businessmen, Teachers, Lawyers, Carpenters...the very minds of the people we're trying to save. But until we do, these people are still a part of that system, and that makes them our enemy. You have to understand, most of these people are not ready to be unplugged. And many of them are so innerred, so hopelessly dependent on the system that they will that they will fight to protect it. Are you listening to me, Neo? Or were you looking at the woman in the red dress?

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:১৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দাজ্জাল বিষয়ে আমার ধারনা কম। আপনার কিছু পোষ্ট আর আপনার দেয়া লিংক ধরে জেরুজালেমের উপর "ইমরান হোসেন" এর একটি লেখার পিডিফ ভার্সন আর বায়োজিদ খান পন্নীর দাজ্জাল নামে একটি বইয়ের কিছু অংশ পড়েছিলাম তাও খুব বেশি না।

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর স্মৃতিচারণ। স্মৃতি ঘাটলে অনেক মূল্যবান কিছু বের হয়ে আসে।

সকল নারীর প্রতি শ্রদ্ধা...

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মাঝে মাঝে স্মৃতিচারণ করতে ভালোই লাগে। প্রাপ্তির খাতাটা মাঝে মাঝে ঘেঁটে দেখলে মনেহয় জীবনটা আসলেই সুন্দর।


অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই :)

২১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

এহসান সাবির বলেছেন: স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে......!!

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।


নারীতেই সমর্পন, নারীই পৃথিবীর প্রবেশদ্বার, নারীই বেঁচে থাকার প্রথম খাদ্য জোগানদাত্রী, নারীই অবলম্বন, জীবনের সব আয়োজন শেষে নারীতেই আত্নসমর্পন জীবনভর।


পোস্টে ভালোলাগা......!

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই।



পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা। সাথে আমার মা, বোন আর বউয়ের প্রতি শ্রদ্ধা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আন্টি, আপু আর ভাবীকে আমার সালাম জানাবেন।


শুভ কামনা সবার জন্য

২৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৪

শুঁটকি মাছ বলেছেন: মনে পড়ে সেই অপার্থিব সুন্দরের কথা। যে সুন্দরের সামনে দাঁড়ালে দুলে উঠতো পুরো পৃথিবী, মিলিয়ে যেতো পৃথিবীর আর সব রঙ। তীব্র কন্টকরাশি উপেক্ষা করে একদিন যার জন্য তুলে এনেছিলাম একটি বুনো ক্যাকটাস। যার জন্য অভিমানে কেঁদেছি হয়তো কাঁদিয়েছি কতবার। এক পলক বেশী দেখার জন্য নানা অযুহাতে একদা যার জন্য মিথ্যে ছল করে তার চলার পথের পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছি। নারী, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের সুন্দরতম অবয়ব।

অস্বাধারণ হইছে !!!!!!!!!!!!!!!!
চাপাবাজি বা তেলবাজি না। আসলেই অসাধারণ হইছে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দুনিয়ার সব ছেলেদের গল্পের মূল সুরটাই মনেহয় এমন।



প্রশংসার জন্য চাপাবাজি বা তেলবাজি মুক্ত আন্তরিক ধন্যবাদ শুঁটকিকে।

২৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৮

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটা । এত চমৎকার লিখেছেন যে মন খারাপ হয়ে গেল , আমার ভাই নেই বলে ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বেশ অনেকদিন আগে সেকেন্ড কি থার্ড ইয়ারে পড়ি আমার এক বন্ধু (ব্লগার মশিউর মামা) কোন এক কথার প্রেক্ষিতে উদাস হয়ে বলেছিলো,

"জানিস একটা অপ্রাপ্তি একটা আফসোস আমার সারা জীবন থাকবে এবং এটা কোনদিন পূরণ হবেনা আর তা হচ্ছে আমার বোন নাই। বোন কি জিনিষ সেটা সেটার পুরো ফিলিংসটাও কোনদিন পাবোনা।"

অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায় কিন্তু সেদিন ওর বলা কথা আর উদাস দুঃখিত মুখটা আমার আজো স্পষ্ট মনে আছে।

অনেক শুভ কামনা রইলো

২৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫০

দি সুফি বলেছেন: ভালো লাগলো ++

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দি সুফি

২৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:০৬

সায়েদা সোহেলী বলেছেন: মন বিশেষজ্ঞ ছোট্ট আপু টাকে খুব হিংসে হচ্ছে কুনো , লেখার মায়ায় জড়িয়ে গেলাম ভাইয়া ।
আপনার মা যে রত্নগর্ভা । প্রত্যেক মা ই জীবনের সর্বস্ব দিয়ে সন্তান লালনপালন করেন কিন্তু খুব কম সন্তান তা অনুধাবন করে মূল্য দিতে জানে ।

এমন মায়াময় লেখায় একগুচ্ছ প্লাস দিতেই হয়! !

তবে যে উপলক্ষে এই লেখা "নারী দিবস " এই বিষয় আমার কিছু কথা আছে , এককথায় বলতে হলে আমি এই দিবস গুলো কে কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারিনা । মনে হয় "নারী দিবস" উচ্চারণ এর মাঝেই রয়েছে নারীর প্রতি সবচাইতে অমর্যাদা করা । নারী পুরুষ উভয় কেই আল্লাহ্ তালামর্যাদাপূর্ণ করেই সৃষ্টি করেছেন তবে ঠিক সমান সমান নয় , পার্থক্য রয়েছে এটা মান্তেই হবে । আমারা যদি প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে মুল্যায়ন করি , সন্মান দেই তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছা প্রয়োজনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে সেইটা ই কি যথেষ্ট নয়! ! বা এভাবে বলা যায় আমরা সবাই মানুষ নারী পুরুষ নির্বিশেষে , আসুন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি ,সবার অধিকার রক্ষা করি । আমাদের সমাজে পুরুষ রাও কিন্তু নানা ভাবে নির্জাতন হয় , যদিও জনস্মুখে তা বলতে হয়তো চাইবেনা কেউ , কিন্তু নারীদের কে নানা অজুহাতে দোষী সাব্যস্ত করতে কিন্তু তারাই সদাততপর. আলাদাভাবে নারী দিবস পালন করে নারী র অধিকার কি প্রতিস্ঠা করা আদৌ সম্ভব কি! ! আমার কাছে নেহাত বাড়তি কিছু অপমান ই মনে হয়! ! হয়তো আমার ভাবনায় ভুল থাকতে পারে ,সবাই যেভাবে চিল্লাপাল্লা করছে এটাই ঠিক , সন্মানের! ! :|

০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সহমত আপু। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও নারী দিবসের পক্ষপাতী নই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে এনজিও বা ডেভলোপমেন্ট সেক্টরে "নারী উন্নয়ন" একটি জনপ্রিয় বিষয়। আমার ধারণা এই "নারী উন্নয়ন" ব্যাপারটা সাথে "নারী দিবস" এর ব্যাপারটা অনেকাংশে জড়িত। যেহেতু বিশেষ দিন পালন সেই ব্যাপারটাকে উৎসাহিত করে সেহেতু এই দিবসের অবতারণা। মানে এই দিবসটার মধ্যে কেমন জানি একটা এনজিও এনজিও গন্ধ আসে আমার নাকে।



২৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
১৭ নং মন্তব্যে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম -

মাতৃস্নেহ বা অপত্য স্নেহ অবস্তুগত জিনিষ।

প্রানীকূলে জন্মের পর, মানবেতর প্রানীতে অল্পকিছুদিন, আর মানবের মাঝে আমৃত্যু, এই অবস্তুগত স্নেহ ভালবাসার গুণ বজায় থাকে। তা' না থাকলে প্রাণীকূল ঠিকে থাকতো না।

ঐ মন্তব্যে আমি ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলাম -

আল্লাহ তায়ালাই সৃষ্টির সময় এই অবস্তুগত চেতনাটি প্রানীর স্বভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

ধন্যবাদ। :)



অ.ট.

বৃটেনে প্রতিবছর ৭২০০০ পুরুষ নারী কর্তৃক নির্যাতিত হয়। অন্যান্য দেশের পরিসংখ্যান জানা নেই। কিন্তু কমবেশী বেশী সব দেশেই এটি আছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৮

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।


আর পশ্চিমের দেশগুলোকে আমরা যেভাবে উন্নত দেশ বলি সেটা বোধহয় শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে। অন্যান্য সব বিষয় বিবেচনা করলে এশিয়া আর পশ্চিমের মধ্যে বিস্তর ফারাক হয়তো পাওয়া যাবেনা। বরং তুলনামূলক ঐতিহ্য বিবেচনা করলে পশ্চিমের ঐতিহ্য মাত্র কয়েক শত বছরের কিন্তু এশিয়ার ঐতিহ্য কয়েক হাজার বছরের।

২৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৪

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন:
পোস্টটি যে কতো সুন্দর হয়েছে বুঝানোর ভাষা নেই । আবেগের কি অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ।


মনে পড়ে সেই অপার্থিব সুন্দরের কথা। যে সুন্দরের সামনে দাঁড়ালে দুলে উঠতো পুরো পৃথিবী, মিলিয়ে যেতো পৃথিবীর আর সব রঙ। তীব্র কন্টকরাশি উপেক্ষা করে একদিন যার জন্য তুলে এনেছিলাম একটি বুনো ক্যাকটাস। যার জন্য অভিমানে কেঁদেছি হয়তো কাঁদিয়েছি কতবার। এক পলক বেশী দেখার জন্য নানা অজুহাতে একদা যার জন্য মিথ্যে ছল করে তার চলার পথের পাশে দাঁড়িয়ে থেকেছি। নারী, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের সুন্দরতম অবয়ব।

জাস্ট ওয়াও !!

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:২৩

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কোথায় যেনো পড়েছিলাম বা কারো থেকে শুনেছিলাম, লিখতে হলে নাকি এমন ভাবে লিখতে হয় যেখানে আবেগ আনতে হবে বা যেখানে রাগ দেখাতে হবে সেখানে এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে যে পড়বে সে নিজে যাতে আবেগ বা রাগ বা অন্যকিছু অনুভব করার মতো সময় পায়। কথাটি মনে রয়ে গেছে। চেষ্টা করি সেভাবে কিন্তু খুব একটা হয়না।

২৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২৪

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন,কণ্যা-জায়া-জননী যে পরিচয়েই আমরা নারী কে দেখিনা কেন,তারা অনন্যা সব পরিচয়েই। ভালোবাসা আর মায়া তাদের দ্বারাই পূর্ণ।

১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তারা অনন্যা সব পরিচয়েই।


ধন্যবাদ শুকনোপাতা০০৭ :)

৩০| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

জুন বলেছেন: অসাধারন সুন্দর লেখা কুনো নারীদের অর্থাৎ কন্যা জায়া জননীদের নিয়ে বিশ্লেষন ভালোলাগলো । ভালোলাগলো তাদের সাথে তোমার যাপিত জীবনের গল্প।
+
তবে আমিও এক্ষেত্রে সায়েদা সোহেলীর সাথে একমত প্রকাশ করছি ।
আমারা যদি প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসেবে মুল্যায়ন করি , সন্মান দেই তাদের ইচ্ছে অনিচ্ছা প্রয়োজনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখে সেইটা ই কি যথেষ্ট নয়! ! বা এভাবে বলা যায় আমরা সবাই মানুষ নারী পুরুষ নির্বিশেষে , আসুন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি ,সবার অধিকার রক্ষা করি । আমাদের সমাজে পুরুষ রাও কিন্তু নানা ভাবে নির্জাতন হয় , যদিও জনস্মুখে তা বলতে হয়তো চাইবেনা কেউ , কিন্তু নারীদের কে নানা অজুহাতে দোষী সাব্যস্ত করতে কিন্তু তারাই সদাততপর. আলাদাভাবে নারী দিবস পালন করে নারী র অধিকার কি প্রতিস্ঠা করা আদৌ সম্ভব কি!

১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও নারী দিবসের পক্ষপাতী নই আপু। সোহেলী আপুর প্রত্যুত্তরে কিছুটা বলেছিলো। কিন্তু ছেলে হয়ে সে কথাটা জোর দিয়ে বলতেও পারিনা। হার্ডকোর নারীবাদীদের আমি রীতিমতো ভয় পাই, কি বলতে কি বলে ফেলি তখন দেখা যাবে তেড়ে ফুঁড়ে আসছে। বিশেষ করে "নারী উন্নয়ন" ব্যাপারটির মধ্যে অনেকের যেখানে রুজি রুটির দিকও আছে।

আমরা সবাই মানুষ নারী পুরুষ নির্বিশেষে , আসুন একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি ,সবার অধিকার রক্ষা করি।

অনেক ধন্যবাদ আপু।

৩১| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০০

খাটাস বলেছেন: অসাধারন লাগল পোস্ট টা। সবার গল্প আর অনুভুতি গুলো অনেকটাই এক। স্বাভাবিকতা পৃথিবীতে কখন ও ছিল কিনা জানি না, নারী পুরুষের স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক- এই কামনা। শুভ কামনা প্রিয় কুনোব্যাঙ ভাই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সকলের আন্তরিকতা এবং সহমর্মিতার মাধ্যমেই একদিন স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে আশাকরি।


তোমাকেও ধন্যবাদ খাটাস।

৩২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৭

নিশাত তাসনিম বলেছেন: আশরাফ মাহমুদ মুন্না ভাই এর কমেন্ট গুলো পড়ে ও আপনার দেওয়া উত্তর পড়ে মজা পাইলাম । :P

পোস্টে ভালোলাগ ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হাহাহাহা, কেন তাসনিম ভাই

৩৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:১৫

অন্তরন্তর বলেছেন:

খুব সুন্দর একটা লিখা। নারী তথা পৃথিবীর সকল
মানুষকে শ্রদ্ধা। আপনি কি বাংলাদেশে চলে এসেছেন?
শুভ কামনা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৫৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জ্বী, এখন দেশে আছি।


আপনাকেও শুভ কামনা।

৩৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:১৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া স্মৃতিচারণের মাধ্যমে নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। লেখাটাতে চোখে জল আসার মতো কিছু আছে কিনা জানি না। হয়তো নিজের জীবনের সাথে আপনার জীবন কাহিনীর কিছু মিল খুঁজে পেয়েছি, যা থেকে এখন আমি বঞ্চিত প্রবাস জীবনের কারণে। আর তাই হয়তো অযথাই চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো। সুন্দরতম লেখার মাধ্যমে নারী জাতিকে মূল্যায়ন করার জন্য এবং তাদের সম্মান জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ*।
পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নিজের রক্ত নিজের মাটির থেকে দূরে থাকার মানবিক যন্ত্রণা অনেক।


ভালো থাকুন বিদ্রোহী বাঙালী। বঞ্চনার অবসান ঘটুক।

৩৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

একলা ফড়িং বলেছেন: সত্যি বলতে ফেসবুকে, ব্লগে সবজায়গায় এতোসব নারী বিরোধী স্ট্যাটাস আর পোস্ট দেখতে হয় সবসময় যে মাঝে মাঝে ভাষা হারিয়ে ফেলি। যদিও নিজেদের সম্মানের জায়গাটুকু হারানোর জন্য কিছু মেয়েরাই দায়ী, তাই বলে সবাইকে তো এক পাল্লায় মাপা ঠিক না!


আপনার লেখার মধ্যের আন্তরিকতাটুকু সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমাদের সকলকে এটাও বুঝতে হবে যে সম্মানের আশায় শুধু পর মুখাপেক্ষী হওয়াটা অনর্থক। নিজের সম্মানের ক্ষেত্রটা নিজেই তৈরী করে নিতে হবে সবার আগে। আর ভালো মন্দ মিলিয়েই তো মানুষ। সবাইকে এক পাল্লায় মাপাটা বোধহয় নিজের জন্যই বেশী ক্ষতিকর।


অন্তরিক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ একলা ফড়িং

৩৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৩১

জান্নাত রেহান নিশা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে :)

১৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৩৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার মাকে আমার সহস্র সালাম জানাবেন।আন্টির আরও শারীরিক সুস্থতা কামনা করছি। ঐদিন এতো কাছে এসেও আন্টিকে দেখে যেতে পারলাম না।

পৃথিবীর সকল নারীকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আবার আসলে দেখা হবে আশাকরি। আর এরপর অবশ্যই ২/১দিন সময় নিয়ে আসবে।

৩৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: :) :) :) :) :) :)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শুধু ইমো দিলেন কিছু বললেন না আপু :(

৩৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পোস্ট অনেক ভাল লেগেছে ...
আমি দিলাম খুশির ইমো ...
মানে হচ্ছে পোস্ট অসাধারন লেগেছে ।। :)

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস আপু :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.