![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভ্যতার বিবর্তন যুগে যুগে মানুষের বিশ্বাস ও সামাজিক ধর্মীয় আচরণেও পরিবর্তন এনেছে। শুভ অশুভ উপাসনা থেকে প্রকৃতির উপাসনা, বহু দেবতার উপাসনা থেকে একেশ্বরবাদ। কিন্তু এখনও এমন কিছু সমাজ সভ্যতা রয়েছে যারা ধরে রেখেছে বা ধরে রাখতে চাইছে তাদের হাজার হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। এমনই একটি জাতি হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির বান্দিয়াগারা উপত্যকার ডোগন । প্রায় আট লক্ষ জনগোষ্ঠীর এই জাতি এখনও উপাসনা করে চলেছে হাজার হাজার বছর ধরে তাদের গোত্রের মুখে মুখে চলা এক ধর্মের। যেখানে উপাসনা হয় আকাশের নিদ্রিষ্ট একটি তারাকে কেন্দ্র করে। আকাশে যার অবস্থান ক্যানিস মেজর নক্ষত্রমন্ডলে।
লুব্ধক তারা
তাদের ধর্ম বা সামাজিক আচরণের যে মুখোশ বা নাচের মুদ্রা এর প্রতিটির রয়েছে বিশেষ কিছু মানে। আর যার সবকিছুই চলে ক্যানিস মেজরে অবস্থিত আকাশের সেই উজ্জ্বলতম তারা লুব্ধককে উদ্দেশ্য করে। বাৎসরিক উৎসব বাদেও ৬০ বছর পরপর তাদের প্রধান উৎসব সিগুই পালিত হয় সেই লুব্ধক নক্ষত্রের এক সঙ্গী তারা জোতির্বিজ্ঞানে যার নাম সিরিয়াস বি এর বর্ষপুর্তি উপলক্ষে। আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানে অবশ্য সিরিয়াস বি ৫০ বছরে সিরিয়াসকে একবার প্রদক্ষিণ করে।
সিরিয়াস বি এর কক্ষপথ
অন্যান্য আফ্রিকান উপজাতিদের মতো ডোগনরাও সকলের কাছে ছিলো আরেকটি সাধারণ উপজাতিদের মতোই যতক্ষণনা পর্যন্ত জোতির্বিদরা সিরিয়াস বি নক্ষত্রটি আবিষ্কার করে। ডোগনরা সিরিয়াস বা লুব্ধক নক্ষত্রকে বলে সিগি টোলো। আর সিরিয়াস বি কে বলে পো টোলো।
পো টোলো এবং আধুনিক জোতির্বিজ্ঞান
ডোগন লোককথা এবং ধর্মীয় ভিত্তিঃ
আমা যিনি থাকেন পো টোলো নামে এক সাদা এবং অত্যন্ত ভারী এক নক্ষত্রে। ২০ টি জিনিষ দিয়ে গড়া সেই নক্ষত্রের প্রতিটি জিনিষ এত ভারী যে তার সামান্যাংশ আমাদের পক্ষে তুলে আনা সম্ভব না। গড আমা তৈরী করেন নোমোকে এবং রাখেন এমা ইয়া টোলো নামের নক্ষত্রের নিয়ান টোলো গ্রহে। সেখান থেকে নোমো আসে পৃথিবীতে এবং মানুষকে শিক্ষা দেয় সভ্যতার কৃষি কাজ ও আগুনের ব্যবহারের। আর এভাবেই ডোগন ধর্মে নোমো হয়ে উঠে মানুষের শিক্ষা ও জলের দেবতা।
নোমো; মহান শিক্ষক ও পানির দেবতা
আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানঃ
১৮৪৪ সালে জার্মান জোতির্বিদ ফ্রেডরিখ বাসিল লুব্ধকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সর্ব প্রথম এই সিদ্ধান্তে আসেন যে লুব্ধক বা সিরিয়াস নক্ষত্র আসলে বাইনারী বা ডাবল স্টার সিস্টেম । তার মানে সিরিয়াসকে ঘিরে আর কোন অবজেক্ট ঘুরছে। এখানে উল্লেখ্য আমাদের সুর্যের মতো গুটি কতক নক্ষত্র বাদে মহাকাশের অধিকাংশ তারাই এমন বাইনারী সিস্টেম। যদিও বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানী মনে করে আমাদের সুর্যেরও কোন সঙ্গী থাকতে পারে এবং মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝের গ্রহাণুগুলো ধরে অনেকে মনে করেন সুর্যের সঙ্গী আছে বা ছিলো। যা আবার ব্যাবিলনীয়দের দশম গ্রহের গল্পকে বাস্তবতার পথ দেখায়। প্লুটোর বিচ্ছিন্ন গতিপথও বলে প্লুটো হয়তো অন্য কোন কিছু দ্বারা আকর্ষিত হচ্ছে বেশ জোরের সাথেই। যার কারণে প্লুটোর গতি সোলার সিস্টেমের সাথে ঠিক খাপ খাচ্ছেনা। আর প্লুটোর এই দুর্ভাগ্যই প্লুটোকে সৌর জগতের গ্রহগুলো থেকে বহিষ্কৃত হয়েছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ডোগনদের লোককথাও বলে আমাদের সুর্য আসলে পো টোলোর মতো দুটি বিশেষ নক্ষত্রের মিলিত রূপ। যাইহোক, আমরা সিরিয়াস বি তে ফিরে যাই। ১৮৬২তে আমেরিকান জোতির্বিদ আলভিন গ্রাহাম ক্লার্ক টেলিস্কোপের মাধ্যমে সর্ব প্রথম লুব্ধকের সঙ্গী নক্ষত্রকে প্রত্যক্ষণ করেন। এবং পরবর্তীতে ১৮৯৪ সালে সিরিয়াস বি জোতির্বিজ্ঞানে স্বীকৃতি পায়। এবং খুব সম্ভব (আমি নিশ্চিত নই) ১৯৭০ সালে সর্বপ্রথম প্রমাণিত হয় যে সিরিয়াস বি আসলে একটি শ্বেত বামুন নক্ষত্র যার আয়তন পৃথিবীর আয়তনের সমান প্রায় এবং ভর সুর্যের ভরের সমান। ডোগন ধর্ম বা ঐতিহ্যে অধুনা আবিষ্কৃত সিরিয়াস বি হচ্ছে তাদের উপাসনার নক্ষত্র পো টোলো।
পো টোলোর বিভিন্ন বস্তুর প্রতীক আঁকছেন ডোগন পুরোহিত বা হোগন
অঙ্কিত চিত্র
বিচিত্র এবং সম্পুর্ণ ব্যতিক্রমী মুখোশ তৈরীর জন্য বিখ্যাত ডোগন সম্প্রদায়ের কাছে গিয়েছেন অনেক পশ্চিমা নৃতাত্ত্বিক, ব্যবসায়ী, পর্যটক অনেকে। একই ধারাবাহিকতায় ১৯৩১ সালে সেখানে যান প্রখ্যাত ফরাসী নৃতাত্ত্বিক মার্শেল গ্রাউল ডোগনদের উপর গবেষণা করেন দীর্ঘ ১৬ বছর। এবং হোগনদের (ডোগন পুরোহিত) মুখে শোনা এবং আঁকা বিভিন্ন উপাখ্যান বিশ্লেষণ করে করে দেখেন এ ধর্মের উপাসনার মুখোশ এর পেছনে রয়েছে এর রহস্যময় মহাজাগতিক প্রজ্ঞা। মাত্র ৮০/৯০ বছর আগে আবিষ্কৃত সিরিয়াস বি নক্ষত্রই আসলে তাদের পো টোলো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অল্প কিছুদিন আগে আবিষ্কার হওয়া এক নক্ষত্র যা খালি চোখে দেখা অসম্ভব সে নক্ষত্রের কথা ডোগনদের হাজার বছরের পুরোনো ধর্মে আসে কি করে? রহস্য আরো ঘনীভূত যখন জানা যায় সিরিয়াস বি আসলেই একটি শ্বেত বামুন। যার আয়তন পৃথিবীর প্রায় সমান হলেও তার ভর প্রায় সুর্যের ভরের সমান যা ডোগনদের সেই সাদা এবং অত্যন্ত ভারী নক্ষত্রের কথারই সত্যতা প্রমাণ করে। কিন্তু কিভাবে? আদিম মানুষ প্রযুক্তিতে উন্নত ছিলো? আসলেই ভীনগ্রহ থেকে কেউ এসেছিলো যাদের থেকে জেনেছে? জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং জোতির্বিদ কার্ল স্যাগান অবশ্য ব্যাপারটির রহস্যময়তা অস্বীকার করেছেন। কার্ল স্যাগানের মতে হয়তো ইউরোপীয় পরিব্রাজকদের মুখে গল্প শুনে শুনে তাদের ধর্মের পট পরিবর্তন করেছে। কেননা তাদের জানার ব্যাপারটি অনেকটাই খাপছাড়া। তারা বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহের কথা জানে, শনি গ্রহের বলয়ের কথা জানে কিন্তু অন্য কিছু জানেনা। সিরিয়াস বি জানে অন্য তারাদের ব্যাপারে তাদের ধারণা খুবই কম। যে বিচ্ছিন্ন জ্ঞান ইউরোপীয় পরিব্রাজক দ্বারা শোনানো নতুন জোতির্বিদ্যার গল্পই হতে পারে।
কিন্তু এখানেও প্রশ্ন থাকে। সিরিয়াস বি আবিষ্কৃত হয়েছে খুব বেশীদিন হয়নি। এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় জনগোষ্ঠীর ধর্ম আচার ধর্মের পট কিছু ইউরোপিয়ান পরিব্রাজকদের মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন ঘটবে, নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিতে সেটা কি আদৌ গ্রহন যোগ্যতা পায়! তাহলে কোথায় এই মহাজাগতিক প্রজ্ঞার উৎস? এই সেই নক্ষত্র প্রাচীন মিশরে যে তারা সভ্যতার গোড়া পত্তন করেছিলো যা তাদের দেবতা অসিরিস দেবী আইসিস ও শেয়াল দেবতা আনুবিসকে উপস্থাপন করে। এই সেই তারা ভারতীয় পুরাণে যে তারা প্রধান দেবতা শিবের অবতার রুদ্রাক্ষীর প্রতিনিধিত্ব করে। এই সেই তারা যে তারা আকাশের সবচাইতে উজ্জ্বল তারা। যা আবার সুর্যের নিকট প্রতিবেশীও, সুর্য থেকে যার দুরত্ব মাত্র ৮ দশমিক ৬ আলোকবর্ষ। এই সেই দেবতা নোমো যার অর্ধেক অংশ মানুষের বাকী অর্ধেক অংশ মাছের। মিশর, ব্যাবিলন, গ্রীক থেকে শুরু করে অনেক বিখ্যাত পুরাণে যে মৎস্য কন্যা এক বহুল পরিচিত নাম। অবশ্য ডোগনদের বলা তৃতীয় নক্ষত্র এমা ইয়া টোলো বা তার গ্রহ নিয়ান টোলোর সন্ধান আধুনিক বিজ্ঞান এখনও পায়নি।
সিরিয়াস কি আসলে তিন তারার সমন্বয়ে গঠিত?
ডোগনদের মহাজাগতিক প্রজ্ঞার মাঝে তাহলে কি সেই সত্য? জোতির্বিজ্ঞানে অনেক উন্নত আদিম সভ্যতার নিদর্শন? মহাকাশযানে চড়ে আসা ভিন গ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন? নাকি রথে চড়ে বা ডানায় ভর করে আসা দেবতারা? নাকি নেহাতই এ এক কাকতালীয় ব্যাপার!
And that it is He who is the Lord of Sirius
(Al Quran, Surat an-najm:49)
সব শেষে ডোগনদের বিখ্যাত মুখোশ এবং কাঠশিল্পের ছবি।
আকাশে লুব্ধক বা সিরিয়াস নক্ষত্রে অবস্থান এবং প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তনে লুব্ধক নক্ষত্রের ভূমিকা জানতে-
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তনের ইতিহাস এবং একটি ধর্মের সম্ভাব্য বিবর্তন
----------
ছবিসুত্রঃ ইন্টারনেট
সকল লিংকঃ উইকিপিডিয়া
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আসলেই তাই
অনেক ধন্যবাদ দালাল০০৭০০৭
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
দুর্দান্ত পোষ্ট+++++++
পোষ্ট সম্পর্কে পরে কথা হবে।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস স্নিগ্ধ শোভন। পোষ্ট সম্পর্কে শোনার অপেক্ষায় রইলাম
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ একটি পোষ্ট !
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেন অনেক থ্যাঙ্কস স্বপ্নবাজ অভি
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৬
এহসান সাবির বলেছেন: কোথায় পান এই সব আইডিয়া........!!
ডোগন হোগন...!!
+++++
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ডোগনদের ব্যাপারে প্রথম জেনেছিলাম সেবা প্রকাশনীর একটি বইতে। তারপর এই নিয়ে টুকটাক জানার চেষ্টা আরকি
অনেক ধন্যবাদ সাবির ভাই
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। চমৎকার।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বিজ্ঞানী প্রোফেসর শঙ্কু
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
নূর আদনান বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম। তবে আমার মনে হচ্ছে পুরোটাই কাকতালিও।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমমম, ব্যাপারটা কাকতালীয়ও হতে পারে।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: ফ্যান্টাসটিক পোস্ট। সহজ ভাষায় খুব সুন্দর লিখসেন রে ভাই।
এ জাতির ব্যাপারে হালকার উপর ঝাপসা একটু ধারনা পেয়েছিলাম একটা টিভি শো দেখে। দেখা না থাকলে দেখতে পারেন। মজা পাবেন। এই শো-এর কতটুকু সত্য আর কতটুকু চাপাবাজি বোঝাটা দুষ্কর, তবে এই শো যথেষ্ট চিন্তার খোরাক যোগাবে।
Ancient Aliens
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এই লিংক থেকে কিভাবে ভিডিও ডাউনলোড করতে হয় বা দেখতে হয় জানিনা। যদি ইউটিউব জাতীয় কোন লিংক দিতে পারেন যেখান থেকে সরাসরি দেখা যায় তাহলে আমার জন্য ভালো হয়।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৭
জেরিফ বলেছেন: আরো কত কি দেখার , শুনার অপেক্ষায় ।
কেমনে কি কোথাকার কোন তারা এটা নিয়া এত মাতামাতি ডোগন দের
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমমম, ব্যাপারটি দুঃখজনক
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৫
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
এতো কঠিন পোস্ট দিসেন ক্যান!!
পরিশ্রমী পোস্ট!! :-< পড়তে পড়তে হাপায়া গেসি! পানি খাওয়ান!!
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সহজ করার চেষ্টা করতে করতে এই পর্যন্ত আনছি এরপর দেখি খালি দিন যায় সহজ আর করতে পারিনা। ভাবলাম যা থাকে কপালে পোষ্টাইয়া ফেলি।
এই নেন লেবুর শরবত খান উইথ পুদিনা পাতা
১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২৯
মেনন আহমেদ বলেছেন: অসাধারন।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
কিছু কিছু তত্ত্ব প্রমান করে যে, ডগোনরা প্রাচীন মিশরীয় বংশদ্ভুত উপজাতি পরে তারা গিনি বা মরিতানিয়া অঞ্চলে কোথাও থেকে সরে গিয়ে এখন লিবিয়া নামক অঞ্চলে মাইগ্রেট হয়। ১৪৯০ সালে চারপাশের বাইরের বস্তুর মোকাবিলা এবং খরায় পালিয়ে তারা কেন্দ্রিয় মালি বান্ডিয়াগারা ক্লিফে চলে আসে। শুনেছি তাদের মধ্যে অনেকে ইসলাম ধর্মেরও অনুসারী যদিও তারা আওয়া, লেবে এবং বিনু নামের অকাল্টের উপরেই নির্ভর করে। ওদের হাউস অফ ওয়ার্ডস সম্পর্কে খুব জানার ইচ্ছে রয়েছে। আরও অনেক অজানা কিছু আপনার কাছ থেকে জানতে চাই।
পোস্টের জন্য ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ অসাধারণ, দুর্দান্ত, অনবদ্য একটা পোস্ট। অবশ্যই প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ডোগনরা নিজেরাও দাবী করে তাদের পুর্ব পুরুষ মিশরীয়। তাছাড়া লুব্ধকের সাথে তাদের উপাসনার সম্পর্কও তাদের মিশরীয় বংশোদ্ভূত ধারণাকেই শক্তিশালী করে। হাউজ অফ ওয়ার্ডসকে আমার মনে হয়েছে কিছুটা আমাদের পাড়ার ক্লাবের মতো। অবসরে বা বিশেষ প্রয়োজনে গ্রামের পুরুষদের একত্রিত হওয়ার স্থান হিসেবে। শুধু পার্থক্য টোগুনা বা হাউজ অফ ওয়ার্ডস তৈরীতে এবং সেখানে নিয়ম কানুন কি কি হবে সেসব ব্যাপারে কিছু ঐতিহ্য অনুসরণ করা হয়। আওয়া এবং বিনু মূলত মুখোশ ও টোটেম তৈরী বা সেদিকটা দেখাশোনা করার জন্য যে গ্রুপ তৈরী করা হয় তাদের নাম। মুখোশের সাথে সম্পৃক্তদের আওয়া এবং টোটেমের সাথে সম্পৃক্তদের বিনু বলা হয়। আর লেবে সরাসরি ডোগন পুরাণের সাথে জড়িতে যা সাপের প্রতিনিধিত্ব করে।
এটা ঠিক ইসলামের ক্রমবিকাশ ডোগনদের আদি ধর্মকে বেশ খানিকটা হুমকির মুখে ফেলেছে।
তথ্যবহুল মন্তব্য দিয়ে পোষ্টকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই।
১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ একটা বিষয় নিয়ে চমৎকার একটা পোষ্ট। বেশ ভাল লাগল।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী
১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
আম্মানসুরা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
পোস্টে প্লাস।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: এইনশেন্ট এলিয়েন হিস্ট্রি চ্যানেলের একটা ডকুমেন্টরি। এইটার সম্ভবত ছয়টা সিজন বাইর হইসে। আমি চারটা পর্যন্ত দেখছি। প্রথম সিজনের প্রথম এপিসোডের লিঙ্ক দিচ্ছি। দেখেন-
ancient aliens season 1 episode 1
আমি টরেন্ট দিয়ে ডাউনলোড করি। টরেন্টের লিঙ্ক-
[link|http://kickass.to/ancient-aliens-seasons-1-2-3-4-5-720p-t8100040.html| +31 -1 report fake Ancient Aliens Seasons 1, 2, 3, 4, & 5 [720p]]
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আজ থেকেই অল্প অল্প করে দেখা শুরু করব।
১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: টরেন্টের লিংকটা আগের কমেন্টে আসে নাই। আবার দিচ্ছি-
ancient-aliens-seasons-1-2-3-4-5-720p
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ
১৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৪
লাবনী আক্তার বলেছেন: এতো কঠিন কথা বার্তা আমি কম বুঝি!
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কথাগুলা কঠিন না। আসলে লেখতে গিয়ে আমিই পেচিয়ে ফেলেছি, সহজ করে লিখতে পারিনি। তাই এমনটা লাগছে
১৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: দারূণ পোষ্ট। +।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭
সোহানী বলেছেন: সম্পূর্ন নতুন একটি পোস্ট.... অসাধারন...অনেক কিছু জানলাম ...... +++++++++
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা
২০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
মুদ্দাকির বলেছেন: এই যুগের মানুষ যতই নিজেদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান মনে করুক না কেন, বার বার প্রমানিত হতেই থাকবে যে মানুষ আদম আঃ এর সময় থেকেই উন্নত আর বুদ্ধিমান আর আল্লাহের অনুগ্রহ প্রাপ্ত।।
সুন্দর পোষ্ট
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নিজেদের সেরা ভাবতে সবাই পছন্দ করে। আর কে সেরা সিদ্ধান্তটা যেহেতু এ যুগের মানুষই নিচ্ছে তো কি দরকার অন্যদের সেরা বানানোর। আগের যুগের মানুষ তো আর প্রতিবাদ করতে পারছেনা
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন! বিষয়টি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পোষ্টে আসার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় জাদিদ ভাই
২২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
উদাস কিশোর বলেছেন: নতুন কিছু জানানোর জন্য ধন্যবাদ
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
২৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
ভুং ভাং বলেছেন: ভাল লাগলো । আজানা একটা বিষয় জেনে। ব্লগের সার্থকতা তো এখানেই ।
এবার এক্তু মজা করি এত জাইনা কি করুম ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অবসরে টাইম পাস করা ছাড়া আর তো কাজে লাগার কোন কিছু দেখতেছিনা
২৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭
বৃষ্টিধারা বলেছেন: জানতাম না আগে এই ব্যাপারে । জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক পরিশ্রমী পোষ্ট ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পাঠে ও মন্তব্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
২৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২
আলোর পরী বলেছেন: বাহ , কত কি অদ্ভুত । অনেক চমৎকার এক পোস্ট । কষ্ট করে আমাদের এত তথ্য জানানোর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রশংসাসূচক মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা।
২৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৪
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বাইনারী বা ডাবল স্টার সিস্টেম , ব্যাপারটা সম্পর্কে জানতাম না ।
অনেক চমৎকার ব্যাখ্যা , বিশ্লেষণ ।
তবে জোতির্বিদ কার্ল স্যাগান যা বলেছেন কেমন যেন যুক্তিযুক্ত না।কোন ধর্মের বা গোষ্ঠীর সাথে জোতির্বিদ্যার এধরণের সম্পৃক্ততা পরিব্রাজকদের মুখে গল্প শুনে কিভাবে হতে পারে । আবার সেটা না হলেও অলৌকিক কোন ব্যাখ্যা চলে আসছে ।
পোস্ট খুব ভালো লাগলো , এত চমৎকার সব টপিকস কোথায় পান তাই ভাবছি ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমাদের সূর্যের মতো অল্প কিছু ব্যতিক্রমি নক্ষত্র বাদে মহাবিশ্বের প্রায় সব তারাই এমন দুই বা ততোধিক নক্ষত্রের সমষ্ঠি যারা একে অন্যকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অন্য কোন গ্রহ থেকে সৌর জগতে কেউ আসলে নিশ্চিত অবাক হয়ে বলবে, আরে তোমাদের সুর্য মাত্র একটা!
ডোগনদের এই পো টোলো বা সিরিয়াস বি এর ধারণা আসলেই রহস্যময়। এর সত্যিকার গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারছেনা। মেনে নিলে তা বর্তমান বিজ্ঞানের ছাঁচে ফেলে নিতে হয় আবার মেনে না নিলেও তার গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যাচ্ছেনা।
আসলে একটু আধটু মিথ পড়তে পড়তে বা মানুষে মানুষে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র দেখতে দেখতে কোথাও এমন কিছু সুত্রের দেখা মিলে যায় আপনা থেকেই।
অনেক শুভ কামনা প্রিয় অদ্বিতীয়া আমি
২৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
তারছেড়া লিমন বলেছেন: অনেক দিন পর ....................... সুন্দর কিছু বিষয় আর তারচেয়ে সুন্দর উপস্থাপনা পড়লাম ভাই.................... ভাললাগা সহ........... ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমমম, অনেকদিন পর এমন পোষ্ট দিলাম। নিজের আলসেমি জনিত সমস্যাই এর কারণ। আলসেমির হাত থেকে আমার নিস্তার নেই মনেহচ্ছে।
উচ্ছাসিত ভালোলাগা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ
২৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দুটি পর্ব দেখলাম। নিঃসন্দেহে তথ্যবহুল ডকুমেন্টারী। তবে ডকুমেন্টারীর ভেতর টুইস্ট আনার চেষ্টাতেই হোক বা নাটকীয় করার উদ্দেশ্যেই হোক ভাষ্যকারদের বা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা যেভাবে এলিয়েনদের ব্যাপারে নিশ্চিত মতামত দিচ্ছেন বা বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে যেভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন বলে বলছেন যে কোন বাইরের সত্ত্বা ছাড়া আদিম মানুষের পক্ষে এসব বানানো বা জানা মোটেই সম্ভব না তাদের এই আত্নবিশ্বাসী কথোপকথনটা ভালো লাগেনি। যেখানে আমার মতো সাধারণ মানুষই যেখানে তার বেশ কিছু শক্ত বিরুদ্ধ মতের সাথে পরিচিত সেখানে উনাদের মতো বিশেষজ্ঞগণ বিরুদ্ধমতের সাথে পরিচিত নয় সেটা ঠিক মেনে নেয়ার মতো না।
যেমন, ফ্লাইং অবজেক্টের আলোচনায় "বৈমানিক শাস্ত্র" নামে যে গ্রন্থটির কথা বলা হচ্ছে সেটি কোন পুরোনো আবিষ্কার নয়। গ্রন্থটি যেভাবেই ছাপার অক্ষরে আনা হোক আনা হয়েছে প্রায় ৮০/৯০ বছর আগে। আধুনিক বিজ্ঞানে স্পেস শাটল তখন বেশ অগ্রগামী। তাছাড়া ভারতীয় শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চা সব যেখানে বেদ নির্ভর সেখানে আগে দেখতে হবে বেদে এর উল্লেখটা কোথা থেকে এসেছে। উড়ন্ত যান হিসেবে "বিমান" নামকরণটি মূলত এসেছে বেদ থেকে। আর বেদে উড়ন্ত যানটি যেভাবে বর্ণণা করা হয়েছে তাতে ভারতীয় পুরাণের রথের ধারণার সাথে মিলে। বৈমানিক শাস্ত্রের সাথে নয়। এবং বৈমানিক শাস্ত্রের বর্ণনা ভারতীয় পুরানোর ধারাবাহিকতা বা ফরম্যাটের সাথেও যায়না। তাই "বৈমানিক শাস্ত্র" আদৌ কোন পৌরাণিক বিষয় নাকি আধুনিক কালে কিছু সংযোজন হয়েছে তাতে সন্দেহের অবকাশ থাকে।
আবার পুমা পংকুর কিছু প্রতীক নিয়ে দাবী করছেন যে এই প্রতীক একেবারেই অজানা এবং সম্পুর্ণ ইউনিক সেটাও ঠিক নয়। পুমা পংকুর পাশের সভ্যতা ইনকাতেই এদের ব্যবহার ছিলো বহুল। এগুলো অতিরঞ্জিত কথন বলে মনে হয়েছে। নিচের ছবি দেখুন,
পুমা পংকুর দেয়ালচিত্র
ইনকা প্রতীক
মত, বিরুদ্ধ মত বা নাটকীয় উপস্থাপন যাই থাকুক। চুক্কা বাঙ্গী ভাইয়ের মতো আমারো মনে হয়েছে ডকুমেন্টারীগুলোতে ভাবনার খোরাক যথেষ্ট রয়েছে।
২৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৯
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এই ধরনের পোস্ট গুলো বেশ ভালো লাগে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফেরদৌস ভাই।
৩০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
এহসান সাবির বলেছেন: ৯ নং লাইকটা কিন্তু আমার। আগে দিতে ভুলে গেছিলাম।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস সাবির ভাই। কবে যে আমার লাইক বাটনটা ঠিক হবে !
৩১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
এরিস বলেছেন: লুব্ধককে উদ্দেশ্য করে তাদের এই উপাসনার কারণ কি! সেটা বুঝতে পারলাম না!!
কঠিন বিষয়। এর আগেও খেয়াল করেছি নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে আপনার বিশেষ ভাল লাগা। আমি এসব সম্বন্ধে কিছু জানিনা বললেই চলে। ইচ্ছে করে শিখতে। আলসেমি!!!
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কারণটা ঠিক বোধগম্য নয়। তাদের মতে তাদের দেবতাদের বাস ঐ লুব্ধক নক্ষত্রমন্ডলে। প্রাচীন মিশরীয়রাও এই লুব্ধক তারাকে সবচাইতে বেশী গুরুত্ব দিতো। এবং তা সম্ভবত নীল নদের প্লাবনের সাথে লুব্ধক নক্ষত্রের সম্পর্কের কারণে।
৩২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
কাফের বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্ট
আমার কাছেও এটাকে চমৎকার একটা কাকতালীয় মনে হচ্ছে।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কাকতালীয় হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার প্রাচীন সভ্যতার উন্নয়ন কতটুকু ঘটেছিলো সেটাও আমরা জানিনা।
সবসময় আমরা আমাদের সভ্যতা দিয়ে বিচার করতে চাই। এটা ভুলে যাই আমাদের আধুনিক সভ্যতার দুটি মানদন্ড হচ্ছে খণিজ তেল ও বিদ্যুৎ। এখন প্রাচীন সভ্যতাও যে এই দুই জিনিষ নির্ভর হতে হবে এমন কোন কথা নেই। হয়তো এমন কোন প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করতো যার সাথে খণিজ তেল এবং বিদ্যুতের সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক ছিলো অন্য কিছুর, এবং তা দিয়েই তারা জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির কিছু উন্নয়ন ঘটিয়েছিলো এবং কোন সংঘাত বা বড় বিপর্যয় তাদের জ্ঞান বিজ্ঞানের ইতিহাস অনেকাংশে মুছে দিয়েছে এবং যা রয়েছে তা তাদের সামান্যাংশ।
৩৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং.. সভ্যতা থেকে পিছিয়ে থাকা আফ্রিকার এক পশ্চাদপদ জাতি কিনা জ্যোতির্বিদ্যাকেন্দ্রিক ধর্ম পালন করে !!
পোস্ট খুব ভাল লাগল কুনো..
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বর্তমান সভ্যতার মাপকাঠিতে পশ্চাদপদ হলেও আফ্রিকার প্রাচীন নিদর্শন কিন্তু তা বলেনা। বরং এটা বলা যায় ধুসর ইতিহাসের কাল থেকেই জ্ঞান বিজ্ঞান এবং সম্পদে অনেক সমৃদ্ধশালী ছিলো। এমনকি বর্তমান সময়েও তথাকথিত সভ্য দেশগুলো আফ্রিকার সম্পদ ছাড়া কতটুকু অগ্রগামী হতে পারবে সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ।
৩৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
শুঁটকি মাছ বলেছেন: কঠিন পোস্ট। মাথার উপ্রে দিয়া গ্যছে গিয়া।
২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ব্যাপারটা কঠিন না, লেখার ধরণটাই ব্যাপারটা একটু প্যাচালো করে তুলছে
৩৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পরিবেশ ও আমাদের বন্ধুকেও ধন্যবাদ
৩৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ লাগলো
ইনফরমেটিভ অবশ্যই
পোস্টে প্লাস
৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পাঠে ও প্লাসে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা
৩৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২২
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: এই জিনিসগুলা পড়তে মজা পাই । প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আসলেই জিনিষগুলো অনেক ইন্টারেস্টিং। ব্যাপারগুলো মানাও যাচ্ছেনা আবার ফেলে দেওয়াও যাচ্ছেনা।
অনেক ধন্যবাদ
৩৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০
জুন বলেছেন: তাহলে বলতে হয় সেই আদিম জনগোষ্ঠিরা কত বুদ্ধিমান ছিল কুনো। হয়তো পুথিগত বিদ্যা তাদের ছিল না কিন্ত জটিল মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে কি গভীর জ্ঞ্যানই না ছিল ডোগনদের ভাবতেই অবাক হই।
সুন্দর লিখেছো, সাবলীল ঝরঝরে লেখা। পড়তে গিয়ে হোচট খেতে হয়নি ।
+
তবে তাদের মুখোশগুলো চমৎকার লাগলো
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আবার এমনও হতে পারে কোন এক অজানা কারণে জ্ঞান বিজ্ঞানে এখনকার চাইতেও অনেক উন্নত প্রচীন সভ্যতার ইতিহাস আমরা হারিয়ে ফেলেছি। হয়তো তাদের যা কিছু পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাজগুলো আমরা ধরতে পারছিনা কারণ এমনও হতে পারে অতীন সভ্যতা চল বিদ্যুৎ বা খণিজ জ্বালানী নির্ভর না হয়ে অন্য কোণ ভাবে হয়েছিলো।
ডোগন মাস্কগুলো আসলেই সুন্দর। আর এই মুখোশগুলোই মূলত ডোগনদের আলাদা ভাবে চেনাতে পেরেছে।
৩৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
একজন আরমান বলেছেন:
দারুন।
অনেক জিনিস জানলাম।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যঙ্কু একজন আরমান
৪০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
বৃতি বলেছেন: কিছু জানা ছিল না ডোগনদের সম্পর্কে। সুন্দর পোস্ট।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ডোগনরা সংখ্যায় খুব বেশী নয়। তাছাড়া পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলামের ক্রমবিকাশের কারণে ডোগনরা তাদের আদি ধর্ম থেকে অনেকাংশেই সরে এসেছে। মুখোশ প্রিয় মানুষজনই মূলত ডোগনদের পরিচিত করে তুলেছে।
পাঠে কৃতজ্ঞতা
৪১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫০
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট ! সত্যি ডোগন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না !
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিলন ভাই
৪২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
চিরতার রস বলেছেন: এই লোকটা যে কোই পায় এইসব জিনিস !!!!
দুর্দান্ত পোস্ট।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: থ্যাঙ্কস চিরতার রস ভাই। ডোগনদের নিয়া প্রথম পাইছিলাম সেবা প্রকাশনীর একটা বইতে।
৪৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৮
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ এই চমৎকার পোস্টের জন্য !
ইস্টার আইল্যান্ড নিয়ে একটা পোস্ট দিন !
ভালো থাকুন ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
ইস্টার আইল্যান্ড নিয়ে জুনাপুর একটা চমৎকার পোষ্ট রয়েছে, পড়ে দেখতে পারেন।
ইষ্টার আইল্যান্ড এক অমীমাংসীত রহস্যে ঘেরা দ্বীপ
আপনিও ভালো থাকুন অনেক অনেক
৪৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১০
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রিয় এহসান সাবির ভাই।
৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৪
লিরিকস বলেছেন: +
০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিরিকস
৪৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২
নতুন বলেছেন: চমতকার পোস্টটা এতো দিন দেখিনাই... নতুন আরেকটা বিষয় জানলাম... ++
মানুষ ভিনগ্রহ থেকে আসতেই পারে....
কোরআনেও আদম আ: হাওয়া আ: বেহেস্ত থেকে দুনিয়ায় এসেছে... তারাও পৃথিবির মাটি/পানি/বাতাস যেই প্রকৃয়ায় সৃস্টি সেই ভাবে সৃস্টি না..
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বর্তমানে অনেক বিজ্ঞানীই কিন্তু মনে করেন প্রাণের উৎপত্তি আসলে এই পৃথিবীতে হয়নি, বাইরে থেকে এসেছে। এবং এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের কাছে সুনিদ্রিষ্টি কিছু তথ্য প্রমাণ ও যুক্তিও রয়েছে। নিচে বিবিসির তৈরী একটি ডকুমেন্টারি যোগ করলাম। ভাবনা জাগানিয়া বেশ কিছু বিষয় রয়েছে এতে
৪৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ.. আজ রাতেই দেখবো..
৪৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫
নতুন বলেছেন: শুভজন্মদিন ভাই..
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৬
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: এখনও কত কিছু আছে জানার।
+++++++++++++