![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা। আমাদের নতুন ডাক্তার তাসনূভা সাখাওয়াত বীথি গিয়েছে জীবনে প্রথম বারের মতো নাইট ডিউটি করতে। ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের এই ব্লগারকে যতটুকু চিনি তাতে জানি যে এই মেয়ে এখনও মায়ের আঁচলের নিচ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। যার জন্য তার মা এখনও খাবার নিয়ে পিছে পিছে ঘুরে। যে এখনও ভাবে দূরে কোথাও চাকুরী হলে তার মা'কে সাথে নিয়ে যাবে তাহলেই কোন সমস্যা হবেনা। সেই মানুষটা জীবনে প্রথমবারের মতো রাতের বেলা তার মা'কে ছেড়ে হসপিটালে কেমন লাগছে জানার কৌতুহল হলো। ফেবুতে নক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এই নতুন অভিজ্ঞতা তার কেমন লাগছে। রিপ্লাই যেটা পেলাম তাতে তার মানসিক অবস্থার আন্দাজ পেয়ে আমার নিজ ঘরে নিরাপদ বলয়ে থেকে আমারই রীতিমতো অস্বস্থি শুরু হয়ে গেলো। দূর থেকে মেসেঞ্জারে বসে এসব কিছুনা ডাক্তার হলে তো এসবে অভ্যস্ত হতেই হবে এসব বলে সাহস জোগানোর মিথ্যে চেষ্টা করলাম। একটু পরে জানালো ওয়ার্ডে নাকি মাত্রই আরেকটা বাচ্চা মারা গেলো, ডেডবডি দেখে তার ভয় লাগছে। আর বলছে এই আতংকে আবার আবার কিছু ভুল করে ফেলে কিনা সেটা নিয়েও তার দুশ্চিন্তার কথা। এবং যতদূর বুঝতে পারলাম তাতে সে তখন রীতিমতো আতঙ্কে কাঁপছে আর আল্লাহ্র নাম জপছে এই আশায় যাতে সকাল হয় শীঘ্রই। পরিস্থিতিতে না পড়লে সে আতংকটার আসল রূপ কেমন সেটা বোঝা যায়না ঠিকই কিন্তু অনুমান করাটা দুঃসাধ্য নয়।
যাইহোক, যে জন্য কথাটা বলা। বারডেম হসপিটালে কোন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোন এক এএসপি পরিচয়ধারী পুলিশের ইন্ধনে ৬০/৭০ জন মানুষ মিলে ডাক্তারদের বেধড়ক মারধোর করে। পালিয়ে টয়লেটে আশ্রয় নেয়া এক নারী ডাক্তারও তাদের হাত থেকে রেহায় পায়নি। অনেকগুলো মানুষ মিলে টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করে এনে দারূন উন্মাদনায় সবাই মিলে মারধোর করে। রাস্তায় ছিনতাইকারী বা চোর ধরা পড়লে যেভাবে অনেক মানুষ মিলে মারধোর করে কিছুটা হয়তো তেমনই!
এবার সেই নারী ডাক্তারের জায়গায় কল্পনা করুন সেখানে আপনারই বোন বা আপনারই বন্ধু বা আপনারই কোন প্রিয় একজন মানুষের কথা। কোন এক রাতের বেলা ধ্বংসের উন্মাদনায় মত্ত ৬০/৭০ জন মানুষ ধেয়ে আসছে তার দিকে। সে বুঝতে পারে ধরতে পারলেই তার উপর নেমে আসবে অমানুষিক বর্বরতা। জীবনের তাগিদ তাকে খুঁজে ফেরাচ্ছে আত্নরক্ষার পথ। কোন পথ না পেয়ে অবশেষে টয়লেটের ভেতর সে লুকিয়ে ফেললো নিজেকে। কিন্তু পালানো আর হলোনা তার। ধ্বংসের উন্মাদনায় মত্ত মানুষগুলো ঠিকই জেনে গেলো তার অবস্থান। হঠাৎ টয়লেটের দরজায় আঘাত, তারা ভাংবেই দরজা। অবর্ণনীয় আতংক নিয়ে মেয়েটি তার প্রভুর নাম জপ করছে আর ক্ষীণ আশা তার মনে হয়তো মানুষগুলো দরজাটা ভাঙ্গতে পারবেনা। কিন্তু না, মেয়েটির আশা অপুর্ণ রেখেই ভেঙ্গে গেলো সেই দরজা। কিছু লোমশ হাত ধেয়ে আসলো মেয়েটির দিকে। টেনে হিঁচড়ে বের করে আনলো এক পৈশাচিক উন্মাদনা নিয়ে...
নাহ আর বলতে ইচ্ছা করছেনা। আজ খবরটি শুনে বেশ কয়েক মাস আগের সেই রাতের কথা মনে পড়ে গেলো। জীবন মৃত্যুর মাঝের একটি জায়গার জন্য নিজেকে তৈরি করতে গেলে তার জন্য একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যয়নকারীকে মানসিক ভাবে কতটুকু প্রস্তুত করতে হয় সেদিন তার কিছুটা আন্দাজ পেয়েছিলাম। হয়তো এই মেয়েটি বা নারীই হতে পারতো আমাদেরই কোন কাছের একজন মানুষ। এমন একজন মানুষ হয়তো তার প্রিয় মানুষদের বলয়টা এমনই যে তাকে কোন কষ্ট বা আঘাতের অনুভূতি বুঝতে দেয়না।
হয়তো বলবেন ডাক্তাররা খারাপ, ডাক্তাররা কসাই। আসলে ভালো খারাপ মিলিয়েই মানুষের সমাজ। আপনার আমার পেশার মানুষদের মধ্যে যেমন ভালো মানুষ মন্দ মানুষ রয়েছে তেমনি ডাক্তারদের মাঝে। তাই বলে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দলবল নিয়ে সংগঠিত হয়ে অনৈতিক ভাবে কারো উপর হামলা করার অধিকার রাষ্ট্র যেমন আপনাকে দেয়নি তেমন দেয়নি হাজার হাজার ধরে চলে আসা মানুষের সামাজিক ও নৈতিক প্রথা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যাই কিছু হোক যত অন্যায়ই হোক এমন পৈশাচিকতা দেখানোর অধিকার কারো নাই। সত্যিই বীভৎস
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
আমার পরিবারে বোন সহ অনেকই ডাক্তার।
সবাই ভালো হোক, নিন্দনী্য় কাজ হতে বিরত থাকুক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এগুলো শুধু নিন্দনীয়ই নয় রীতিমতো অপরাধও।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
আমি নিজে যেহেতু ডক্টর হব, তাই ডক্টরদের প্রতি আমার আলাদা রেস্পেক্ট থাকে সব সময়। কিন্তু কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলল, তার হসপিটালে ডক্টররা এক রোগী মেরে ফেলেছে ভুল ইনজেকশান দিয়ে আর বলা হয়েছে যে তারা রোগীকে অনেক বাঁচানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু রোগী মারা গেছে স্বাভাবিকভাবে। এটা কি ধরণের? ডক্টররা রোগী মারলে কি সেটার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়? নাকি এসব মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়?
এরকম কিছু হলে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে, গিয়ে মারামারি করা কোনো সমাধান না।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এটা সত্য বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের শাস্তির কোন আইন নেই বা যদি থেকেও থাকে তার প্রয়োগ নেই। ক্লিনিকের নামে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণাও চলে বলে খবর আসে। আবার এটাও ঠিক বিশেষ করে সরকারী মেডিকেল কলেজগুলো যেভাবে রোগীর চাপ সামলায় তাতে অনেক সময়ই সবাইকে একই সাথে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়াটাও অনেক কঠিন একটা ব্যাপারই হওয়ার কথা। উন্নত দেশের কোন নামকরা হসপিটালও একসাথে এত রোগী সামলাতে পারবে কিনা সন্দেহ।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ডাক্তারদের উপর এইসব অপক্ষমতার ব্যবহার বন্ধ হোক।
মানুষের দূর্দিনে যে সব ডাক্তাররা পাশে থাকেন, তাদের সাথে এ কেমনতর ব্যবহার।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যাই কিছু ঘটুক এমন পৈশাচিক পরিবেশ তৈরি এবং তৈরির ইন্ধন কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০১
নিশাত তাসনিম বলেছেন: এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণর সাথে সহমত । ডাক্তার অপরাধ করলে তার বিচার আছে । কিন্তু ৬০-৬০ জন মিলে এভাবে মারধর করা দুঃখজনক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ৬০-৬০ জন মিলে এভাবে মারধর করা দুঃখজনক। এমন পরিস্থিতি যাতে না ঘটে সেজন্য সবার সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এই সব ফালতু উটকো ঝামেলা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্যই দিন দিন সাধারন রোগি আর ডাক্তারদের দুরত্ব বাড়ছেই।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হউক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এইসব দলবদ্ধ আক্রমণের কিছু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। রোগী মারা গেলে হাসপাতাল ভাংচুর, সরকারের উপর রাগ করে গাড়ী ভাংচুর সাধারণ যাত্রীদের আহত করা, খেলার টিকেট না পেয়ে ব্যাংক ভাংচুর এই সংস্কৃতির লাগাম টানা প্রয়োজন।
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কুনোব্যাঙ,
দৃশ্যগুলো আরো কিছুটা পিছন থেকে দেখে বলি- জনগণ যখন নিজেরাই গ্যালারীতে বসে পড়েন তখন এই পিটাপিটিও বিনোদনের অংশ মাত্র !
আবার অধিকার !
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কি বলবো বুঝে পাচ্ছিনা। হয়তো কিছু বলারও নেই।
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দুঃখজনকভাবে সত্য হচ্ছে আমাদের দেশে ক্ষমতার অন্যায় প্রয়োগ একটি বহুল প্রচলিত ব্যাপার। তাই যে যেভাবে পারে সে সেভাবেই তার ক্ষমতা দেখায়। রোগীর আত্মীয়স্বজনরা চড়াও হয় ডাক্তারদের উপরে। আর ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে জিম্মি করেন সাধারন মানুষকে। সিস্টেমটা এভাবেই চলছে।
সবচেয়ে বড় কথা এখানে 'কেস' বা 'দোষী' ব্যক্তিদেরকে ইন্ডিভিজ্যুয়ালি দেখা হয় না। ফলে আমরা যখন কোথাও বলি চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যূ তখন সাথে সাথে আমরা ধরে নি- সকল ডাক্তারই বুঝি খারাপ, তারা পয়সা চিনে মানুষ চিনে না। মারো ডাক্তারকে!
আবার যখন কোন ডাক্তারকে তার ভুল চিকিৎসা বা এই জাতীয় অভিযোগের জন্য গ্রেফতার করা হয় তখন অনেক সময় আমরা দেখি দল বেঁধে ডাক্তাররা ধর্মঘট করছেন, সাধারন রোগীদের জিম্মি করছেন।
উভয়ক্ষেত্রেই আপনি কাউকে দেখবে না যে আইনী লড়াই করতে বা সঠিক সিস্টেম ফলো করতে। এই ধরনের পরিস্থিতি এক হিসেবে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রেরই ব্যর্থতা।
যাইহোক, বারডেমে ডাক্তারদের উপর এই ধরনের আক্রমন বা হামলার বিষয়টি খুবই নিন্দাজনক। এই ভাবে ডাক্তারদের উপর আক্রমন কোনভাবেই মেনে নেয়ার মত না। হাসপাতালে কতর্ব্যরত ডাক্তারদের উপর হামলার অভিযোগে ঐ পুলিশ সহ বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে হবে। পাশাপাশি একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে উক্ত রোগীর মৃত্যূর পিছনে কোন চিকিৎসা সংক্রান্ত অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: রোগীর আত্মীয়স্বজনরা চড়াও হয় ডাক্তারদের উপরে। আর ডাক্তাররা চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে জিম্মি করেন সাধারন মানুষকে। সিস্টেমটা এভাবেই চলছে।
খুব সম্ভব সময় এসেছে এইসব সিস্টেমের লাগাম টেনে ধরার নইলে পাগলা ঘোড়ার মতো এদের দৌড় শুধু বেড়েই চলছে।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হাসপাতালে কোন রোগীর মৃত্যু হলে সবার প্রথমেই অভিযোগের তীরটা আসে কর্তব্যরত ডাক্তারের দিকে। আমরা প্রায় সবাই আবেগে এতটাই অন্ধ হয়ে যাই যে ভুলেই যাই মৃত্যু একটি অবশ্য নির্ধারিত একটি বিষয়। পৃথিবীর কোন ডাক্তারেরই ক্ষমতা নেই যে স্বাভাবিক মৃত্যুকে ঠেকাতে পারে। ডাক্তাররা যে রোগীদের অবহেলা করেন না তাও বলব না কিন্তু এই ধরণের ঘটনা ঠিক কত টুকু! প্রতিদিন এই ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সেবায় কত লোক সুস্থ হয়ে জীবনে ফিরছেন তাদের চেয়ে কি অবহেলা করা ডাক্তারদের সংখ্যা বেশি?
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঝুলে থাকা অসুস্থ মানুষগুলোর পাশে এই ডাক্তারই থাকেন সবার আগে। তাদের সাথে এই রকম অমানুষিক আচরণ সত্যিই দুঃখজনক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কাছের মানুষের মৃত্যুতে সবাই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকে। আশা করা যায় এমতাবস্থায় রোগীর প্রিয়জনদের থেকে ২/৪টি কটু কথা শোনাটা ডাক্তাররাও স্বাভাবিক ভাবে নিবে। কিন্তু অতি আবেগে সংগঠিত হয়ে বর্বরতা চালালে অবশ্যই তার বিচার জরুরী। এবং একই সাথে জরুরী বিশেষজ্ঞ দ্বারা খতিয়ে দেখা সত্যিই কোন ভুল চিকিৎসা হয়েছে কিনা।
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৯
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: খুবই বাজে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। "ডাক্তার কসাই" এই যুক্তি তুলে ডাক্তার পিটানো কোন অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত নয়। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশের ৯০% ডাক্তারই কসাই না। যেসব ডাক্তার সত্যিকার অর্থে কসাই, তারা ধরাছোয়ার বাইরেই থাকে। পুলিশ তাদের টিকিটিও ছুয়ে দেখবে না (তার মানে এই না যে পুলিশের উচিত তাদের টিকিটি ছুয়ে দেখা)।
আমার ছোট বোনও একজন ডাক্তার। তাই এ ধরনের ঘটনায় আমি খুব আতংকিত।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভালো মন্দ সবখানেই সব পেশাতেই আছে। তাইবলে "ডাক্তার কসাই" এই যুক্তি তুলে ডাক্তার পিটানো কোন অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত নয়।
১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
খুবি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক।
দোষে গুনেই মানুষ। তেমনি ভালো খারাপ মিলিয়েই মানুষের সমাজ।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক।
ডাক্তারি পেশা একটি মহৎ পেশা। আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানান রোগে আক্রান্ত হই। তখন আমাদের একমাত্র ভরসা ডাক্তার। আমাদের দেশের ডাক্তারের সংখ্যা যেমন কম অন্যদিকে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই আমরা অনেকটাই ডাক্তারদের কাছে অসহায়। আর এই সুযোগটাই গ্রহণ করে অশিকাংশ ডাক্তাররা এই পেশাটাকে বাণিজ্যের কাছে বিলিয়ে দিচ্ছেন। সে কারণে ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের কাছে কসাই হয়ে ওঠেন। আশাকরি ডাক্তাররা এ বিষয় গুলো একটু মাথায় রাখবেন। আমরা যেন কখন শুনতে না পায় ডাক্তাররা কসাই।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মন্তব্যে সহমত
১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
ডাক্তারদেরও নৈতিকতার অভাব রয়েছে(সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি) সাধারন মানুষেরও সহিষ্ণুতার অভাব রয়েছে!!
আমাদের মাঝে নৈতিকতা এবং সহিষ্ণুতার সঞ্চার হোক। তবেই সমাজ পরিবর্তন হবে হয়তোবা!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আমাদের মাঝে নৈতিকতা এবং সহিষ্ণুতার সঞ্চার হোক। তবেই সমাজ পরিবর্তন হবে হয়তোবা!!
১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৮
না পারভীন বলেছেন: ডাঃ দের নিরাপত্তা চাই .
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এবং একই সাথে চাই ডাক্তারদের সেবা প্রদানের মানসিকতার আরো বিস্তৃতি
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: বিচার ব্যবস্থার উপর অনাস্থা থেকেই সমাজে এ ধরনের সংক্রমন ঘটে। তখন রাস্তায় চোর ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলাটা যেমন স্বাভাবিক তেমনি ডাক্তার কেন, যে কেউ এর শিকার হতে পারে- এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সমাজ পঁচে গেছে। পঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানগুলো যখন অন্যায়, অবিচার আর দুর্নীতি ভরে গেছে তখন এছাড়া মানুষের আর কীই বা করার আছে?
দেশে বিচার নেই, আইন নেই সে দেশে আপনার শক্তিই আপানার বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। আর আমরা দুর্বলরা পড়ে পড়ে মার খাব। কারণ, আমাদের যে মেরুদণ্ড নেই, আমরা যে একতাবদ্ধ নই- আমরা যে বাঙালি!!!
সত্যিই দু:খজনক, নিন্দনীয় ইত্যাকার ভারিক্কী, বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসুলভ কথা বলে লাভটা কী বলতে পারেন? এসব কথা কি তাদের কানে যাবে, আমাদের কানে যায়? আমরাও এর জন্য কম দায়ী?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নির্মম বাস্তবতা
১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: আমার কাছে অবাক লাগে-
১) বলা হয় ভুল ট্রিটমেন্টে রোগী মারা গেলো, কিন্তু কি ভুল ট্রিটমেন্ট টা হলো তা জানা যায় না মিডিয়ায়। রোগীর আটেন্ডেন্স আর মিডিয়ার তো আর ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে কিভাবে সেবা দিতে হবে সে সম্পর্কে বিদ্যা নেই।তাহলে, রোগী মারা যাওয়া মাত্র ভুল ট্রিটমেন্ট হয়েছে বলে কিন্তু তার সাপেক্ষে কোন প্রমান না দেখিয়ে ডাক্তারের গায়ে হাত তোলা কতোটা যুক্তিযুক্ত ?
২) মানুষের মৃত্যুর জন্য যেহারে ডাক্রারদের জবাবদিহি আর মারধোর সইতে হয় আমাদের দেশে প্রমাণ ছাড়া তার অর্ধেক-ও বাইরের দেশে হয় না।
৩) আমাদের দেশের চিকিত্সা ব্যবস্থার ধুঁকে ধুঁকে চলার অন্যতম কারন হলো ডাক্তারদের মধ্যে পলিটিক্স ঢুকে যাওয়াতে, ভুল চিকিত্সা দিয়ে বা ডায়াগোনস্টিক বানিজ্য করেও পাওয়ারের জোরে অনেক ডাক্রার পার পেয়ে যায়…অথচ এ বিষয়ে মিডিয়ায় কিছু আসে না !
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বঙ্গ দেশে সবাই সবকিছুতে বিশেষজ্ঞ!!
১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:১৯
আমি সাজিদ বলেছেন: সময় উপোযোগী পোস্ট কুনো দা…
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ফেসবুকে একজনের শেয়ার করা স্ট্যাটাসে প্রথম চোখে পড়লো। তারপর অনলাইন পত্রিকাগুলো দেখলাম। ভাবলাম নিজের ব্লগে একটা পোষ্ট দিয়ে দেই।
১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: কি বলব ভেবে পাচ্ছি না, খুবই খারাপ লাগছে! আরে ডাক্তাররা কি আকাশ থেকে পড়ছে না কী? এরা তো আমাদেরই ভাই, বোন, এই সমাজেরই অংশ; দোষ খালি ডাক্তারদের, এরা সব কসাই, আর সারা দেশের মানুষ সব সাধু ফেরেস্তা।
বদমাইশের দল; যারা এ জঘণ্য কান্ড ঘটিয়েছে সিসি ক্যামেরা দেখে একটা একটা করে ধরা উচিত; বলবো না তারপর এগুলোকে ইচ্ছাটিকে ধোলাই দিতে, শুধু যথাযথ আইনি শাস্তি যেন হয়, সেটাই আশা করি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৪৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সব জায়গাতেই ভালো মন্দ রয়েছে। এমন হিংস্ত্র আচরণ অবশ্যই অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। কিছু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে এমন অপরাধের লাগাম টেনে ধরতে।
১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @ আমি সাজিদঃ অবশ্যই সাধারন মানুষদের এই জ্ঞান থাকার কথা না ভাই। আমিও এই বিষয়টা মাঝে মাঝে বুঝি না। কেমনে পাবলিক আগেই বুইঝা ফালায় যে ভুল চিকিৎসা হইছে।।
তবে ল্যাব এইডে একবার দেখেছিলাম রাতের বেলা একজন ডিউটি ডাক্তার মোবাইলে কথা বলছিলেন, জনৈক রোগীর এটেন্ডেন্স যখন তার রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা চিন্তিত স্বরে জানাচ্ছিলেন, ডাক্তার ভদ্রলোক- বিরক্ত মুখে বললেন- বললামই তো এটা কিছু না। পেইন কিলার খাইছে? তাইলে ঘুমাইতে বলেন। আমি একটু পরে আসতেছি।
এখন সাধারন মানুষের প্রেক্ষাপট থেকে যদি বিচার করি তাহলে আমার টেনশন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারন আমি সাধারন মানুষ চিকিৎসার ধরন, রোগের স্বাভাবিক লক্ষন আমি জানি না। কিন্তু এই কথাটিই যদি ডাক্তাররা আমাদেরকে একটু ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলেন তাহলে আমার টেনশন কিন্তু কমে যায়। তিনি না হয় কিছুক্ষন পরেই আসুক।
ধরুন কোন কারনে যদি আমার রোগীটার ঐসময়ে ভালো মন্দ কিছু হয়ে যেত তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবে আমি কি অভিযোগ করতাম?
এখন এমনটা কি সব ডাক্তার করে? অবশ্যই না। তাহলে আমাদের কি করনীয় বলেন? সাধারন মানুষ হিসেবে আমরা তো জানি না- কোনটা টেনশনের আর কোনটা টেনশনের বিষয় না। প্রিয়জন আমাদের! ডাক্তারদের কাছে আর দশটা পাঁচটা সাধারন রোগীই। তাহলে এই সিস্টেমের সমাধান কি?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এদেশের ডাক্তারদেরও বুঝতে হবে যে একটা ভুল মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন।
১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৫৮
তারছেড়া লিমন বলেছেন: হুজুগে বাঙ্গালীর হুজুগ যখন তুঙ্গে ওঠে তখন কোন বাঁধ ই মানে না । যে মানুষ তার মনুষত্ব হারায় সে আর যাই হোক মানুষ নয়। সব ডাক্তার ই যে কসাই এই কথাটা মানি না ।হ্যাঁ তবে কিছু অর্থের কাঙাল আছে যারা প্রফেশনাল তাদের কাছে ২০০ টাকা মানে হাফ আর ৪০০ মানে ফুল এরা আলাদা তাই বলে আইনের লঙ্ঘন কোন ভাবেই কাম্য নয়।। যে বা যারা এই লজ্জিত কাজ করেছে তাদের অচিরেই বিচারের সম্মুখে আনা হোক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সব প্রফেশনেই ভালো মন্দ রয়েছে। আবার এটাও ঠিক দেশে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা যেভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে সেখানে অনুমান করা যায় লোভের কাছে পরাজিত ডাক্তারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।
২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তবে এই সিস্টেমের সমাধান যাই হোক না কেন, তা ডাক্তারদের গায়ে অন্যায় ভাবে হাত তুলে কোন সমাধান চাই না।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দোষীদের শাস্তি হোক।
২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:১০
রাজীব দে সরকার বলেছেন:
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নিজে আক্রান্ত হবেন না এমন নিশ্চয়তা নিয়ে ভাংচুর মারপিটের মধ্যে একটা আদিম পৈশাচিক উল্লাস রয়েছে। যে কারণে টিচার খাতায় কম নাম্বার দিলেও আমরা রাস্তায় গিয়ে নিরীহ গাড়ীগুলোতে ভাংচুর চালাই।
২২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:২৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আজিব দেশ ! কতখানি ক্ষমতার অহংকার আর নির্লজ্জ হলে পরে ওপেন প্লাটফর্মে এভাবে বলতে পারে কাউকে পিটিয়েছে !
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বিশাল বীরের কাজ করে এসেছে তো!!
২৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৯
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া মানেই তো অন্যায়। আর কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া মানেই অনৈতিকতা। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিছু ভুল হয়তো আমরা সহজেই মেনে নেই। আবার কিছু ভুলের জন্য আইনি মাশুলও গুনতে হয়। বারডেম এর ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। হতে পারে ডাক্তার ভুল করেছে, তাই বলে ৬০/৭০ জন লোক হাসপাতালে ঢুকে ডাক্তার পিটাবে এটা কোন ধরণের বর্বরতা? তবে এটা ঠিক ভুল চিকিৎসা কোন রোগী মারা গেলে কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আমাদের দেশে তার কোন বিচার হয় না। এই ব্যাপারে কোন আইন আছে কিনা জানি না। যদিও থাকে তবে সেটার কোন সুষ্ঠু প্রয়োগ মনে হয় আমাদের দেশে নাই। আর থাকলেও তদন্ত কমিটি পার হয়ে সেটা কখনোই মনে হয় না ডাক্তারের বিপক্ষে যাবে।
আপনি রোগীর সংখ্যার ব্যাপারে যা বলেছেন সেটা অবশ্যই ধর্তব্যে আনতে হবে। উন্নত বিশ্বে কোন হাসপাতালে এক সাথে এতো রোগী দেখার কোন বিধান নাই। প্রতিটা ডাক্তার এবং নার্সের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী থাকে, এবং ঐ সব রোগীদের ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট জবাবদিহিতাও থাকে। লন্ডনে পত্রিকায় অনেক দেখেছি, ভুল চিকিৎসার জন্য ডাক্তার এবং নার্সের চাকুরী চলে গেছে, তাদের জরিমানা গুনতে হয়েছে। আমাদের দেশেও যদি এই ধরণের রীতি চালু হয়, তবে বারডেম হাসপাতালের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কিছুটা হলেও এড়ানো যাবে। বাকীটা এড়ানোর জন্য আমাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা কিছু হলেই সব কিছুর মধ্যে রাজনীতি টেনে নিয়ে আসি। এটা মারাত্মক ভুল। সব জায়গায় রাজনীতি কখনোই কাম্য হতে পারে না। এতে করে মনুষ্যত্বতা এবং মানবতা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে দিন দিন।
হাতের পাঁচ আঙুল যেমন সমান না, ঠিক তেমনি সব ডাক্তারের মন মানসিকতা এক না। তাই বলবো ডাক্তাররাও ধোয়া তুলসি পাতা নয়। অনেক ডাক্তার আছেন, যারা কর্তব্যে যথেষ্ট অবহেলা করে। তাদের মতো ডাক্তারদের জন্যই বাকী ডাক্তারদের বদনাম হয়।
অনেক সময় দেখা যায়, ডাক্তার এবং নার্সের যথেষ্ট আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও এমনকি সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলা সত্ত্বেও রোগী মারা যায়। কিন্তু মৃত্যুটা অনেক সময় রোগীর পক্ষের লোকেরা মেনে নিতে পারে না এবং আবেগ তাড়িত হয়ে ডাক্তার এবং নার্সের ওপর কিংবা হাসপাতালের ওপর আক্রমণ করে। আমাদেরও উচিৎ এই সব পরিহার করা। বারডেমের মতো ঘটনা যদি অহরহ ঘটতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে দেশে কেউ ডাক্তারই হতে চাবে না। ব্যাপারটা ভেবে দেখার দায়িত্ব সবার।
ওপরে অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়ে অভিভূত হয়েছি। অংশগ্রহণকারী সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সচেতনামূলক পোস্ট খুব ভালো লাগলো *কুনোব্যাঙ*। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মন্তব্যে সহমত শুধু একটা পয়েন্ট বাদে।
অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ ও ডাক্তারের অপ্রতুলতার কারণে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের ডাক্তারদের নিদ্রিষ্ট সংখ্যক রোগী দেখান বিধান ঠিক করে দেয়াটা মনেহয় সম্ভব না।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: হ্যাঁ, ভাল-মন্দ মিলিয়েই আমাদের সমাজ । তবে জাতিগত ভাবে আমরা চরম অসহিষ্ণু । সর্বক্ষেত্রে আমরা আমাদের এই অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করি ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এবং একই সাথে কিছু বিষয় নিয়ে আমরা অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করি যেটার বিচার করলে দেখা যাবে আদতে তাতে আমাদের লাভের চাইতে ক্ষতিই বেশী হচ্ছে।
২৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ডাক্তারদের প্রতি আমাদের আলাদা রেস্পেক্ট থাকাটা সব সময়ই জরুরী। কিন্তু সেই রেস্পেক্টটা ডক্তার নামক কসাইরা নষ্ট করে দিয়েছে মানুষের মন থেকে।
>সরকারী হাসপাতালে তো কোন চিকিৎসাই হয় বললেই চলে। অথচ এই কসাইরা প্রাইভেট ক্লিনিকে খুব বড় চিকিৎসক বনে যান। তারপরও কি মুক্তি আছে এই কসাইদের হাত থেকে?
>আপনি ৮০০ টাকা, ১০০০ টাকা, ১২০০ টাকা কিংবা ১৫০০/২০০০ টাকা দিয়ে চিকিৎসাপত্র নিতে যাবেন তারা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের বেশি রুগীর সঙগে কথা বলেনা।
> ভাব খানা এমন যে আকাশ থেকে দেবদূত নেমে এসেছে রুগীর দেখেই সমস্ত রোগ নির্ণয় করে ফেলেছে।
>অহেতুক হাজার হাজার টাকার টেষ্ট ধরিয়ে দেয়। সেখান থেকেও এই কসাইরা পারসেনটেন্স খায়।
> সর্বোপরি ভুল চিকিৎসায় কোন রুগী মারা গেলে তার কোন বিচার হয় না। বরঞ্চ সব কসাই এক সংগে মিলে ধামাচাপা দিয়ে দেয়।
সর্বশেষ কথা হলো - তুমি অধম বলে আমি উত্তম হবনা?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: টেস্টের ব্যাপারে একটু দ্বিমত করছি। আর সবকিছুর মতো চিকিৎসা বিজ্ঞানও দিনদিন উন্নততর হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে চিকিৎসায় বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। এখন কোন ডাক্তার যদি রোগের ব্যাপারে তার ধারণার চাইতে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চায় তাহলে সেটার বিরোধীতাও করা যায়না। তবে এই যে কমিশন বাণিজ্য যার কারণে বিভিন্ন টেস্টের খরচ বাড়ছে সেটার লাগাম টানা জরুরী।
২৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ডাক্তারদের যেমন মানুষকে ভালবাসতে হবে কারণ এটাই তাদের পেশা ঠিক তেমনি আমাদেরকেও ডাক্তারদের সন্মান করতে হবে কারণ সেটা পাওয়ার অধিকার তাদের আছে।
কুনো ভাই ডাক্তারদের প্রতি আপনার এই সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিল। আমিও আপনার মতো ডাক্তারদের শ্রদ্ধা করি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে ডাক্তারদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই বরং কৃতজ্ঞতা রয়েছে। আবার বিভিন্ন ক্লিনিক হসপিটালে রোগীদের থেকে সংঘবদ্ধ ভাবে চিকিৎসার নামে টাকা লুটপাটের অভিযোগটাও অমূলক নয়। আবার ঢালাও ভাবে দোষারূপ করে সংঘবদ্ধ ভাবে বেধড়ক মারধোর করা এটা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। বারডেমে যেটা ঘটেছে তার হোতাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানাই আর একই সাথে দাবী জানাই চিকিৎসায় ভুল ছিলো কিনা সেটা খতিয়ে দেখার এবং অবশ্যই বিশেষজ্ঞ দ্বারা। কোন পুলিশ বা সাধারণ জনতা দ্বারা নয়।
২৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১২
রাজু রহমান বলেছেন: ডাক্তারি পেশা খুবই মহৎ পেশা। কিন্তু কিছু কিছু ডাক্তার রা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষের অকল্যাণ করে বেড়াচ্ছে। হ্যাঁ সত্যি সত্যি মিছু কিছু ডাক্তার কসাই, চলেন তাদের পিটাই!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কসাই হলেও তো তাদের কাছে আমাদের যেতেই হয়। তাই পিটানোটা কি ভালো কোন সমাধান হবে!
২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমাদের দেশের মত পৃথিবীর আর কোথাও এমন নৃশংস ঘটনা ঘটে না।
যেখানে ডাক্তারের চেয়েও বড় ডাক্তার হচ্ছে রোগী আর রোগীর আত্মীয়-স্বজন।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেখানে ডাক্তারের চেয়েও বড় ডাক্তার হচ্ছে রোগী আর রোগীর আত্মীয়-স্বজন।
হাহাহা, , , সত্য কথা
২৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৯
দ্যা লায়ন বলেছেন: ডাক্তার বনাম রুগী,সেবা বনাম পেশা
আজকে মাত্র মন্তব্য সুবিধা পেয়েছি তাই শুরুতে এমন স্পর্শ কাতর বিষয় নিয়ে জটিল মন্তব্য করবোনা।
যারা পিটিয়েছে তারা কোন শ্রেনীর মধ্যে পড়েনা তাই এমন মানুষ গুলোর জন্য ঘৃণা আর যারা মার খেয়েছে তারা একটা শ্রেনীর যা নিয়ে আলোচনা করার আছে এবং এই শ্রেনীর বিশাল একটা অংশ মান এবং স্থান চ্যুত সেই অংশ নিয়ে আপনার সুন্দর পোস্টে অভিজ্ঞতা তথা অভিমত তুলে ধরবো পরে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সেবার ব্রত নিয়ে আসা ডাক্তারদের একটা বিরাট অংশ আজ লোভের কাছে পরাজিত যার সাথে যোগ হয়েছে ব্যবসায়ী নামে কিছু দুর্নীতিবাজ।
আপনার অভিজ্ঞতা ও অভিমত জানার অপেক্ষায় রইলাম।
৩০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
জেরিফ বলেছেন: ডাক্তার দের অবশ্যয় সম্মান করা উচিত । আজ হোক কাল হোক আপনাকে অবশ্যয় ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে ।
সে যাই হোক গত কাল আমার সাথে ঘটে যাওয়া একটা ডাক্তারের কথা বলি ।
আমার শারিরীক অসুস্থতার জন্য জানুয়ারী মাসে ঢাকা মেডিকেল এ গিয়েছিলাম গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজি বিভাগের প্রধানের কাছে । ওনাকে আমার সমস্যা বলার সাথে সাথে উনি বললেন আপনাকে ডি এন এ টেস্ট করতে হবে ,এর পর ট্রিটমেন্ট । এবং আমাকে ৪০ % ডিস্কাউন্ট দেওয়ার জন্য প্রেসক্রিপশানে লিখে দিলেন ।
বাসায় এসে আমি আমার সমস্যা টা আমাদের ব্লগের ই এক ডাক্তারের সাথে শেয়ার করি তো উনি আমাকে খুব ভালো ভাবে উনার হসপিটালের একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে বললেন । উনার কথা মতো আমি ওখানে গেলাম ।আমি ডাক্তার সাহেব কে বললাম যে ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার সাহেব আমাকে কি করতে বলেছেন ।ডাক্তার সাহেব সে কথা কানে না নিয়ে আমাকে ৬ টি টেস্ট করাতে বললেন এর সাথে একটা এন্টি বায়োটিক দিলেন । প্রায় ৪ হাজার টাকা টেস্ট করার পর উনি আমাকে বললেন আপনি ৩ মাস পর আসবেন সাথে একটা টেস্ট করে আসবেন ।
গত কাল আমি টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার সাহেবের কাছে গেলাম উনি সব রিপোর্ট দেখে আমাকে অবশেষে সাজেস্ট করলেন ডি এন এ টেস্ট করাতে হবে।
যে টেস্ট টি আমাকে ৪ মাস আগে করতে বলা হয়েছে সেই টেস্ট আমাকে ৪ মাস পরে একগাদা টেস্ট করার পর সাজেস্ট করলেন ।
আমি কি বুঝবো আপনারাই বলেন ???
তবুও আমি শ্রদ্ধা করি ডাক্তার নামক মহান পেশায় যারা আছেন ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে টেস্ট এখন সাধারণ ব্যাপার। তবে দুঃখজনক হচ্ছে এই টেস্টের সুযোগে অনেক ডাক্তার তাদের কমিশনের ভাগ বাড়ানোর জন্য সাধারণ রোগীদের অজ্ঞতার সুযোগ নেয়।
৩১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭
মুদ্দাকির বলেছেন:
সবাই খালি বুড়া ডাক্তারদের টাকা গুনেন আর জোয়ান ডাক্তারদের পিটান!! ভালো, খুব ভালো !!
সবার পরিবর্তন না হইলে ডাক্তারদের কেমনে পরিবর্তন হবে??
আর ডাক্তারদের বলি রোগি ও রোগির স্বজন ও আত্নিয়দের মানষিক রোগি স্টেটাসে নিয়ে রোগির প্রতি এ্যপ্রোচ করতে শিখুন!!! আসলেই তারা তখন মেন্টাল্লি সিক থাকেন।
আর সবাইকে বলি ডাক্তার কখনো ভুল করতে চায় না, এটা তাঁর প্রফেশনাল ব্যাপার, আর ব্যাপার গুলা সাকিবের ৬ খাওয়া বা বোল্ড আঊট হবার মত সহজও না!! একটা ডাক্তার কোন দিন কোন একটা ভুল করা মানে সারাজিবনের লজ্জার ব্যাপার!!!
ডাক্তারদের নিরাপত্তা বা সহমর্মিতার দরকার নাই, শুধু ইয়াং ডাক্তারদের বেতন অনেক অনেক বাড়িয়ে দিন, তাঁদের মনোযোগ দিয়ে এবং নিশিন্তে পড়ালেখা আর চিকিৎসা করতে দিন। অনেক অনেক অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে, ইনশাল্লাহ!!
যারা বিনা কারনে একজন ডাক্তারকে মারবে তারা এমন মানষিক যন্ত্রনা কিনে নিল যা সে আর কোন দিন কারো কাছে বেচতে পারবে না!!!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এভাবে মারপিট কোন গ্রহনযোগ্য সমাধান না। বিশেষ করে বারডেমের ঘটনা আর যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এই পোষ্ট লেখা সেটা রীতিমতো অমানবিক। বিভিন্ন সময় আমরা নারী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হই কিন্তু একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে একজন নারীকে এতজন পুরুষ মিলে চোর ছিনতাইকারীদের মত করে গণপিটুনি দিলো সেটা নিয়ে কাউকে কিছু বলতে শোনলাম না।
৩২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
আলী খান বলেছেন: মানি ডাক্তারী পেশা একটি মহৎ পেশা, কিন্তু তারা আইন-কানুনের উর্ধে নয়, তাদের ভাবসাব দেখলে মনে হয় তাদেরকে সাংবিধানিক ভাবে দায় মুক্তি দেয়া হয়েছে।
আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া কাম্য নয়,
আপনাদের হয়ত অনেকের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের ডাক্তারদের রোগীর প্রতি আচরন সম্পর্কে।
আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত...........আমার জন্য দোয়া করবেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বাংলাদেশে ভুল চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক আইন নেই বা থাকলেও তার প্রয়োগ নেই। যার কারণে চিকিৎসক নামের কিছু দূর্নীতিবাজ বিভিন্ন ভাবে রোগীদের হেনস্ত করে।
আপনার সুস্থতা কামনা করি।
৩৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
মুদ্দাকির বলেছেন: @ জেরিফ এটা আপনাদের ডাক্তার শপিং এর ফল, প্রথম ডাক্তার হয়ত আপনাকে ঠিক উপদেশই দিয়েছিলেন, আপনি কেন তাকে বিশ্বাস করলেন না?? যাই হোক ভালো থাকুন!!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @জেরিফ
৩৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮
দখিনা বাতাস বলেছেন: বাংলাদেশের ডাক্তারের পক্ষ নিয়া আমি কিছু বলতে গেলে আমার মৃত বাবার আত্না কস্ট পাবে। কারন আমার বাবা মারা গেছে এই রকম ভুলের কারনে। পরে হসপিটালের সব ডাক্তাররা মিলে ঘটনা ধামাচাপা, কত কি। আম্মাকেও ঐ একি কাজ করতে নিছিল বছর ২ আগে। কোনমতে বিদেশ নিয়ে রক্ষা।
গত মাসে আমার এক বন্দুর চাচা, বেচারা ৬৬ বছরের বুড়া মানুস, খারাপ দাত রেখে ভালোটা ফেলে দিসে। তারাও স্সানীয় মানুষ, গিয়ে দিসে একটা থাপ্লড় ঐ ডাক্তারকে। মৃত রোগিকে ভর্তি করে কেবিন ভাড়া নেওয়ার চেস্টা কোরছিল েক ডক্তার। এমন বাংলাদেশী ডাক্তারডের ভুলের আর অব হেলার কাহিনি আছে ঘরে ঘরে।
কেউ াবার দিতে আইসেন না, সেবার মহান পেশা, অনেক রোগী সামালাইতে হয়- ীসব ফালতু যুক্তি। যেি ঘটানা গুলো বললাম, সবকয়টা খুব ভালো অংকের ফি নেও্য়া ডাক্তার। টাকা ডিয়ে সার্ভিস নিতে হয়, মহান কিছু না
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: প্রাইভেট ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা এবং এদের দ্রুত প্রসার দেশের একটি অশনি সংকেত।
৩৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
দখিনা বাতাস বলেছেন: তারপরেও সবাইকে বলি, ডাক্তার পিটাইয়েন না, আমাদের মত চুপ করে মেনে নিন নিজের বাবাকে ভুল চিকথসা করে মেরে ফেলেও। একদিন এরা নিজেরাই নিজডের মারবে, বেশিদিন না। এখনই শুরু হয়ে গেছে, ভাবির বড় ভাই কুমিল্লার ডাক্তার, কিডনী পাথর অপারেশনের জন্য ইস্কাটনে ক্লিনিকে গেছিল, খুব ভাল সার্জন তার ১২টা বাজাইছিল, জীবন নিয়ে টানাটানি। পরে উনিই আমার আম্মার কিডনি দেখানোর জন্য বলছিল যেইভাবে পারেন বিদেশ নিয়ে যান। ামি নিজে ডাক্তার হয়েও মরতে নিসিলাম। সবার সেষ কথা- পিটাি্যেন না। সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে নেন। কারন একমাত্র বাংলাদেশই দুনিয়ার একটা দেশ যেইখানে ডাক্তারা "মহান সেবা"য় নিয়োজিত
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: যেভাবেই দেখেন, অনেক ডাক্তার হয়তো খারাপ। থাকতেই পারে, সবখানেই খারাপ ভালো আছে। খারাপদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সুযোগ পেলে খারাপ মানুষ খারাপ কাজ করবেই তা সে যেই পেশাতেই থাকুক না কেন। কিন্তু এমন অনেক অনেক মানুষ আছেন যারা ডাক্তারদের দ্বারা সত্যিই উপকৃত। সত্যি বলতে কি, ব্যক্তিগত ভাবে আমার নিজেরও ডাক্তারদের ব্যাপারে কোন অভিযোগ নেই বরং কৃতজ্ঞতা আছে। আমার বাবার একটি আর মা'র দুইটি বড় অপারেশন হয়েছে। এছাড়াও ছোটখাটো চিকিৎসা রয়েছেই। মা দীর্ঘদিন ধরে হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী। ২/১ টি জায়গায় কিছু সমস্যা হলেও অধিকাংশ ডাক্তাররাই যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথেই কাজ করেছেন।
৩৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ডাক্তার পেশাটি আমার কাছে আল্লাহর এক অপার রহমত বলে মনে হয়। তারা যেভাবে সরাসরি মানুষের কল্যাণ করে অন্য পেশায় তেমনটি দেখা যায় না। যাক, বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তার খুব অল্প। একদিনে বিপুল সংখ্যক রোগীকে দেখার চাপ থাকে। ফলে মানসিক চাপ ভর করে। এতে কিছু ভুল-ত্রুটি হতেই পারে। যদি ডাক্তার সত্যি সত্যি দোষী হয় তবে তাকে বিচারের আওতায় আনা যেতে পারে।
কিন্তু...। বাংলাদেশে এত সিস্টেম মত কিছু হয় না। বাসের ধাক্কায় কোন মানুষ নিহত হলো, "ভাঙ্গো গাড়ি"। দেখা গেলো, কয়েক মিনিটের মধ্যে ৫০টি গাড়ি ভেঙ্গে চুরমার। গাড়ির কি দোষ ছিল?
এটা আমাদের জাতীয় কালচারে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই এর জন্য দায়ী। আমরা যতদিন সভ্য হবো না ততদিন এমনটি ঘটতেই থাকবে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এটা আমাদের জাতীয় কালচারে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই এর জন্য দায়ী। আমরা যতদিন সভ্য হবো না ততদিন এমনটি ঘটতেই থাকবে।
৩৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
দখিনা বাতাস বলেছেন: ইছামতির তীড়ে @ ভাই সিটি করপোরেশনের সুইপাররা একদিন ঢাকা শহরের কাজ বন্দ রাখলে বুঝবেন - তারা যেভাবে সরাসরি মানুষের কল্যাণ করে অন্য পেশায় তেমনটি দেখা যায় না।
ঢাকা শহরে পুলিশ খালি বলুক তারা ২দিন কাজ করবে না। দেখেন বাসা থেকে বের হউয়া দুরের কথা বাসায় থাকতে পারেন কিনা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কোন পেশাই অপ্রয়োজনীয় নয়।
৩৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বন্যা বা বড় বড় ঘূর্ণিঝড়ে ডাক্তারদে ওপর কেমন যে প্রেশার যায় । জানি কিছু কিছু ডাক্তার ঝামেলা করে।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ডাক্তারদেরও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আবার বিপুল জনসংখ্যার দেশে অপ্রতুল ডাক্তাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।
৩৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: সকল পুঞ্জিভুত ক্ষোভ গিয়ে পড়ে একজনের ওপরে , একাধিক ব্যাক্তির ভুলের কারনে , এটিকে আমি খুবই সাধারন ঘটনা হিসাবে দেখি । আমি বারডেমের রোগী , চিকিৎসাধীন ছিলাম এক টানা দশদিন । আমার দেখা বা পাওয়া অনুভূতি আপনি অনুভব করতে পারবেন না । মানুষ বর্বর আচরন করেছে তেমনি ডাক্তার নার্সরাও বর্বর এবং নারকীয় ব্যাবহার করেন রোগীদের সাথে । এখন আর বারদেমে যাইনা , যাই পয়সা দিয়ে ক্লিনিকে ঐ বারডেমের বিশেষজ্ঞদের কাছে । একজন ডাক্তার তর্ক করছিলেন আমার শারিরিক সমস্যা নিয়ে , তাঁকে বললাম আমার এই মুহূর্তে শরীরের ভেতর যে অনভুতি তাকি আপনি অনুভব করতে পারবেন? থেমে গেল তর্ক , হেসে দিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করলেন । বারডেম এর মাঝে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল । এতো ভালো তার ব্যবস্থাপনা আর আয়োজন যে আপনি বলবেন তাহলে দুইপাশে কেন এই ব্যাবস্থাপনা নেই । আমার এক আত্মীয় কেবিনে ছিলেন অপারেশনের পর । ঐ অবস্থায় একজন নার্স তার সাথে দুরবাবহার করল । বিকালে তার আত্মীয় এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা দলবল নিয়ে চলে এলেন বোনকে দেখতে । কি পড়িমরি দৌড় পরিচালক থেকে ডাক্তার নার্স সব। এক দেখার মতো দৃশ্য । পরে তিনি ভি আই পি ট্রিটমেন্ট পেয়েছিলেন । আমি এতো কিছু বললাম এজন্য যে বারদেমে ভর্তি না থাকলে বারডেম বুঝবেন না । ডাক্তারদের জানা উচিৎ কোনটি জেনারেলের বোন,কোনটি পুলিশের বাবা আর কোনটি ব্লাডি সিভিলিয়ান । পুলিশ তো মারবেই , ওকে তৈরি করা হয়েছে মানুষ পেটানর জন্য । আমি মোটেও দুঃখিত নই একটি মৃত্যুর বিনিময়ে তিনটি জানোয়ারকে হোয়াইট ওয়াসের জন্য । জেগে ওঠো বাহে !!
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চিকিৎসা সেবা নিতেও যদি ক্ষমতার জোর দেখাতে হয় তবে নিশ্চই সেটা দুঃখজনক। তবে সরকারের একজন দায়িত্বশীল আইন রক্ষক যদি নিজে ইন্ধন দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে তাহলে তারও কঠোর বিচার হওয়া প্রয়োজন। স্বাধীন দেশে যাচ্ছেতাই করার অধিকার যেমন ডাক্তারদের নেই তেমন পুলিশদেরও নেই তেমনি নেই কোন জনগণের। কিন্তু প্রশাসনের লোকেদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি সাময়িক বরখাস্ত। এটা কি আইনের সঠিক প্রয়োগ নাকি সেটা আমরা জানিনা।
৪০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
অদৃশ্য বলেছেন:
সমস্যার শেষ নাই... ইদানিংকালের ডাক্তারদের টাকার প্রতি নিয়ন্ত্রণহীন লোভ আর সাধারণ রোগীদের প্রতি ব্যাপক অনিহা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়... একজন রোগী ও তার পরিবারের একজন ডাক্তারের কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকে... কিন্তু একজন ডাক্তারের একজন রোগীর প্রতি কোন ফিলিংস থাকেনা শুধু অর্থের ব্যাপারটা ছাড়া...
আমার বন্ধুর ছোটখাট একখানা ডায়াগোনেষ্টিক সেন্টার আছে যেখানে কয়েকজন ডাক্তার নিয়মিত বসেন... সেই সুবাদে ডাক্তারদের আরো কিছুটা কাছ থেকে দেখবার সৌভাগ্য হয়েছে...
কে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন শর্ট টাইমে সেই প্রতিযোগিতাতে বর্তমানের ডাক্তাররা মেতে উঠেছেন... দেখেন পাশ করবার এক বছরের মাথাতেই তারা ৫/৭টা অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট লাগিয়ে বসে আছেন... কি না পারেন তারা...শুধু ভালো চিকিৎসা চান তাদের কাছ থেকে... ভালো একটা এ্যাডভাইস চান তাদের কাছ থেকে তারা তা আপনাকে দিতে পারবে না... বাস্তবতা এমনই... দিনকে দিন ডাক্তারদের চেহারা রাক্ষসদের মতো হয়ে যাচ্ছে...
কথাগুলো অবশ্য সব ডাক্তারদের জন্য নয়... অনেক ভালো ডাক্তার আছেন যাদের কাছ থেকে প্রত্যাশার থেকেও বেশি পাওয়া যায়... এরা সেইসব ডাক্তার যাদের কাছে বসলেই রোগী মানসিকভাবে অনেকখানি সুস্থ হয়ে যান।
তবে কথা হলো মারপিট কোন সমাধান নয়... ডাক্তারদের বিবেক ও মনুষ্যত্বকে জাগানোটা জরুরি হয়ে পড়েছে... কে করবে সেটা বা কারা করতে পারবে সেটা ??
শুভকামনা...
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শুধুমাত্র ডাক্তারদের দোষ দিয়েই কি হবে! বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই দুর্নীতি লাগামহীন। ফিটনেস বিহীন গাড়ী দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মানুষ মারছে, পুলিশ বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড চালাচ্ছে, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড একটি সাধারন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিষাক্ত খাবার খেয়ে মানুষ মরছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
৪১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
জেগে উঠার দিন বলেছেন: দেখুন, কারো প্রতি কোন ধরণের নৃশংসতাকে আমি সমর্থন করিনা। কিন্তু এই গত পরশু আমার নিজের সাথে ডাক্তাররা যে আচরণ করেছে তাতে শুধু হাত তুলা না, দু একজনকে মেরে ফেললেও অন্যায় হতো না। কিন্তু আমি কিছুই বলিনি, কিচ্ছু না। কিন্তু সবাই তো আর আমার মতো সর্বংসহা না ? ডাক্তারদের হয়ে সাফাই দেবার আগে দয়া করে কয়েকজন ডাক্তারের চেম্বারে একটু যাবেন। কাছাকাছি হাসপাতালেও একবার ঢু মারতে পারেন। ভালো ডাক্তার হয়তো আছেন কিন্তু আমার জীবনে আমি খুব কমই দেখেছি। চুর চোখের সামনে ঘর চুরি করে নিয়ে যাবে আর সবাই "অবরুধ বাসিনী" র মতো নিজেকে পর্দার আড়ালে লুখিয়ে রাখবে তা তো সব সময় না ও হতে পারে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ২/৪ জন যে আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেনি ব্যাপারটা তা নয়। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমার ভিন্ন। অধিকাংশ ডাক্তারদেরই আন্তরিকতা পেয়েছি। তবে উগ্রতা কোন সমাধান নয়, বারডেমে যেটা ঘটেছে সেটা যে কোন কিছুর ভিত্তিতেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কিছু পেশার মানুষের উপর বাধ্য হয়েই বিশ্বাস রাখতে হয়। ডাক্তার, খাবারের দোকানদার আর তার বেয়ারা, নাপিত ইত্যাদি। তাদের মেরে তো কোন সমাধান পাবেন না। মারলে হয়তো খাবারে দোকানের বেয়ারা পানির গ্লাস দিতে গিয়ে সেখানে বর্জ্য মিশিয়ে দিবে অথবা নাপিত চুল কাটতে গিয়ে কানের লতিতে আলতো করে কাঁচি চালিয়ে দিবে।
৪২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
জেগে উঠার দিন বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার; অপরাধ করলে তার সাজা হবে। আইন সবার জন্য সমান- তা জীবনে কোনদিন শুনেছেন যে, কোন ডাক্তারের অপরাধের বিচার হয়েছে ? সয়ং সরকারও হয়তো তাদের কাছে জিম্মি। তাই সব সময় তারা আইনের হাতের বাইরে থাকেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: নাহ, আইন সবার জন্য সমান না। সাধারণ কেউ অপরাধ করলে হয়তো আইন ঠিক আছে কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল কেউ অপরাধ করলে তাকে ক্লোজ করা পর্যন্তই শাস্তি হয়তো।
৪৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ শাহ আজিজ ভাই আপনার সংগে আমি ১০০% একমত। আপনি খুবই চমৎকার বলেছেন।
বাংলাদেশের ডাক্তার ৯৯.৯% কসাই। কসাই বললে ভুল হবে জাত কসাই। তবে ০.১% ডাক্তার ভালো তার রুগীর সংগে ভালো আচরন করে। তাদেরকে জানাই সেলুট।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: কসাই হলেও সংকটাপন্ন মুহুর্তে তাদের শরণাপন্ন হতে হয়, তাই মারপিট এটার কোন সমাধান হতে পারেনা। ভায়োলেন্স ভায়োলেন্স আনবে।
৪৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: উকিল কে রাতের আঁধারে টাকা দিয়ে এসে কাওকে বলতে শুনিনি উকিল কসাই। কারণ উকিল আপনাকে প্রমিস করেছে সে আপনার হয়ে বাঁশ দিয়ে দিবে। ক্লিনিকের বিল এড়াতে সাংবাদিক আর মাস্তান সহ ক্লিনিকে হাজির হতে দেখেছি। আজ রাতে "চেস্ট পেন" কমপ্লেইন নিয়ে ট্রাই করেনতো কোনো ক্লিনিকে ভর্তি হতে? টের পাবেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সাংবাদিক আর পুলিশরা ইদানিং নিজেদের সবকিছুর ঊর্ধে ভাবা শুরু করেছে। আর ক্লিনিক বাণিজ্যের অতি মাত্রায় প্রসার আমাদের ভাবনায় ফেলে তাদের দ্রুত উন্নতির পেছনের রহস্য নিয়ে।
৪৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রোগী সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া সম্ভব না। আমি মনে হয় নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথাও বলি নাই। শুধু উদাহরণ টেনেছি। বলার কারণ হল, যেহেতু রোগী সংখ্যা নির্দিষ্ট না, তাই কখনো কখনো ভুল হতেই পারে। কারণ অতিরিক্ত চাপ নেয়ার ক্ষমতা সবার নাই। তার ওপর এই চাপ যদি হয় নিয়মিত, তবে তো আরও দুরূহ হয়ে উঠে। সুন্দর একটা পরিবেশের জন্য আমাদের সবারই সহনশীল, সহানুভূতিশীল হওয়া এবং পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সুন্দর একটা পরিবেশের জন্য আমাদের সবারই সহনশীল, সহানুভূতিশীল হওয়া এবং পারস্পারিক সমঝোতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।
৪৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৩
আমি সাজিদ বলেছেন: @কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, আমি তো তাই বলছি, সাধারন মানুষের জানার কথা না যে চিকিত্সার প্রসেস নিয়ে।আবার অসুস্থ স্বজনের প্রতি তাদের অবেগ কেও আমি শ্রদ্ধার চোখে দেখি।
এখন বলেন, একজন ডিউটিরত ডাক্তারকে কতোজন রোগীর দিকে খেয়াল রাখতে হয় আমাদের দেশে, সরকারী হস্পিটালের ওয়ার্ডে গেলে বুঝতে পারবেন রোগীর তুলনায় ডাক্তার সংখ্যা কতো কম।এখন, ইন্ডিভিজুয়ালি প্রত্যেক রোগী যদির স্বজন যদি কিছুক্ষন পর পর এসে তার রোগীকে দেখতে ডাক্তারকে অনুরোধ করে তাহলে ডাক্তার কোনদিকে যাবে ?
আমার নিজের চোখে দেখা একটা ঘটনা শেয়ার করছি -
কোন এক কাজে আমাদের মেডিকেলের ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম এক ডিউটিরত ইন্টার্ন ভাইয়ের কাছে। কেবিনে এক রোগীর এটেন্ডেন্স এসে কিছুক্ষণ পরপর ভাইঅকে অভিযোগ করছিলো - তার পেশেন্ট কথা বলছে না, ভাই গিয়ে দেখলেন, রোগীকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছিলো যেহেতু রোগী শারিরীক ভাবে দূর্বল ছিলো, তাই ডাক্তার বললেন রোগীর ঘুমানোটা স্বাভাবিক। কিছুক্ষন পর ওই লোক আবার আসলেন, বললেন তার রোগী এপাশ ওপাশ করছেন, ডাক্তার দেখে আসলেন।কিছুক্ষন পর আবার এসে বললেন তার নিজের ( রোগীর এটেন্ডেন্সের ) মনে হচ্ছে, রোগীর শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার দেখে আসলেন, কিছুই না…এর্পরেরবার ওই রোগীর লোক ঘন ঘন আসলে ডাক্তারের বিরক্ত হ-ওয়া টা স্বাভাবিক তাই না ?
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চেষ্টা করি আমার এলাকার কিছু সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের চিকিৎসার ব্যাপারে কিছুটা সহযোগীতা করার। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এদের ওষুধের কোর্স দিলে এরা সেটা শেষ করেনা। একটু সুস্থ হলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং স্বাভাবিক ভাবেই আবার অসুখে পড়ে। তারপর আমার কাছে এসে বলবে যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো সে ডাক্তার ভালোনা আরেক ডাক্তার দেখাতে হবে। অনিয়ম করে সমস্যা বাঁধাবে আর দোষ সব ডাক্তারের। এসব দেখে আমার নিজেরই মাঝে মাঝে ভীষণ মেজাজ খারাপ হয় ডাক্তারদের কথা আর কি বলবো।
৪৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৫
টুম্পা মনি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। আমাদের দেশের কতিপয় সাংবাদিক অনেক সময় অনেক কিছু না বুঝেই ডাক্তারদের নিয়ে রিপোর্ট করে। ব্যাপারগুলো খুব দুঃখ দেয়! এভাবে দিন দিন আমাদের দেশের সমস্যা বাড়বেই বৈকি! কমবে না। আশার কথা হল আমাদের দেশের মেডিকেল সাইন্স এখন অনেক উন্নত হয়েছে। এটা ধরে রাখতে উৎসাহ চাই। অসত্য নিউজ প্রচার আমাদের দেশের ডাক্তারদের নিরুৎসাহিত করে। তাই আসুন ডাক্তারদের কষাই বলারআগে অন্তত একবার বাস্তবতা ও প্রকৃত সত্য যাচাই করে দেখি। ধন্যবাদ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এভাবে দিন দিন আমাদের দেশের সমস্যা বাড়বেই বৈকি! কমবে না।
৪৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: @দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী আর শাহ আজিজ, ৯৯% কসাই যে দেশের ডাক্তার সেদেশে মহামারী হয়ে কোটি কোটি মানুষ মারা যাবার কথা।মরে না ক্যান ?
যদি ধরি আপনাদের জন্ম হয়েছিলো সিজারিয়ানের মাধ্যমে, তাহলে আমার আফসোস ডাক্তার আপনাদের মায়ের পেট কেটে মানুষ বের না করে আপনাদের মতো জানোয়ার বের করেছিলেন !
না বুঝে মূর্খের মতো কথা বলে হাসির পাত্র হবেন না। যত্তসব…
৪৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৩
আলী খান বলেছেন: শাহ আজিজ ভাই আপনার সাথে আমি একমত, আমাদের জেগে উঠতে হবে...
৫০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫১
আমি সাজিদ বলেছেন: জেগে উঠেন, জাগার আগে নাম ঠিকানা দিয়া যাইয়েন।ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে দিবো…
৫১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০১
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: দুখজনক ঘটনা , দোয়া রাখি ডাঃ গন সবাই ভাল হোক , দেবা দিক ।
৫২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৬
ভালোবাসার কাঙাল বলেছেন: একটি প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বেশ গুছিয়ে আলোকপাত করেছেন। আপনাকে সাধুবাদ জানাই। আসলেই এমনটা আমাদের কাম্য নয়। সুদিন আসবে একদিন
৫৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩৬
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক আর লজ্জা জনক একটা ব্যাপার । কিছু হলেই মারধোর করা , এরকম অসুস্থ এক শ্রেণীর বিবেক শূন্য মানুষ আছে , যাদের কখনই বিচার হয় না ।
ডাক্তারি একটা মহৎ পেশা হলেও , সব ডাক্তাররা কিন্তু মহৎ নন ।তাদের ভুল হলে তেমন কোন জবাবদিহিতা দেখা যায়না ।শুধু পেশার খাতিরে কোন ভুল হলে তাকে ডিফেন্ড করাও যেমন অন্যায় , কিন্তু এইরকম মারধোর করা !সত্যি খুবই কষ্ট পেলাম । এদের শাস্তি হবে কিনা জানিনা ।
পুরো ব্যাপারটাই এমন হতাশা জনক , যে আর বলে কি হবে !এসব ঘটনায় প্রতিকারের তো কোন সম্ভবনা দেখি না । ।
৫৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৬
সানড্যান্স বলেছেন: জেরিফ(জেরিফ ) এর উদ্দেশ্য বলছি আগে
তোমার ব্যাপারে যেটা হয়েছে, ডাক্তার চেঞ্জ করলে সব রিপোর্ট নতুন করে করে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে আগে অবগত হয়। তোমাকে আমি যার কাছে পাঠিয়েছিলাম উনি বাংলাদেশের সেরা একজন গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজিস্ট, উনি প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে দেন পথ্য দেন, দিয়ে দেখেন যে কতটা কম খরচে রোগীকে সুস্থ করা যায়।
তোমার খুব সম্ভবত আগে প্রচুর এন্টিবায়োটিক নেয়ার হিস্ট্রি আছে, যার ফলে ওই এন্টিবায়োটিক তোমার রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে।
আর ওনার ব্যাপারে আরেকটা প্রচলিত কথা হল উনি রোগ ডায়াগনোসিস করে দেন ট্রিটমেন্ট করেন।আমাদের দেশের ডাক্তারদের ডায়াগোনসিস করার ক্ষমতা খুব দূর্বল, তারা একাধিক ঔষধ একি সাথে প্রয়োগ করায় অনেক ক্ষেত্রেই রোগ সেরে যায়।
আমি আজ পর্যন্ত ওনার কাছে যতজন রোগী পাঠিয়েছি, সবাই আল্লাহর রহমতে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আমি তোমাকে এই গ্যারান্টি দিতে পারি, তুমি তার আন্ডারে ট্রিটমেন্ট করালে অবশ্যই পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করবে।
আর এমনি পোস্টের মন্তব্য :
আমি ঠিক করেছি আমার সামনে কেউ ডাক্তারদের সমালোচনা করলে আমি ইউজুয়ালী যেটা বলি, ভগবানের কাছে চলে যান, উনি বড় ডাক্তার!
৫৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৩
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ডাক্তারি একটা মহৎ পেশা কিন্তু ডাক্তার নামের কিছু পশুর কাছে আজ আমরা জিম্মি ।
৫৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
জমরাজ বলেছেন: ডাক্তাররা সব কসাই, চলেন ডাক্তার পিটাই!!
কিন্তু আমি বলি ডাক্তার নামের কসাইদের চলেন পিটাই।
৫৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুনিয়াতে সবচাইতে অসভ্য অশিক্ষত অকর্মন্য অপদার্থ জাতি হলাম আমরা। শত কোটি টাকা খরচ করে খামোখা গান গাইবো আর শত শত হাসপাতালে এসপিরিন ট্যাবলেটাও নেই! এক্সরে তো কল্পনা!
৫৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৩
বেলা শেষে বলেছেন: ডাক্তাররা সব কসাই, চলেন ডাক্তার পিটাই!!
Assalamualikum, Looks like all old & famous Bloggers are fighting for writing.....fighting for election or selection, excuse me- we have to shame to each other. Now a days i shame my ownself to be a bengal.....
....we have to Respect all Doctors of the World- not only in Bangladesh!....it will take time - may be very Long time for Bangladesh but we shall Change the Situation. "The Doctors of the World" ..... shall & must treat the wrong peoples!!!
Brothers & Sisters, Respect & Salam to everybody....
..up to next time.
৫৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০০
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ডাক্তার মেরে কি লাভ হবে? আরেকটা স্ট্রাইক? কতদিন চলবে? শেষে ধরা খাবে তো এই সাধারণ মানুষ!
৬০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০১
বেলা শেষে বলেছেন: ...if the Bloggers make heat....
Samu will them treat!!!
৬১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডাক্তার! আহ
ভাই বারডেমের স্পেসিফিক ইস্যুটা নিয়া যদি বলেন তাহলে জানুন ডাক্তার সত্যিই দোষী।
কারণ তারা রোগীর লক্সাধিক টাকার বিল না নিয়েই যে কোন উপায়ে তরিঘড়ি লাশ হাসপাতাল থেকে বের করতে চাইছিল। কারো সন্দেহ হলে জেনে নিতে পারেন।
না এটা জাষ্টিফাই করছিনা ডাক্তার পিটানো। বরং ঘটনার সত্যতা জানানোর।
ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর খবর হরহামেশাই দেখা যায় পত্রিকায়। অপ্রকাশীত বহু তো জানাই হয় না।
আর আমার মায়ের জীবন কিভাবে আরো ১৫ বছর আগেই চলে যেত- এই বারডেমে তাতো স্বচক্ষে দেখা।
১১ তলায় কেবিনে ভর্তি। তারা কোন একটা উনজেকশন ভুল পোয়েজ করলো। সকাল থেকে মার শরীর ফুলে ঢোল। দৌড়াদৌড়ি- তারা একটা পাইপ লাগিয়ই খালাস্
কানাডা ইমিগ্রান্ট ভাই-তো ঐ দেশী সেবায় অভ্যস্থ! সে সাউট করলো সেবা নিয়ে।
ব্যাস মরার উপর খাড়ার ঘা। সব কথিত মহান সেবক রা কেবিন বয়কট করলো...
আল্লাহর রহমত হিসাবে ঐদিনই আমার ভায়রা ভাই অব: বিগ্রে: ফোন করলেন দেখতে আসছেন। ঘটনাচক্রে বারডেমের চীফ উনার বন্ধু। ফোনে ফোনে যোগাযোগ। তারা দুজন যখন এসে কেবিনে ঢুকল এইবার আলিফ লায়লার মতো দৃশ্য বদল।
ডাক্তার নার্সের লাইন লেগে গেল।
চীফ শুধূ বোর্ডটা হাতে নিয়ে ভ্রুকুচকালেন- এই রোগীকে এই ইনজেক্শন কে দিয়েছে!!! বলেই আবার থেমে গেলেন আশেপাশে আমরা সাবই উপস্থিত,,,
সাথে সাথে উনি একটা ইনকেজশন লিখে দিলেন। পুশ করার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে মা আবার স্বাভাবিক দেহ ফিরে পেলেন।!!!!!
এখন এইরকম মিরাকল বা ইনসিডেন্ট তো সবার সাথে ঘটে না।
এগুলোকে কি বলবেন। স্রেফ অবহেলা! ভুল! ক্ষমার যোগ্য!
না পরলে যেওনা ঐ পেশায়। তোমার ধৈর্য! তোমার সহিষ্নুতা, তোমার জ্ঞানের নির্ভুল প্রয়োগ যথার্থ হতেই হবে।
সেনা, নৌ, বিমান, বিশেষ শ্রেণীগুলোতেতো আর সবাই যায় না। যে সাহসী, যে পারবে,যে কোন অজুহাত দেখাবেনা তার জন্যই বিশেষায়িত সেক্টর।
তাই তাদের ঠুনকো অজুহাত যেমন গ্রহনযোগ্য নয়, তাদের ভুলের জন্য আইন নিজের হাতে নেওয়াও সমীচিন নয়।
এই বিশেষায়তি পেশা সমূহে রাজণীতি সম্পূর্ণ নিষে করা হোক।
ডাক্তার, শিক্ষক সহ সেন্সেটিভ পেশার শর্তই হতে হবে রাজনীতি মুক্ত।
আর যারা করতে আগ্রহী অবসেরর পর- অথবা ঐ সেক্টর ছেড়ে দিয়ে এসে সরাসরি রাজণীতি কর। কিন্তু পেশায়রত অবস্থায় কোন ভাবেই নয়।
৬২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫৭
মাহাদি হাসান বলেছেন: এই বিশেষায়িত পেশাগুলোর কোন নীতিমালা কি আছে? আমি আমার অজ্ঞতা থেকেই জানতে চাচ্ছি। কোন আইন কানুনের বালাই কি আছে এখানে? পাশ্চাত্যে ভুল চিকিৎসার জন্য শাস্তির বিধান আছে, আমাদের কি আছে সে ধরনের কোন নীতিমালা। থাকলে তার প্রয়োগ দেখি না কেন?
এর আগে শুনেছি আদালতে করা একটা রিট মামলার প্রেক্ষিতে ইমার্জেন্সী রোগীকে যে কোন প্রাইভেট বা সরকারী হাসপাতালে তাৎক্ষনিক ভর্তি করবার বিধান করতে বলা হয়েছে। তার মানে হল এর আগে এই বিধান ছিল না। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে এই নীতিমালাহীনতা ভুক্তভোগি। যথেষ্ঠ চিকিৎসা দেবার মত উপায় ও উপকরন থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা দিতে অপারগতার কথা বলে ডাক্তাররা ফিরিয়ে দিয়েছিল। এখানে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাটা এখন আইনী প্রক্রিয়া সমাধান হওয়াতে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন।
অন্যদিকে এর আগে প্রায় সব কেসেই এগুলোকে ঢাকা মেডিকেলে ডাইভার্ট করে দেয়া হত। এর জন্য কিছু মুখরোচক মিথ তৈরী করা হয়েছিল যে ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সী বেস্ট জায়গা ইমার্জেন্সী কেসের জন্য।
সত্যি কি তাই। যারা ডাইভার্ট করছেন তারা নিজেরাও ডাক্তার হয়েছেন ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে, এবং ঢাকা মেডিকেলের থেকে শতগুন ভাল চিকিৎসার সরঞ্জাম থাকা সত্ত্বেও তারা দিচ্ছিলেন না চিকিৎসা। কারন কি? বানিজ্যিক নাকি অন্যকিছু?
যাক এখন তারা নিতে বাধ্য কারন আদালতের রায়। একজন চিকিৎসকের সব রায় যদি মেনে নেই তাহলে আর অপচিকিৎসা বলে কিছু থাকবে না, কারন কোন ডাক্তারকে পাগলে পাইছে যে তিনি বলবেন যে আমি আপনাকে ভুল চিকিৎসা করেছি।
একি রিপোর্টে দুই ডাক্তার দুই মন্তব্য করছেন অথবা একজন ডাক্তারের সাথে আরেক জনের রোগ নির্নয়ের কোন মিল নেই। এই ধরনের ঘটনা ভুরিভুরি।
পেটাপেটি নিয়ে আলোচনায় আমি আগ্রহ পাই না, কিন্তু যদি আমাদের চিকিৎসার মানের প্রশ্নটাকে সামনে আনতে হয় তাহলে হাসপাতালে রোগী এবং ডাক্তারের ক্ষমতাকে ব্যালেন্স করতে হবে। এর জন্য দরকার নীতিমালা যা কেস বাই কেস সমস্যা সমাধানের আমাদেরকে আত্ননিয়োগে আগ্রহী ও বাধ্য করবে।
কুনোব্যাঙ যে ঘটনার বিবরন দিয়েছেন তা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ঘটনা, সেই সাথে এমনো ঘটনা হয়েছে যেখানে এই হাসপাতালে অপারেশনের রোগীকে চিকিৎসকরা মারধর করেছেন এবং পরে তাকে হাসপাতাল থেকে বিতাড়ন করেছেন।
৬৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
খাটাস বলেছেন: পোস্ট আর মন্তব্য সব গুলো পড়লাম। কি বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। কারন পোস্টের মুল বিষয়ের সাথে আমি ও একমত।
তবে প্রিয় কুনো ভাই, এখানে একটা বিষয়ে কিছু বলতে চাই- আপনি আপনার পরিচিত একজন ডাক্তার কে রোগীদের জনরোষের মুখে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে বাস্তব সম্মত আবেগ দিয়ে পোস্ট টা দিয়েছেন।
তাই ডাক্তার দের অনেক নিরীহ, আর সাধারণ কে অনেক হিংস্র দেখাচ্ছে। তবে হ্যাঁ, সাধারণে যে খুব তাড়াতাড়ি হিংস্র হয়ে যায়- তা অস্বীকার করি না। কিন্তু
একজন ভুক্তভোগী রোগী- আলোচ্য বিষয় নিয়ে লিখলে আবার ডাক্তার কে কসাই প্রমান করার চেষ্টা করতেন।
যে যার পরিচিত দের কে একটু প্রাধান্য দেবে- বাংলাদেশের সমাজ তো এই শিক্ষাই দেয়।
কিন্তু সত্য টা আসলে কি?
ডাক্তার যদি একজন রোগীকে নিজের হাতে মেরে ও ফেলেন- তার পর ও তাঁকে পেটানোর কোন অধিকার মানুষের নেই। রাষ্ট্র এর বিচার করবে।
কিন্তু ডাক্তার রা অনেক ভুল করেন যেখানে রোগী মারা যায় না, নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমন কি তারা শুধু ক্লিনিকের না খারাপ ডাক্তার না, অনেক ভাল ডাক্তার ও এমন কাজ করেন।
আমার মা কে ভুলে কান্সারের ওষুধ দেয়া হয়, আমার কাজিন এক কানে শুনতে পায় না, ভুল চিকিৎসার জন্য। শুনে অবাক হবেন, চিকিৎসক আমাদের পারিবারিক বন্ধু, সেখানে কোন উদাসিনতায় তারা ভুল করেন? এমন অসংখ্য নজির দেয়া সম্ভব- যা হুজুগে গল্প নয়, বাস্তব। আপনি সৌভাগ্য বান তাই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় নি। তবে অনেক ডাক্তার দের আন্তরিকতা মুগ্ধ করে। তবে আশে পাশে বিশ্বস্ত সুত্র থেকে যত টুকু শুনি সে সংখ্যা কমছে।
শাহ আজিজ একজন ভুক্তভোগী বুঝতে পারছি। তাই বলে ডাক্তার পেটান কে তিনি সমর্থন করে , একটা বেআইনি কাজ কে করতে উতসাহিত করলেন। তার ই সুত্রমতে কোন ডাক্তার তাঁকে পেটালে সেটা ও তার ই মত অনুযায়ী বেআইনি হবে না। তার মত বিচক্ষন মানুষের কাজে আরও ধৈর্যশীলতা আশা করি।
আরও অনেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বললেও জানিয়েছেন, তারা ও ডাক্তার কে মারা ব্যাপার টা সমর্থন করছেন না। অন্যান্য ডাক্তার রা ও খুব সুন্দর ভাবে তাদের বক্তব্য দিয়েছেন।
কিন্তু একজন দেখলাম, প্রথমে একটা সুন্দর যুক্তি দিয়েছেন, কি ভুল হয়েছে না জেনে অভিযোগ করার যৌক্তিকতা কি? হ্যাঁ সমর্থন জানাই। সাংবাদিক দের পেপারের নিউজ গুলো বিশ্বাস করা যায় না আজকাল তেমন। কারন যা ডাক্তারদের মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পেশাগত উন্নয়নের ধারক বাহক। আর ডাক্তার রা যেগুলো সত্যি সত্যি ই ক্রিটিকাল ভুল করেন, সেগুলোতে রোগী মরে না- লাভজনক খবর ও না কারও জন্য। শুধু রোগীকে ভুগতে হয়। তারা যদি মাইর দিত তবে আশা করা যায়, অনেক ডাক্তার ই আজ মার খেতেন। তবে কি, একজন রাস্তার টোকাই এর চেয়ে একজন ছাত্রের ব্যবহার ও ধৈর্য ও দায়িত্ব বেশি- এটাই স্বাভাবিক। ওপরের সুন্দর যুক্তি প্রদান কারি ডাক্তার ই আবার যখন দুটি কটু কথায় নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না- এরা পরে কি করবে, সত্যি ই ভাবায়? যদি বলে ডাক্তার ও তো মানুষ। তো বলি, পরমানু প্রকল্পে বা অন্য কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থের ল্যাবে সামান্য ভুল ও যেমন গ্রহন যোগ্য নয়, ডাক্তার দের ক্ষেত্রে ও তেমন।তাদের ভুলের সাথে অন্যের জীবন জড়িত। তবে ভুল হতে পারে। সেটা যখন বেড়ে যায়, তখন - এটাই প্রমান করে, তারা উদাসিন।
অনেক ডাক্তার বলেন, সারাদিনের পরিশ্রমে অনেক কিছুই উল্টা পাল্টা হতে পারে। হ্যাঁ ডাক্তারি পেশায় মানুষের সাথে ইন্টারেকশান অনেক বেশি করতে হয়। বিভিন্ন প্রকৃতির মানুষের সাথে সারাদিনের কথায় বিরক্ত হউয়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে মনে হয়, ডাক্তার দের সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের ও মাথা ঠাণ্ডা রাখার কোর্স করা উচিত। তাঁকে কেও জোড় করে ডাক্তার বানায়নি, তিনি নিজে অনেক কষ্ট করে তবেই হয়েছেন- একারণেই শ্রদ্ধা করি। কিন্তু সাধারণ টিপিকাল বাঙালিদের মত শুধু নিজের টা তে গুরুত্ব দেয়া, অন্য কে বিদ্রুপ বা রাগ করে কম গুরুত্ব দেয়া- এই বিষয় নিয়ে বরাবর ই বিপক্ষে ছিলাম, আছি, থাকব।
সমস্যা যখন সামনে আসে, তখন এক পক্ষ এর জন্য শুধু চিন্তা না করেই পুরো সমস্যা টা মেটানোতে বা চেষ্টা করাতে গুরুত্ত দেয়া উচিত।
আমার পুরো কথায় কিন্তু একবার ও ডাক্তার দের আঘাত করাকে সমর্থন করি নি। আমি শুধু তাদের কাছেই জানতে চাই,
সাধারণ রোগীরা কিভাবে বুঝবে, তারা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়েছেন? সেক্ষেত্রে তাদের করনীয় কি?
এক নেক্কারজনক ঘটনা কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে হাজার নেক্কারজনক ঘটনা যেন আমাদের দেশের তদন্ত ব্যবস্থার মত চাপা পড়ে না যায়।
আমাদের দেশের পুলিশ, সরকার কে মানুষ গালাগালি করে। তারা যদি আবেগে কিছু করে বসেন, তা কেমন হবে- ভাবার বিষয়।
শান্তি পূর্ণ সমাধান হোক। দোষীদের বিচার হোক। ডাক্তারদের নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। ক্ষেত্র বিশেষে তাদের জবাব দিহিতার ব্যবস্থা করা হোক।
৬৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: এইসকল ফাও ক্যাচালে ডাক্তার আর রোগির মাঝে দুরুত্ব বাড়বে, আর এতে ক্ষতি হবে রোগিরই বেশি।
বাংলাদেশের একমাত্র নির্ভুল মেডিক্যাল কলেজ
প্রেস ক্লাব মেডিক্যাল কলেজ (PCMC)
অপু তানভীরের ফেবু স্ট্যাটাস থেকে
৬৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
জুন বলেছেন: আপনার আমার পেশার মানুষদের মধ্যে যেমন ভালো মানুষ মন্দ মানুষ রয়েছে তেমনি ডাক্তারদের মাঝে।
একমত কুনো ।
+
৬৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সকল ডাক্তার কসাই নন তবে কেউ কেউ কসাইয়ের চেয়ে খারাপ।কসাই কাটে পশু আর তাহারা মানুষের মৃত্যুর কারণ ।
৬৭| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
একজন আরমান বলেছেন:
বীভৎস !
৬৮| ১৫ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
ক্যাপস্টেন বলেছেন: আপনার এই লেখাটা আগেই পড়ছি। আজকে কমেন্ট করতে পারতেছি তো, তাই কমেন্ট করলাম। আমি নতুন ব্লগার। জেনারেল হইছি। এই উপলক্ষে সামান্য খানা পিনার আয়োজন করছি। আমার ব্লগে দাওয়াত রইল।
৬৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪
তারাবেষ্ট বলেছেন: ডাক্তাররা সব কসাই, চলেন ডাক্তার পিটাই!!
৭০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
স্বাধীনতা_bd বলেছেন: ব্লগে নতুন মন্তব্য করার মত সাহসী হতে সময় লাগবে...
৭১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৩
রিফাত ২০১০ বলেছেন: কুনো ভাই অনেক মন্তব্যের জবাব দেন নাই । একটা মন্তব্য করতে মন চাইতাছে। কিন্তু জবাব কি দিবেন ?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: দ্বিপাক্ষিক তর্ক বিতর্ক দেখে সেখানে আর অংশগ্রহন করিনি
মন্তব্য করুন
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫০
আসিফুর রহমান নাজিব বলেছেন: বারডেম হসপিটালে কোন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কোন এক এএসপি পরিচয়ধারী পুলিশের ইন্ধনে ৬০/৭০ জন মানুষ মিলে ডাক্তারদের বেধড়ক মারধোর করে। পালিয়ে টয়লেটে আশ্রয় নেয়া এক নারী ডাক্তারও তাদের হাত থেকে রেহায় পায়নি। অনেকগুলো মানুষ মিলে টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করে এনে দারূন উন্মাদনায় সবাই মিলে মারধোর করে। রাস্তায় ছিনতাইকারী বা চোর ধরা পড়লে যেভাবে অনেক মানুষ মিলে মারধোর করে কিছুটা হয়তো তেমনই!
কি বীভৎস!!