![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বের এই বিরাট ভুখন্ডে, প্রত্যান্ত অঞ্চলের সব জায়গায় তো ক্যাবল টেনে ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক করা সম্ভব নয়। তাই সবার কাছে টিভি চ্যানেল গুলো পৌছে দেয়ার জন্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টিভি সম্প্রচারই সব চাইতে সহজ মাধ্যম। তবে শুধু স্যাটেলাইটই নয়, এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমেও এ কাজটি হচ্ছে। আশাকরা যায় অদুর ভবিষ্যতে আই.পি.টি.ভি. ই হবে সবচেয়ে সহজলভ্য আর জনপ্রিয়। এসব টিভিতে আগে থেকেই প্রোগ্রাম গাইড সহ অনুষ্ঠান সূচী দেয়া থাকবে, দর্শক প্রয়োজনে ইচ্ছা মাফিক সময়ে, নির্ধারিত অনুষ্ঠান আগে পরে দেখে নিতে পারবেন- যতবার খুশি ততবার। আর পছন্দ মাফিক চ্যানেল গুলো হবে আন-লিমিটেড।
প্রত্যকের একটি করে পারসোন্যাল টিভি থাকবে, যখন খুশি তখন দেখ, নো-প্রবলেম! রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ির দিন মনে হয় শেষ হয়ে এলো।
ভাই গুলতাপ্পি নয়, আপনার মোবাইল সেটটাই খানিকটা বিবর্তীত হয়ে হয়ে যাবে কমিউনিক্যাটার, পারসোন্যাল এসিস্ট্যান্ট, পারসোন্যাল টিভি, মিনি কম্পিউটার। উফ ! কিসের মধ্যে কি, পান্তাভাতে ঘি, ---লিখতে বসেছি পে-চ্যানেল গুলো কিভাবে ফ্রী দেখবেন ? আর উনি লিখছেন টিভি কত প্রকার ও কি কি ? যাগ্গা, অহন আসল কথায় যাই!!
ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোন থেকে জনপ্রিয় চ্যানেল গুলো পে-এন্ড-ওয়াচ করা হয়েছে। মানে, ভাল চ্যানেল গুলো দেখবেন আর পয়সা দিবেন না, তা কি আর হয় ? সব স্যাটেলাইটে তো ফ্রী টিভি চ্যানেল নেই। আর এজন্যই ডিস নেটওয়ার্ক, বিগ টিভি, এয়ারটেল কত কোম্পানী হাজারো চ্যানেলের পসরা নিয়ে বসে গেছেন। এসব কোম্পানীর চ্যানেল গুলো দেখতে গেলে পয়সা লাগে। অধিকাংশ কোম্পানী, যন্ত্রপাতি নামে মাত্র মূল্যে গ্রাহকদের দিয়ে, মাসে মাসে বিলিওন-বিলিওন ডলার কামাই করছেন। এদের প্যাকেজে ছোট একটা ডিস এনটেনা (সাধারনত ku ব্যান্ড) আর বিশেষ ধরনের রিসিভার থাকে। রিসিভারে একটা স্মার্টকার্ড থাকে যা মাসে মাসে টাকা দিয়ে রিচার্জ করতে হয়, নাইলে টিভি চলবে না। এজন্য পারসোন্যাল ডিস এনটেনা আর রিসিভার থাকলেও, এসব অনুষ্ঠান টিউন করা স্বত্বেও দেখা যায় না।
তবে উপায় আছে! যতই পাসওয়ার্ড দেন না কেন, আমরা এমন এমনই সাইবার ওপেন সোর্স গ্রুপ যাদের কখনোই রুখা যায় না। এখন বলছি কি ভাবে কি করবেন..
প্রথমেই আসি স্যাটেলাইট টিভির ট্রান্সমিশন সিসটেম টা কিভাবে কাজ করে.. সম্প্রচারের জন্য টিভি প্রোগ্রামের ওডিও-ভিডিও (এনালগ বা ডিজিটাল) সিগন্যাল গুলোকে MPEG ফরম্যাট এনে কমপ্রেস করার পর কোডিং সম্পন্ন করে স্যাটেলাইট রিলের জন্য ট্রান্সমিট করা হয়। এরপর গ্রাহক ডিস এনটেনায় স্যাটেলাইট সিগন্যাল রিসিভ করার পর, রিসিভারে MPEG সিগন্যাল প্রসেস এবং ডি-কোড হয়ে পুনরায় ওডিও-ভিডিও এনালগ সিগন্যালে পরিবর্তীত হয়ে-- টিভি সেটে প্রবেশ করলে আমরা আনুষ্ঠান দেখতে পাই।
রিসিভারে সিগন্যাল প্রসেস এবং ডি-কোড করার জন্য একটা প্রসেসার থাকে, আর প্রসেসার থাকা মানেই ফার্মওয়ার প্রোগ্রাম থাকতে হবে। কিছু কিছু রিসিভার লিনাক্স অপারেটিং সিসটেম ব্যবহার করে MPEG সিগন্যাল প্রসেস করা হয়, এসব রিসিভারই আমাদের প্রয়োজন। যেহেতু লিনাক্স ওপেন সোর্স অপারেটিং সিসটেম তাই এতে কারিগুরি করা অনেক সহজ।
Viacccess I-II, NagraVisison, Seca I-II, Conax, Irdeto/BetaCrypt and Constant CW হলো কয়েকটি অন্যতম ভিডিও কোডিং সিসটেম। এসব encryption ভাঙ্গার জন্য লিনাক্সে CAM emulator ব্যবহার করা যায়। যেমন, CCCam ডিমন হলো একটি কন্ডিশনাল একসেস মডিওল (Cam)। ব্যবহার করলে ফলাফল-- চিচিং ফাঁক, কোন রিচার্জ/কার্ড-ই আপনার লাগছে না, সব আকাশ সংস্কৃতি এখন আপনার এই বক্সে উন্মুক্ত ।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭
ভাঙ্গা মাস্তুল!! বলেছেন: এইটা তো সবাই জানে কিন্তু কেমনে করে এইটা বলেন!
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোন প্রোগ্রাম পে সিস্টেম করা একটি ফালতু ব্যাবসাইক বুদ্ধি।
গ্রাহকদের ফ্রী ইউজ করতে দিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এর চেয়ে বহুগুন বেশী কামানো সম্ভব।
যেমন গুগল। গ্রাহকদের ফ্রী ব্যাবহার করতে দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন কামিয়ে নিচ্ছে নেপত্থে।
ইউকিপিডিয়া বিজ্ঞাপন ছাড়াই স্পন্সারের মাধ্যমে একটু ভিন্নভাবে কামাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
মুচি বলেছেন: ভালো লিখেছেন।