![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এই ব্লগে একদম নতুন আর এটা আমার প্রথম লেখা।জানিনা কতটুকু গুছিয়ে লিখতে পারবো।
আমি সম্প্রতি পড়া একটা বই নিয়ে আমার কিছু কথা শেয়ার করতে চাই যার জন্য আজ আমার এই লেখাটা।বইটির নাম মায়া, এটা নরওয়েজিয়ান লেখক ও দার্শনিক ইয়োস্তন গার্ডার এর বহুল সমাদৃত বই।বাংলায় অনুবাদ করা বইটি আমি ২০০৪ সালের একুশে বইমেলা থেকে কিনেছিলাম।বেশ কয়েকবার পড়া বইটি নিয়ে আমি ক্ষুদ্র পরিসরে লিখার চেষ্টা করছি...
কেউ যদি দর্শন বিষয়ক কোন উপন্যাস পড়তে ভালোবাসেন তবে আমি মনে করি এটা হতে পারে অন্যতম পছন্দের বই।
যদিও বইটির ধারা বর্ননা বা কাহিনী অনেক জটিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই হেয়ালীপুর্ন বলে মনে হয়েছে আমার কাছে! তারপরও আমার কাছে ভিন্নধারার উপন্যাস হিসেবে আকর্ষনীয় মনে হয়েছে।
এই উপন্যাসে অনেকগুলো চরিত্র একসাথে এসে মিলিত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফিজির একটি দ্বীপ টাভেউনিতে, যেখান থেকে কাহিনী বিস্তৃত হয়েছে।বইটির প্রধান কিছু চরিত্র নিয়ে কিছু কথা...
ক) ফ্র্যাঙ্ক এন্ডারসন-একজন নরওয়ে'র প্রাণী বিজ্ঞানী যিনি অতি সম্প্রতি তার কন্যাকে হারিয়েছেন এবং তার স্ত্রী ভেরা'র কাছ থেকেও বিচ্ছিন্ন...
খ) জন স্পুক- ইংল্যান্ড এর একজন ঔপন্যাসিক যিনি তার স্ত্রীকে হারিয়েছেন...
গ) আনা এবং হোসে- এক অদ্ভুত দম্পতি যারা নিজেরা রহস্যময় ভাষায় কথা বলে...
লরা, বিল এবং মারিও চরিত্রগুলো কাহিনীর স্বল্প অংশে বিরাজমান।
তারা সবাই মাত্র তিন দিনের জন্য মিলিত হয়েছিল টাভেউনি দ্বীপ। লেখক তার বইটিতে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে একটি প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করেছেন সেটি হচ্ছে-"আমরা এ পৃথিবীতে কেন এসেছি?"।বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস, ধর্ম, বর্তমান শতাব্দী, মহাবিশ্ব এবং অন্যান্য বিষয় নতুন করে খোজার প্রয়াস পেয়েছেন।
আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এটা এমন একটা বই যেটা পড়ার পরে আপনার মনের মধ্যে অনেকগুলো প্রশ্নের যোগান দেবে আর আপনি নতুন করে ভাগ্য, ব্যর্থতা, বন্ধুত্ব, পরিবার এবং সম্পর্কের সংজ্ঞা সর্বোপরি জীবন সম্পর্কে একটা নতুন ধারনা দেবে বলে আমার বিশ্বাস।
বইটি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন...আশা করি ভাল লাগবে।
বইটির প্রকাশক : বুক ক্লাব
পরিবেশক : সন্দেশ, আজিজ সুপার মার্কেট, ঢাকা।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
সৃজনশীল বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আশাবাদী মানুষ...
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
দারাশিকো বলেছেন: সিনেমাখোর গ্রুপে স্বাগতম। সিনেমা নিয়ে পোস্ট দিন!
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৮
নাজমুস বলেছেন: ইয়েস্তেন গার্ডার নিজেই একটা হেয়ালী।
মায়া আসলেই দারুন একটা বই...
ওহ! আরেকটি কথা, স্বাগতম ব্লগ পরিবারে।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১৩
সৌম্য বলেছেন: ফাউন্ডেশান, আর্থার ক্লার্কের বই গুলো পড়ে স্বন্দেশের উপরে ‘মায়া’ জন্মেছিল। কিন্তু মায়া পড়ে হতাশ হয়েছি। হয়তো অনুবাদটা সুবিধার হয়নাই। বইটা দুবছর ধরে শেলফে পড়ে আছে। শেষই করতে পারি না।
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২০
সৃজনশীল বলেছেন: হা মায়া বইটা এমনিতেই যথেষ্ট জটিলতায় ভরা! আর হ্যাঁ ভালো অনুবাদ টাও একটা ব্যাপার! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৩
রিপেনডিল বলেছেন: মায়া বইটির সমান্তরাল আরেকটি বই হল "তাস রহস্য" "solitaire mystry"
অনুবাদ পাবেন ঐতিহ্য প্রকাশনীতে। আমার কাছে মায়ার চেয়ে তাস রহস্য বেশী ভাল লেগেছে। বইটিতে জোকারের উদ্ভব কিভাবে হল সেটা জানতে পারবেন আর তাসের ক্যালেন্ডারের কথা না হয় নাই বললাম।
১৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২২
সৃজনশীল বলেছেন: তাহলে "তাস রহস্য" "solitaire mystry" পড়ে দেখতে হবে! ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
আশাবাদী মানুষ বলেছেন: শুভেচ্ছাসহ স্বাগত । লিখে যান ...