![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
সেদিন সন্ধ্যার পরপরই জ্যোৎস্নার আলোতে ছেয়েছিলো আকাশ। রেল লাইনের ধারে যে চা ষ্টল আছে, ওখানে যাচ্ছিলাম শেলী কে সাথে নিয়ে। দিনের মতো জ্যোৎস্নার আলো। গাছ গুলোর জন্য যেমন নিচে রোদের ছায়া পড়ে জ্যোৎস্নার আলোর জন্য ও তেমন পড়েছে। শেলী বলছিলো "ফুপি, ওটা গরম রোদ, এটা ঠান্ডা রোদ।" হাসলাম। ততোক্ষনে স্কুলের মাঠ পেরিয়ে চা ষ্টলে এসে গেছি। ওখানে মামুন নেই।
চায়ের দোকানদার শিলু মামা বললো একটু আগেই চলে গেছে। খুব হাসি ঠাট্টা করলো। শুনে একটু মন খারাপই হলো। আজ কদিন ধরে চেষ্টা করছি তার সাথে একটু যোগাযোগ করার জন্য, বেশ ক'বার খবরও পাঠিয়েছি। দেখা করলো না। এদিকে আজকের মাঝেই খবর না দিতে পারলে ঝুমির বিয়েটা আটকানো যাবেনা। বসেই রইলাম। বার বার ট্রেনের হুইসেল শুনছিলাম। সচরাচর এমন শুনিনা। শিলু মামা বললো "এমন জ্যোৎস্না রাতে ট্রেন ও বুঝি দিশা হারালো।"
বললাম "মামা, তুমি তো বাঁশী বাজাতে পারো, বাজাওনা।"
ট্রেন টা বেশ শব্দ করে ঝন ঝনিয়ে চলে গেলো। খুব কাছে থেকে ট্রেনের চলন্ত চাকাগুলো দেখলাম। বিকট শব্দের সাথে দোকান গুলিও যেনো কাঁপছিলো।
হ্যাঁ, আমার শরীর ও কাঁপছিলো কারন ততক্ষনে মামুনের মৃত্যুর খবর টা আমার কানে পৌঁছেছিলো। মামুন পিষে গেছে ট্রেনের চাকায়। টুকরো টুকরো হয়ে মাংসগুলি ছড়িয়ে গেছে। এ আমি কি করে ভূলি?
©somewhere in net ltd.