![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
তখন আমার নিজের কথা মনেই ছিলোনা। শুধু ভাবছিলাম ওর কিছু হয়নি তো? কারন ওর শার্টেই রক্তমাখা ছিলো। তা যে আমারই মাথা থেকে পড়া রক্ত তা বুঝতে পারিনি। চিৎকার করে অনবরত বলে যাচ্ছিলাম "তোমার কি হয়েছে? তোমার শার্টে রক্ত কেনো?" সে আমায় বলে চলছে "চুপ করো, আমার কাঁধে মাথা রাখো।"
শুধু চোখের সামনে রক্ত ভাসছিলো, আর রক্তের গন্ধ পাচ্ছিলাম। আমার মুখ, হাত রক্তে কেমন যেনো পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিলো। ক্ষানিক পরেই অনুমান করেছিলাম আমার ডান চোখের উপর কিছু একটা পড়ে ঝুলছে, আর সেখান থেকেই রক্ত বেয়ে বেয়ে পড়ছিলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা পিক আপ এ তোলা হলো আমায়। ততক্ষনে রক্তে আমার শরীর, কাপড়, ভ্যানিটিব্যাগ আর ওর শার্ট ভিজে একাকার। আমার আর জ্ঞান ছিলোনা। আবছা আবছা মনে হচ্ছিলো গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যাবার সময় ও আর একজন নার্স আমাকে ধরে নিয়ে গেলো।
আমার একই কথা মুখে "তোমার কি হয়েছে, তোমার শার্টে রক্ত কেনো।" এরপর আর কিছু মনে পড়ছেনা। পরে বুঝেছিলাম মাথার থেকে চুলসহ চামড়া উঠে এসে চোখের উপরে ঝুলেছিলো। অবশের ইঞ্জেকশন দেয়ার পরেও যখন মাথায় সেলাই করছিলো, আমি বেশ ব্যাথা পাচ্ছিলাম। ঠোঁটে সেলাই দেবার সময় ব্যাথা পাইনি। ঠোঁট টা অবশ হয়েছিলো ঠিকমতো, কিন্তু মাথায় অবশ টা ঠিকমতো হয়নি। প্রাথমিকভাবে রক্তবন্ধ আর সেলাই শেষে বাসায় ফিরলাম। এই অবস্থায় রেখে তখনই ও চলে গেলো। কোন প্রকার অনুরোধই তাকে আটকাতে পারেনি।
তাই আমিও এবার তাকে চিরতরে মুক্তি দিয়ে দিয়েছি। ভালো থাকো তুমি, তোমরা। ভালো থাকুক পৃথিবী।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
ছন্নছাড়া বেদূইন বলেছেন: বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি? সে আমার নয়।