![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
ভালোলাগা নিয়ে মাথা ঘামায় নি কোনোদিন--
কিন্তু সাদা বকুলের তলায় সাদামাটা-
এবড়োখেবড়ো পাথরের মত কাটা,
তোমার মুখে দেখলাম যামিনী রায়ের পটচিত্র,
সারাশরীর কষ্টিপাথর খোদাই রঁদ্যার ভাস্কর্য।
চুঁইয়ে নামে জবাকুসুমের ভ্যাপসা গন্ধ,
বকুলের চেয়েও মিষ্টি সে ঘ্রাণে শরীর বন্য।
গোলাপ রঙা ঠোঁটের তিরতিরে কাঁপনে
হারিয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ বার্তা,
নীল খোলের সুতির খসখসে কাপড়ে
কি করে এল স্বর্গীয় কোমলতা ?
কোলঘেঁষা সহস্র আগ্নেয়গিরি,
উন্মুখ ফুটন্ত লাভা,
শরীর জুড়ে ম্যালেরিয়ার কাঁপুনি,
আগুনের আঁচে তোমার আনত ঝলসে যাওয়া।
হঠাৎ সরা ব্রা-এর স্ট্র্যাপের বিবশী ঝলকানিতে,
রহস্যময়ী খাদের অতলে-
বিলীন কুঁচির আবেশী ঘূর্ণিতে-
টলোমলো আমি, মহুয়ায় টোর ।
অতি সাহসী রহস্যের সমাধানে,
ঘেমে নেয়ে একসা, ধারাস্নান জোর।
কষ্টের ফোঁটায় রক্ত-স্নান বোধের বাইরে,
শুধু তোমার ফেলে যাওয়া পথে
নিজেকে পেয়েছি মরুভূমির মত একা,
প্রতিটি অঙ্গের নিঃশব্দ উৎপাটনে
অসাড় অবচেতনে
নীলবর্ণ গাঢ় বিমূঢ়তা।
গাঢ়-রক্তে চোবানো সারারাতে,
শীতের পাতাঝরা শূন্যে-
খুঁজেছি মায়াবী আলেয়া।
ভালোবাসা কি বুঝিনি কোনোদিন,
শুধু তার জন্মান্ধ চোখের ভাষা
কোন্ এক জাদুমন্ত্রের ছোঁয়া,
এক লহমায় বুঝেছি যতিচিহ্ন-বিহীন।
©somewhere in net ltd.