নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক প্রকাশিত।

শূন্যতার প্রাপ্তি

মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।

শূন্যতার প্রাপ্তি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গন্তব্যপথ এখন ভিন্ন, চাইলেও আর ফেরা সম্ভব না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৩৩


প্রিয়, কেমন আছো তুমি? শুনতে পাচ্ছো আমার কথা?
এখনো কি রাত্রি দশটার পর বাড়ি ফেরো তুমি?
ভোর রাতে বিছানা ছেড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে কি এখনো বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা উদাস হাওয়া গায়ে লাগাও?
প্রিয়, তুমি তো জানোনা তোমাকে হারিয়ে ঠিক কতোটা নিচে নেমে গেছি?
প্রিয়, তুমি অনেক ভালো ছেলে ছিলে।
আমি তোমার মত ছিলাম না, চেষ্টা করেও হতে পারিনি।
মা বাবা আর, রুনী দাদার কথাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পাড়ি জমিয়েছি দুরদেশে।
আট বছরে ছোট্ট ভাই তানভীর ও নাকি এখন অনেক বড় গেছে।
জানো প্রিয়, অনেক চেষ্টা করেছি আমার এই একলা একা জীবনে ছোট্ট তানভীর কে সাথে রেখে একাকীত্ব কাটাতে।
ওরা, ওরা দেয়নি। ঝাঝালো কন্ঠে হুঙ্কার ছেড়ে শাষিয়েছে বেঁচে থাকতে যেনো তাদের পরিচয় আর না দিই।
সেই একুশ বছরের শেষ দুটি মাস থেকে আজ অবধি আমি একাই।
বেঁচে আছি। আছি বেশ।
কি সব তিতে রঙীন পানীয়, ইশ, কি বিচ্ছিরি গন্ধ,
ওসব ও ঢক ঢক করে গিলে ফেলি এক নিমিষেই।
এক পেগ, দু পেগ করে গিলে গিলে একসময় আর গন্ধও লাগেনা।
জানো প্রিয়, সে সময় টা বড় সুখে কাটে আমার। বড় সুখ। সব ভুলে যাই।
আমার আর কষ্ট হয়না তখন, কষ্ট হয়না একেবারেই।
আমি ভুলে যাই যে তুমি সেই সাত বছর দু মাস তেরটা দিন ধরে অন্য রমনীর বুকে মুখ লুকোচ্ছো।
প্রিয়, তোমার মত কোনদিন হতে পারিনি, তাই হইতো আমি অবাধ্য সন্তান, আর তুমি বাধ্য সোনার টুকরো ছেলে।
মা, বাবা, রুনী দাদা আমায় খুব বকেছে, আর বিনূ মাসী? সেকি আর লিখে প্রকাশ করা যায়?
তবে জানো কি প্রিয়, আমার তাতে কিচ্ছু আসে যায় নি।
কিন্তু তুমি যেদিন ঘটা করে ছয় বছরের সম্পর্কটাকে আস্বীকার করে আমায় ছিঃ ছিঃ করলে। মনে আছে? সকাল এগারোটা সতেরো মিনিটের কথা মনে আছে?
হ্যাঁ কষ্ট আমি সেদিনই পেয়েছি।
তাইতো তোমার থেকে বহু দূর চলে এসেছিলাম।
গঙ্গার ধারে দাঁড়িয়ে সেদিন বয়ে যাওয়া জলের ধারায় মন ভাসিয়েছিলাম।
হঠাৎ করে আমার কাঁধে হাত রাখলো মণি।
একথা, সেকথা অনেক কথাই বললো।
বললো তুমি নাকি আমাকে ফিরে পাবার আকাঙায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছো?
তোমার চাল-চলন, পোষাক-আষাক, নিজের দিকে নাকি আর খেয়াল করোনা।
দাড়ি আর চুলে নাকি পাক ধরেছে? সবার সামনেই নাকি আমাকে স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করোনা?
সারাক্ষন নাকি আমাকেই খুঁজে বেড়াও, আমার স্মৃতিগুলোই নাকি তোমার সুখ?
কেনো খুঁজো? নতুন যে শরীরে সুখ খুজেছিলে সেটাও পুরোনো হয়ে গেছে বলে?
সেদিন যদি ঘটা করে আমাদের ছয় বছরের সম্পর্কটাকে আস্বীকার না করতে, তবে আর আজ আমায় খুঁজতে হতোনা।
শুনেছি তুমি বাবা হয়েছো।
তোমার ছোট্ট সন্তানের বাবা বলে মিষ্টি ডাকটার চেয়েও কি বড় কিছু হতে পারে?
ভুলে যাও। তোমায় ভালোবেসে যে আলেয়ায় মন কে আলোকিত করেছিলাম, সে আলেয়ায় তুমি ভেসোনা, পূড়ে যাবে। অতীত কে আর টেনে সামনে আনার মতো দুঃসাহস দেখিয়ো না।
অতীত বড় কষ্টের। সাত বছর দু মাস তেরটা দিনের একাকী জীবনে যে আমার কতো কিছু ঘটে গেছে, তা আর নাইবা বলি প্রিয়।
তুমি ভালো থেকো, ভালো থেকো তুমি। শুধু জেনে রেখো, আমার গন্তব্যপথ এখন ভিন্ন, চাইলেও আর ফেরা সম্ভব না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.