নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক প্রকাশিত।

শূন্যতার প্রাপ্তি

মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।

শূন্যতার প্রাপ্তি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমানো টাকা আর শখের ফুল বাগান

১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৭

ফুলের বাগান করার মতো টাকা জমানোটাও হয়তো প্রতিটা মেয়েরই শখ। ছোটবেলায় মেলা থেকে মাটির ব্যাঙ্ক কিনতাম। আম, কাঠাল, তরমুজ, আনারস আকৃতির টাকা জমানো ব্যাঙ্ক পাওয়া যেতো। দশ, বিশ, পঞ্চাশ টাকা অবধি জমিয়েই ভেঙে ফেলতাম। সে টাকায় কখনো লজেন্স, কখনো পুতুল, কখনো নেইল পলিশ আবার কখনো বন্ধুদের সাথে চড়ুই ভাতি করতাম। মণি আপু বয়সের একটু বড় থাকায় তার কাছে টাকা জমা করতাম, সে রান্না করতো। আমি, তিশমা, ফাহিমা সাহায্য করতাম। কিন্তু খাবারের সময় নাসির ভাই আর তওহীদ ভাই টাকা না দিয়েই ভাগ বসাতো। কেঁদে কেটে চোখ ফুলিয়ে খোটা দিতাম। ফলে পরবর্তীতে টাকা জমানোর আস্তো ব্যাঙ্কটাই চুরি হয়ে যেতো। খড়ি রাখার ঘরে বাঁশের গিট কেটে দিয়েছিলো বাবা। স্কুলে যাবার সময় টাকা বাঁচিয়ে জমাতাম। একদিন ঘুম থেকে উঠেই গিয়ে দেখি সেটাও নিচ থেকে কেটে নিয়েছে কেউ।

অষ্টম শেণীতে পড়াকালীন উঠোনের কোণায় ফুল গাছ লাগিয়েছিলাম। হাসনা হেনা, গোলাপ, গাঁদা ফুল, টাইম ফুল, সন্ধ্যা মালতী, গেটফুল, পাতাবাহার আর হাজারী গোলাপ। হাসনা হেনা আর হাজারী গোলাপের ঘ্রাণ বাতাসে চারপাশ ছড়ায়। একদিন ভোর রাতে মা উঠোনে সাপ দেখে পরদিন গাছ কেটে সাফ করে। পাড়ার শয়তান ছেলে সাফী, মাটি, হাসু ফুল চুরি করে বসন্ত, ভ্যালেন্টাইন পালন করে।একুশে ফেব্রুয়ারি তে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের বীরত্ব প্রকাশ করে। দু চারটে কথা শুনিয়েছিলাম বলে সে রাতে গোলাপের গাছটা উপড়ে দিয়ে গেছে। বাকী গাছগুলো রাগে আমিই তুলে ফেলে দিয়েছিলাম।

এরপর থেকে আর কখনো টাকা জমাতাম না, বাগান করার মতো যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা কোনটাই হয়ে উঠেনা আর। চার বছর আগে কিছু টাকা জমিয়েছিলাম। মাটির কোন ব্যাঙ্কে নয়। প্রতিদিন বাসা থেকে বের হবার সময় ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে এলোমেলো ভাবেই দশ টাকা করে রেখে বের হতাম।কিছুদিন পর ড্রয়ার থেকে টাকা গুলো নিয়ে গুনলাম। ২৮৬০ টাকা। রিচম্যান থেকে একটা পার্টি শার্ট কিনে একজন কে গিফট করলাম। জমানো টাকায় কিছু কেনা, তাও যদি আবার গিফটের জন্য, তার অনুভূতিই আলাদা। পছন্দ করেছিলো। ঐ শার্ট সে প্রায়ই পড়তো। একবার আমার সাথে ঝগড়া করে আমার দেয়া সব উপহার পুড়িয়ে ভিডিও করে মেইল করেছিলো আমাকে। এরপর থেকে গিফট দেয়ার দরজাও বন্ধ করে দিলাম।

হাসনা হেনা


গোলাপ


গাঁদা ফুল


টাইম ফুল


সন্ধ্যা মালতী


গেটফুল


পাতাবাহার


হাজারী গোলাপ


মাটির ব্যাংক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.