![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব মনের অনাবিষ্কৃত কল্পজগৎ। অনাস্বাদিত। রহস্যময়ী। ভাষার তেলরঙে তা হোক বাঙ্ময়। প্রকাশিত।
আমার এক ফ্রেন্ড হিন্দু, তার বৌ খ্রিষ্টান। সেই ক্ষেত্রে শুধু বন্ধুটি নয় তাদের উভয়ের পরিবারই ধর্মের বিষয়ে ছাড় দিয়ে তাদের মতো করে বেশ সুখী জীবন যাপন করছে। তাদের উভয় পারিবারিক ধর্মের রীতি অনুযায়ীতেই আনুষ্ঠিকতা সম্পন্ন করেছে ও প্রানোচ্ছোল জীবন কাটাচ্ছে।
আমার এক দুঃসম্পর্কের মামা মুসলিম হয়ে বিয়ে করেছে এক হিন্দু মেয়েকে। তাদের দুই সন্তান নিয়ে বিশ বছরের ও বেশী সময় ধরে ভালোভাবেই সংসার করছে।
একটি সম্পর্কের মাঝে শুধু ধর্মের বিষয়ে নয়, যে কোন বিষয়ই হোক না কেনো ছাড় দেয়ার মতো মন মানসিকতা থাকলে বা বুঝাপড়া থাকলেই কেবল সেই সম্পর্কই মধুর হয়। অন্যথায় অস্বস্তিকর মরিচা লেগে যায় যা কেবলই অশান্তির সৃষ্টি করে।
এ সম্পর্কে বন্ধু হুমায়ুন এর একটা পোষ্ট দেখলাম "আমার ফ্রেন্ডলিস্টে বেশ কয়েকজন বিবাহিত দম্পতী আছেন, যারা কিনা একজন ধর্মে বিশ্বাসী আরেকজন ধর্মে অবিশ্বাসী। অর্থাৎ হাজবেন্ড হয়ত ধার্মিক আর ওয়াইফ অধার্মিক। এইরকম। তারা একই ছাদের নিচে বসবাস করছে। ধর্ম বিষয়ে একে অপরকে ছার দিয়ে দিব্যি সংসার করে যাচ্ছে। বিষয়টা আমার কাছে জটিল মনে হলেও তারা সফলকাম।"
সেখানে শাওন ভাই প্রশ্ন করেছে "এটাই কি স্বাভাবিক নয়? আপনি-আমি মিলেই কিন্তু সংসার-সমাজ! ভালোবাসতেতো বয়স-জাতি-ধর্ম লাগে না; তাহলে সংসারে কেন???"
না ভাই, আপনি আমি মিলে সংসার সমাজ হলেও এই আপনি আমার মাঝেও এমন অনেক আপনি আমি আছি যাদের ভালোবাসতেও বয়স-জাতি-ধর্ম এখনো লাগে। বেশ কড়া ভাবেই লাগে। এখনো চৌধুরী বংশ, খানদানী বংশ, জমিদার বংশ গুনার মতো বেশ কিছু লোক আছে। সমাজে এটা এখনো অস্বাভাবিক হয়ে আছে। ঐ শ্রেনীর লোকজন মানুষের চাওয়া পাওয়া, জীবনের সুখ শান্তির চেয়ে মুল্য দেয় তাদের জাতি ধর্মের। নিজের ভেতরকার মনুষ্যত্বের বলি দিয়ে আনায়াসে সেসব নিয়ে গর্ব করে বেড়ায়। সবাই যে একরকম হবে তাতো নয়। আর তাই আমরা গুটি কয়েকজন এমন কিছু দেখলে মানবিকতার দিক থেকে স্বস্তি পাই। এতেও কিন্তু অনেকেরই বাঁকা দৃষ্টি আর কটুক্তি পড়ে। তবে তাতে অন্তত আমার কিছুই যায় আসেনা। আমি আগে নিজের ভেতরে স্বস্তি গড়ি, পরে বাকী সব।
©somewhere in net ltd.