নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Come on all religious people, we can discuss at any religion, good or bad sides ..__________________________http://www.nasiruddinalrajbari.wordpres.com __________________________http://facebook.com/nasiruddinalrajbari

নাসির উদ্দিন

আমি মুসলিম

নাসির উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধক্ষেত্রে নবী মুহম্মদ ও সাহাবীরা জয়ী হয়ে,, নারীদেরকে গনিমতের মাল হিসাবে ভোগ করত (সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ১ম অংশ দক্ষিন হস্তের কথা বলা আছে)

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১২

(মুফাসসিল ইসলাম এবং ইসলাম ত্যাগ কৃত ইতিহাস পঠিত নারী see youtube ক্লিক করুন)
আপনারা যেভাবে ইসলামের উপর তথাকথিত গনিমতের মাল হিসাবে নারীদের ধর্ষনের কথা বললেন।। ইসলাম যদি এমন হত, তাহলে আমি সবার আগে ইসলাম ত্যাগ করতাম।।
সত্যি বলতে মানুষ প্রথমে একটা বিষয়ের পুরো কাহিনী জানার পরে, তার নিরপেক্ষ যুক্তি প্রদান করে কিন্তু আপনার ভিত্তিটাই আমি বুঝলাম না।। আপনি আমার FB ফেবু তে ফ্রেন্ড লিষ্টে যেহেতু আছেন, হয়তো আপনি আমার পোস্টা পরবেন।। আপনি চাইলে আপনার সাথে any time debate করতে আমি রাজি।। নিরপেক্ষ বিচারক হবে জনগণ।।
যাইহোক
সুরা নিসার আয়াতে বলা হয়েছে,,
-
ﻭَﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﻛِﺘَﺎﺏَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﺃُﺣِﻞَّ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﻭَﺭَﺍﺀ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﺗَﺒْﺘَﻐُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢ ﻣُّﺤْﺼِﻨِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺴَﺎﻓِﺤِﻴﻦَ ﻓَﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﻤْﺘَﻌْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﻓَﺂﺗُﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔً ﻭَﻻَ ﺟُﻨَﺎﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺗَﺮَﺍﺿَﻴْﺘُﻢ ﺑِﻪِ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﺍﻟْﻔَﺮِﻳﻀَﺔِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻠِﻴﻤًﺎ ﺣَﻜِﻴﻤًﺎ
-
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। [ সূরা নিসা, আয়াত নংঃ২৪ ]
আমরা এখন সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতটা পুরাটা দেখি তাইলে পাই এখন আমরা দেখতে পাই যে “অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। ’’ এই আয়াত দ্বারা কিন্তু বুঝা যাচ্ছে যে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে একটি চুক্তি করেই তারপর তার সাথে মিলিত হতে হবে। হ্যা আর এই চুক্তিটাকেই বলা হয়েছে মুতা বিবাহ। অর্থ্যাৎ মুতা বিয়ের মাধ্যমেই সাহাবীরা যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে মিলিত হত।। (যা রহিত হয়ে গেছে, আগের পোস্টে প্রমান করে দেখিয়েছি ক্লিক করুন)
তারপর আমরা যদি এর পরের আয়াতটা দেখি
-
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻣِﻨﻜُﻢْ ﻃَﻮْﻻً ﺃَﻥ ﻳَﻨﻜِﺢَ ﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕِ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻓَﻤِﻦ ﻣِّﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﻓَﺘَﻴَﺎﺗِﻜُﻢُ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨَﺎﺕِ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺈِﻳﻤَﺎﻧِﻜُﻢْ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢ ﻣِّﻦ ﺑَﻌْﺾٍ ﻓَﺎﻧﻜِﺤُﻮﻫُﻦَّ ﺑِﺈِﺫْﻥِ ﺃَﻫْﻠِﻬِﻦَّ ﻭَﺁﺗُﻮﻫُﻦَّ ﺃُﺟُﻮﺭَﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ﻣُﺤْﺼَﻨَﺎﺕٍ ﻏَﻴْﺮَ ﻣُﺴَﺎﻓِﺤَﺎﺕٍ ﻭَﻻَ ﻣُﺘَّﺨِﺬَﺍﺕِ ﺃَﺧْﺪَﺍﻥٍ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺃُﺣْﺼِﻦَّ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻴْﻦَ ﺑِﻔَﺎﺣِﺸَﺔٍ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻧِﺼْﻒُ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﺤْﺼَﻨَﺎﺕِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻌَﺬَﺍﺏِ ﺫَﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦْ ﺧَﺸِﻲَ ﺍﻟْﻌَﻨَﺖَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻥ ﺗَﺼْﺒِﺮُﻭﺍْ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَّﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ
-
আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে না, সে তোমাদের অধিকারভুক্ত মুসলিম ক্রীতদাসীদেরকে বিয়ে করবে। আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের মালিকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে-ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হবে না। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে স্বাধীন নারীদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে ভয় করে। আর যদি সবর কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। [ সূরা নিসা, আয়াত নংঃ২৫ ]
**সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়
তাফসীরে ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে যে কারো যদি যুদ্ধবন্দী কোন নারী বা ক্রীতদাসীর প্রতি আকর্ষন বোধ হয় তাইলে সে তাকে বিয়ে করে তারপর তার সাথ মিলিত হবে।। দেখুন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এখানে ক্রীতদাসী/যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে বিয়ে করার ব্যপারে তাগাদা দিচ্ছেন এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান করার জন্যও বলা হচ্ছে।। এর চাইতে বেশী অধিকার একজন ক্রীতদাসীকে আর কি দেয়া যেতে পারে??
যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাদেরকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:২৫)।।
** উম্মুল মুমেনীন জুহায়রিয়া, রায়হানা ও সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহারা কিন্তু প্রথমে যুদ্ধবন্দী নারী হিসাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসেছিলেন। পরবর্তীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন।
তাই আজকে আমরা হযরত জুহায়রিয়া, হযরত রায়হানা ও হযরত সাফিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহাকে উম্মুল মুমেনীন বলি।।
(এই পোস্টা হৃদয়ে কত কষ্ট নিয়ে লিখতে হচ্ছে)
---
নাস্তিকরা শুধু আপনাকে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ১ম অংশ দক্ষিন হস্তের কথাটা বলবে কিন্তু নাস্তিকরা কখনই আপনাকে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের পুরাটা ও সূরা নিসার ২৫ নং আয়াতের পুরাটা বলবে না। কারন সূরা নিসার ২৪ ও ২৫ নং আয়াত টা পড়লেই আপনারা বুঝবেন যে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যুদ্ধবন্দী নারীদের কে বিয়ে করার হুকুম দিয়েছেন।।
**আবার সেক্স করার জন্য যুদ্ধবন্দীনি নারীদের উপর কোন জোর-জবরদস্তি করা যাবে না এটাও কোরআনে বলা হয়েছে- ”
-

ﻭَﻟْﻴَﺴْﺘَﻌْﻔِﻒِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﺎ ﻳَﺠِﺪُﻭﻥَ ﻧِﻜَﺎﺣًﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﻐْﻨِﻴَﻬُﻢْ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦ ﻓَﻀْﻠِﻪِ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺒْﺘَﻐُﻮﻥَ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﻣِﻤَّﺎ ﻣَﻠَﻜَﺖْ ﺃَﻳْﻤَﺎﻧُﻜُﻢْ ﻓَﻜَﺎﺗِﺒُﻮﻫُﻢْ ﺇِﻥْ ﻋَﻠِﻤْﺘُﻢْ ﻓِﻴﻬِﻢْ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻭَﺁﺗُﻮﻫُﻢ ﻣِّﻦ ﻣَّﺎﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺁﺗَﺎﻛُﻢْ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻜْﺮِﻫُﻮﺍ ﻓَﺘَﻴَﺎﺗِﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒِﻐَﺎﺀ ﺇِﻥْ ﺃَﺭَﺩْﻥَ ﺗَﺤَﺼُّﻨًﺎ ﻟِّﺘَﺒْﺘَﻐُﻮﺍ ﻋَﺮَﺽَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﻜْﺮِﻫﻬُّﻦَّ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﺇِﻛْﺮَﺍﻫِﻬِﻦَّ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ
-
যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা নুর: ৩৩]
অর্থ্যাৎ সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াত মতে বুঝা যাচ্ছে যে কোন যুদ্ধবন্দী নারী বিয়ে ছাড়া মিলিত হতে না চাইলে তাকে জোর করা যাবে না। অবশ্যই বিয়ের মাধ্যমে যুদ্ধবন্দী নারীর সাথে মিলিত হতে হবে।।
**ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত বুখারী শরীফের ১০ খন্ড পৃষ্ঠা ৩০৬ তে ২৯১২ অনুচ্ছেদে সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে হযরত ওমরের খিলাফত কালে সরকারী মালিকানাধীন এক গোলাম গনীমতের পঞ্চমাংশে প্রাপ্ত একটি দাসীর সাথে জোর জবরদস্তিমূলকভাবে যিনা করে।।
হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু উক্ত গোলামকে কশাঘাত করলেন ও নির্বাসন দিলেন।। অর্থ্যাত্ কেউ যুদ্ধবন্দী নারী বা তার অধিনস্থ ক্রীতদাসীর সাথে ইচ্ছার বাইরে Sex করলে তার উপর হুদুদ প্রয়োগ হবে।।

**তাইলে আপনারা দেখুন নাস্তিকরা কিভাবে সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ১ম অংশ দিয়ে কিভাবে আমাদের কে বিভ্রান্ত করছে। আল কোরআনের কোথায় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা যুদ্ধবন্দী নারীদের কে ধর্ষন করতে বলেছেন ??
নাউযুবিল্লাহ।।
সূরা নিসার ২৪, ২৫ ও সূরা নূরের ৩৩ নং আয়াতগুলি পড়লে আপনারা বুঝবেন যে যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে মুতা বিবাহ অথবা স্থায়ী বিবাহের মাধ্যমেই শুধু মিলিত হওয়া যাবে।
যুদ্ধবন্দী নারীদের কে যে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হত এই কথা বুখারী শরীফেও বলা আছে।।
খায়বার যুদ্ধের পর যখন নিয়ম অনুযায়ী মালে গনীমত ( যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ও দাস-দাসী) মুজাহিদদের মাঝে বন্টনের প্রস্তুতি চললো এবং এই উদ্দেশ্যে সকল বন্দীকে একত্র করা হলো, তখন দিহাইয়া এসে বললেন- হে নবী , আমাকে বন্দিনী নারীদের মধ্য হতে একজন দাসী দিন। নবী বললেন- যাও তোমার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে নাও। উনি তখন সাফিয়া বিনতে হুইকে নিলেন। এক লোক এসে বললেন- হে নবী আপনি দাহিয়াকে সেই নারী দিয়েছেন যে নাকি খায়বারের সর্দারের স্ত্রী এবং সে কেবল আপনারই উপযুক্ত। নবী তখন তাকে সাফিয়াকে তাঁর কাছে আনার জন্য হুকুম করলেন। সাফিয়াকে তার সামনে আনা হলে, তিনি দেখে দিহাইয়াকে অন্য নারী নিতে বললেন ও সাফিয়াকে নিজের কাছে রেখে দিলেন এবং বিয়ে করলেন’ (বুখারী, বই ১, ভলিয়ুম-৮, হাদিস-৩৬৭)।’
-
আদম (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (খায়বারের যুদ্ধে) নবী ﷺ সাফিয়্যা (রাঃ)-কে (প্রথমত)বন্দী করেছিলেন। পরে তিনি তাঁকে আযাদ করে বিয়ে করেছিলেন। সাবিত (রহঃ) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, নবী ﷺ তাঁর মোহর কত ধার্য করেছিলেন? আনাস (রাঃ) বললেনঃ স্বয়ং সাফিয়্যা (রাঃ)-কেই মোহর ধার্য করছিলেন এবং তাঁকে আযাদ করে দিয়েছিলেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) | হাদিস নাম্বার: 3887]
-
এরপরে হিজরি ৫ম সনে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খবর পেলেন যে বনু মোস্তালাক গোত্রের নেতা হারিস ইবনে দিরার মক্কার কুরাইশদের প্ররোচনায় নিজের ও অন্যান্য আরব গোত্রের লোকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বাহিনী নিয়ে মদীনা আক্রমণের তোড়জোড় শুরু করেছে। রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খবরটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বুরাইদা ইবনে আল হুসাইবকে বনু মোস্তালাক গোত্রের কাছ পাঠালেন। তিনি সেখানে পৌঁছে খোঁজখবর নিয়ে বুঝলেন ঘটনা সত্য। তিনি সাথে সাথে ফিরে এসে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বনু মোস্তালাক গোত্র যে মদীনা আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিয়েছে তা জানালেন। কাল বিলম্ব না করে রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহুদী গোত্র বনু মোস্তালাক কে আক্রমন করে বনু মোস্তালাক গোত্র কে পরাজিত করেন। বনু মোস্তালাক গোত্রের ৬০০ জন যুদ্ধবন্দীকে দাসদাসী ঘোষণা করে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সৈনিকদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়।
বনু মোস্তালাক গোত্রের গোত্রপতি হারিস ইবনে দিরারের কন্যা জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস হযরত সাবিত ইবনে কায়েসের ভাগে পড়েন।।

কিন্তু জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস ৯ উকিয়া স্বর্ণের বিনিময়ে হযরত সাবিত ইবনে কায়েসের সাথে মুকাতাবা বা চুক্তি করলেন যে এই ৯ উকিয়া স্বর্ন উনি সাবিত ইবনে কায়েস কে দিলে সাবিত ইবনে কায়েস উনাকে মুক্ত করে দিবে। কিন্তু এই ৯ উকিয়া স্বর্ন জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস যোগাড় করতে পারছিলেন না। পরিশেষে যখন জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহায্য চাইলেন তখন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ থেকে উনার মুক্তিপন আদায় করে জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রস্তাবে রাজী হলে রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে সাবিত ইবনে কায়েস কে ৯ উকিয়া স্বর্ণ পরিশোধ করে দিয়ে জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে একজন স্বাধীন নারী ঘোষণা করে তারপর জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস কে বিয়ে করেন। এরপর সাহাবীরা বনু মোস্তালাক গোত্রের সেই ৬০০ বন্দীকেও মুক্ত করে দেন। কারন সাহাবীরা তখন বলেন রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কখনো আমাদের দাসদাসী হতে পারে না। বনু মুস্তালাক গোত্রের প্রতিটা বন্দীর মুক্তি হযরত জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিসের দেন মোহর হিসাবে ধার্য হয়। [ তথ্যসূত্র, সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ১০৫ ]
অর্থ্যাৎ বনু মোস্তালাক গোত্রের কোন ব্যক্তিকেই সাহাবীরা দাসদাসীতে রূপান্তরিত করেন নাই।।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে ........
নারী কি কোন ভোগ্য বস্তু যেমন চিকেন ,মাটন ,বীফ যে তাকে.... , মানে বুঝতে পারছেন তো কি বলতে চাইছি?
অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে ....................
ও আচ্ছা বোলেই দিয়েছে নারী কে ভোগ করতে হবে ?........
কারো যদি যুদ্ধবন্দী কোন নারী বা ক্রীতদাসীর প্রতি আকর্ষন বোধ হয় তাইলে সে তাকে বিয়ে করে তারপর তার সাথ মিলিত হবে।। দেখুন আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এখানে ক্রীতদাসী/যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে বিয়ে করার ব্যপারে তাগাদা দিচ্ছেন এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান করার জন্যও বলা হচ্ছে।। এর চাইতে বেশী অধিকার একজন ক্রীতদাসীকে আর কি দেয়া যেতে পারে??
যুদ্ধবন্দী নারীদের সাথে কেউ সেক্স করতে চাইলে তাদেরকে বিয়ে করার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে (৪:২৫)।



ঠিক ,ঠিক। যুদ্ধ বন্দিনী নারী যারা স্বামী এবং সন্তানদের হারিয়েছে যুদ্ধে তারা নিশ্চয় স্বেচ্ছায় হত্যাকারীদের বিয়ে করে সেক্স করতে চাইবে।
যুদ্ধবন্দী নারীদের কে যে সাহাবীদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হত এই কথা বুখারী শরীফেও বলা আছে।
বাহবা বাহবা নন্দলাল ,বাহবা বাহবা বেশ।
তখন দিহাইয়া এসে বললেন- হে নবী , আমাকে বন্দিনী নারীদের মধ্য হতে একজন দাসী দিন। নবী বললেন- যাও তোমার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে নাও।
আপনার ভাগ্যেও যদি একটা বন্দিনী নারী জুটে যেতে পারে ,দেখুন যুদ্ধ টুদ্ধ করে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নাসির উদ্দিন বলেছেন: ভাই আপনার অভিযোগটা দুরে রেখে আপনার,,
আপনি একটু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে নিচের "মুতাওয়াক্কিল" ভাইয়ের
কমেন্টা পড়ুন।।
ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ আপনার উপর রহমত করবেন।।
হাদাকাল্লাহ....

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: Zajakallahu khairan

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

নাসির উদ্দিন বলেছেন: too

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

মুতাওয়াক্কিল বলেছেন: প্রাচীনকাল থেকেই দাসদাসী প্রথা চলে এসেছে , প্রাচীন গ্রীক সভ্যতায় এর প্রচলন ছিলো , রোমানদের মধ্যেও প্রচলিত ছিলো , মোটামুটি এই জিনিসটা প্রাচীন সভ্য , অসভ্য সমস্ত সমাজেই এর প্রচলন ছিলো , অর্থাৎ যারা যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হতো তাদের নারীদেরকে জয়ী দল ভোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করতো !
তো এখন আমার কথা হচ্ছে নিশ্চয়ই এই প্রথাটার আবিস্কারক মুসলিমরা নয় ! তো আজকাল ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রচন্ড প্রপাগান্ডায় এমনটাই মনে হচ্ছে যে , এর আবিষ্কারক একমাত্র মুসলিমরাই !
ইসলাম এসে এই প্রথাটাকে চিরতরে বাদ না দিয়ে এর ব্যাপক সংস্কার করেছে , যেমন আপনি চাইলেও তার সাথে জোর করে সেক্স করতে পারবেন না ! এরপূর্বে তাকে বিবাহ করতে হবে , আর একজন যুদ্ধবন্দী নারী যখন সৈন্যদের হাতে পরে তার অবস্থা কি হয় , এর নজির বর্তমান আধুনিককালের যুদ্ধক্ষেত্রেও দেখা যায় , আর একজন বন্দী নারী যখন একজন সৈন্যের দ্বাসী এবং বৈধ স্ত্রী হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি পাবে , এটা একজন নারীর জন্য সম্মানও বটে , কারণ বিবাহের পর একজন সৈন্য তার স্ত্রীর সাথে হাজারবার সেক্স করলেও কার কি যায় আসে ?
সবচেয়ে বড় কথা একজন যুদ্ধবন্দী নারী যখন ইসলাম পূর্ববর্তী সময়ে শুধুমাত্র ভোগ্য বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হতো তাদেরকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো ! যখন তাদের দ্বিতীয় কোন আশ্রয়স্থল ছিলোনা , ইসলাম এসে তাদের সাথে ভালো ব্যবহারের নির্দেশ জারি করলো , সেক্স করতে চাইলে বিবাহের নির্দেশ জারি করলো , দাস দাসী মুক্তির বিরাট সওয়াবের কাজ হিসেবে ঘোষণা করা হলো , অসংখ্য সাহাবীরা হাজার হাজার দাস দাসীকে মুক্তির ব্যবস্থা করলো , এরপরও কি ইসলাম দাস দাসীদের উপর জুলুম করলো ? প্রশ্ন আপনার বিবেকের কাছে ?
বলাবাহুল্য ইসলামের আগমনের পর এতো পরিমাণ দাস দাসীর মুক্তির ব্যবস্থা করা হয় যা বিরাট সওয়াবের কাজ , এর মাধ্যমে মোটামুটি দাসদাসী প্রথা অনেকটাই বিলুপ্ত হয়ে যায় , ইতিহাস যার বাস্তব সাক্ষী "

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

হানিফঢাকা বলেছেন: The writer has no knowledge on this subject . Those who are arguing for and against are on wrong ground.

২৬ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

নাসির উদ্দিন বলেছেন: তর্ক কোথায় করলামরে ভাই আমার একটা মত প্রকাশ করলাম।।
মনে চাইলে মানুন, না চাইলে না মানুন,, আপনার সে অধিকার আছে।।
তবে ভাই কোরআনটা আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পড়ুন,, অবশ্যই আপনার দর্শন পাল্টে যাবে।। ইনশাআল্লাহ।।
যদি কোন আয়াত না বোঝেন বা যুক্তি বিরধি মনে হয় তবে ভাল আলেমের কাছ থেকে জানুন।। আমি বা কোন আলেম যদি তার উত্তর না দিতে পারে তাহলে তো আর কুরআন ভুল হল না।।
যাইহোক ভাই
মনেরাখবেন
এই কুরআন কারও ইমান বাড়ায় আবার কারও সরল পথ থেকে দুর হতে দুরে নিয়ে যায়।। কারণ তার দর্শন নিরপেক্ষ নয়।।
হাদাকাল্লাহ।।
আল্লাহুম্মা ফাক্কিহু ফিদদিন।।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩১

হানিফঢাকা বলেছেন: তবে ভাই কোরআনটা আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পড়ুন,, অবশ্যই আপনার দর্শন পাল্টে যাবে।। - আপনার সারা জীবনে কোনদিন কোরআন নিরপেক্ষ দৃস্টিতে পড়ে দেখছেন? নিরপেক্ষ দৃস্টি কি আপনি জানেন?

যুদ্ধবন্দীদের কে গণিমতের মাল বানাইয়া তাহদের সাথে অবাধে সেক্স করার গল্প কোথায় আছে ? কোরআনে না হাদিসে? দুইটার মধ্যে পার্থক্য বুঝেন?


এই কুরআন কারও ইমান বাড়ায় আবার কারও সরল পথ থেকে দুর হতে দুরে নিয়ে যায়।- কোরআন কাউকে সরল পথ থেকে দূরে নিয়ে যায় না, সরল পথ থেকে দূরে স্রিয়ে নিয়ে যায় আপনাদের মত সেক্স ম্যনিয়াক মোল্লারা, যারা যেই জিনিষ কোরআনে নাই সে জিনিষ কোরআনের বিধান বলে প্রচারনা করে।

কোরআন যদি জীবনে কোনদিন পড়ে থাকেন, শুধু সেইখান থেকে বলেন যুদ্ধ বন্দীদের ব্যপারে কোরআনের বিধান কি?

সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ব্যখা আপনার কাছে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না। এইটা মুতা বিবাহ? কোরআনের আয়াত রহিত হয়ে গেছে? ব্লগ বইলা গালি দিলাম না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

নাসির উদ্দিন বলেছেন: ভাই মন্তব্যরর জন্য ধন্যবাদ।।
.।

যুদ্ধবন্দীদের কে গণিমতের মাল বানাইয়া তাহদের সাথে অবাধে সেক্স করার গল্প কোথায় আছে ?
.....
আমার প্রশ্নওতো সেটাই,, মুফাসসিলের কাছে।।
আপনিকি আমার পোস্টা পড়েছেন।।
আমি কনফিউস্
-------
আপনাদের মত সেক্স ম্যনিয়াক মোল্লারা, যারা যেই জিনিষ কোরআনে নাই সে জিনিষ কোরআনের বিধান বলে প্রচারনা করে।।

আপনার কথায় কিছু মনেকরি নাই।।আলহামদুলিল্লাহ।।
তবে এটা কোন ধরনের নিরপেক্ষ দর্শন আসাকরি বুঝিয়ে বলবেন??

-------

যেই জিনিষ কোরআনে নাই সে জিনিষ কোরআনের বিধান বলে প্রচারনা করে।।

প্রমান দেন!!
কনফিউস, তো দরকার নেই।।
---------
সূরা নিসার ২৪ নং আয়াতের ব্যখা আপনার কাছে এর চেয়ে ভাল কিছু আশা করা যায় না। এইটা মুতা বিবাহ??

দেখুন ভাই,
কোরআন পড়লে দেখবেন মদের উপকারিতা বর্ননা করা আছে, তো আমিকি এখন তা প্রচার করবো?? মুতা বিয়ে বিষয়ে পোস্টে লিংক দেওয়া আছে।। দেখতে পারেন।।
--------

ব্লগ বইলা গালি দিলাম না।।

ধন্যবাদ
ভদ্রতা বজায় বাখার জন্য।।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক উনি শুধু কুরআন মানেন। হাদীস অস্বীকার করেন। আশ্চর্যের বিষয়, উনি আখিরাতকে অস্বীকার করেন। কুরআনের কোথাও নাকি মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কথা বলা নাই। অন্যান্য বিষয়গুলি নাই বা বললাম। এ ধরনের লোকেরা নিজেদেরকে সবজান্তা ভাবে। খোজ নিলে দেখা যাবে ইংরেজি অনুবাদই এদের ভরসা। সাধারণ মুসলিমদের সাথে এদের বেশভূষা, ধর্মীয় আচরণেও কোন মিল খুজে পাওয়া যায়না। আলেমদেরকে মূর্খ ঠাওরায়। এরা প্রচন্ডরকম কপটাচারীও। আমার এক চাচাত বোনকে এক কুরআন অনলি পরিচয় গোপন করে বিবাহ করেছিল। বিবাহের পূর্বে পুরাই সুফি তাহাজ্জুদগোজার। পরে দেখা গেল অজু-নামাজ লাগেনা। সম্ভবত এরা দৈহিক মিলনের পর গোসলও করেনা।

৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

আশাবাদী অধম বলেছেন: আমার পরিচিত এক ভদ্রলোক উনি শুধু কুরআন মানেন। হাদীস অস্বীকার করেন। আশ্চর্যের বিষয়, উনি আখিরাতকে অস্বীকার করেন। কুরআনের কোথাও নাকি মৃত্যু পরবর্তী জীবনের কথা বলা নাই। অন্যান্য বিষয়গুলি নাই বা বললাম। এ ধরনের লোকেরা নিজেদেরকে সবজান্তা ভাবে। খোজ নিলে দেখা যাবে ইংরেজি অনুবাদই এদের ভরসা। সাধারণ মুসলিমদের সাথে এদের বেশভূষা, ধর্মীয় আচরণেও কোন মিল খুজে পাওয়া যায়না। আলেমদেরকে মূর্খ ঠাওরায়। এরা প্রচন্ডরকম কপটাচারীও। আমার এক চাচাত বোনকে এক কুরআন অনলি পরিচয় গোপন করে বিবাহ করেছিল। বিবাহের পূর্বে পুরাই সুফি তাহাজ্জুদগোজার। পরে দেখা গেল অজু-নামাজ লাগেনা। সম্ভবত এরা দৈহিক মিলনের পর গোসলও করেনা।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

নাসির উদ্দিন বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ,,

আল্লাহতায়ালা যেন তাদেরকে হেদায়েত দান করেন এবং আমাকে ও আপনাকে সরল পথে অবিচল রাখেন।।
আমিন।।

--
জাজাকাল্লাহ

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

দি রিফর্মার বলেছেন: যারা শুধু আল-কুরআন মানে কিন্তু হাদিসকে অস্বীকার করে তাদের বলা হয় আহলে-কুরআন। তারা মনে করে হাদিস নবীজির ওফাতের পরে বিভিন্ন ব্যক্তি হাদীস রচনা করেছে। অথচ বিগত দেড় হাজার বছর যাবৎ হাদিস চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং এর প্রামাণ্যতা নিয়ে অসংখ‍্য‍ গবেষনা হয়েছে এবং তা সর্বজন স্বীকৃত। তার পরও যারা এই বিষয়ে সন্দিহান তাদের যে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

নাসির উদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য,,

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২০

anyhumanbeing বলেছেন: আল্ল-হ্ পাক নিজের কুদরতে এদের বিচার করবেন। আ-মিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.