![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শৈশব কেটেছে ডাকাতিয়া পাড়ের নিজগ্রামের মাটি আর ধূলাতে। কৈশরেই (১৯৯৩ খ্রীস্টাব্দে) চ’লে আসেন বাবার কর্মস্থল কুমিল্লা শহরে। মফস্বলের আলো হাওয়ায় অতিক্রান্ত হয় প্রথম যৌবন। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করছেন। ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন ১৯৯৯ খ্রীস্টাব্দে। বিপ্লবী ধারার প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। সম্পাদনা করেছেন ছাত্র আন্দোলনের কাগজ ‘প্রেক্ষণ’। লেখালেখির শুরু তারও আগে, প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় সাহিত্যপত্রিকা ‘প্রভাত’-এ ১৯৯৭ খ্রীস্টাব্দে। কবিতা ও কথাকাগজ ‘কবিতাপত্র’ সম্পাদনা করেছেন ২০০০ খ্রীস্টাব্দ হতে ২০০৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মোট সাত সংখ্যা। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ’নুন আগুনের সংসার’।
পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীগুলো যে প্রত্যেকেই আলাদা জাতিগোষ্ঠী, তাদের প্রত্যেকেরই যে আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতি আছে এবং এটা সংরক্ষণ করা যে তাঁদের অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব; এ সহজ বিষয়টা বাঙ্গালী জাতি ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে কে বোঝাবে?
এখনকার বেশিরভাগ বাংলাভাষী বাংলাদেশী মনে করেন বাংলাদেশের সব নাগরিক বাংলা ভাষায় কথা বলবে অথচ তারা নিজেদের ভাষায় কথা বলার অধিকার চাইতে গিয়ে ১৯৫২ সালে প্রাণ দিয়েছিল। কেন ভাই, প্রত্যেক নৃ-গোষ্ঠীরইতো আলাদা ভাষা আছে, মায়ের ভাষা। আপনার ভাষায় পড়াইতে-বলাইতে চান কেন?
পাহাড়ের সকল নৃ-গোষ্ঠীরই আলাদা সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস তথা নিজস্ব জীবনযাপন প্রণালী আছে, যা হজার বছর ধরে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তৈরী হয়েছে। সে জীবন আপনার না, মানে সমতলের না। তারা আপনাদের স্বাগতম না জানালে, আপনারা কেন উপযাচক হয়ে তাদের সংস্কৃতি ও জীবন প্রণালীতে অনুপ্রবেশ করছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী শোষণ-বঞ্চণা থেকে এদেশর জনগণকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের ভূ-খন্ডের সকল মনুষ দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। নৃ-গোষ্ঠীর লড়াই নিশ্চয়ই বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষায় নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি বিলীন করার জন্য ছিলনা। তাদের লাড়াই ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রে তারা যেন নির্বিবাদে তাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে পারে, তাদের নিজস্ব ভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে এবং নির্ভয়ে বলতে পারে। তাঁদের সে আশাতো এই রাষ্ট্র আজো পুরন করেইনি বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে সেটেলারদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পাহাড়ীদের জীবনকে প্রতিনিয়ত দূর্বিসহ করে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এ সকল প্রশ্নের মীমাংসা জরুরী। রাষ্ট্রকেই তার সকল নাগরিকের অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। সেইসাথে সংখ্যায় অধিক বাঙ্গালীর নৈতিক দায়িত্ব এই রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর অধিকারের সংগ্রামকে বেগবান করা।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
আব্দুল মোতালিব বলেছেন: পাহাড়িরা একদিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে থাকবে, বাঙালিরদের নির্যাতন করবে, প্রথমে বাংলাদেশী হিসেবে গর্ব না করে তথাকথিত স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত থাকলে, তাদের অধিকার কিভাবে নিশ্চিত করা হবে?!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
আলতাফ শেহাব বলেছেন: পাহাড়িরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছে এভাবে শাসকের ভাষায় সবার উপর দোষ চাপানো যাবে না। সন্ত্রাসী পাহাড়ে যেমন সন্ত্রাসী সমতলেও সন্ত্রাসী। এদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব। সাধারন নিরাপত্ত্ব ও সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এখনকার বেশিরভাগ বাংলাভাষী বাংলাদেশী মনে করেন বাংলাদেশের সব নাগরিক বাংলা ভাষায় কথা বলব...... কিছু অকাঠ বলদ থাকতে পারে যারা এমন ভাবে, তবে আমি বিশ্বাস করি "বেশিরভাগ" মানুষ এমনটা মনে করে না।
তারা আপনাদের স্বাগতম না জানালে, আপনারা কেন উপযাচক হয়ে তাদের সংস্কৃতি ও জীবন প্রণালীতে অনুপ্রবেশ করছেন।..... অনেক কারণের মধ্যে এমনই একটা কারণে ইসলামিষ্টরা মনে করে "ধর্ম যার, উৎসবও তার"। আপনার কথায় সেটাই উচ্চারিত হলো আরকি।
সেইসাথে সংখ্যায় অধিক বাঙ্গালীর নৈতিক দায়িত্ব এই রাষ্ট্রে বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র জাতীগোষ্ঠীর অধিকারের সংগ্রামকে বেগবান করা।...... এখানে বেশ বড় ফাঁক রয়ে যায়। অনেক পাহাড়ীই চায় পাহাড়ে তাদের সার্বভৌমত্ব, এবং অনেকেই চায় স্বাধীন রাষ্ট্র। আমাদের কি উচিৎ হবে তাদের সেই "অধিকারের সংগ্রামকে বেগবান করা"?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
আলতাফ শেহাব বলেছেন: আপনার আশেপাশের লোকজন হয়তো অনেক উন্নত চেতনার অধিকারী তাই আপনার মনে হচ্ছে অকাট বলদরাই এমন মনে করে, কিন্তু খেয়াল করে দেখেন বাংলাদেশ সরকারও এখনও পাহাড়ীদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার বন্দোবস্ত করতে পারে নাই বা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে নাই।
জীবন প্রণালী বলতে শুধু ধর্ম আর উৎসবই না, হাজার হাজার বছর ধরে তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন, পোশাক, খাদ্য। পহাড়ের সব জাতিগোষ্ঠীতে একাধিক ধর্ম পালন করা লোকজন বসবাস করে। উৎসব উপভোগ করেন কিন্তু আপনার মতামত চাপিয়ে দেয়াটা কি ঠিক?
যে ফাঁকের কথা বলছেন সেটাকেতো দোষ দিতে পারেন না, পাকিস্তানীদের ২৩ বছরের অত্যাচার আমরা সহ্য করিনি। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর, সেনা আগ্রাসন ছাড়া পাহাড়ীদের জীবনে কি পরিবতর্ন এসেছে। বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমাদের অবশ্যই উচিত তাদের সকল মৌলিক অধিকারের সংগ্রামে সমথর্ন দেয়া।
৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
আজব লিংকন বলেছেন: বাংলাদেশীদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক।
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: যে বিভেধ সৃষ্টি হয়েছে তাতে আর এর রাষ্ট্র থাকা সম্ভব না।প্রচুর সংখ্যক বাংগালীকে স্থায়ী করা ছিলো ভুল।তার মাশুল দিতেই হবে।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:০৮
ঈশান মাহমুদ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: যে বিভেধ সৃষ্টি হয়েছে তাতে আর এর রাষ্ট্র থাকা সম্ভব না।প্রচুর সংখ্যক বাংগালীকে স্থায়ী করা ছিলো ভুল।তার মাশুল দিতেই হবে। [/sb
বাংলাদেশ একটি ছোটদেশ অথচ এখানে আঠারো কোটিরও অধিক জনসংখ্যার বাস। অথচ তিন পার্বত্য জেলার আয়তন সমগ্র দেশের এক পঞ্চমাংশ। পাহাড়ি জনগোষ্ঠি (বাঙালি বাদে) মাত্র নয় লক্ষ বিশ হাজার (সুত্র Click This Link
পাহাড়ি, অন্যান্য নৃ গোষ্ঠি এবং বাঙালি সবাই এই দেশের নাগরিক। একজন পাহাড়ির যদি ঢাকা সহ দেশের যে কোন স্থানে জায়গা বা বাড়ি কিনে বসবাসের অধিকার আছে, ঠিক তেমনই বাঙালিদেরও তার নিজ দেশের যে কোন জায়গায় বসবাসের অধিকার থাকাটাই স্বাভাবিক। আমাদের সংবিধানেও কিন্তু নাগরিক অধিকারের ক্ষেত্রে পাহাড়ি /বাঙালি কিংবা হিন্দু/ মুসলমান কোন ভেদাভেদ নাই। তবে নৃ গোষ্ঠি হিসেবে পার্বত্য জেলায় পাহাড়িদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাতন্দ্র জাতিস্বত্ত্বা সংরক্ষণের সাংবিধানিক কিছু অধিকার রয়েছে। যার প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের অবশ্যই সম্মান প্রদর্শন করা উচিৎ এবং উপজাতিদের এই অগ্রাধিকার মেনে নিয়েই সেখানে শান্তিতে সহাবস্থান করা উচিৎ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
আলতাফ শেহাব বলেছেন: ও ভাই বিষয়টা এতো সরল না। তাদের শতশত বছরের ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে আপনারা পাঁচতারা রিসোট বানাতে পারেন না। যত্রতত্র পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি বানাতে পারেন না। পহাড় ঘিরেই তাদের সম্পূর্ণ জীবনযাপন। খাদ্যের যোগান আসে পাহাড় থেকে প্রাকৃতিকভাবে। সমতলের লোকজন পাহাড়ে গিয়ে মুনাফার জন্য পাহাড়-বনজঙ্গল উজাড় করে দিচ্ছে, পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ২:৪২
কলমনাই বলেছেন: পাহাড়ীদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা কেউ ভালো নেই।
পাহাড়িয়া বা আমরা । আমরা কেউ ভালো নেই।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
আলতাফ শেহাব বলেছেন: আমরা কেউ ভালো নেই ভাই
৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
নদীকান্ত বলেছেন: পাহাড়িদের দমিয়ে রেখে কখনো পাহাড়ে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭
নূর সজিব বলেছেন: বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষাগুষ্টি, ধর্মের মানুষ থাকবে এটা এটা দেশকে বাহারী করে তুলবে। উসৃঙ্খলতা বাদ দিয়ে মিমাংসিত সকলের জন্য শান্তিময় দেশ গড়া উচিত। নব্যগোষ্টি Dna গত কারনে এখন ১৯৭১ এর স্বাধীনতা মানে না চেতনা তো বহু যোজন দূরে।