নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুহাঃ ইজাজ আল ওয়াসী

মুহাঃ ইজাজ আল ওয়াসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের স্বাধীনতার দলিল ও একজন ওসমানী

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর মূলতঃ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ছিলেন। ১৯৬৭ সালে অবসর গ্রহণের পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সিলেট থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

বঙ্গবন্ধুকে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে জেনারেল ওসমানী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব আলী খানকে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেয়া হলে, তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন এবং ইস্তফা দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যান। পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হলে জেনারেল ওসমানী ছদ্মবেশে ঢাকা থেকে সিলেট চলে যান। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারদের সাথে মিলে সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা করেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জেনারেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মনোনীত করেন। মুক্তিবাহিনীর বেশির ভাগ কমান্ডার মূলতঃ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী অফিসার ছিলেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অস্ত্র সমর্পণ অনুষ্ঠান থেকে জেনারেল ওসমানীকে সরিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর সকালে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় রওনা দিয়েছিলেন। সিলেটের কাছেই মাটি থেকে তার হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। তার সঙ্গী কর্নেল এম এ রব আহত হন। যে এলাকা থেকে হেলিকপ্টারে গুলিবর্ষণ করা হয় সেই এলাকাটি ভারতের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। ওসমানী সাহেব হেলিকপ্টার মাটিতে অবতরণ করালে সেখানে ভারতের সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিল। তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর অফিসারদের অনুরোধ করেন, তাকে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য । কিন্তু তা করা হয়নি।

অস্ত্র সমর্পণের দস্তাবেজে জেনারেল ওসমানীকে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্রেডিট মুক্তিবাহিনীর পরিবর্তে ভারতের সেনাবাহিনী অর্জন করে নিতে চেয়েছিল। আর এ দস্তাবেজের বলেই আজ আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকে ভারতীয়রা "পাক-ভারত ৩য় যুদ্ধ" বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে চলেছে । তাদের ইতিহাসেও হয়ত তারা ইতিমধ্যে সেভাবেই লিপিবদ্ধ করেছে, নয়ত বিতর্কিত ভারতীয় চলচ্চিত্র "গুন্ডে" তে এমন ভিত্তিহীন তথ্য প্রদর্শন করার কথা নয় আবার বলিউড সেন্সরবোর্ড তা অনুমোদন দেওয়ারও কথা নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.