![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমদিকে ইয়াবা যৌনউত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অণুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করলে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরন, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, ক্ষুধামন্দা এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা যেতে পারে। ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, বৃক্ক সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা।দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে। এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন। ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে।ইয়াবা মাদকটির মূল উপাদান মেথঅ্যামফিটামিন। এটা একসময় সর্দি এবং নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হতো কোনো কোনো দেশে। ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এটিকে ক্লান্তি দূর করতে এবং সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। পরবর্তী সময়ে এটা সাধারণ মানুষ বিশেষত শিক্ষার্থী, দীর্ঘযাত্রার গাড়িচালক ও দৌড়বিদেরা ব্যবহার শুরু করেন।
ইয়াবা কোথায় থেকে এলো:
ধীরে ধীরে এর কুফল বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া উদঘাটিত হতে থাকায় বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশে এর উৎপাদন চলতেই থাকে। মেথঅ্যামফিটামিনের সঙ্গে ক্যাফেইন মিশিয়ে ব্যবহূত হতে থাকে মাদকদ্রব্য হিসেবে। থাইল্যান্ডে এই মাদকটির উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে। গাঁজা, ফেনসিডিল, হেরোইন, পেথেডিনের পথ ধরে বাংলাদেশেও এখন সহজলভ্য হয়ে উঠেছে মাদকটি। অনেকে একে বলে ক্রেজি মেডিসিন বা পাগলা ওষুধ। অনেকের কাছে নাজি স্পিড বা শুধু স্পিড। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের অনেক এলাকায় ইয়াবার লেনদেন হয় বাবা নামে। হালের মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের কাছে এ মাদকটি সমধিক পরিচিত ইয়াবা
নামেই। ইয়াবা একটি থাই শব্দ।নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও আনুমানিক ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে এই ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে। পরবর্তী সময়ে ২০০০ সাল থেকে সীমান্তপথে থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার থেকে চোরাচালান হয়ে ইয়াবা দেশে অনুপ্রবেশ করতে থাকে। প্রথম দিকে উচ্চমূল্যের কারণে ইয়াবার প্রচলন সীমাবদ্ধ ছিল শুধু উচ্চবিত্ত ব্যক্তিদের মধ্যেই। পরে প্রচণ্ড উত্তেজক এবং নেশাকারক এ ট্যাবলেটটির উপকরণ চোরাইপথে এনে দেশের ভেতরেই তা তৈরি করা শুরু হয়। দাম কিছুটা কমতে থাকে। ফলে উচ্চবিত্তের গণ্ডি ছাড়িয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবক যুবতীদের মধ্যেও ইয়াবার বিস্তার ঘটে।
আসলে ইয়াবার প্রতি আকর্ষণের কারনটা
তরুণ,তরুণীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মূল উপাদানের সঙ্গে মেশানো হয় আঙুর, কমলা অথবা ভ্যানিলার ফ্লেভার; সবুজ বা লাল কমলা রং। ইয়াবা নামের ছোট্ট এই ট্যাবলেটটি দেখতে অনেকটা ক্যান্ডির মতো স্বাদেও তেমনই। ফলে আসক্ত ব্যক্তিরা এর প্রচণ্ড ক্ষতিকর প্রভাবটুকু প্রথমে বুঝতে পারেন না। একই কারণে এটি পরিবহন করা ও লুকিয়ে রাখাও সহজ।
অধিকাংশ মাদকসেবী ট্যাবলেটটি মুখেই গ্রহণ করে। অনেকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ওপর রাখা ট্যাবলেটের অপর প্রান্তে তাপ দিয়ে একে গলিয়ে ফেলে। এরপর সেখান থেকে যে বাষ্প বের হয়, তা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করে। আবার ট্যাবলেটটি গুঁড়ো করে, পানিতে মিশিয়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে শিরাপথে সরাসরি রক্তেও ঢুকিয়ে দেয় অনেকে।
ইয়াবা কিভাবে কাজ করে ?
ইয়াবার আনন্দ আর উত্তেজনা আসক্ত ব্যক্তিদের সাময়িকভাবে ভুলিয়ে দেয় জীবনের সব যন্ত্রণা। তারা বাস করে স্বপ্নের এক জগতে। ইয়াবার প্রচণ্ড উত্তেজক ক্ষমতা আছে বলে যৌন উত্তেজক হিসেবে অনেকে ব্যবহার করে এটি। ক্ষুধা কমিয়ে দেয় বলে স্লিম হওয়ার ওষুধ হিসেবে অনেকে শুরু করে ইয়াবা সেবন। ঘুম কমিয়ে দেয় । সারা রাতের পার্টির আগে ক্লান্তিহীন উপভোগ নিশ্চিত করতে অনেকের পছন্দ ইয়াবা।কিন্তু এই সাময়িক আনন্দের ট্যাবলেটটি যে তাদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে তা টের পাওয়ারও অবকাশ সে সময় তাদের থাকে না।প্রথমে কম ডোজে এ ট্যাবলেট কাজ করলেও ধীরে ধীরে ডোজ বাড়াতে হয়। আগে যে পরিমাণ ইয়াবা আনন্দ এনে দিত, পরে তাতে আর হয় না। বাড়তে থাকে ট্যাবলেটের পরিমান । ক্ষণস্থায়ী আনন্দের পর বাড়তে থাকে ক্ষতিকর নানা উপসর্গও।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: জানার কি শেষ আছে ।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০
অগ্নি সারথি বলেছেন:
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভেবে আর কি করবেন ?
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
নিয়াজ সুমন বলেছেন: তথ্য বহুল আর্টিকেল। ভাল লেগেছে প্রিয় মামা
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাগ্নে ।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
গিলগামেশের দরবার বলেছেন: ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ও যুদ্ধের পর অনেক নাজি সেনা প্রতিপক্ষকে গুলি না ছুড়ে সহযোদ্ধাদেরকে গুলি করে মারত। তার একমাত্র কারনই ছিল হতাশা ও ইয়াবার পার্শপ্রতিক্রিয়া। ইয়াবা মারাত্বক ভয়ংকর ড্রাগ। থাইল্যান্ডে কিছুদিন আগে একটা আইন ছিল যে, যার কাছে ইয়াবা পাওয়া যাবে তাকে পুলিশ গুলি করতে পারবে। আইনটা এখন আছে কিনা জানিনা। আমাদের দেশে এই আইন করলে ইয়াবা ব্যবসা ও সেবন ধীরে ধীরে কমে আসবে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হয়ত বা ................ধন্যবাদ ।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পরে প্রচণ্ড উত্তেজক এবং নেশাকারক এ ট্যাবলেটটির উপকরণ চোরাইপথে এনে দেশের ভেতরেই তা তৈরি করা শুরু হয়। দাম কিছুটা কমতে থাকে। ফলে উচ্চবিত্তের গণ্ডি ছাড়িয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত যুবক যুবতীদের মধ্যেও ইয়াবার বিস্তার ঘটে।
গরীবের অনেক উপকার করছে। অল্প টাকায় আনন্দ ফূর্তি করতে পারবে!
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন:
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: জানলাম
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ইয়াবা বাবা সম্পর্কে জানলাম
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ইয়াবা বাবা ঠিকাছে
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২২
রাতুল_শাহ বলেছেন: শুনেছিলাম হিটলার নাকি তার সৈন্যদের ইয়াবা খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলো। সত্য মিথ্যা জানিনা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আমিও শুনেছিলাম
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
নতুন বিচারক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৪
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ বিচারক সাহেব ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১
সরকার আলমগীর বলেছেন: যাক অনেক কিছু জানলাম