নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাম্প ভালো একজন সফল তুরুপের তাস খেলোয়ার

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭


এখন অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীর দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর লোক হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সফলতার তাসে কিভাবে চাল দিতে হয় সেটা ভালোই জানা আছে তার। যার সর্বশেষ নজির দেশটির সুপ্রিম ক্ষমতায় তার আসীন।যে মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবিরা মার্কিন অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিবাসী বিদেশি কর্মীদের কাছে চাকরি খোয়াবার ভয়ে চিন্তিত লাতিন আমেরিকা আর এশীয় শরণার্থীদের নিয়ে বিরক্ত এবং বিশেষ করে মুসলিমদের ব্যাপারে সন্ত্রস্ত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিন মধ্যবিত্তের সেই মানসিকতার আঁচ পেয়ে গিয়েছিলেন তুরুপের তাস খেলোয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্ভুল বুঝেছিলেন এই নাগরিক হতাশাই তার তুরুপের তাস। তাই তিনিও প্রচার কৌশল সাজিয়েছিলেন ঠিক সেইভাবেই।

নিউ ইয়র্কের কুইন্সের জমি বাড়ি ব্যবসায়ী ফ্রেড ট্রাম্পের চতুর্থ সন্তান ডোনাল্ড ট্রাম্প ছোটবেলা থেকেই লাভ ক্ষতির হিসেবে দড়, প্রখর ব্যবসাবুদ্ধি ছাড়াও মার্কিন বণিক মহলে তার পরিচয় তিনি রুথলেস। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে বাবার থেকে মাত্র ১০ লাখ ডলার ধার নিয়ে নিজেও জমি,বাড়ির, ব্যবসায়ে নেমে ছিলেন।আর ১৯৭১ সালে তিনি নিজেই তার বাবার কোম্পানির মালিক হয়ে যান।তবে ফ্রেড ট্রাম্প ছিলেন নেহাতই স্থানীয় প্রোমোটার। ফ্ল্যাটবাড়ি বানাতেন কুইন্স ব্রুকলিন এলাকায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প হাত বাড়ালেন নিউ ইয়র্কের উচ্চবিত্তদের এলাকা ম্যানহাটানের বড় বড় প্রজেক্টে। ছোট ফ্ল্যাটবাড়ি না তিনি বড় বড় টাওয়ার বানাতে শুরু করেন। আর তাতে তার লাভের অঙ্ক একশ গুণ হয়ে গেল। এখন নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের বানানো সেই সব টাওয়ারই বিখ্যাত এবং বিত্তশালীদের কাছেও প্রথম পছন্দ।

নির্বাচনী জনসভায় বেপরোয়া যথেচ্ছ গালাগাল করেছেন অভিবাসী আর শরণার্থীদের নামে। বলেছেন মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলে দেওয়ার কথা মুসলিমদের আমেরিকায় ঢুকতে না দেয়ার কথা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট হলে অভিবাসীদের হাতে হারানো চাকুরি মার্কিনিদের ফিরিয়ে দিবেন। বিপিওর ফোকর গলে বিদেশে পাড়ি দেয়া চাকুরি আবার ফিরে আসবে আমেরিকায়। এবং লোকজনও তাই ট্রাম্পের কথায় ভরসা রেখেছেন।আর তা না হলে ভোটের আগেই হয়ে যেত একের পর এক পুরনো কেচ্ছা ফাঁস মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এক বড় অংশের লাগাতার ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ও নিজের দলেরই নেতৃত্বের একাংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও ট্রাম্প জিততেন না। সে যতই জনতার ভোটের হিসেবে ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটনের থেকে পিছিয়ে থাকুন কলেজ ভোটের হিসেব তিনিই মিলিয়ে দিয়েছেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

"মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবিরা মার্কিন অর্থনীতির বেহাল অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিবাসী বিদেশি কর্মীদের কাছে চাকরি খোয়াবার ভয়ে চিন্তিত লাতিন আমেরিকা আর এশীয় শরণার্থীদের নিয়ে বিরক্ত এবং বিশেষ করে মুসলিমদের ব্যাপারে সন্ত্রস্ত। "

-কোন নাগরিক নিজ দেশে নিজের চাকুরী নিয়ে ভীত থাকা সঠিক নয়, এটার সমাধান হওয়ার দরকার।

-অভাবে পড়ে নিজ দেশ থেকে আমেরিকায় পালিয়ে আসছে মুসলমানরা; আমেরিকায় সন্ত্রাস করেছে কিছু মুসলমান, এটা থামানোর দরকার।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্ব সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, আমেরিকায়ও সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-) ট্রাম্পের এখন বয়স হইছে, তিনি মুরুব্বি গোঁছের কেউ। এখন তার কাছে এমরিকানদের প্রত্যাশা সেই মাপের। লেভেল ধরে থাকতে পারলে টিকে থাকবেন না হয় জনপ্রিয়তায় ধস নাম নামলে নিজ দলের লোকেরা তাকে পাস কাটিয়ে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করবে। সেটি সয়েই বলে দিবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.