নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

:):):)(:(:(:হাসু মামা

:):):)(:(:(:হাসু মামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম সেজে মুসলিমদের ধংস করার কঠিন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

এম এস গোয়ালিকর। আরএসএস আইডিওলগ। ১৯৪০ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সময় পরিধিতে থাকা আরএসএসের পদস্থ নেতা। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন,
Muslims and Christians are ‘INTERNAL THREAT’ number ONE and TWO respectively. মুসলমান ও খ্রিষ্টান হচ্ছে যথাক্রমে ১ নম্বর এবং ২ নম্বর অভ্যন্তরীণ হুমকি।
এই ধারণাই বরাবর কার্যকর রয়েছে আরএসএস নেতা বা ক্যাডারদের মূল বিশ্বাসে।আর সেই কারণেই ধর্ম জাগরণ সমিতির দায়িত্বে থাকা শীর্ষস্থানীয় আরএসএস ক্যাডার রাজেশ্বর সিং ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পর ঘোষণা দিয়েছিলেন,
We will free India of Muslims and Christians by 2021
যেহেতু ভারতের ১৬ বা১৭ শতাংশ নাগরিক মুসলমান এবং খ্রিষ্টান, অতএব এই খ্রিষ্টান-মুসলিমমুক্ত ভারত তৈরির অসম্ভব কাজটি সম্পন্ন করতে নিশ্চিতভাবেই মনে হয় একজন হারকিউলিসকে ডাকতে হবে। তা সত্ত্বেও হিন্দুত্ববাদী নেতা বা ব্যক্তিরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অভীষ্ট কাজটি সম্পন্ন করার জন্য।
যেহেতু মুসলমান হচ্ছে দেশটির বৃহত্তম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, হিন্দুত্ববাদী হন্তকেরা মূলত মুসলমানদেরই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন। গরু, ত্রিরঙ্গা বন্দে মাতরম, লাভ-জিহাদ এবং বাইরের দেশের প্রতি অনুগত থাকার অভিযোগ তোলা ছাড়াও নানা ধরনের ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া,আর সে সুযোগে উচ্ছৃঙ্খল হিন্দুরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে মুসলমানদের ওপর হামলা করা। এগুলো ভারতে মুসলমান নিধনে হিন্দবাদীদের কাছে এক কঠিন ষড়যন্ত্রের মন্ত্র হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে। সেখানে হঠাৎ করেই মুসলমান এবং দলিতদের বিরুদ্ধে জাতিকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় দৈনিক ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর ২৮ আগস্ট ২০১৭ সংখ্যায় লিখেছিলেন ‘a little over a month ago, a short video clip had gone viral on social media in the Hindu-majority Hindoli, Rajasthan. The clip, shot entirely from overhead, showed an old man in a skull cap and white kurta-pyjama molesting a child. It was difficult to identify the two due to the angle of the camera as well as the poor recording quality, while there were no clues to make out the under-construction site where the attack took place. However, by late July, word had spread that the old man ‘resembled’ 80 year old Abdul Ansari and that the young child looked like a Rajput girl from the neighbourhood.’
রিপোর্ট মতে আবদুল ওয়াহিদ আনসারী একজন ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নেতা। তার একটি দোকান রয়েছে, সেটার নাম ভারত কৃষি সেবা কেন্দ্র। সে দোকানে বীজ, কীটনাশক, সার এবং স্প্রে মেশিন বিক্রি করা হয়। দোকানে তাকে সহায়তা করেন তার ছেলেরা। উল্লিখিত ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে ওঠার সাথে সাথে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে। এদের মধ্যে এমন অনেক ছিল যারা আনসারী পরিবারের লোকদের দীর্ঘ দিন ধরে চিনত। আর তারা আবদুল ওয়াহিদ আনসারীর গ্রেফতার দাবি করেন। বিজেপি, বজরং দল এবং কর্নি সেনার লোকেরা বিক্ষোভ করে আলাদাভাবে। এরা আনসারীর বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়েন। ভাঙচুর করেন ওই পরিবারের একটি গাড়ি।

ওই রিপোর্টে আরো জানানো হয়, ভিডিওতে যে বালিকাটিকে দেখানো হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়, সে বালিকার বাবা হিন্দুলি থানায় ৩১ জুলাই এ মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেন, তিনি এই বালিকাটিকে চিনতে পেরেছেন তার ফ্রক দেখে। ওয়াহিদ আনসারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হয়।

অপর দিকে আবদুল ওয়াহিদ আনসারীর বড় ছেলে শাহাদত আলী আনসারী জানান একই দিনে ৮০ বছর বয়সী আবদুল ওয়াহিদকে ভোর ৬টায় পুলিশ নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এবং পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তা সত্ত্বেও পরবর্তীকালে কিছু লোক, যাদের মধ্যে ছিলেন চারজন সাংবাদিক তারা গুজব ছড়াতে শুরু করেন আনসারীর লোকেরা পুলিশকে ঘুষ দিয়েছে।
৩০০ থেকে ৪০০ লোক তাদের বাড়ি ঘেরাও করে। একই দিনে পুলিশ আবার তাকে গ্রেফতার করতে আসে। তিনি কারাগারে ছিলেন ২৭ দিন। তা সত্ত্বেও আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রমাণিত হয়, ভিডিওটি ছিল ভুয়া। ইউপি পুলিশ এ ব্যাপারটি নিশ্চিত করে। বলা হয়, এ ভিডিওটি রেকর্ড করা হয় মার্চের কোনো এক সময়ে, ইউপির মৃৎশিল্প-শহর খুরজায় এবং আবদুল ওয়াহিদ আনসারীর তাতে কিছুই করার ছিল না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একই বিষয় নিশ্চিত করেন বুন্ডি এসপি আদর্শ সিধু। এখন পুলিশ নিশ্চিত, ভিডিওটি বুন্ডি থেকে নয়। কিন্তু আবদুল ওয়াহিদের সমস্যার এখনো শেষ হয়নি। কারণ ‘নিগৃহীত’ মেয়েটি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যে বিবিৃতি দিয়েছে, তা অনুসরণ পুলিশের জন্য আইনত বাধ্যতামূলক।

অতএব ৮০ বছরের আবদুল ওয়াহিদ আনসারীর কারাগারে থাকা অব্যাহত থাকবে, যদিও বিতর্কাতীতভাবে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত। কারণ, এর পেছনে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক লোকেরা। এটি বুঝতে অসুবিধা হয় না, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।


আবদুল ওয়াহিদ আনসারীর পারিবারিকভাবে পরিচালিত বিকাশমান ব্যবসায় এই এলাকায় সবচেয়ে বড়। তার বড় ছেলে শাহাদত জানান, প্রতিবেশীদের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও কিছু কুটিল লোক আনসারীর সম্পদের ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত। হিন্দুলির এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর ষড়যন্ত্রমূলক মনোভাবের অব্যাহত প্রক্রিয়া। আরএসএসের প্রকাশনা Param Vaibhav Ke Path Par -এ ভারত বিভাগের প্রাক্কালে উল্লেখ করা হয় : ‘Swayamsevaks had posed to have adopted Musalman [sic] religion in order to gain the confidence of Delhi Muslim League for knowing their conspiracies.’|’।

আরএসএস স্বয়ংসেবকেরা স্বাধীনতার প্রাক্কালে মুসলিম সাজার ভান করার কাজটি করছিল কেন, তা ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ ছাড়া আর কেউ খোলাসা করেননি, যিনি পরবর্তীকালে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার প্যাটেলের কাছে ১৯৪৮ সালের ১৪ মার্চে লেখা এক চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন: I am told that RSS people have a plan of creating trouble. They have got a number of men dressed as Muslims and looking like Muslims who are to create trouble with the Hindus by attacking them and thus inciting the Hindus. Similarly there will be some Hindus among them who will attack Muslims and thus incite Muslims. The result of this kind of trouble amongst the Hindus and Muslims will be to create a conflagration.

ভারতের জাতির পিতার হত্যা ছিল হিন্দুত্ববাদীদের ষড়যন্ত্রের ফল এবং মুসলমানেরা হচ্ছে হিন্দুত্ববাদী ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেট। মুসলমানদের আশা-ভরসা হচ্ছে বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা সৎ ব্যক্তিরা, যারা ধর্মনিরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই লেখাটির মূল লেখক হলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক।
লেখাটির মূল ওয়েবলিঙ্ক হল:http://du-in.academia.edu/ ShamsulIslam
বিশেষঃ কৃতজ্ঞতা বাংলাদেশের পত্রিকা নয়া দিগন্ত ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হা ঈশ্বর, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ !

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হা ঈশ্বর, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ !
দারুন বলেছেন :)

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

আ্যাডোনিস. বলেছেন: আমাদের দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদয়ের কারো কোনো বিপদ হলে পুরোদেশের মানুষ আমরা এক হয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়।দেশের বড়বড় সব প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়োগ চোখে কপালে তুলে দেবার মতো।এতে আমরা ক্ষুদ্ধ নই বরং খুশি কারণ তারা যোগ্যতা দিয়ে কাজ পেয়েছে।এরপরও এদেশে নাকি সংখ্যালঘুরা ভালো নেই।আর ভারতে মুসলমানরা যে কেমন আছে,কতটা নিরাপত্তা আর নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে সেটা আমরা সংবাদপত্র থেকে খুবই কম জানতে পারি।এই কমেই আমাদের এতো বেশি খারাপ লাগছে কিন্তু ওখানকার অবস্থা আসলে অনেক অনেক বেশি খারাপ।ওদের পাশে কিন্তু কেউ ই নেই।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এগুলো আসলে আমাদের মুসলিমদের নসীব খারাপ তাই সহ করে নিতে হচ্ছে।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: :(

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভেবেও কিছু করার নাই ভাই।

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারতের মানুষের দৃষ্টিভংগি এখনো অনেক নীচে, এবং দারিদ্রতা এখনো বড় সমস্যা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত ভাই।

৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

মামুন ইসলাম বলেছেন: :(

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:১১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভেবেও কিছু করার নাই ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.