![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। তারপর আগামীকাল শুক্রবার অর্থাৎ ৩ রা মে বিকেল নাগাদ ভারতের ওড়িষা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল বিশেষত খুলনা ও তৎসংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় ফণী
প্রথমে খুলনায় আঘাত হানবে।বাংলাদেশে মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার এর জন্য ৪ হুঁশিয়ারি সংকেত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে ভারতে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া বিভাগের বিশেষ বুলেটিনে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছেন বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০৬৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ সাত নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।তাছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ। সেই সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিআইডাব্লিউটিএ এই ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে যাতে ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানলে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায় সেরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশের দিকে আসছে। এর তীব্রতা আগের থেকে আরো বেড়েছে। ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থেকে এখন ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে কমিয়ে আনা। বিবিসি বাংলা থেকে সংগ্রহ করা ঘূর্ণিঝড় ফণীর সম্ভাব্য গতিপথ এর একটা ছবি
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে ক্রমিক নম্বর-২৮ জানানো হয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণি সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
তথসূত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা থেকে জানা ও নেয়া।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সর্ব শক্তিমান।
২| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৩:৪৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
উহা যদি পুরিতে আগাত হানে, বাংলাদেশে আসতে আসতে উহার কোন শক্তি থাকবে না।
০৪ ঠা মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ধন্যবাদ ওস্তাদ সবই আগে আল্লাহু পরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কারণে সম্ভব হয়েছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ্ সবাইকে নিরাপদ রাখুক।